নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...

অর্ক

...

অর্ক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কট: একটি নিরপেক্ষ পর্যালোচনা

১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৮



ইসরায়েল ফিলিস্তিন সমস্যা তথা মধ্যপ্রাচ্যের এই সঙ্কট নিয়ে সম্ভবত এটাই আমার শেষ লেখা হতে চলেছে। এগুলো আসলে আমার বিষয় নয়। এখন জানি না কেন, তীব্রভাবে বিরক্তিকর হয়ে উঠেছে। এইসব যুদ্ধ মৃত্যু রক্ত কান্না হাহাকার সহ্যের সীমা পেরিয়ে যায়। তাই ইদানীং দেখা অনেকটাই বন্ধ করে দিয়েছি। আমি কবিতার মানুষ। কবিতা নিয়েই থাকতে চাই। এখানে এ বিষয়ের ওপর বেশ কিছু লেখা পড়ে নিরাশ হয়ে লিখতে শুরু করেছিলাম। এটা আগের লেখারই সম্প্রসারিত অংশ হতে চলেছে। মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে আমার জানাশোনা অধ্যায়ন সবার সঙ্গে ভাগ করে নেয়া উদ্দেশ্য। ব্লগে এ পর্যন্ত এর ওপর যতো লেখা পড়েছি, সেগুলো শতভাগ ভুল ধারণার ওপর স্থাপিত মনে হয়েছে। পাঠক মাত্রই সেসব পড়ে বিভ্রান্ত হবে। অল্প জ্ঞান অনেকক্ষেত্রে অজ্ঞতার থেকেও ক্ষতিকর। বিশেষ করে আমাদের মতো দেশের জন্য ব্যাপারটা মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। এরকম উদাহরণ কম নেই এখানে। সেটা ভেবেই কলম তুলে নেয়া। এক পর্যায়ে নিজের ভিতর গভীর তাগিদ অনুভব করলাম যে, এখন নীরব থাকার সময় নয়। সুযোগ যখন আছে, তখন সবাইকে সত্য ও সঠিকতার সঙ্গে পরিচয় করানো নিজের পবিত্র নাগরিক দায়িত্ব বলে মনে হলো। ব্লগ আছে বলেই আজ লিখতে পারছি, বলতে পারছি, নাহলে কথাগুলো সম্ভবত অব্যক্তই থেকে যেতো। বিভিন্ন সময় আলোচনায় বলেছি, এই সাইটটি আমার খুব প্রিয়। অনেককিছু পেয়েছি এখান থেকে। আরেকবার গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি জনা আপুসহ ব্লগ সংশ্লিষ্ট সবাইকে।

এ ব্লগে আমার পঠিত লেখাগুলো যে সব সূত্র অবলম্বন করে লেখা হয়েছে, সেগুলো নিরপেক্ষতার ধারেকাছেও নেই। সফেদ মিথ্যচার, কুযুক্তি কুতর্কে পরিপূর্ণ নির্লজ্জ আরব প্রোপাগাণ্ডার ওপর তৈরি। আগে লিখেছি কিছুটা। এখন সেটাকে বর্ধিত করছি। মধ্যপ্রাচ্যের ইসরায়েল ফিলিস্তিন দীর্ঘ সঙ্কট ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আমার যা জানাশোনা অধ্যায়ন তাতে মনে হয়েছে যে, দেশে কারোই এ ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা নেই। সাধারণ মানুষদের কথা না হয় বাদই দিলাম। বিভিন্ন মিডিয়ায় যারা এসব বিষয়ে নিজেদের গবেষক বিশ্লেষক দাবি করে থাকে, তাদের আলোচনা কথোপকথন শুনে যার পর নেই লজ্জা পাই। এসব আলোচনায় ইসরায়েল ফিলিস্তিন মধ্যপ্রাচ্যের ওপর তাদের বেসিক জানাশোনারও ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়। সেখানে শুধু ঢালাওভাবে ইসরায়েলিদের ইহুদিদের ঘৃণা অপবাদ অপমান গালিগালাজের ক্রোধিত প্রদর্শন। আদতে সব পূর্ণ হাওয়াবাজী, অপালাপ। সত্যি বড়ো দুর্ভাগ্যজনক যে, ইহুদিদের ব্যাপারে হামাসের সঙ্গে আমাদের দেশের মানুষের মনমানসিকতার তেমন কোনও পার্থক্য নেই। এটা আমাকে খুব ব্যথিত করে। ব্লগে এ ব্যাপারে দেখেছি, অনেকে হিটলারের ইহুদীবিদ্বেষের পক্ষে পর্যন্ত কথা বলছে। ইহুদি গণহত্যার প্রসংশা করে মতামত দিচ্ছে। এদের মনমনমানসিকতা অত্যন্ত বিপদজনক। এভাবে আমাদের দেশের প্রধান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধেও তারা বিভিন্ন সময় ইনিয়েবিনিয়ে অনুরূপ দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ করে থাকে। এখানেও হয়। কথায় আছে দুরাত্মার ছলের অভাব নেই। এরা হচ্ছে সেই দুরাত্মা। ব্লগের এডমিন মডারেটরের এগুলো দেখা উচিত। সে আশা অবশ্য বহু আগে ছেড়ে দিয়েছি। সভ্য সমাজে ভায়োলেন্সের স্থান থাকতে পারে না। এর পক্ষে একটা বাক্যকেও গ্রহণ করার কোনওরকমের কোনও সুযোগ নেই। ইসরায়েল রাষ্ট্র, সেখানকার শাসন প্রশাসন, শাসকগোষ্ঠীর নীতি কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা সমালোচনা করা যেতেই পারে। সেটা একটা ব্যাপার। আর পুরো ইহুদি ধর্মালম্বী মানুষদের প্রতি নির্বিচারে উগ্র বিদ্বেষ ঘৃণার হিংস্রক প্রকাশ আরেক ব্যাপার। এখানে কয়েকজনকে দেখলাম, রীতিমতো ইহুদিদের ধ্বংস মৃত্যু চেয়ে উগ্র উস্কানি দিচ্ছে লেখায়, মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে। জানি না ব্লগের কোন নীতিমালায় নির্দিষ্ট ধর্মের বিরুদ্ধে এভাবে উগ্র ঘৃণা বিদ্বেষ ছড়ানো গ্রহণযোগ্য হতে পারে! সবচেয়ে আজব লেগেছে দুয়েকজনকে বলতে দেখলাম, ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলের ভিতর হামাসের বর্বরোচিত হামলা নাকি ইসরায়েল আমেরিকা ও হামাসের একটি সম্মিলিত ষড়যন্ত্র, সাজানো নাটক। পড়ে ভীষণ অবাক হলাম। দীর্ঘদিন ব্লগে থেকেও মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে এদের জানশোনার দৌড় দেখে সহব্লগার হিসেবে খুব লজ্জা পেয়েছি। এদের আসলে কোনওরকমের কোনও ধারণাই নেই এ ব্যাপারে। এক্কেবারে শূন্য। এরকম অকাট অজ্ঞতা অজ্ঞানতা নিয়ে দুয়েকজনকে রীতিমতো এর ওপর সিরিজ চালাতে দেখলাম। একজন প্রবীণ ভদ্রলোক উল্টাপাল্টা মন্তব্য করে ভাসিয়ে দিয়েছে ব্লগ। সব জায়গায় বলে বেড়াচ্ছে ৭ অক্টোবরের ঘটনা ষড়যন্ত্র, নাটক, হামাস আমেরিকা মিলে করেছে ইত্যাদি। বাস্তবতা হলো, ওই ভদ্রলোক যদি ফিলিস্তিন বানান সঠিকভাবে ইংরেজিতে করতে পারে, সেটাও আমার কাছে আশাতীত হবে। অল্পবিস্তর মোটামুটি পুরো মুসলিম বিশ্বেই এসব ঘটছে। বিভিন্ন জায়গায় কিল জুস, এলিমিনেট জুস লেখা পোস্টার ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সভা সমাবেশ মিছিল মিটিঙে মুখর লোকজন। এসব ইহুদি বিরোধী প্রতিবাদে চার পাঁচ বছর বয়সের মাসুম বাচ্চার হাতে তুলে দেয়া হয়েছে খেলনা একে৪৭, গ্রেনেড, রকেট লাঞ্চার। পারলে এখনই বোমা মেরে সব ইহুদিদের উড়িয়ে দেয়। সত্যি দুঃখজনক।

আশির দশকের জঙ্গি সংগঠন হামাস। এটা আমার তোমার কথা নয়, স্বয়ং হামাসই দাবি করে। তারা ইসরায়েল রাষ্ট্র তো দূর, মধ্যপ্রাচ্যে ইহুদিদের অবস্থানকেও গ্রহণ করে না। মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইহুদিদের সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত তাদের সশস্ত্র যুদ্ধ জঙ্গিবাদ চলবে বলে নিজেরাই দাবি করে। এটাই তাদের মিশন। খুব দুঃখ হয় যখন দেখি এরকম একটি হিংসক উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের তুলনা করা হয় ব্লগে। সত্যি হতাশাজনক। অজ্ঞতা অজ্ঞানতার এরকম চরম প্রকাশ সহ্যের বাইরে। বোকো হারাম আল কায়েদা আই এস এগুলো তো সাম্প্রতিককালে এসেছে। উগ্রবাদ জঙ্গিবাদে এদের আসল অভিভাবক হামাসই। হামাস থেকেই প্রেরণা নিয়েছে। মিসর জর্ডান থেকে বিতারিত হয়ে হামাস ঘাঁটি গেড়ে বসেছে ফিলিস্তিনে। এদের নির্মমতা বর্বরতার শেষ নেই। এরা টার্গেট করে থাকে সাধারণ নিরস্ত্র ইসরায়েলি ইহুদিদের। এদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ফিলিস্তিনিরাও রেহাই পায় না। ভয়ঙ্কর মৃত্যু ও পাশবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। স্বস্বীকৃত কট্টর জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতিও কোনওরকমের কোনও মমত্ববোধ নেই। এ যুদ্ধেই সাধারণ ফিলিস্তিনিদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে হামাস। তাদের গাজা ছাড়তে দিচ্ছে না। এরা আসলে পিশাচ। এদের নিশ্চিতরূপেই ধ্বংস করতে হবে। নাহলে এরাই বহু কষ্টার্জিত এ মানবসভ্যতাকে ধ্বংস করে দিবে। তাই হামাস বিরোধী এ যুদ্ধে আজ আমিও একজন ইসরায়েলি, আমিও ইহুদি। হামাস ও সমমনা আরও কিছু উগ্র সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠন ফিলিস্তিনসহ মধ্যপ্রাচ্যকেই নরক বানিয়ে রেখেছে। দুঃখজনক যে, হামাসের আজকের এই বাড়বাড়ন্তের জন্য সাধারণ ফিলিস্তিনিরাও তাদের দায় এড়াতে পারে না। তাদের নির্বুদ্ধিতার পরিণামই আজ তাদের ভোগ করতে হচ্ছে। গাজার সাধারণ ফিলিস্তিনিরা সব ভালো জানে। সব তাদের নখদর্পনে। গাজার চারিদিকে ছড়ানো হামাসের জঙ্গি সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক। এখানে ওখানে রকেট বোমা নিক্ষেপের বড়ো বড়ো সামরিক স্থাপনা এগুলো সব ফিলিস্তিনিদের চোখের সামনে গড়ে উঠেছে। এই সন্ত্রাসী জঙ্গি গোষ্ঠীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিলো গাজার সাধারণ ফিলিস্তিনিরাই। আশা করেছিলো যুদ্ধ করে স্বাধীন দেশ দিবে। ফলাফল, তারপর থেকে ফিলিস্তিনে সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রকৃয়া সমাপ্ত। আর কোনও নির্বাচন ভোট কিচ্ছু নেই। পিএলওসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল মতাদর্শকে সমূলে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের এইডের টাকা দিয়ে ইসরায়েলে জঙ্গি হামলার জন্য বিরাট ব্যয়বহুল সামরিক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে হামাস। গাজার সর্বত্র সমরাস্ত্রের গোডাউন বানিয়েছে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে খুঁড়ে। সেখান থেকে চব্বিশ ঘন্টা ইসরায়েলের আবাসিক এলাকা লক্ষ্য করে রকেট বোমা নিক্ষেপ করা হয়। তাদের টার্গেট সাধারণ বেসামরিক ইহুদি। যেমন বলেছি, হামাস ফিলিস্তিনিদেরও বন্ধু নয়। আগাগোড়াই বর্বর জঙ্গি সংগঠন। এদের ওপর বিশ্বাস স্থাপনের পরিণামই আজ ভোগ করতে হচ্ছে গাজার সাধারণ ফিলিস্তিনিদের। এই দীর্ঘ সময়ে হামাস বিশাল বিষবৃক্ষ হয়ে উঠেছে। ৭ অক্টোবর সীমানা প্রাচীর পেরিয়ে ইসরায়েলে যেয়ে ১৪০০ ইসরায়েলি হত্যার পর আর কোনও অপশন খোলা রাখেনি তারা ইসরায়েলের জন্য। প্রতিঘাত হবেই। সেটারই অনিবার্য পরিণাম, ফিলিস্তিনের অভ্যন্তরে যেয়ে আইডিএফ’র সামরিক অভিযান। এ যুদ্ধে ইসরায়েলের বিন্দু পরিমাণও দোষ নেই। তারা পরিস্থিতির শিকার। তাদের সামনে কোনও বিকল্প ছিলো না। বিস্তারিত পরবর্তীতে আলোচনায় আসতে পারে। এগুলো আসলে বড়ো আলোচনার বিষয়। অল্প কথায় শেষ করা যায় না। হামাসকে নির্মূলে ইসরায়েল এছাড়া কি করতে পারতো? আকাশপথে বিমান যোগে কোটি কোটি লিফলেট ছড়িয়েছে তারা সাধারণ ফিলিস্তিনিদের জন্য। সেখানে আরবিতে পরিষ্কার লেখা, গাজা ছেড়ে আপনারা চলে যান। নইলে সামরিক অভিযানে মৃত্যু হতে পারে। যুদ্ধের সবরকম নিয়মকানুন মেনেই যুদ্ধ পরিচালিত করছে ইসরায়েল। যেমন বলেছি, এর মাঝে হামাস বিরাট বিষবৃক্ষ হয়ে উঠেছে। ৭ অক্টোবরের ঘটনার পর ইসরায়েলের নাকের উপর পানি উঠে গেছে। তাদের সামনে হামাস বিরোধী এ যুদ্ধের বিকল্প ছিলো না। যুদ্ধে ইতিমধ্যেই প্রায় বারো হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। আহত কয়েক গুন। অনেকেকে বাকি জীবন অঙ্গহানির অভিশাপ নিয়ে বাঁচতে হবে। গাজা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। সামান্য বিবেকের তাড়না যার মাঝে অবশিষ্ট আছে, তার কাছে এসব কোনওরকমেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আর সবার মতো আমিও চাই যুদ্ধ বন্ধ হোক। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। ইসরায়েল ফিলিস্তিনি ইহুদি মুসলমান আমার কাছে আলাদা কিছু নয়। মাতৃগর্ভের ধর্ম হয় না। সবাই আমার কাছে সেই একই মায়ের সন্তান। আমি পৃথিবীর শুভবোধসম্পন্ন শান্তিকামী মানুষদের একজন। কিন্তু যখন আমি আমার অধ্যায়ন ও জানাশোনার দিক থেকে পুরো ঘটনা বা সার্বিক পরিস্থিতিকে বিচার বিশ্লেষণ করবো, তখন আমাকে অবশ্যই সর্বাংশে নির্মোহ ও নিরপেক্ষ হতে হবে। সঠিক তথ্য দিয়ে যৌক্তিক আলোচনা করতে হবে। সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে হবে। নইলে যে জ্ঞানপাপীদের দলে নাম লেখাবো।

ইসরায়েল একটি সভ্য দায়িত্বশীল আধুনিক রাষ্ট্র। উন্নত চিন্তাভাবনার সুশিক্ষিত সভ্য মানুষ ইসরায়েলিরা। কাছাকাছি সময় ডিস্টেন্স রানার কেনিয়ান ইসরায়েলি লোনা সালপেটারের সাক্ষাৎকার পড়লাম। তিনি ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ইসরায়েলের মানুষের। কাজের সন্ধানে কেনিয়া থেকে ইসরায়েলে এসেছিলেন। এসে নতুন জীবন পান তিনি। সাক্ষাৎকারে বলছিলেন, ইসরায়েলিরা খুব ভালো সহযোগিতা পরায়ন সজ্জন মানুষ। ইসরায়েলে এসে কখনও মনে হয়নি অন্য দেশে বাস করছেন। ইসরায়েলি এ্যাথলেটিক্স কোচ ডেভ সালপেটারকে বিয়ে করে সেখানে থিতু হয়েছেন লোনা। নাগরিকত্ব পেয়েছেন। স্বামী এক ছেলে নিয়ে এখন ইসরায়েলের সবচেয়ে সুখী মানুষদের একজন। বিভিন্ন সময় এরকম আরও লোনার গল্প জেনেছি। সবাই ইসরায়েল সম্পর্কে ভালো বলেছে। লোনা সালপেটারের মতো পৃথিবীজুড়ে হাজারো বিপন্ন প্রান্তিক মানুষের জীবনে আশার আলো হয়ে এসেছে ইসরায়েল নামক মহান রাষ্ট্রটি। ভ্রমণের জন্য আজ বিশ্বের ব্যয়বহুল রাষ্ট্রগুলোর অন্যতম ইসরায়েল। ওখানকার অর্থনীতি অনেক শক্তিশালী। বসবাসের জন্য রাজধানী তেল আবিব পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর। এছাড়াও বর্তমান বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিকিৎসা ব্যাবস্থা ইসরায়েলের। আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া ইউরোপেরও উন্নত বেশকিছু দেশের থেকে এগিয়ে তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য সেবা। ফিলিস্তিনিরা স্বয়ং চিকিৎসার জন্য ইসরায়েলের ওপর পূর্ণরূপে নির্ভরশীল। ইসরায়েল থেকে অনুমতি নিয়ে তাদের সেখানে চিকিৎসা সেবা নিতে হয়। স্বাস্থ্য খাতে ইসরায়েলে প্রচুর বিদেশি কর্মরত। আমাদের পাশের দেশ ভারত থেকে চিকিৎসক ও নার্স হিসেবে ভালো পরিমাণে ভারতীয় কাজ করছে সেখানে। সবাই ভালো আছে। যেমন বলেছি, বিরাট শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ ইসরায়েল। এর সুফল পাচ্ছে অভিবাসী ভারতীয় কর্মী শ্রমিকরাও। একইভাবে আফ্রিকা এশিয়ারও বেশকিছু দরিদ্র দেশের মানুষের জীবনে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে ইসরায়েল। বিভিন্ন সেক্টরে বিদেশিরা আত্মসম্মান ও গৌরবের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। তারা সবাই আজ ইসরায়েলের শক্তিশালী সমৃদ্ধ অর্থনীতির সুবিধাভোগী। কোনওদিন শুনলাম না, কর্মক্ষেত্রে কোনও প্রবাসী শ্রমিক কর্মীকে কোনওরকমের সম্মানহানির স্বীকার হতে হয়েছে সেখানে। অথচ আশেপাশের আরব রাষ্ট্রগুলোতে ব্যাপারটা চিন্তারও অতীত। বিশেষ করে নারী গৃহকর্মীদের সঙ্গে আরবদের অমানবিক আচরণ সম্পর্কে আমরা সকলেই কমবেশি ওয়াকিবহাল। ওগুলো বলতেও খারাপ লাগে। ইসরায়েলেও একইভাবে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত প্রচুর সংখ্যক নারী গৃহকর্মী কর্মরত। কিন্তু সেখানে এসব নির্যাতন তো দূরের ব্যাপার, দুর্ব্যবহারও করা হয় না কারও সাথে। এরকম কোনও অনিয়ম প্রমাণ হলে নিশ্চিতরূপে অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হবে। সামাজিকভাবে হেয় হতে হবে। এগুলো আসলে হয় না ইসরায়েলে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত অগ্রসরমান দেশগুলোর সামনের সারিতে অবস্থান ইসরায়েলের। অপরাধের পরিমাণ শূন্যের কোঠায়। হত্যা ধর্ষণের মতো জঘণ্য অপরাধ একেবারেই নেই। বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ স্বাধীন। অপরাধ করে পার পাওয়ার বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই। সামান্য অনিয়ম করেও বিচারের সম্মুখীন হতে হয়। আইনের প্রয়োগ, বিচারিক প্রকৃয়া শতভাগ নিরপেক্ষ ও পূর্ণরূপে কার্যকর। ঘুষ দূর্নীতি অনিয়ম এসবের সঙ্গে মোটেও পরিচিত নয় ইসরায়েলিরা। আসলে তারা এতোটাই সভ্য দায়িত্বশীল মানুষ যে, আমাদের দেশের মানুষদের দৃষ্টিকোণ থেকে যা আসলে চিন্তারও বাইরে। চলমান যুদ্ধেই দেখলাম, ইসরায়েলের একজন ডানপন্থী মন্ত্রী গাজায় এটম বোমা মেরে গাজাবাসীকে হত্যার হুমকি দেয়ার সাথেসাথে চাকরি হারিয়েছেন। এ ভুল মন্তব্যের জন্যে তৎক্ষনাৎ শাস্তি পেতে হয়েছে। এরকম চিন্তাভাবনার উন্মুক্ত প্রকাশ আদৌ গ্রহণযোগ্য নয় সেখানকার সভ্য সমাজে। যেমন বলেছি, একটি দায়িত্বশীল সভ্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ইসরায়েল। সবরকম আন্তর্জাতিক আইনগত সনদে স্বাক্ষর করেছে।

লেখা অনেক বড়ো হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। আসলে সেভাবে কিছুই লিখিনি। আরও বহু লেখার ছিলো। বিভিন্ন বিষয় মাথায় ছন্নছাড়া দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সেগুলো আসা উচিত ছিলো। যা হোক উপসংহারে ইসরায়েল সম্পর্কে আরও কিছু বলে শেষ করবো। ১৯৪৮ সালে গঠিত হয় ইসরায়েল রাষ্ট্রটি। ইসরায়েলের মূল নাগরিক হলো ইউরোপীয়ান ইহুদিরা। আরও স্পেসিফিকভাবে বলতে গেলে বলতে হয়, সাদা চামরার ককেশীয় ইহুদিরা। তারাই আজকের আধুনিক গণতান্ত্রিক ইসরায়েল গড়ে তুলেছে। পরবর্তীতে বিশ্বের অন্যান্য জায়গা থেকে ইহুদিরা এসে বসবাস করতে থাকে। পৃথিবীর যেখানেই ইহুদিদের ধর্মের জন্য বসবাসের ক্ষেত্রে প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়, তারা ইসরায়েলে বসবাস করতে পারবে। এটারও দীর্ঘ প্রকৃয়া আছে। ঢালাওভাবে সব ইহুদিদের জন্য ইসরায়েলের দরজা খোলা নয়। তবে এখন সে সুযোগ একেবারেই কমে এসেছে। ইসরায়েলের নাগরিকত্ব পাওয়া আজ প্রায় অসম্ভব। কর্মক্ষেত্রে পরিবারের সঙ্গে বসবাসের অনুমতি পর্যন্ত নেই। নাগরিকত্বের তো প্রশ্নই আসে না। কাজ করে চুক্তি শেষে সবাইকে দেশে ফিরে যেতে হয়। ইসরায়েলে প্রায় বিশ শতাংশ মুসলিম বাস করে। সবাই আরব। ফিলিস্তিনিরা যেমন। সেখানে কোনও সমস্যা নেই মুসলমানদের। দিব্যি ইহুদিদের সাথে মিলেমিশে সুখেশান্তিতে বাস করছে। মুসলমানদের বিশেষ একটি জামাত ইসমাইলিয়া সম্প্রদায় ইসরায়েল ভিত্তিক। ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এদের বিরাট বিল্ডিং দেখেছি আমি। আচ্ছা, অনেক লেখা হলো। লেখাটা বড়ো ও এলোমেলো। আরও বহু কিছু আসতে পারতো। আসা উচিতও ছিলো। যা হোক এ পর্যন্ত যা লিখেছি, শতভাগ সঠিক তথ্য দিয়ে নিশ্চিত হয়েই লিখেছি। আমার নির্দিষ্ট কোনও সোর্স নেই লেখার। এগুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাধ্যমে পড়েছি, দেখেছি, জেনেছি। পরবর্তীতে নিরপেক্ষভাবে বিচার বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্তে এসেছি। আমি শতভাগ শিওর না হয়ে কিছু লিখি না। খুব পবিত্র বিশুদ্ধ মন নিয়ে লিখি। সবার জন্য শুভকামনা থাকলো। পৃথিবীর জন্য ভালো কিছু করতে না পারলেও পৃথিবীর কোনও ক্ষতির কারণ যেন না হই। ধন্যবাদ।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৮

আলাপচারী প্রহর বলেছেন: অভিনন্দন ! ব্যতিক্রমি লেখার জন্য।
মডারেটরকে গোড়া লেখা সেন্সর করতে বললেন, তার কি সে যোগ্যতা আছে ?
বলছি না, না বুঝে বিদেশী লেখা উগরাচ্ছেন। যে ফিলিস্তিনি শত শত বৎসর ধরে বাস করে আজ বাস্তচ্যূত হয়ে যাচ্ছেন তা ব্যাখ্যা করুন।

১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৯

অর্ক বলেছেন: লেখা পড়েন পড়েন পড়েন!

২| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

আমি নই বলেছেন: লেখাটা পড়লাম, ফাস্ট ইম্প্রেশন হলো আপনার লেখাটা যাষ্ট i24, স্কাই নিউজের মত সংবাদ মাধ্যম এবং বেন সেপ্রিয়, এ্যডামের মত প্রো-ইসরাইলি ইনফ্লুয়েন্সার যারা বরাবরই প্রপাগান্ডা ছরাতে পারদর্শি তাদের দারা শতভাগ প্রভাবিত। এটাকে নিরপেক্ষ পর্যালোচনা বললে নিরপেক্ষ শব্দটার অর্থ আগে পরিবর্তন করা উচিৎ। অনেকে সত্য-মিথ্যা মিলিয়ে কিছুটা বিশ্বাসযোগ্য করে কিন্তু আপনার লেখার অনেক অংশ নির্লজ্জ মিথ্যাচার ছারা কিছুই নয়।

আরো একটা মন্তব্য করব। বিস্তারিত লিখতে সময় লাগবে।

১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৯

অর্ক বলেছেন: আই২৪ এর সাথে আমি পরিচিত। লোনার সাক্ষাৎকার ওখানেই পড়েছি। বিভিন্ন প্রতিবেদন দেখি। লাইভ খবরটবর দেখি না। ব্রিটিশ মিডিয়া স্কাই নেটওয়ার্ক। না ভাই, একেবারেই দেখি না। বাকি দুটো দেখা তো দূর, জীবনে প্রথম নাম শুনলাম। আপনি আপনার অন্ধকার দুনিয়া থেকে বেরিয়ে আসুন। সব সত্য, প্রমাণিত, সঠিক।

ধন্যবাদ।

৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

বাউন্ডেলে বলেছেন: আমি চিন্তা করছি ,ইসরাইলের বিরুদ্ধে করা যুদ্ধাপরাধের মামলা কি ভাবে প্রমানিত করবে মানবাধিকার সংগঠনগুলা ? পৃথীবির ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম গন নারীশিশু হত্যা চালাচ্ছে ইসরাইল । ১১০০০ হাজারের মধ্যে ৬ হাজার শিশু, বাকি সব নিরস্ত্র সাধারন নারী-পুরুষ। তাদের কথিত হামাস বিরোধী অপারেশনে হামাস কই ? লেখক কি এদেরকেই হামাস বলছেন ?

৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

কামাল১৮ বলেছেন: ইয়াহুদী খৃস্টান ও মুসলমান এই তিন ধর্মের পুন্যভূমি এটা।সবাই কে মিলেমিসে থাকতে হবে।আপাতত দুই রাস্ট্র নীতি মেনে নিতেই হবে।এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলো কারো লাভ হবে না।ক্ষতির পরিমান বাড়বে।বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে আগ্রসর হতে হবে।

১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪১

অর্ক বলেছেন: ভালো বলেছেন।

৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

দি এমপেরর বলেছেন: আপনার বক্তব্য অনুযায়ী গাজা পরিস্থিতি নিয়ে ব্লগে যে লেখাগুলো লেখা হয়েছে, সবগুলো ভুল ধারণার ওপর লেখা। তাহলে আপনার লেখাটা যে সঠিক ধারণার ওপর, সেটা কীভাবে নিশ্চিত হলেন? আপনার লেখাটা সঠিক তার প্রমাণ কী? বাকি যারা লিখল, তারা সবাই বিশ্ব পরিস্থিতি সম্পর্কে ভুল ধারণা রাখে, আর আপনি সঠিক ধারণা রাখেন; ব্যাপারটা একটু হামবড়া ভাব দেখানো হয়ে গেল না?

১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৩

অর্ক বলেছেন: স্বাভাবিক। ভালো করে পড়েন। বলেছি, আমার পড়া যতো। এতো দীর্ঘ লেখা পড়ে, এ তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে বাচাল প্যাচাল ছাড়া কিছুই পেলেন না শেয়ার করার মতো! ধন্য মানব!

৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০০

বাউন্ডেলে বলেছেন: মোসাদের টাকা বলে কথা। মানুষ কত জঘন্য প্রানী হতে এই লেখা পড়ে বুঝলাম। এ ধরনের লোকরাই ইহুদিদের গ্যাস চেম্বারে মারার ঘটনা ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার পক্ষে। নাৎসী বাহিনী ইসরাইলীদের তুলনায় যথেষ্ট মানবিক ছিলো, কারন তারা নারী-শিশু হত্যা করেনি।

১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১০

অর্ক বলেছেন: আপনি কিছুই জানেন না। আপনি কিছু জানতেও চান না। আপনি শুধু চান গালাগালি করতে। সে সুযোগ তো আমি দিবো না। আপনার সঙ্গে গালিগালাজের প্রতিযোগিতায় যাবো না।

৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২২

আমি নই বলেছেন: একটু সময় নিয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করতে চেয়েছিলাম, তাই আগের পোষ্টটাও পড়লাম।

কিন্তু নিরপেক্ষভাবে মধ্যপ্রাচ্যের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করলে, এতে ইসরায়েলের চুল পরিমাণও দোষ পাওয়া যাবে না। তাদের জন্য আজ অস্তিত্বের সঙ্কট। এই লাইনটা পড়ার পর বুঝলাম আপনার নিরপেক্ষ শব্দটার অর্থই জানা নেই।

আপনি মনের মাধুরি মিশিয়ে নির্লজ্জভাবে শুধু মিথ্যাচার করেছেন, আপনার দাবীর পক্ষে কোনো প্রমান দেন নাই। অন্য ব্লগারদের ইহুদি বিদ্বেশী বলে লজ্জা পাওয়ার দাবী করলেও নিজে নির্লজ্জ ভাবে ফিলিস্তিনি+আরব বিদ্বেশী লেখা পোষ্ট করলেন।

আপনি ইসরাইল-ফিলিস্তিনি সংকট সম্পর্কে নুন্যতম ধারনাও রাখেন না। যেমন প্রতিবছর অবৈধ বসতি স্থাপন সম্পর্কেও ধারনা রাখেন না। সামান্য রুটি কিনতে একজন মাকে বা ৬-৭ বছরের একটা বাচ্চাকে স্কুলে যেতে হলে যে ১০-১৫ চেকপোষ্টে অবর্ণনীয় মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় আপনি জানেন না। সেটেলারদের হাতে মারনাস্ত্র তুলে দিয়ে স্থানীয়দের নির্যাতনের ব্যাপারে আপনি জানেন না, সারা বছর যত্ন নিয়ে জলপাই বাগানে ফল তোলার সময় সেটেলারদের হাতে হত্যার স্বীকার হওয়াদের নিউজ আপনি জানেন না। ইব্রাহিমি মসজিদে নামাজরত অবস্থায় ইহুদি জংগি কতৃক ২৯ জনকে হত্যার নিউজ আপনি জানেন না, চার্চে হামলা করে ফিলিস্তিনি খৃষ্টানদের আহত করার খবর আপনি জানেন না, এরকম হাজার হাজার বিষয়ে আপনার নুন্যতম ধারনাও নেই। আবার দাবী করেন আপনিই একমাত্র সংকট সম্পর্ক সঠিক ধারনা রাখেন, হাস্যকর।

বিস্তারিত লিখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু লিখে লাভ নেই। প্রমানহীন লেখা নিয়ে যেই আপনার অহংকার, তাতে আপনা জ্ঞান সম্পর্কে জানা হয়ে গেছে। ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ইউরোপীয়রাই ছিল নাৎসী, ৪৮ এর পর থেকে ইউরোপীয় জায়নিষ্টরাই নাৎসীদের চাইতে জঘন্য। বাইডেন বলেছিল জায়ানিষ্ট হতে নাকি ইহুদি হতে হয় না, আপনার লেখা পরে কথাটা বিশ্বাস করলাম।

অর্থডক্স ইহুদি রাবিরা বলে জুডাইজম আর জায়ানিজম এক নয়, যতদিন জায়ানিজম থাকবে ততদিন শান্তি আসবেনা। জায়ানিষ্টরা ধংশ হোক, এটা আমার কথা নয় ইহুদিদের কথা। সুত্র - Rabbi Yisroel Dovid Weiss

৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৪

অপু তানভীর বলেছেন: সত্যি বলতে শিরোনামের সাথে নিরপেক্ষ শব্দটা বাদ দিয়ে আপনার ''ব্যক্তিগত পর্যালোচনা'' লেখাই যুক্তিযুক্ত বেশি হবে!
আপনি ব্লগের যাদের কথা পোস্টে লিখেছেন, তাদের সাথে আপনার বোধকরি খুব একটা পার্থক্য নেই । মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ । আর কিছু নয়।

১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৪

অর্ক বলেছেন: ব্যক্তিগত পর্যালোচনাই তো। আরেকজনের পর্যালোচনা আমি কি করে করবো! নাকি কপিপেস্ট সন্দেহ করেছেন? খুব হাল্কা মন্তব্য করেছেন। কিছুই নাই।

৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:০২

শ্রাবণধারা বলেছেন: "ইসরাইল খুবই সভ্য দায়িত্বশীল আধুনিক একটি রাষ্ট্র"

আপনি কি মানুষ, নাকি অন্যকিছু? একেবারে বিক্বত মস্তিষ্কের রামছাগল না হলে ইসরাইল কে সভ্য এবং দায়িত্বশীল বলা সম্ভব হয়।

ইসরাইল একজন হামাস জংগি মারার জন্য রিফিউজি ক্যাম্পে বোমা মেরে শত শত নারী শিশুদের মেরে ফেলেছে - এটা সভ্য এবং দায়িত্বশীল????
view this link

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩১

অর্ক বলেছেন: পরবর্তীতে মন্তব্য করলে ভাষা ভালো করে মন্তব্য করবেন।

ইসরায়েল সভ্য দায়িত্বশীল বলেই জানতে পারছি, দেখছি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে জবাবদিহি করতে হচ্ছে। দুনিয়ার মিডিয়া নির্বিঘ্নে কাজ করছে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। হামাস কোনও পেশাদার সামরিক বাহিনী নয়, সন্ত্রাসী জঙ্গি সংগঠন। মানুষের মাঝে মিলেমিশে থাকে। এই যুদ্ধে সিভিলিয়ান হতাহত হবেই। মিস ক্যালকুলেশনেও টার্গেট এদিকওদিক হতে পারে। স্বাভাবিক। ঘোষিত যুদ্ধ। অনেককিছুই হতে পারে। এছাড়া হাসপাতালেও ক্যাম্প জঙ্গি হামাসের। পরিস্থিতি বুঝতে হবে। ওখানকার মানুষের সবচেয়ে ভুল হয়েছে হামাসকে নির্বাচিত করা। সবকিছু হামাসের নিয়ন্ত্রণে এসে গেছে। পশ্চিম তীরে অনেকদিন থেকে চেষ্টা করছে হামাস, সেখানে গাজার মতো শক্ত বেস তৈরি করতে পারেনি। সাধারণ ফিলিস্তিনিরাই সেখানে অনেকক্ষেত্রে তাদের প্রতিহত করেছে। তাই সেখানে সমস্যা সামান্য। ইসরায়েলের পয়েন্ট অভ ভিউ থেকে একটু ভেবে দেখেন। গাজার বিদ্যুৎ পানি নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করে ইসরায়েলিরা। তাদের রিসোর্স ব্যবহার করে উল্টো তাদেরকেই মারে ফিলিস্তিনিরা। হামাসকে সমর্থন দিয়ে ফিলিস্তিনির সাধারণ জনগণকে তাদের ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে। আশা করি কখনও নিজেই সব বুঝতে পারবেন।

ধন্যবাদ।

১০| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৯

শার্দূল ২২ বলেছেন: চমৎকার কবি।

আমি সব সময় কবি কবিতা এড়িয়ে চলি, আমার কেবলি মনে হয় এরা জাতির বোঝা দেশের বোঝা। কবির সাথে বাস্তবতার কোন সম্পর্ক নেই। কি সব লতাপাতা টেনে এনে গলায় পাশ লাগিয়ে ঘরে বসে হুক্কা টানে তাই এদের সহ্য হয়না আমার। কিন্তু আমাদের অর্ক কবি যে ভিতরে ভিতরে এত খবর রাখে জানা ছিলোনা।

হামাস আক্রমণের পর থেকেই আমি এই নিয়ে অনেকের প্রশ্নের মুখো মুখি হই, বিশেষ করে আমার অনেক আমেরিকান ফ্রেন্ড আমাকে প্রায় খোঁচাতো।শুধু একটা কথাই বলতাম,- হামাস আর ইসরায়েলের তাড়া খেয়ে পা মচকে যাওয়া শিশুটির দিকে এগিয়ে আসতে যারা দেশ জাত ধর্মের অজুহাত দেয় তারা অমানুষ। কেন আমি এক কথায় হামাসের পক্ষে যেতে পারিনি সেটার একটা কারণ হলো একদম প্রথম দিকে হামাস দুটো ভিডিও আমার খুব খারাপ লেগেছিলো । একটা ছিলো হামাসের গাড়িতে এক ইসরায়েলের নারী সৈনিকের নগ্ন শরীর আরেকটা হলো এক নারী সৈনিকের পশ্চাতে রক্ত ক্ষরণ এবং তাকে নির্মমভাবে গাড়িতে তোলা সাথে আল্লাহু আকবার ধ্বনী। এরপর থেকেই আমি চুপ।

যেই জাতি টুপির রং এর উপর ভিত্তি করে আলাদা হয় মসজিদ আলাদা বানায়,মাজাহাব তো আরো কঠিন বিষয়। যেই জাতি হাত নাভির উপর রাখবে নাকি কারো কাধেঁ এই নিয়ে মসজিদের মারা মারি করে সেই জাতি দেশ দুনিয়ার কি বুঝে তা বুঝতে আমাদের পিএইচডি করতে হবেনা।

আমাদের নবীজি চলে যাওয়ার পর থেকে মুসলিমদের যত রকম যুদ্ধ বা অধপতন হয়েছে তার সবটাই ছিলো নিজেরা নিজেরা। যেখানে অমুসলিমদের হাত ছিলোনা বললেই চলে। সেই আলি এবং আয়েশা রাঃ উট যুদ্ধ থেকে শুরু করে মোয়াবিয়া ইয়াজিদ শ সব সকল যুদ্ধ ছিলো ইসলাম বহির্ভুত। এত দুরে না গেলাম। পাক ভারতের কথাই বলি। সুলতান ইব্রাহীম লোদি কে মেরে ক্ষমতা নিলো সম্রাট বাবর। ইব্রাহীমের ছেলে মারলো সম্রাট বাবরকে। কোরানে হাফেজ আওরঙ্গজেব দুই ভাইকে মেরে নিজের বাবাকে করলো বন্ধি শেষে গেলো বেচারা মরে।
মুসলিম নেতারাই করলো বাংলাকে ভাগ ধর্মের নামে। পাক মুসলিমরাই মারলো বাংলার মানুষকে, রেপ করলো নারীদের। জামাত বলে খেলাফত আন্দলনের নেতারা কাফের তারা বলে জামাত কাফের। সবাই মিলে বলে আবার শেখ হাসিনা কাফের।

আল্লাহ কোরানে বললো মসজিদুল আকসা থেকে মুখ ফিরে তোমরা কাবার দিকে মুখ করে হলে উত্তম সেরা জাতি। সেই আমরা মসজিদের জন্য কেচাল লাগানো শুরু করলাম ইসরায়েলে। ইসরায়েল কে এই কানান সিটিতে নিয়ে আসছে মুসা নবি। ইতিহাস পাতিহাস আমরা সব ভুলে গেলাম। রাত বাজে আমার ১২ টা। কথা আর আগানো যাবেনা আবার আসবো কাল।

শুভ কামনা কবি

১১| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০৪

দি এমপেরর বলেছেন: লেখক বলেছেন: স্বাভাবিক। ভালো করে পড়েন। বলেছি, আমার পড়া যতো। এতো দীর্ঘ লেখা পড়ে, এ তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে বাচাল প্যাচাল ছাড়া কিছুই পেলেন না শেয়ার করার মতো! ধন্য মানব!


বুঝতে পারলাম আপনার দৌড় কতটুকু। কবিতায় ফিরে যান, দৈন্যতা প্রকাশ পাবে না।

১২| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৪

ক্লোন রাফা বলেছেন: নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষনের অর্থ এটা নয় কিছু ফিলিস্তিনের পক্ষে আর কিছু ইজরাইলের পক্ষে লিখলাম। আপনার ফিলিস্তিন ইজরায়েল নিয়ে লেখা কয়েকটা পড়েছি। আপনি আমেরিকা আর পশ্চিমা মিডিয়ার প্রচারের দ্বারা প্রভাবিত। প্রকৃত সত্যের অনেক দুরে আপনার অবস্থান । যদি সত্য জানতে চান তাহলে ফিলিস্তিন আর ইজরাইলের নাগরিকদের ছোট ছোট ক্লিপগুলো দেখুন। এমন বিশ্লেষন দেখুন যেখানে টাকা পয়সার লেনদেন নেই। বিজ্ঞাপন নেই।
ইজরাইলি লবিস্টরা এমন কোন যায়গা নেই যেখানে পয়সা খরচ করে নাই তাদের পক্ষে বলার জন্য। প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থি থেকে শুরু পিএইচডির শিক্ষার্থিরাও আছে এর মধ্যে।
সেলিব্রেটি কিংবা বিখ্যাত খেলোওয়ার । মিডিয়া মোগল থেকে অতি ক্ষুদ্র ইউটিউব চ্যানেলের ক্ষুদ্র কন্টেন নির্মাতা কিংবা যে কোন সোস্যাল মিডিয়ার ইনফ্লুয়েন্সার এমন কোন কিছু নেই যা বাদ রেখেছে । খুবই কঠিন করে দিয়েছে সত্যের কাছে পৌঁছানোর রাস্তাটা। সত্য সংবাদকে বিতর্কিত করার মিশনে তারা নাম্বার ওয়ান।পৈশাচিকতা আয়ত্ব করেছে তাদের প্রতি করা হলোকাষ্ট থেকে। তারা এখন সেই হলকাষ্টকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার মিশনে নেমেছে।!
আপনার পোষ্ট না পড়েই মন্তব্য লিখলাম।
আশা করি বুঝতে পারবেন কেনো পড়ার প্রয়োজনিয়তা অনুভব করিনি । কারন প্রতিদিনই প্রত্যক্ষ করছি কি ঘটছে আর কিভাবে সেটা প্রচার করছে।
ধন্যবাদ, অর্ক।

১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৫

অর্ক বলেছেন: কিছুই নেই আপনার মন্তব্যে। আসলে আপনি কিছুই জানেন না। টং আড্ডার ফালতু একটা মন্তব্য করে গেলেন। এসব মন্তব্য পড়ে শান্তি নষ্ট হয়। টু দ্যা পয়েন্ট কিছু বলার থাকলে বলেন। এসব হাল্কা মন্তব্য করে নিজেকে নিজে ছোটো করছেন।

ধন্যবাদ।

১৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১০

আমি নই বলেছেন: আবার আসতে হল, আপনি বলেছেন আপনি আপনার অন্ধকার দুনিয়া থেকে বেরিয়ে আসুন। সব সত্য, প্রমাণিত, সঠিক। এই লাইনটা আসতে বাধ্য করল। নিজের কল্পনা প্রসুত তথ্য দিয়ে পোষ্ট করলে সেটা সব সত্য, প্রমাণিত, সঠিক হয় কেমনে সেটা জানার খুব ইচ্ছে। নাকি আপনি যা বলবেন সেটাই দৈববানী হিসেবে মেনে নিতে হবে?

আপনার কল্পনা আপনার কাছেই রাখেন। কোনো রকম বিশ্বাসযোগ্য সোর্স এবং প্রমান ছারা এই পোষ্টে দাবী করা প্রতিটা বিষয় অপবিত্র মনের অসৎ উদ্দেশ্যে লেখা কাল্পনিক গল্পগাথা, যা পৃথিবীর ক্ষতির কারন ছারা কোনো উপকার বয়ে আনবেনা।

Deir Yassin massacre এর কথা জীবনে শুনেছিলেন? ১৯৪৮ সালের ৯ এপ্রিল জায়ানিস্ট সন্ত্রাসীরা শিশু-মহিলা সহ কমপক্ষে ১০৭ জন গ্রামবাসীকে হত্যা করেছিল, তখন জংগি হামাস ছিল? হত্যাকান্ড চলছে ৭৫ বছর থেকে আর আপনি আসছেন ইসরাইলকে মহান বানাতে? আপনি একজন নিকৃষ্ট মানের জ্ঞানপাপী হওয়ারো যোগ্য না। বেন সেপ্রীয়, এডাম, গ্যাল গ্যালোট এরাও আপনার চাইতে বেটার, ওরা ৯০% মিথ্যার সাথে অন্তত ১০% হলেও সত্য মিশিয়ে বলে। আর আপনিতো নিজের কল্পনার জগতে নিজেকেই বিশেষজ্ঞ বানিয়ে বসে আছেন।

সুত্র: Click This Link

জুডাইজম আর জায়ানিজম এক নয়। -- Rabbi Yisroel Dovid Weiss

২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৪

অর্ক বলেছেন: ওকে ভাই। মন্তব্য ফিরিয়ে আনলাম। যদিও এই মন্তব্যে হঠাৎ আপনার এরকম উগ্র আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠা কোনওমতেই সমর্থনযোগ্য নয়। নম্রতা সহকারেও কথাগুলো বলা যেতো। যা হোক, আপনি আসলে ঠিক কিসের প্রমাণ চাচ্ছেন আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না! কোনটা প্রমাণ করবো? কি প্রমাণ চান সেটাও বলেননি। ইসরায়েল সম্পর্কে খুবই সাধারণ কিছু তথ্য, ফ্যাক্ট তুলে ধরা হয়েছে লেখায়। আপনি ঠিক কোনটার প্রমাণ চান জানালে অবশ্যই প্রমাণ দেয়া যেতে পারে। এর ওপর আমার আরেকটা লেখা প্রকাশের ইচ্ছে আছে।

পৃথিবীতে ধর্মযুদ্ধ বর্ণযুদ্ধ হয়েছে, দাস ব্যবসা ছিলো, নারীদের বেচাকেনা হতো, নানারকম সংঘাত সহিংসতা, অনিয়ম অনাচার তো ছিলোই। জানা কথা। আর সেসব উন্মুক্তই ছিলো। মানুষের মাঝে দ্বিধা বা লজ্জাবোধ ছিলো না। ক্রমান্বয়ে মানবসভ্যতা সংস্কৃতির উন্নতি হয়েছে। মানুষের চিন্তাচেতনা বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটেছে। এখনও চলমান এ প্রকৃয়া। আমরা সবাই আসলে এর মাঝেই অবস্থান করছি। এ ব্লগেই দেখেন, কতো রকমের দুনম্বরি অসাধুতা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত অনেকে।

উগ্রবাদী কট্টর ইহুদিরা এরকম ঘটনা ঘটাতেই পারে। এই হিংস্র সহিংসতায় বিশ্বাসী মনোভাবের ইহুদি অবশ্যই আছে। একইভাবে অন্যান্য ধর্মেও আছে। ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়াও হয়। কিন্তু দিন শেষে তাদের এসব জঘন্য অপরাধের প্রতি স্বধর্মীদেরও কোনওপ্রকারের কোনও সমর্থন থাকে না। তারাও একবাক্যে এসবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। আমাদের দেশে হিন্দুদের ওপর সাম্প্রদায়িক আক্রমণ, অত্যাচার নির্যাতন কি হয়নি? ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর বর্বরোচিত হামলা আক্রমণের ঘটনাগুলো মনে পড়ছে। সে সময় বহু হিন্দু দেশ ছেড়েছিলো। এসব নিয়ে প্রচুর লেখালিখি আছে। কবিতা আছে।

ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৫

শার্দূল ২২ বলেছেন: যাইহোক ঢালাও ভাবে কবি কবিতার সমালোচনা করছি বলে মন খারাপ করবেননা। এই বিষয় নিয়ে আমার একটু তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে তাই এই জাত বা জাতীয় বিষয়ে আমি আপোষ করতে পারিনা। তবে কবিতায় চাইলে কবি ওডিয়েন্সের জন্য ভালো ভালো ম্যাসেজ দিতে পারে। যেমন আমাদের নজরুল। তার কবিতায় সমাজ কে অনেক কিছু দিয়েছে। যারা অযথাই লুতুপুতু করে আর কি সব শব্দ দিয়ে জড়িয়ে ধরে পড়তে গেলে মনে হয় আমার গলায় ফাঁশ লেগে যাচ্ছে এলোমেলো শব্দে।যাইহোক এসব এই পোষ্টের টপিক না।

গাজা আসলে একটা উম্মক্ত কারাগার। এই সীমাব্ধতায় এরা থাকতে থাকতে মানসিক ভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে।মানুষ যখন চিৎকার করে বাঁচার জন্য সাহায্য পায়না, মানুষ এবং পৃথিবী এগিয়ে আসেনা তখন আত্মহত্যা করে জানান দেয় তারাও মানুষ ছিলো। হামাসের ঐ দিনের আক্রমণ ছিলো এক রকম আত্মহত্যা। হামাস ইসরায়েলের যুদ্ধ আমাদের আরেক বাস্তবতায় নিয়ে গেছে যে পৃথিবীর মানুষ আসলে রোবট হয়ে গেছে। পৃথিবীর কোন সমস্যায় যে আসলেই কারো কিছু যায় আসেনা তা আরেকবার প্রমানিত। সবাই সবার জায়গা থেকে এই অবস্থা কে ব্যবহার করে ব্যবসা করে যাচ্ছে, যারা অস্ত্র বিক্রেতা তারা অস্ত্র বিক্রি করছে, যারা মিডিয়া ব্যবসায়ী তারা টিআরবি উঠাচ্ছে। মুসলিম দেশের খবরের শিরোনাম হলো হামাস ইসারেয়েল কে মেরে ভূত বানিয়ে ফেলছে, ইহুদিদের টিভি বলছে হামাস মাটির নিচে যেতে যেতে দোযখের সন্ধান পেয়ে গেছে। আরবরা বৈঠকে করে বিরিয়ানি খাচ্ছে। একে অন্যকে হুমকি ধমকি দিয়ে নিজেদের সাহসে বুক কাঁপা দেখাচ্ছে। এই সব ছাড়া আর কিছুইনা।

তবে হাদিসের ভবিষ্যত বানীর দিকে নজর দিলে দেখা যায় এসবি হবার কথা, ইশা নবি ইমাম মেহেদি এসেতো মুসলিমদের টেনে তুলবেন, তাই মুসলিম তলাবে তবলার তালে তালে এমনি হবে আর আমরা আমাদের নিত্যদিনের মত চিত্তানন্দে বিন্দাস থাকবো,

শুভ কামনা

১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৭

অর্ক বলেছেন: সুন্দর দুটো মন্তব্য করেছেন। অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা থাকলো।

১৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:১৬

বাউন্ডেলে বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি কিছুই জানেন না। আপনি কিছু জানতেও চান না। আপনি শুধু চান গালাগালি করতে। সে সুযোগ তো আমি দিবো না। আপনার সঙ্গে গালিগালাজের প্রতিযোগিতায় যাবো না।
পশ্চিমা যুদ্ধাপরাধীদের সস্তা প্রচার কৌশলে বিভ্রান্ত হে লেখক- তোমার জন্য করুনা ছাড়া আর কিছুই বলার নেই।

১৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:২৬

আমি নই বলেছেন: প্রথমত আমি আপনার কাছে কোনো প্রমান চাই নাই। আপনিই বলেছেন সব সত্য, প্রমাণিত, সঠিক অথচ আপনার পোষ্টে যা দাবী করেছেন তা মিথ্যা। মিথ্যা দাবী করবেন, তার প্রতিবাদ করলে কোনো সোর্স না দিয়ে সেটাকেই আবারো সত্য, প্রমাণিত বললেতো একটু রাগ উঠতেই পারে, তাই না?

যেমন, আপনি দাবী করেছেন ঢালাওভাবে সব ইহুদিদের জন্য ইসরায়েলের দরজা খোলা নয়। তবে এখন সে সুযোগ একেবারেই কমে এসেছে। অথচ টাইমস অফ ইসরাইলের ৮ আগষ্ট 2023 sets record for settlement construction and outpost legalization – watchdog শিরোনামে সংবাদ হল এই বছরই রেকর্ড পরিমানের (১২৮৫৫) সেটেলার হাউজিং করা হয়েছে এবং ২২ টি অবৈধ সেটেলমেন্ট বৈধ করা হয়েছে। সেটেলাররা নিজ উদ্যেগে ফিলিস্তিনিদের যে জমি, বাড়ী দখল করে সেগুলোকে আউটপোষ্ট বা অবৈধ সেটেলমেন্ট বলা হয় যা এখন বৈধ করা হয়েছে। আপনার দাবী সত্য হলে এই ১২৮৫৫ বাড়ীতে + ২২ টা সেটেলমেন্টে কারা থাকছে?

সোর্স Click This Link

তবে আপনি যদি ইসরাইলিদের চাইতেও বেশী জানার দাবী করেন তাইলে আমার বলার কিছু নাই।

ইসরাইলের ভিতরের মুসলিমরা, শুধু মুসলিম বলব কেন খৃষ্টান, হাসিদিক ইহুদি, অর্থডক্স ইহুদিরা পর্যন্ত কত সুখে আছে এর অনেক ভিডিও ইউটিউবে পাবেন। খৃষ্টানদের দেখলে ঘৃনায় থুতু ফেলানোতো জায়ানিস্ট নাৎসিদের ঐতিহ্যে পরিনিত হয়েছে। যারা অন্য মানুষকে পশু/অপবিত্র মনে করে তারা আপনার কাছে মহান!!!

আপনি এক লোনা সালপেটারের সাক্ষাতকার পরে অভিভূত হয়ে গেছেন? সে একজন পদক জেতা এ্যাথলেট, নিজ দেশ ছেরে ইসরাইলের হয়ে পদক জিতেছেন, তাকে একটু এক্সট্রা সম্মান দিতেই পারে। আসল অবস্থাতো জানা যাবে সাধারনের কাছ থেকে। ইথিউপিয়া বা অন্য গরিব রাষ্ট্র থেকে যাওয়া ইহুদিদের সাথে জায়ানিষ্ট নাৎসিরা কেমন ব্যাবহার করে তা খোজ নিয়ে দেখতে পারেন।

ইসরাইলের মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছরানোর ইতিহাস বহু পুরোনো। এই লাস্ট কয়েকদিনেই আইডিএফ আল শিফায় টানেল পাওয়া, বাংকার পাওয়া, অস্ত্র পাওয়া, রানিতিশ হাসপাতালে হাতে লেখা ক্যালেন্ডারকে হামাসের লিস্ট দাবী করা সহ নিহতদের সংখা নিয়ে পর্যন্ত মিথ্যা বলেছে এবং বলতেই আছে। আর আপনি আরব প্রপাগান্ডার দাবি করেছেন। দুই চারটা আরব প্রপাগান্ডার লিস্ট দেন আমরাও দেখি।

মিথ্যা দাবী করে করে হাসপাতাল, স্কুল, শরনার্থী শিবির, খোলা রাস্তায় নির্বিচারে বোমা মেরে হাজার হাজার মানুষকে হত্যাকারি রাস্ট্র কেমনে সভ্য হয় একটু বলবেন?

আপনি কি জানেন ৭ অক্টোবরে নোভা মিউজিক ফেস্টিভালে হামাস আক্রমনের পর ইসরাইলি এ্যপাচি হেলিকপ্টার থেকে হেলফায়ার করা হয়েছিল এবং অনেক ইসরাইলির মৃত্যু হেলিকপ্টার এ্যাটাক থেকেই হয়েছিল? জী এটাই আপনার মহান ইসরাইল।

প্রতিটা ধর্মেই উগ্রবাদী আছে যারা অনেক অঘটন ঘটায়। কিন্তু রাস্ট্র হিসেবেই উগ্রবাদী যারা নির্বিচারে হত্যা, জবর দখল, কিডন্যাপ, লাখ লাখ মানুষকে অন্যায় ভাবে বন্দি করে অত্যাচার করা রাস্ট্র দুনিয়ায় একটাই আছে, সেটা হল আধুনিক নাৎসি শাসিত ইসরাইল, যারা আবারো হলোকাস্টের দিন ফিরিয়ে এনেছে।

আপনি আরো একটা কেন একশত পোষ্ট দিতে পারেন তবে তথ্যগুলো অবস্যই বস্তুনিষ্ট এবং সর্বস্বীকৃত হতে হবে, কারন এই নব্য নাৎসি বাহিনির সাথে ফিলিস্তিনের সমস্যা শুরু ৭অক্টোবরে নয় ৭৫ বছর আগে শুরু হয়েছে। আপনি কি মনে করলেন তাতে ইতিহাস বদলাবে না।

আমার দেয়া যেকোনো তথ্যর প্রমান চাইলে অথেন্টিক প্রমান দিতে পারব। কোনোটাই আমার মনগরা কথা নয়।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬

অর্ক বলেছেন: (যেমন, আপনি দাবী করেছেন ঢালাওভাবে সব ইহুদিদের জন্য ইসরায়েলের দরজা খোলা নয়। তবে এখন সে সুযোগ একেবারেই কমে এসেছে। অথচ টাইমস অফ ইসরাইলের ৮ আগষ্ট 2023 sets record for settlement construction and outpost legalization – watchdog শিরোনামে সংবাদ হল এই বছরই রেকর্ড পরিমানের (১২৮৫৫) সেটেলার হাউজিং করা হয়েছে এবং ২২ টি অবৈধ সেটেলমেন্ট বৈধ করা হয়েছে। সেটেলাররা নিজ উদ্যেগে ফিলিস্তিনিদের যে জমি, বাড়ী দখল করে সেগুলোকে আউটপোষ্ট বা অবৈধ সেটেলমেন্ট বলা হয় যা এখন বৈধ করা হয়েছে। আপনার দাবী সত্য হলে এই ১২৮৫৫ বাড়ীতে + ২২ টা সেটেলমেন্টে কারা থাকছে?
তবে আপনি যদি ইসরাইলিদের চাইতেও বেশী জানার দাবী করেন তাইলে আমার বলার কিছু নাই।
ইসরাইলের ভিতরের মুসলিমরা, শুধু মুসলিম বলব কেন খৃষ্টান, হাসিদিক ইহুদি, অর্থডক্স ইহুদিরা পর্যন্ত কত সুখে আছে এর অনেক ভিডিও ইউটিউবে পাবেন। খৃষ্টানদের দেখলে ঘৃনায় থুতু ফেলানোতো জায়ানিস্ট নাৎসিদের ঐতিহ্যে পরিনিত হয়েছে। যারা অন্য মানুষকে পশু/অপবিত্র মনে করে তারা আপনার কাছে মহান!!!)

আপনি কি মাদকাসক্ত নাকি ভাই? এগুলো কি আবোলতাবোল বলছেন! এই থুথু ফেলা হেনতেন! এসব শুনতেও খারাপ লাগছে। ধুর! এইসব অকাজের দীর্ঘ বাজে বকে আপনি নিজে নিজেকে শুধু সেই পুরনো দিনের কাগজের পত্রিকার সর্পরাজ ওঝা মৌলবি বানাচ্ছেন আর কিছু না। আপনি আসলে কিছুই জানেন না। আগের যুদ্ধগুলো থেকে ওখানকার বিরাট এলাকা বদ্ধ পরিত্যক্ত হয়ে পড়। ফিলিস্তিনিদের বাস নির্দিষ্ট জায়গার মধ্যে সীমাবদ্ধ। আপনার তথাকথিত সেটেলমেন্টের জন্য বাইরে থেকে ইহুদি আনার দরকার নেই আদৌ। এক লোকের একাধিক প্রপার্টি থাকতে পারে না! ওরকম ব্যাপার। ভুল কি বললাম আমি? বলেছি, বাইরে থেকে ইহুদিদের আনা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে এখন। আমার কথা আপনি বোঝেননি সম্ভবত।

(আপনি এক লোনা সালপেটারের সাক্ষাতকার পরে অভিভূত হয়ে গেছেন? সে একজন পদক জেতা এ্যাথলেট, নিজ দেশ ছেরে ইসরাইলের হয়ে পদক জিতেছেন, তাকে একটু এক্সট্রা সম্মান দিতেই পারে। আসল অবস্থাতো জানা যাবে সাধারনের কাছ থেকে। ইথিউপিয়া বা অন্য গরিব রাষ্ট্র থেকে যাওয়া ইহুদিদের সাথে জায়ানিষ্ট নাৎসিরা কেমন ব্যাবহার করে তা খোজ নিয়ে দেখতে পারেন।)

সবাই ভালো আছে। সব খোঁজখবর নিয়ে দেখেছি। বিস্তারিত জেনেই শিওর হয়ে বলছি যে, আপনার মোটা বুদ্ধিতে এসব ঢোকানো একেবারেই অসম্ভব। আপনার ব্রেন ওয়াশ্ড। উগ্র বায়াস আপনার ভিতরে। তাই আপনাকে বুঝিয়ে কোনও লাভ নেই। নিজস্ব ইকো সিস্টেমের বাইরে যাবার ক্ষমতা আর অবশিষ্ট নেই আপনার মাঝে। আফ্রিকা থেকে যাওয়া ইহুদিদের অনেকের মাঝে সমস্যা আছে। ওদের অপরাধ প্রবণতা বেশি। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে অসচেতন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারেও অনেকক্ষেত্রে ভীষণ উদাসীন। এরকম আফ্রিকানদের সমস্যা হবে স্বাভাবিক। কারণ ওটা আফ্রিকা নয়। ছোট্ট দেশ। ল্যান্ড এরিয়া সামান্য। ব্যবসা বাণিজ্য, উচ্চপর্যায়ে চাকুরীবাকরি করা সফল আফ্রিকানরা দেখার চোখ নেই আপনার? বেশিরভাগই ভালো আছে। মন্ত্রী থেকে শুরু করে সবখানে আফ্রিকান ইহুদিদের পদচারণা ইসরায়েলে। অসভ্য আফ্রিকানদের প্রতি সফল শিক্ষিত আফ্রিকানরা পর্যন্ত বিরক্ত। ছোট্ট বুটিক দেশ ইসরায়েল। আসলে ব্যাপারগুলো নিশ্চিতরূপেই আপনার মোটা মগজে ঢুকবে না। অসম্ভব। সব খোঁজখবর করে শিওর হয়েই বলছি, আপনি এসব বিষয়ে একেবারে দুধের শিশু।

(ইসরাইলের মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছরানোর ইতিহাস বহু পুরোনো। এই লাস্ট কয়েকদিনেই আইডিএফ আল শিফায় টানেল পাওয়া, বাংকার পাওয়া, অস্ত্র পাওয়া, রানিতিশ হাসপাতালে হাতে লেখা ক্যালেন্ডারকে হামাসের লিস্ট দাবী করা সহ নিহতদের সংখা নিয়ে পর্যন্ত মিথ্যা বলেছে এবং বলতেই আছে। আর আপনি আরব প্রপাগান্ডার দাবি করেছেন। দুই চারটা আরব প্রপাগান্ডার লিস্ট দেন আমরাও দেখি।)

আরব প্রোপাগাণ্ডার সবচেয়ে ভালো উদাহরণ আপনার এই তথ্যহীন বিরাট ফালতু মন্তব্যটি। সত্য তথ্যর লেশমাত্র নেই এখানে। আছে শুধু অন্ধ ইহুদি বিদ্বেষ, ইসরায়েল বিদ্বেষ। অস্ত্র গোলাবারুদসহ হামাসের নিজেদের ভিডিও আছে, সে সব টানেলে আজ পৌছেছে ইসরায়েলের সেনারা। সত্যি, এতো মস্তিষ্কহীন হবেন না! হামাসের নিজেদের এলাকা। সব ওদের নখদর্পনে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের প্রস্তুতি ছিলো। তারা পালিয়েছে। ওরা জঙ্গি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, পেশাদার সামরিক বাহিনী নয়। দিবালোকের মতো পরিষ্কার। আপনি নির্বোধ হয়ে থাকেন।

(মিথ্যা দাবী করে করে হাসপাতাল, স্কুল, শরনার্থী শিবির, খোলা রাস্তায় নির্বিচারে বোমা মেরে হাজার হাজার মানুষকে হত্যাকারি রাস্ট্র কেমনে সভ্য হয় একটু বলবেন?)

এতোটাও মগজহীন হবেন না! ফিলিস্তিনিরা জঙ্গিবাদ উগ্রবাদ করবে। ওদের দেশে ঢুকে ওদেরকে আক্রমণ করবে। নারী শিশুদের নির্যাতন করবে। রসিয়ে রসিয়ে সে সবের ভিডিও করে আবার সেগুলো ইন্টারনেটে ছেড়ে পাশবিক উল্লাস করবে, আর ইসরায়েলিরা চুপচাপ হাত গুটিয়ে বসে থাকবে! অবশ্যই সভ্য উন্নত রাষ্ট্র ইসরায়েল। আগের যুদ্ধে এইসব ফিলিস্তিনিদের গণহত্যা করে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারতো তারা। যুদ্ধে মারা গেছে দাবি করতে পারতো। কিন্তু করেনি। কারণ তারা বর্বর কুটিল নিকৃষ্ট অমানুষ নয়। নিজেরাই এ ধরনের নির্যাতনের শিকার। ফিলিস্তিনের কসাই বলা হয় কাকে জানেন? পাকিস্তানের সাবেক সেনা শাসক জিয়াউল হককে। জর্দানের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের পাঠিয়েছিলো ফিলিস্তিনিদের জর্দান থেকে উচ্ছেদ করতে। বর্বর পাকিস্তানি সেনারা মেরেকেটে জর্দান থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলো। এগুলো আসলে কিছুই জানা নেই আপনার! ইসরায়েলিরা অন্যায় কিছু করেনি। ফিলিস্তিনিদের আজ তাদের জঙ্গিবাদ উগ্রবাদের পরিণাম ভোগ করতে হচ্ছে। এটা একটা ঘোষিত যুদ্ধ। এসব হবেই। মিত্র শক্তির আক্রমণে জাপান জার্মানিতে হয়নি? ফিলিস্তিনে যেয়ে উল্টো ভালো কাজ করছে ইসরায়েলিরা। আইডিএফ’র চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীরা হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে সাধারণ অসুস্থ ফিলিস্তিনিদের। আগের লেখায় বলেছি, পৃথিবীর অন্যতম সেরা চিকিৎসা ব্যবস্থা ইসরায়েলের। সবরকম নিয়মকানুন মেনে যুদ্ধ করছে ইসরায়েল। যুদ্ধের আগে আকাশ যোগে কোটি কোটি লিফলেট ছড়িয়েছে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের গাজা ছাড়ার। বোমা নিক্ষেপের আগে তারা সাইরেন বাজায়, ডেমো রাবার বোম ফেলে, যাতে সাধারণ ফিলিস্তিনিরা সেখান থেকে চলে যায়। স্বাভাবিকভাবেই এসব বোঝার ক্ষমতা নেই আপনার।

(আপনি কি জানেন ৭ অক্টোবরে নোভা মিউজিক ফেস্টিভালে হামাস আক্রমনের পর ইসরাইলি এ্যপাচি হেলিকপ্টার থেকে হেলফায়ার করা হয়েছিল এবং অনেক ইসরাইলির মৃত্যু হেলিকপ্টার এ্যাটাক থেকেই হয়েছিল? জী এটাই আপনার মহান ইসরাইল।)

এ মন্তব্যের পর আপনার সাথে আর কথা বলার কোনও সুযোগ কি থাকলো! চিড়িয়াখানার কলা খাওয়া বাঁদরের লেভেলের বুদ্ধি আসলে আপনার মাথায়। আপনার কথায় তাহলে তো সব দোষ ইসরায়েলেরই দাঁড়াচ্ছে। ওরাই সেখানে খুশি খুশি তাদের নিজেদের নাগরিকদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছে! সবচেয়ে ভালো হয়, আপনি আপনার মতো অপরিণত বুদ্ধির কারও সাথে এসব নিয়ে আলোচনা করেন। এখানে অনেক আছে। আমি কি আলোচনা করবো বুঝতে পারছি না! আপনি একেবারেই নাদান শিশু। আমি যদি দাবি করি, গাঁজার এ সামরিক অভিযান হামাস করে ইসরায়েলের নাম দিচ্ছে সেটা বিশ্বাস করবেন? প্রমাণিত বিষয়েই শুধু কথা হতে পারে।

(প্রতিটা ধর্মেই উগ্রবাদী আছে যারা অনেক অঘটন ঘটায়। কিন্তু রাস্ট্র হিসেবেই উগ্রবাদী যারা নির্বিচারে হত্যা, জবর দখল, কিডন্যাপ, লাখ লাখ মানুষকে অন্যায় ভাবে বন্দি করে অত্যাচার করা রাস্ট্র দুনিয়ায় একটাই আছে, সেটা হল আধুনিক নাৎসি শাসিত ইসরাইল, যারা আবারো হলোকাস্টের দিন ফিরিয়ে এনেছে।)

এটা একটা ডাহা মিথ্যা ফালতু গাঁজাখোরি কথা। ইসরায়েলিরা চাইলে গত যুদ্ধগুলোতেই ওদের নির্বিচারে হত্যা করতে পারতো। বিজয়ী দেশ। কিন্তু করেনি। যেমন বলেছি, খুবই সভ্য মানবিক উন্নত চিন্তাভাবনার আধুনিক মানুষ ইসরায়েলিরা। সমস্যা ফিলিস্তিনিদের মাঝে। তাদের জন্যই সেখানে অশান্তি। তোমরা উগ্রবাদ জঙ্গিবাদ করলে তোমাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই একশান নিবে যে কোনও দেশই। এটাকে আপনারা অত্যাচার নির্যাতন বানালে তা আপনাদের মোটা মাথার সমস্যা। ফিলিস্তিনিদের বিদ্যুৎ পানিসহ অন্যান্য বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা কারা দেয়? শেখ হাসিনা? বাংলাদেশ? মিশর? জর্দান? সৌদি? ইরান? ওআইসি? মুসলিম উম্মাহ? ওই ইসরায়েলিরাই দেয়। উন্নত দেশ। তাদের প্রচুর আছে। এগুলো বোঝার চুল পরিমাণ বুদ্ধি নেই আপনার মাথায়। আসলে বুঝতে চানও না।

(আপনি আরো একটা কেন একশত পোষ্ট দিতে পারেন তবে তথ্যগুলো অবস্যই বস্তুনিষ্ট এবং সর্বস্বীকৃত হতে হবে, কারন এই নব্য নাৎসি বাহিনির সাথে ফিলিস্তিনের সমস্যা শুরু ৭অক্টোবরে নয় ৭৫ বছর আগে শুরু হয়েছে। আপনি কি মনে করলেন তাতে ইতিহাস বদলাবে না।)

আপনি চোখ বন্ধ করে থাকলে যে পৃথিবীও অন্ধকারে ডুবে থাকবে এমন নয়। দরকার মনে করলে পচাত্তর বছর আগে থেকেই শুরু করবো। আপনার চিন্তার কিছু নেই। আপনার মন্তব্য থেকে আপনার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানাশোনা বিদ্যাবুদ্ধির দৌড় আমার পরিষ্কার জানা হয়ে গেছে। এ লেখায় আর মন্তব্য করবেন না দয়া করে। আগামীতে এর ওপর আরেকটা লেখার ইচ্ছে আছে। সেখানে কথা হবে।

ধন্যবাদ। শুভকামনা থাকলো।

১৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৩২

আমি নই বলেছেন: ইসরাইল-ফিলিস্তিন নিয়ে আরো পোষ্ট যেহেতু দেবেন আশা করি শুরুটা শুরুর ইতিহাস দিয়েই করবেন। ৭ অক্টোবর থেকে শুরু করবেন না।



আগে ইহুদিরা প‌্যালেস্টাইনের পার্মিট নিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে জেরুজালেম, হেবরন, নাবলুস ইত্যাদি শহরে এসে বসবাস শুরু করে এবং ফিলিস্তিনিরাও তাদের আপন করে নেয়। ১৯৪৭ পর্যন্ত খৃষ্টান, মুসলিম, ইহুদিদের মাঝে কোনো বড় ঝামেলার ইতিহাস আমার জানা নাই। ছবিটাতে ১৯৩৩ সালের একজনের পার্মিট দেখতে পাচ্ছেন।



The German Destroyed Our Families And Homes, Don't You Destroy Our Hopes ইহুদিরা ইউরোপে প‌্যাদানি খেয়ে ফিলিস্তিনে রিফিউজি হিসেবে এই ব্যানার নিয়েই ঢুকেছিল। যাদের মাঝে পুর্ব ইউরোপের সন্ত্রাসী ভাবাপন্ন জায়ানিষ্টরাই সংখ্যাগুরু ছিল। ১৯৪৭-৪৮ এ ব্রিটিশরা এদের জায়গা দেয়ার জন্য ফিলিস্তিনের ৪০০ গ্রামের প্রায় ৭৫০,০০০ স্থানীয় অধিবাসীকে বাস্তুচুত করে। সাড়ে সাত লক্ষ মানুষকে তাদের হাজার বছর ধরে বাস করা ঘরছারা করলে কি রিয়াকশন হওয়া উচিৎ বলে মনে করেন?


এই ম্যাপের সাথে সবাই পরিচিত। আমেরিকা-ব্রিটিশদের বুদ্ধিতে জাতীসংঘ রিফিউজিসহ ৩৩% ইহুদিদের জন্য ফিলিস্তিনের ৫৬% ভুমি বরাদ্দ দেয়, যেটা স্থানীয় ৬৭% মুসলিম+খৃষ্টানরা+ আরব দেশ গুলোও মানতে পারে নাই, তাই ফিলিস্তিন সেই সময় রাস্ট্র হয় নাই। এই ম্যাপ স্বাক্ষী দিচ্চে আপনার পেয়ারের অতিসভ্য রাস্ট্রটি কিভাবে নিজের সিমানার বাহিরের ভুমি দখল করে করে জাতিসংঘের দেয়া ফিলিস্তিনের ৪৪% ভুমিকে ১৫% বানিয়েছে। একটা সভ্য জাতী কিভাবে অন্য একটা জাতীর উপর ডাকাতের মত হামলে পরতে পারে? ডাকাতরা সভ্য হয় কেমনে, কোনো আইডিয়া?

মজার ব্যপার হল যে ইহুদিরা আগে পার্মিট নিয়ে জেরুজালেম এবং আশেপাশের শহরগুলোতে বসবাস শুরু করে, যাদের স্থানীয় মুসলিম-খৃষ্টানরা নিজেদের জায়গা-বাড়ীতে থাকতে দেয় তারাই ১৯৪৭ এর পর নিমক হারামি করে আশ্রয়দাতার বাড়ী-ভুমি দখল করে নেয়। এ ব্যাপারে সুপার মডেল জিজি হাদিদের বাবার বা বড় বোনের সাক্ষাতকার দেখতে পারেন।

আশাকরি গোয়েবলসিয় ইতিহাস বাদ দিয়ে সত্যিকারের ইতিহাস থেকেই লিখবেন। তবে প্রপাগান্ডামুলক লিখলেও পার পাবেন না। কমেন্ট ব্যান না করলে তথ্য-প্রমান দিয়ে মিথ্যাকে মিথা প্রমান করব। হত্যাকারী-জবর দখল কারি নব্য নাৎসি ইসরাইলকে সভ্য বলা মানে সভ্যতার চরম অপমান করা।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

অর্ক বলেছেন: এটা ১০২৩ সাল না ভাই, ২০২৩ সাল! জায়নিস্ট, জুদাইজম এইসব আবোলতাবোল বকে নিজেকেই ছাগল বানাচ্ছেন আর কিছু না। আপনার জন্য প্রার্থনা ছাড়া কিছু করার নেই আমার। যাই হোক এসব নিয়ে আরেকটা লেখার ইচ্ছে আছে। সেখানে মন্তব্য করলে কথা হবে।

ধন্যবাদ।

১৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

অর্ক বলেছেন: লেখায় মন্তব্য সুবিধা আপাতত বন্ধ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.