নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গান শুনতে ভালবাসি কিন্তু গান গাইলে সবাই পালায়। প্রেম করি কিন্তু প্রেমিকা নাই। লেখালেখি করি কিন্তু পাঠক নাই। আমি আছি কিন্তু কেউ নাই...

আসিফ বিন হোসেন

পনেরো হাজার পৃষ্ঠার একটা উপন্যাস লিখব! সেই উপন্যাসে তার নাম কোটিবার থাকবে! সেই উপন্যাসের নায়ক আমি আর নায়িকা সে!

আসিফ বিন হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সবশেষে নিজেকে চেনা

২০ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:১৪

পৃথিবীতে যে সবচেয়ে বেশি আমাকে বোঝে, সে হল আমি নিজেই। আমাকে, আমার থেকে কেউ বেশি জানে না। আমিই জানি, আমি কাকে প্রকৃত ভাবে ঘৃণা করি এবং পছন্দ করি। অনেকটা আমার কম্পিউটারের হার্ড ডিস্কের হিডেন ফাইল গুলোর মতো, হিডেন ফাইল গুলোতে আসলে কি আছে তা আমি ছাড়া কেউ জানে না! তেমনি আমার মধ্যে আসলে কি আছে, তা আমি ছাড়া কেউ জানে না।

রাস্তা দিয়ে চলার সময় একটা মেয়ে (ধরা যাক ভীষণ সুন্দরী) পড়ে গেল, তুমি তাকে হাত বাড়িয়ে দিলে, উঠতে সাহায্য করলে।
তখন রাস্তায় একজন মধ্য বয়স্ক লোক তোমাকে শুনিয়ে বলল,"মেয়ে দেখলেই লোভ সামলাতে পারে না, লুইচ্চা..."
ওই লোকটার "লুইচ্চা" বলাতে তুমি কি আসলেই "লুইচ্চা" হয়ে গেছো?- কিন্তু তুমি জানো, ওই মেয়েটার জায়গায় যদি ওই লোকটা হতো, তুমি একই ভাবে তাকে হাত বাড়িয়ে সাহায্য করতে। এজন্য লোকটার সাথে অযথা ঝগড়া করে, নিজের আত্মসম্মান কমানোর দরকার নেই।

এতদিন আমি নিজেকে ভীষণ ভাবে বোঝার চেষ্টা করেছি। দেখলাম, আমার নিজের সম্পর্কে আমার যে ধারণা, তার সাথে আশেপাশের কিছু মানুষের আমার সম্পর্কে ধারণার মিল নেই। উল্টো অনেকটা।
আমি নিজেকে ভীষণ ভালো একটা ছেলে মনে করি (একটা বলতে চাইনি। নিজের ঢোল নিজে পেটানোত মতো। কিন্তু উদাহরণের স্বার্থে ধরা যাক আমি ভীষণ ভীষণ ভালো একটা ছেলে।)। কিন্তু সবাই তো আমাকে ভালো ভাবে না। কারও কাছে আমি ভীষণ ভাব মারি, কারো কাছে আমি ভীষণ কিপটে একটা ছেলে, কারও কাছে আমি ভীষণ বেয়াদব, কারও কাছে যত নষ্টের গোড়া, কারো কাছে ভীষণ খারাপ...
নিজের সম্পর্কে মানুষ জনের এত এত বিশেষণ, কিন্তু আমি নিজে যেটা নিজের সম্পর্কে ভাবি, তাই সর্বশেষে আমার কাছে গ্রহণ যোগ্য।

আমাকে কোনও একটা সরকারি অফিসে নিয়ে বের করতে বলা হল যে, কে কে এখানে ঘুষখোর। আমি তো জানি না ওখানে আসলে কে কে ঘুষখোর। তাই আমি বলতে পারব না।
কিন্তু ওখানে যে আসলেই ঘুষখোর, সে নিজে জানে যে সে একটা ঘুষখোর।
তেমনি একজন ভালো মানুষ জানে, সে ভালো। এবং একজন খারাপ, জানে সে খারাপ।

আমার এত লেকচারের একটা উদ্দেশ্য ছিল। সেটা হল, মানুষ তোমার সম্পর্কে বিভিন্ন রকমের কথা বলবে, তোমার সম্পর্কে বিভিন্ন রকমের ধারণা নিবে। একসময়ে সবাইকে খুশি রাখা যায় না। তাই তুমি তোমার কাজ কখনও অন্যেরা কি ভাববে, সেটার জন্য থামিয়ে ফেলো না। মানুষের ভালো করছো?-করে যাও! মায়ের মাথা ব্যথায়, তাঁর মাথা একটু ম্যাসাজ করছো?-করো! কাউকে ভালোবাসছো? -বাসো!
সবশেষে, তুমি নিজেকে যেটা ভাবছো, সেটাই হল তোমার কাছে অলিম্পিকের গোল্ড মেডেলের মতো!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট গুলো আমার সব সময়ই ভালো লাগে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.