নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গান শুনতে ভালবাসি কিন্তু গান গাইলে সবাই পালায়। প্রেম করি কিন্তু প্রেমিকা নাই। লেখালেখি করি কিন্তু পাঠক নাই। আমি আছি কিন্তু কেউ নাই...

আসিফ বিন হোসেন

পনেরো হাজার পৃষ্ঠার একটা উপন্যাস লিখব! সেই উপন্যাসে তার নাম কোটিবার থাকবে! সেই উপন্যাসের নায়ক আমি আর নায়িকা সে!

আসিফ বিন হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডাক্তার

১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৫৮

এই মধ্য রাতে হসপিটালে ডিউটি করার মতো বিরক্তির কাজ এই দুনিয়ায় নেই। ডাক্তারি একটি মহৎ পেশা? নিকুচি করেছে আমার মহৎ পেশা। দুই রাত ঘুমাতে পারি নাই এই নাইট ডিউটির কারণে।

আমার মতো আইলসা, সদ্য ডাক্তার হওয়া একজন ডাক্তারের কাছে সবচেয়ে ধৈর্যের বিষয় হল এই নাইট ডিউটি। কোনও মতে চোখ খোলা রাখা আরকি। তবে বিপত্তি ঘটল, রাত দেড়টায় যখন এক অসুস্থ প্রেগন্ট মেয়ে আসে। ডেলিভারি হবে শিওর। এজন্য আমি গাইনি বিভাগে ডিউটি করতে চাইনি। এসব ব্যাপার কিছুটা ভয় লাগে। তবুও ডাক্তার তো! মেয়েটাকে দেখেই বুঝলাম নর্মাল ডেলিভারি হবে।

আমি অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গেলাম। এর মধ্যে আবার মেডিক্যাল অফিসার এসে ঝামেলা বাঁধিয়ে দিল। তিনি বলছে, সিজার করাতে হবে।
আরেহ ভাই! অল্প বয়সী মেয়ে, প্রথম বারের মতো মা হচ্ছে! একে সিজার করলে মারা পর্যন্ত যেতে পারে। সবখানে ব্যবসা খোঁজা ঠিক না। আমি বেশ কিছুক্ষণ ঝগড়া করলাম, নর্মাল ডেলিভারির জন্য। তিনি শেষ পর্যন্ত হেরে গিয়ে আমাকে শাসিয়ে গেলেন যে, মা বাচ্চার কোনও কিছু হলে দায়ী থাকব আমি। হেহ, দেখা যাবে...

মেয়েটার ভীষণ পেইন হচ্ছে। ব্যাপারটা প্রথম হওয়ায় সে ভীষণ ভয়ও পাচ্ছে। মেয়েটার হাসব্যান্ড রুমের এক কোণে কাঁচুমাচু হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বেচারাও ভয় পেয়েছে। আমি আর নার্সরা আপ্রাণ চেষ্টা করে, মেয়েটা সাহস দিয়ে যাচ্ছি।
শেষ পর্যন্ত ডেলিভারি হল। মা ভীষণ ক্লান্ত, বাচ্চা ঠিকঠাক। বাচ্চাকে প্রথম কোলে নেয়ার পরে, এমন পবিত্র মুখ দেখতে পারা ভীষণ সৌভাগ্যের। ভাগ্যিস চার বছর আগে আমি বুয়েটের ফর্ম কিনিনি এইচ এস সির রেজাল্টের পর! না হলে এমন সদ্য জন্মানো পবিত্র মুখ দেখতেই পারতাম না।

আমার ডাক্তার হওয়া সার্থক... ❤

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.