নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...

অর্ক

...

অর্ক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষের দৃষ্টি

২৪ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:২৩



অনেকদিন আগে তোমার চোখ দুটো আমাকে খুলে দিয়েছিলে
শূন্য কোটর থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছিলো
ফোটা ফোটা গাঢ় লাল রক্ত
বলেছিলে ‘তুমি চলে যাচ্ছো
আর আমাদের দেখা হবে না
এই চোখ দুটো তোমাকে দিলাম
আমার এ পবিত্র দৃষ্টি ও আকাঙ্ক্ষার স্মারক হিসেবে রেখে দিয়ো।’
আমি অবহেলায় ভরে রেখেছিলাম এনালগ ক্যামেরার ফিল্মের কৌটায়
সে বহু আগের কথা
তারপর কতো জল গড়ালো তিন তিনটি দেশজুড়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র দিয়ে
কতো ঘরবাড়ি আবাদি জমি গ্রাস করলো বেঢপ আকৃতির রাস্তাগুলো
কতো ঝরঝঞ্ঝা জলোচ্ছ্বাস বন্যা খরা বৈরী আবহাওয়া পেরিয়ে এসেছি
এর মাঝে কখনও খোলা হয়ে ওঠেনি ফিল্মের কৌটোটা
আজ অনেকদিন পর খুললাম
আর বিস্মিত হলাম দেখে যে চোখ দুটো এখনও অবিকল তেমনই আছে
এখনও শুকায়নি রক্ত এতোটুকু; তেমনিই গাঢ় লাল আর্দ্র সজীব !
তার কিছু আগে, আরেকদিন গল্পের ছলে বলেছিলে মৃদু স্বরে
মানুষের দৃষ্টি দূরত্ব বোঝে না। বহুদূরে, স্পর্শেরও বাইরে যে আকাশ
কতো ভাবেই না আমাদের অনুভূতিকে বাঙময় করে তোলে !
আজ বুঝলাম, বড়ো সত্য বলেছিলে
মানুষের দৃষ্টি দূরত্ব বোঝে না
সীমা বোঝে না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৫২

মিরোরডডল বলেছেন:




দৃষ্টির মতোই গভীর এ লেখাটা ।
খুব সুন্দর হয়েছে অর্ক ।


২৪ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২১

অর্ক বলেছেন: প্রেরিত করলেন। অনেক ধন্যবাদ।

২| ২৪ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

বাহ কি কঠিন প্রেম!
এমন প্রেম হয়তো এক সময়
ছিলো! লাইলী মজনু, শিরি ফরহাদ,
রজকিনী চন্ডি দাস! যারা অবলীলায়
একে অপরের জন্য জীবন দিতে পারতো!
পীরিতির সে বাজার এখন নাই! এখন
প্রেমের সস্তা বাণিজ্যিকীকরণ হয়েছে!

২৪ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০১

অর্ক বলেছেন: সস্তা বাণিজ্যিকীকরণ! ঠিক বুঝলাম না বাণিজ্যিকীকরণ বলে কি বোঝালেন! দুঃখিত। এখন কি সন্তান তার পিতামাতাকে ভালবাসে না, বা পিতামাতা সন্তানকে? শিক্ষক তার ছাত্রছাত্রীদের? ভাই বোনকে, বোন ভাইকে বা ভাইভাই বোনবোন? রাখাল তার পসুর পালকে?

মানুষের মনের আবেগ অনুভব অনুভূতি মায়ামমতা ভালবাসা এগুলো কখনও শেষ হবে না। এটা ঠিক যে, তথ্য প্রযুক্তির সহজলভ্যতা, বিশ্বায়নের প্রভাবে এখন মানুষ আগের যে কোনও সময়ের থেকে বেশি পরিণত। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, রোবট হয়ে গেছি সবাই। এখনও পত্রপত্রিকা খুললে দেখবেন, প্রিয় মানুষের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা। অনেকক্ষেত্রে কারণ খুবই সামান্য। আমার এক পরিচিত ছেলে। একাদশ দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে। লম্বাচওড়া হ্যান্ডসাম নবযুবক। কয়েকদিন আগে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কারণ, মাবাবার কাছে মোটরসাইকেল চেয়ে পায়নি। সে দুঃখে বাবামার প্রতি অভিমান থেকে জীবন দিয়ে দিলো!

ধন্যবাদ ভাই। শুভকামনা থাকলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.