নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসিফ তানজির

আসিফ তানজির › বিস্তারিত পোস্টঃ

বধ্যভূমি হ ইছে নাকি জানিনা তবে গণতন্ত্র নষ্ট হইছে

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২১

বাংলাদেশে এখন
ভয়াবহ দুঃসময় চলছে বলে মন্তব্য করেছেন
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা
জিয়া। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫
জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পূর্বাপর
বাংলাদেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করা
হয়েছে। বর্তমান অবৈধ ক্ষমতাসীন জোট
সীমাহীন রক্তপাত ও বেপরোয়া নিপীড়ন
নির্যাতনের মধ্য দিয়ে জনগণের সকল
গণতান্ত্রিক অধিকারকে হরণ করে
নিয়েছে।
১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘ ঘোষিত
মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে দেওয়া
বাণীতে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক
প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এসব
কথা বলেন। দলটির দফতরের দায়িত্বে
থাকা যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির
রিজভী এ বাণীতে স্বাক্ষর করেন।
গণমাধ্যমে পাঠানো বাণীতে খালেদা
জিয়া বলেন, মানুষের গণতান্ত্রিক
অধিকার মানবাধিকারের পরিপূরক।
বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের
মানবাধিকার শূণ্যের নিচে অবস্থান করছে।
এদেশে শুধুমাত্র বিরোধীদলের
নেতাকর্মীরাই নয়, সাংবাদিক,
মানবাধিকার কর্মী, ছাত্র, শিক্ষক,
শ্রমিক, নারী, শিশুসহ কারোরই কোন
নিরাপত্তা নেই।
এদের অধিকাংশই গুম, গুপ্ত হত্যা এবং
বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হচ্ছেন।
সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলেই
বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা ছাড়াও দল
নিরেপক্ষ রাজনৈতিক বিশ্লেষক, টকশো
আলোচকদের বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা
দায়ের করা হচ্ছে এবং কাউকে কাউকে
কারান্তরীণও করে রাখা হয়েছে।
জাতিসংঘের সার্বজনিন ঘোষণার উদ্ধৃতি
দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, বিশ্বের সব
জাতির সকল মানুষের মানবাধিকার
সংরক্ষণের নিশ্চয়তা থাকতে হবে। কিন্তু
দেশে দেশে নিষ্ঠুর স্বৈরাচারী শাসকরা
জাতিসংঘ কর্তৃক মানবাধিকারের
সার্বজনিন ঘোষণার নির্দেশনাগুলোকে
তাচ্ছিল্য করছে। নিজ দেশের জনগণের ওপর
চালিয়ে যাচ্ছে বর্বরোচিত আক্রমণ।
শুধুমাত্র ক্ষমতাকে চিরস্থায়ীভাবে ধরে
রাখার জন্য জনমতকে অগ্রাহ্য করে
গণবিরোধী শাসক গোষ্ঠী জনগণের
মানবাধিকারের তোয়াক্কা করেনা।
খালেদা জিয়া বলেন, দুঃশাসনের
অচলায়তন তৈরি করতে গিয়ে তারা
(স্বৈরশাসকরা) প্রতিবাদী জনগণের ওপর
নামিয়ে আনে পৈশাচিক উৎপীড়ণ। যারা
সত্য উচ্চারণ করতে চায় তারা
রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ছাত্র, শ্রমিক,
পেশাজীবিসহ নগরিক সমাজের যেই
হোকনা কেন, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা
মামলা দায়ের করা হয়। কারাবাস,
শারীরিকভাবে নির্যাতনসহ জখম এবং
হত্যারও শিকার হতে হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বছরের ৩৬৫
দিনই কোথাও না কোথাও মানুষের
অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। শাসকগোষ্ঠীর
নৈরাজ্যকর দুঃশাসনের ছোবল থেকে মুক্তি
পেতে হলে আমাদেরকে এই মুহূর্তে ঐক্যবদ্ধ
হয়ে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এগিয়ে
আসতে হবে। তিনি বলেন, দেশের মানুষের
জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার জন্য একসঙ্গে
আওয়াজ তুলে বর্তমান অপশাসনের অবসান
ঘটাতে হবে।
খালেদা জিয়া বলেন, আজ বাংলাদেশসহ
বিশ্বের অনেক দেশে মানুষ একদলীয়
স্বেচ্ছাচারী শাসন, গোষ্ঠী, বর্ণ ও
জাতিগত সংঘাতে অবলীলায় খুন ও গুপ্ত
হত্যার শিকার হচ্ছেন। অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে
হাজার হাজার মানুষ। বিচার বহির্ভূত
হত্যাকা-ের শিকার হচ্ছে অসংখ্য মানুষ।
তিনি বলেন, এই দিনে আমি বিশ্বের
বিভিন্ন দেশের মৌলিক ও মানবিক
অধিকারহারা নির্যাতিত মানুষের প্রতি
সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি। যারা বাক,
ব্যক্তি, চিন্তা, প্রার্থনা, মূদ্রণসহ নাগরিক
স্বাধীনতার জন্য সোচ্চার হতে গিয়ে
ক্ষমতাসীন স্বেচ্ছাচারী গোষ্ঠির নৃশংস
নিপীড়ণে আত্মদান করেছেন তাদের প্রতি
জানাই গভীর শ্রদ্ধা।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘ ১৯৫০ সালে ১০
ডিসেম্বরকে ‘মানবাধিকার দিবস’ ঘোষণা
করে। সেই থেকে প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর
‘মানবাধিকার দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে
আসছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.