নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরমান অরণ্য লিংকন

আরমান অরণ্য লিংকন

আমি স্বপ্নে বিশ্বাসী নই...আমি বিশ্বাস করি লক্ষে, বিশ্বাস করি দৃঢ়তায়।প্রতিবাদ আমায় আকৃষ্ট করে, মনোরঞ্জন নয়।আমার ফেসবুকঃ https://www.facebook.com/arman.aronno.lingkon

আরমান অরণ্য লিংকন › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ফুটবল ও সে সংক্রান্ত কিছু সস্তা চেতনা এবং ছোট একটি কথা না বললেই নয়...." লেখাটি সম্পর্কে ব্লগার ভোরের সূর্যের মন্তব্য ও কিছু কথা না বললেই নয়.....

১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:২৬

প্রিয় ব্লগার ভোরের সূর্য,



আমার ফুটবল ও সে সংক্রান্ত কিছু সস্তা চেতনা এবং ছোট একটি কথা না বললেই নয়.... লেখাটিতে আইনগত দিক থেকে আপনি যে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন, তার প্রতি আমার সম্মান আছে। সেখানে একটু পর আসি। আমার মনে হয়েছে আপনার প্রাতুত্তরে আমার নিম্নোক্ত বিষয়গুলো লেখা প্রয়োজন, এজন্যই এই ব্লগটি লেখা।



অলিম্পিকে একজন খেলোয়াড় দেশের হয়ে খেলতে যেয়ে পতাকা ওড়ানো আর একজন দর্শক পতাকা ওড়ানোর তফাৎটা অনেক, সেটা বোঝার বুদ্ধি বোধকরি আপনার রয়েছে।

আইনের কথা বলছিলেন? ঢাকার জাহাঙ্গীর গেট থেকে শুরু করে, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, বিজয় সরণী, মানিক মিয়া এভিনিউ, মিন্টো রোড ও এর আসেপাশের কিছু স্থানকে বলা হয় ভিআইপি রোডস। এসব রাস্তায় সাধারন অবস্থায় অনুমতি ব্যাতিত যেকোনো স্টেজ তৈরি, সভা-সমাবেশ কিংবা এরকম কার্যকলাপ নিষিদ্ধ। কিন্তু এদেশের সার্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখে এই আইন পুরোপুরিভাবে বরখেলাপ হয়, কিন্তু তখন আইনের কার্যকরীতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে না। কারন, এটা একটা সার্বজনীন উৎসব, আর এই একদিনের জন্য ঘটা করে আইন পরিবর্তনের চিন্তাও করা হয়না, এর প্রয়োজনও নেই। তেমনি বিশ্বকাপ ফুটবলও একটি সার্বজনীন উৎসব, এখানে যুগের পর যুগ ধরে শুধু বাংলাদেশে না, সারা পৃথিবীতে শত কোটি মানুষ নিজেদের পছন্দের দলের পতাকা ওড়াচ্ছে। এটা নিয়ে আমেরিকা বা ইতালির মত জাতীয়তাবাদী দেশেও কেউ এমন প্রশ্ন তৈরি করছেনা, সেখানেও সুস্পষ্টভাবে পতাকা উত্তোলন সংক্রান্ত আইন মেনে চলা হয়। বাংলাদেশের মানুষও সেই শত কোটির থেকে আলাদা নেই।



দৃষ্টিকটু বলছেন? যেখানে সারা বিশ্ব একই ভাবে উৎসব পালন করে চলেছে সেখানে দৃষ্টিকটুত্ব কোথা থেকে আসে?



আর এর জন্য আইন পরিবর্তনের প্রস্তাবও নিছক নির্বুদ্ধিতা ও হাস্যকরও বটে।



আশা করি আমার কথা আপনি বুঝবেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:০৮

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: বিষয়টি বিতর্কিত। পতাকা উড়ানোর পক্ষে বিপক্ষে তথা উভয়দিকেই যুক্তি উপস্থাপন করা যায়। তবে একটি দলের সমর্থন করে, সে দেশের পতাকা উড়ানো ধারণায় আমি বিশ্বাসী নই। সমর্থন মনের ব্যাপার। একটি পতাকা উড়িয়ে সবাইকে জানিয়ে প্রিয় দেশকে সমর্থন করার পিছনে কোন যৌক্তিকতা নেই। আর যেহেতু আইনের দিক থেকেও এটি নিষেধ তাই নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিদেশী পতাকা উড়ানোকে বর্জন করাই উচিত বলে মনে করি।

২| ১৪ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭

ভোরের সূর্য বলেছেন: আমি অনেক পয়েন্ট বলেছি কিন্তু আমার অন্য পয়েন্ট খন্ডন করার মত যুক্তি বা তথ্য আপনার কাছে নাই শেষ পর্যন্ত আপনি ২টি বিষয় তুলে ধরেছেন।
ভাল কথা।সেই ২টিরই উত্তর আপনাকে দিচ্ছি।

১) এর উত্তর আপনি কিভাবে দিয়ছেন সেটা আপনিই ভালভাবে বুঝতে পারবেন।কারন আসলে কোন উত্তর আপনি দেন কি কারণ আমি বলেছিলাম অলিম্পিকে অন্য দেশের পতাকা ওড়ানো কেমন দৃষ্টিকটু লাগবে। কিন্তু আপনি সেই উত্তর দিয়েছেন কি?সেখানে আমি কোন দর্শকের পতাকা ওড়ানোর কথা বলিনি।আমি যেই উদাহরন দিয়েছি সেই উদাহরণের উত্তর সরাসরি দিলেই ভাল হত।

২) ভাল কথা ভিআইপি রোডে অনুমতি ব্যাতিত যেকোনো স্টেজ তৈরি, সভা-সমাবেশ কিংবা এরকম কার্যকলাপ নিষিদ্ধ। কিন্তু এদেশের সার্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখে এই আইন পুরোপুরিভাবে বরখেলাপ হয়, কিন্তু তখন আইনের কার্যকরীতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে না।

ভাই সেটাও ঠিক না,আইন টা মানা উচিৎ আমাদের। আর মানিনা বলেই আমাদের দেশের আইনের এই অবস্থা। আর আপনার কথা যদি মেনেও নিই তাহলে বলতে হয় যে আমাদের বাঙালীর পহেলা বৈশাখে আমাদের নিজস্ব অনুষ্ঠানে আমরা আইন ভাঙ্গি একদিনের জন্য এবং আমাদের নিজের আনন্দের জন্য।কিন্তু হাজার হাজার মাইল দূরে অন্য দেশে অনুষ্ঠিত ফুটবল খেলা যেখানে আমাদের দেশের কোন অংশগ্রহন নাই সেখানে সারা মাস তৃতীয় একটি দেশের পতাকা উড়িয়ে আমাদের দেশের আইন ভঙ্গ করাটাতো আরো বেশী খারাপ কাজ।

ভাই,আপনি বলেছেন সারা বিশ্বে একইভাবে উৎসব করা হলে আমাদের দেশে করা হবে না কেন। তাহলে ভাই সারা বিশ্বে খারাপ কাজ হলে আমাদেরকেও করতে হবে?

চেতনা নিয়ে আমার কোন কথা ছিল না।আমার মূল বিষয়টা হচ্ছে আইন মানা এবং না মানা নিয়ে।আইন থাকলে আপনি কেন সেটা মানবেন না। আর যদি আইনটা অপ্রয়োজনীয় হয় তাহলে সেই আইনের আগে সংস্কার করা উচিত।বরং সেটার দাবিই করা উচিৎ আগে।কিন্তু যতক্ষন পর্যন্ত আইনটা আছে সেটা মানা উচিৎ।

আমি আরোও বলেছিলাম যে আইন করে মনে দেশপ্রেম আনা যায়না।কিন্তু সেটা নিজের মধ্যে থেকে আনতে হবে। সেলফ রেসপেক্ট বলে একটা কথা আছে। আমাদের নিজের দেশ কে সম্মান জানাতে হবে। তাহলেই আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব পৃথিবীর বুকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.