নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...

অর্ক

...

অর্ক › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসমাপ্ত সার্কাসের স্মৃতি

০৯ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:১৪



এই শীতে মনে পড়বে তোমাদের। আমাদের টগবগে যৌবনের দিন। টেলিভিশনে দেখা কিয়েভ শহর। তখন যুদ্ধ ছিলো না। রাস্তাজুড়ে ম্যাপল গাছের সারি। ঝলমলে সূর্যমুখী। পরিপাটি উদ্যান, এভিনিউ। সুখী মানুষের হুল্লোড়। পাখিরা প্রদোষের আরক্তিম আলোয় নির্বিরোধ ঘরে ফিরে যেতো।

কামনার মিরা বাজিয়ে আমরা গিয়েছিলাম বহুদূর। অজানা শহরের উন্মুক্ত মিলনায়তনে অগণ্য দর্শনার্থীর সঙ্গে সার্কাস দেখেছিলাম। দারুণ উপভোগ্য ছিলো। মনে পড়ছে কিশোর সার্কাস শিল্পীর চার বলের জাগলিং। যার পর নেই মুগ্ধকর। বলেছিলে, ইতিপূর্বে চার বলের দেখোনি। প্রথমবার। তারপর শেষার্ধে ভয়ঙ্কর খেলা। ত্রিশূল সদৃশ তীক্ষ্ণ ফলাযুক্ত গোলাকার ধাতব কাঠামো শূন্যে ছুড়ে শুয়ে পড়েছিলো জনৈকা নারী। মুহূর্তকাল উড়ে তাকে ঘিরে তীব্রভাবে গেথে গিয়েছিলো। খেলা চলাকালীন আতকে উঠে শার্টের আস্তিনে মুখ লুকিয়েছিলে। সত্যি, ঘটনাক্রমের এ ধারাবাহিকতা কাকতালীয়। বারবার অনুষ্ঠান অসমাপ্ত রেখে ফিরতে হয়েছিলো।

মনে পড়বে তোমাদের নাম। দীর্ঘ কথোপকথন শেষে চলে যাওয়া উজবেক পর্যটক। ভাঙাভাঙা ইংরেজিতে স্মিত হেসে বলেছিলো, সেখানকার নরম ঘাশ সোনালী, অবিকল স্থানীয় স্বর্ণকেশী কিশোরীর মতো। মনে পড়বে হলদে অপরাহ্নগুলো। তুর পাহাড়ে পাতা পরা আদিম মানুষের মুখ। ঢাল বেয়ে নির্বিকার নেমে যাচ্ছে ধীর পা’য়ে। পুনঃপুন তার সে স্বেচ্ছামৃত্যুও মনে পড়বে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৩৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ভালো লাগলো।

০৯ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৪৯

অর্ক বলেছেন: লাইকসহ দুই শব্দের আপনার এই মন্তব্য সত্যি দারুণ প্রেরিত করলো।

অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা।

২| ০৯ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: পড়তে খুব ভাল লাগলো। প্রথম প্যারাগ্রাফটা একেবারে খাসা। "মিরা বাজিয়ে" মানে কি? "মিরা" শব্দটার মানে জানা নেই।

১০ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:১৩

অর্ক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

"মির" সঙ্গীত সুরের সঙ্গে জড়িত কিছু। খুব সম্ভবত রাগ সঙ্গীতে ব্যবহৃত হয়। আমি নিশ্চিত পূর্বে কোথাও পড়েছিলাম। মির থেকে মিরা। কিন্তু আপনার মন্তব্য পড়ে ইন্টারনেটে খুঁজে কিছু পেলাম না। তবে আমি নিশ্চিত যে মির সুর সঙ্গীতের একটি অংশ। ঠিক কোথাও পড়েছি।

৩| ০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৩৬

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সাহিত্যের মতো মনে হচ্ছে। ভালো লেগেছে।

১০ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:১৪

অর্ক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।

৪| ০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:৪০

গরল বলেছেন: অর্ক ভাই, ইউরোপে কাঠাল গাছ আছে? নাকি রুপক আকারে ব্যাবহার করেছেন, আমি আসলে বুঝি নাই। যাই হোক আপনার কথামালা সোনালি দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দিল।

১০ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৪২

অর্ক বলেছেন: আসলে দেশের কাঠাল গাছ লেখায় এসে গেছে। হে হে হে। এখানে সবখানে দেখা যায়। কাঠাল গাছ বিরাট। বড়ো বড়ো কাঠাল চারিদিকে ঝুলে থাকে মৌসুম এলে। সুন্দর গাছ। আবার কোথাও প্রকাশের আগে বিষয়টা নিয়ে ভাববো।

অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা থাকলো।

৫| ০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:৪১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চলিতেছে সার্কাস!
চলতে থাকুক।

১০ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:১৪

অর্ক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৬| ১৫ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৩৫

ফয়সাল রকি বলেছেন: স্বেচ্ছামৃত্যু ব্যাপারটা কি আত্মহত্যার মতো?

১৬ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:০৫

অর্ক বলেছেন: সুক্ষ্ম পার্থক্য আছে। আত্মহত্যা গোপন। স্বেচ্ছামৃত্যু প্রকাশ্য। যেমন পরিবার পরিজনদের হয়রানি ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে চলৎশক্তিহীন ভীষণ ক্রিটিকাল রোগি অনেকসময় নিজেদের মৃত্যুর ইচ্ছা প্রকাশ করে থাকে। উপযুক্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ডাক্তারের উপস্থিতিতে অনেকক্ষেত্রে ইশারা ইঙ্গিতে তারা নিজেদের সে মৃত্যুর ইচ্ছা প্রকাশ করে। তখন লাইফ সাপোর্ট সরিয়ে নেয়া হয় বা চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়। এটাই হচ্ছে স্বেচ্ছামৃত্যু। আত্মহত্যা নয়। তেমনিভাবে দেশমাতৃকার জন্য অকুতোভয় কোনও বৈমানিক হয়তো উড়োজাহাজ নিয়ে প্রতিপক্ষের কোনও স্থাপনায় আক্রমণ করে নিজের জীবন দিয়ে দিচ্ছে। এভাবে বহু জাপানি বৈমানিক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিজেদের জীবন দিয়েছে। এটা আত্মহত্যা নয়, স্বেচ্ছামৃত্যু।

অনেক ধন্যবাদ ফয়সাল রকি। শুভকামনা থাকলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.