নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গান শুনতে ভালবাসি কিন্তু গান গাইলে সবাই পালায়। প্রেম করি কিন্তু প্রেমিকা নাই। লেখালেখি করি কিন্তু পাঠক নাই। আমি আছি কিন্তু কেউ নাই...

আসিফ বিন হোসেন

পনেরো হাজার পৃষ্ঠার একটা উপন্যাস লিখব! সেই উপন্যাসে তার নাম কোটিবার থাকবে! সেই উপন্যাসের নায়ক আমি আর নায়িকা সে!

আসিফ বিন হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন সংশয়ের মূহুর্তে একটা মানুষ সবচেয়ে বেশি স্বার্থপর

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:১৪

মাঝরাতে দরজায় খট খট শব্দের মতো ভয়ঙ্কর কিছু নেই। চিন্তা করেন না, আপনি অফিস থেকে ফিরে এসে দেখলেন, আপনার এই এক রুমের সাবলেটের বাসায়, আপনার বুয়া পাবদা মাছ রান্না করে গিয়েছে। আপনার রুমমেট বাসায় নেই, ফিরবে সকাল। নাইট ডিউটি আছে। আপনি আনন্দে পেট পুরে খেয়ে শুয়ে পড়লেন। মাঝরাতে আপনার একটা তীক্ষ্ম শব্দে ঘুম ভেঙে গেল। কেউ আপনার বাসার দরজা খোলার চেষ্টা করছে, খুব ধীরে ধীরে। মুহূর্তে আপনার রাতের সুন্দর স্বপ্ন গুলো তীব্র ভয়ে পরিণত হবে!

চোর? ডাকাত? না আপনাকে কেউ খুন করতে পাঠিয়েছে - এই সব ভাবার সময়ই পাবেন না। দরজা খোলাটা বোকামি হবে। কারণ, এই মাঝরাতে চোর আসুক আর খুনি আসুক, তার কাছে অস্ত্র আছে। ছুরি? না রিভলভার!
আপনার মাথা রীতিমতো হ্যাং হয়ে যাবে। যতক্ষণ দরজার এপাশে আছেন, ততক্ষণ নিরাপদ! হৃদস্পন্দন হু হু করে বেড়ে যাবে। আপনার নিঃশ্বাস নিতেও ভয় হবে। ওদিকে ওই তীক্ষ্ণ শব্দটা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।

দাঁড়িয়ে যাবেন আপনি। কি করবেন, বুঝতে পারবেন না। কাউকে ফোন দিয়ে সাহায্য চাওয়া উচিত? মাঝ রাতে কেইবা সাহায্য করতে আসবে?
যা করার এক্ষুণি করতে হবে। আবছা অন্ধকারে আপনার চোখ পড়ল দরজার কোণে থাকা কলেজ সময়ে কেনা কাঠের বলের ব্যাটটা। নিঃশব্দে আপনার ব্যাটটা নিয়ে মারার ভঙ্গিতে দরজার দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছেন। যেই আসুক, যে অস্ত্রই থাকুক, এত সহজে মরতে দিব না নিজেকে!

আপনার হাত কাঁপবে। হৃদস্পন্দন যেন সারা ঘর শুনবে! এই সময়টায়, আপনার কেবল কোনও মতে নিজেকে বাঁচানোর কথা মনে হবে! তখন কোনও ওয়াদার কথা মনে পড়বে না। পরের দিন অফিসে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং আছে, তাও মনে পড়বে না। মনে পড়বে না, প্রেমিকার কথাও...
জীবন সংশয়ের মূহুর্তে একটা মানুষ সবচেয়ে বেশি স্বার্থপর...

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৩১

মানবী বলেছেন: ঘটনার প্রেক্ষিতে স্বার্থপর মনে হলোনা।

যদি এমন হতো বাসায় অন্য কেউ আছে, নিজের জীবন বাঁচাতে অ্ররের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে তাহলে স্বার্থপর হত।
বিপদগ্রস্থ একজন মানুষ কাউকে স্মরন না করলে্ স্বার্থপর হবে কেনো?

একজন সার্জন রুগীর সার্জারীর সময় মা বাবা স্ত্রী সন্তান প্রেমিক প্রেমিকার কথা ভাবেনা, একজন ছাত্র পরীক্ষার হলেও প্রশ্নের উত্তর ছাড়া আর কিছু নিয়ে বিচলিত নয় এমনকি একজন চাকুর্রপ্রার্থী ইন্টারভিউয়্যের সময় অন্যকারো কথা ভাবেনা- এসব যেমন স্বার্থপরতা না হলে পোস্টের ঘটনার সময় আত্মরক্ষার ভাবনাও স্বার্থপরতা নয় :-)

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.