নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসিফ তানজির

আসিফ তানজির › বিস্তারিত পোস্টঃ

থলের বিড়াল বেরিয়ে আসছে

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৮

তৈরি
পোশাক
শিল্পে
কমপক্ষে
১৬টি
ধাপে
দুর্নীতি
হচ্ছে
বলে
অভিযোগ করেন ট্রান্সপারেন্সি
ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি)
নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
এছাড়া সরবরাহ ব্যবস্থার পুরো প্রক্রিয়া
অনিয়ম-দুর্নীতিতে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে
বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এ খাতে
অনিয়মই এখন নিয়ম। ঘুষের মাধ্যমে পণ্যের
মান,পরিমাণ ও কমপ্লায়েন্সের ঘাটতি
ধামাচাপা দেয়া হয়।’
আজ ধানমন্ডিতে দুর্নীতি বিরোধী
সংস্থাটির কার্যালয়ে ‘তৈরি পোশাক
খাতের সাপ্লাই চেইনে অনিয়ম ও দুর্নীতি
মোকাবেলায় অংশীজনের করণীয়’ শীর্ষক
এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দেশের তৈরি
পোশাক শিল্পের সরবরাহ ব্যবস্থায়
কার্যাদেশ, উৎপাদন ও সরবরাহ- তিনটি
পর্যায়ের অন্তত ১৬টি ধাপে দুর্নীতি হয়।
তবে তিনি বলেন, সার্বিকভাবে তৈরি
পোশাক খাতে ৬০ ভাগ অগ্রগতি হয়েছে।
২০১৩ সালের এ খাতের ৬৩টি বিষয়ে
সুশাসনের ঘাটতি চিহ্নিত করা হয়েছিল।
এসব ঘাটতি পূরণে সরকার, মালিক ও
বায়ারদের ১০২টি উদ্যোগে এ অগ্রগতি
হয়েছে।
টিআইবি নির্বাহী বলেন, এই খাতের এই
অগ্রগতি আরো বাড়াতে হলে সবাইকে
উদ্যোগী হতে হবে। অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে
কিছু পদক্ষেপ নিলে সেটি তরান্বিত হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘গবেষণায়
গুণগত তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি ব্যবহার করা
হয়েছে। সেজন্য পরিসংখ্যানগত কোনো
অনিয়মের তথ্য আমরা দিতে পারছি না।
তবে আগের তুলনায় সবক্ষেত্রে অগ্রগতি
পরিলক্ষিত হয়েছে।’
সব সময় অনিয়ম দুর্নীতির জন্যে সরকারি
কর্মকর্তাদের দায় দেয়া হলেও এ গবেষণার
মাধ্যমে অন্যদের দায়ের কথাও তুলে ধরেন
ইফতেখারুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘অনিয়মের সঙ্গে কমবেশি
সবাই জড়িত। এককভাবে সরকারি
কর্মকর্তাদের দায়ী করা ঠিক হবে না।
বায়ার, এজেন্টসহ সংশ্লিষ্ট সবাই জড়িত।’
পোশাক খাতের অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধে
২৭ দফা করণীয় ও সুপারিশ তুলে ধরে
টিআইবি।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুপারিশ হচ্ছে-
সরবরাহকারী কারখানার পক্ষ থেকে যে
কোনো ঘুষের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, পূর্ব
ঘোষণা ছাড়াই আকস্মিক কারখানা
নিরীক্ষণ ও পরিদর্শন, প্রয়োজনে বায়ার
কার্যাদেশ বাতিল ও কারখানার বিরুদ্ধে
আইনগত ব্যবস্থা, ন্যূনতম মজুরি পরিশোধ
করতে সরকারকে একটি তদারকি কেন্দ্র
প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি।
সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদন
উপস্থাপন করেন শাহজাদা এম আকরাম,
নাজমুল হুদা মিনা ও নীনা শামসুন্নাহার।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- টিআইবির
উপনির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া খায়ের,
গবেষেণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক
রফিকুল হাসান প্রমুখ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.