নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসিফ তানজির

আসিফ তানজির › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেখা যাক কী হয়!!

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৭

পৌরসভা নির্বাচনে
অংশগ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে
বিএনপি। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে
এই নির্বাচন একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে ধরে
নিয়ে তা মোকাবেলা করতে চায় দলটি।
ভবিষ্যতেও এ ধরনের নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ
মোকাবেলা করতে চায় বিএনপি। তবে
রাজনীতির এই বৈরি পরিবেশের মধ্যেও
বিএনপি কেন পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণের
সিদ্ধান্ত নিয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে
দলটির নীতি নির্ধারকরা বলছেন, এই
নির্বাচনে অংশ নিয়ে তাদের ক্ষতির
চেয়ে লাভের পাল্লাই ভারী হবে।
প্রথমত, নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও
প্রভাবমুক্ত হলে বিএনপির জয় হবে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীরা
সক্রিয় হবেন। তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠন
শক্তিশালী হবে। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার
কারণে বিএনপি সমর্থকদের ওপর পুলিশি
হয়রানি এবং গণগ্রেপ্তার কমবে।
দ্বিতীয়ত, আওয়ামী লীগ তথা সরকার যদি
এই নির্বাচনকে প্রভাবিত করে এবং গায়ের
জোরে ফলাফল নিজেদের পক্ষে নেয়
তাহলে তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হবে। এতে
আবারো প্রমাণিত হবে এই সরকারের
অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কখনোই সম্ভব
নয়। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না
নেওয়ার বিষয়ে বিএনপির সিদ্ধান্তই ঠিক
ছিলো।
অপরদিকে, পৌর নির্বাচনে কারচুপি হলে
কিংবা ডিসিসি নির্বাচনের মতো
‘পুলিশি প্রহরায়’ কেন্দ্র দখল করে
সরকারদলীয় প্রার্থীদের জেতানো হলে
বিদেশিদের কাছেও ফের নেতিবাচক
বার্তা যাবে। এতে বর্তমান সরকারের
অধীনে যে নির্বাচনে যাওয়া যায়না
বিএনপির সেই যুক্তি আরো জোর পাবে।
দেশের ২৩৬ পৌরসভায় আগামী ৩০
ডিসেম্বর ভোটের দিন রেখে তফসিল
ঘোষণা করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী
রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে সোমবার
রাতে ইসির এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত
হয়েছে।
মঙ্গলবার সিইসি তফসিল ঘোষণা করবেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, মনোনয়নপত্র
দাখিলের জন্য ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়
রাখা হতে পারে। ৫ ও ৬ ডিসেম্বর
বাছাইয়ের পর প্রত্যাহারের শেষ সময়
রাখা হচ্ছে ১৩ ডিসেম্বর। ফলে প্রচারের
জন্য দুই সপ্তাহ সময় পাবেন প্রার্থীরা।
স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনের পর
এবারই প্রথম পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে
রাজনৈতিক দলের নেতারা সংসদ
নির্বাচনের মতো দলীয় প্রতীক নিয়ে ভোট
চাইবেন।
শুরুতে সব পদে নির্বাচন দলীয়ভাবে করার
সিদ্ধান্ত নিয়ে আইন সংশোধন হলেও পরে
কাউন্সিলরদের বাদ রেখে পুনর্বার
সংস্কার আনা হয় আইনে। ফলে কাউন্সিলর
পদে ভোট হবে আগের মতোই
নির্দলীয়ভাবে।
বর্তমানে বাংলাদেশে তিন শতাধিক
পৌরসভা রয়েছে। এর মধ্যে ডিসেম্বরে
২৪০টির বর্তমান মেয়র-কাউন্সিলরদের
মেয়াদ ফুরোচ্ছে।
এর মধ্যে ২৩৬টিতে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত
হয়েছে। এসব পৌরসভায় মোট ভোটার ৭০
লাখের মতো বলে ইসি কর্মকর্তারা
জানিয়েছেন।
গড়ে প্রতি পৌরসভায় সাধারণ ওয়ার্ড ১১টি,
সে হিসেবে নির্বাচন উপযোগী পৌরসভায়
ওয়ার্ড থাকবে আড়াই হাজারের মতো।
শুধু মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী
হওয়ার সুযোগ রেখে সংশোধিত আইনের
গেজেট শনিবার জারি হওয়ার পর পৌর
নির্বাচনের বিধিমালা চূড়ান্ত করতে বসে
ইসি। আগে একবার তা তৈরি করলেও তাতে
কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বিধিমালা অনুযায়ী, মেয়র পদে
দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার জন্যে দলের
সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সম
পর্যায়ের পদাধিকারী বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত
ব্যক্তির প্রত্যায়নের বিধান থাকবে।
দলকে এক্ষেত্রে তফসিল ঘোষণার ৫ দিনের
মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এবং
ইসি সচিবালয়ে দলের ক্ষমতাপ্রাপ্ত
ব্যক্তির নাম, পদবি ও নমুনা স্বাক্ষরসহ
একটি চিঠি দিতে হবে।
মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ
থাকছে সংসদ নির্বাচনের মতোই। তবে ১০০
ভোটারের সমর্থনযুক্ত তালিকা দেওয়ার
বিধান রাখা হচ্ছে বিধিমালায়, যা
সংসদের ক্ষেত্রে অনেক বেশি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: প্রথমে বি এন পি'র গুলো মেয়র হবে। কিছুদিন যাওয়ার পর বরখাস্ত হবে।

২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭

আসিফ তানজির বলেছেন: একদম ঠিক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.