নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসিফ তানজির

আসিফ তানজির › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেখি কি হয়

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪

মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক
আছে বলে মন্তব্য করায় বিএনপি
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে মামলা আমলে নিয়ে
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদনও
করা হয়েছে।
সোমবার সকালে ঢাকা মহানগর হাকিম
রাশেদ তালুকদারের আদালতে
সুপ্রিমকোর্টের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড.
মোমতাজউদ্দিন আহমেদ এ মামলা দায়ের
করেন। বেলা ১১টায় এ বিষয়ে শুনানি
অনুষ্ঠিত হবে।
সম্প্রতি সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির
সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমতাজউদ্দীন
আহমেদ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করার অনুমতি চেয়ে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। ওই
আবেদনে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্য
ছাড়াও বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগকে
নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগ আনা
হয়।
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খালেদা
জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার
অনুমতি দেয়।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
অনুমতিপত্র পুলিশ সদর দফতর হয়ে রোববার
সকালে শাহবাগ থানায় পৌঁছে।
আজ সোমবার মহানগর হাকিম রাশেদ
তালুকদারের আদালতে মামলাটি দায়ের
করা হয়।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান
খান কামাল রোববার গণমাধ্যমকে
বলেছিলেন, একজন আইনজীবীর আবেদনের
পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে।
এদিকে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে
খালেদা জিয়ার বক্তব্যে রাষ্ট্রদ্রোহের
কিছু নেই বলে উল্লেখ করেছেন তার
আইনজীবী ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী
সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার
মাহবুব হোসেন।
রোববার এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন,
খালেদা জিয়া গত ২১ ডিসেম্বর শহীদদের
সঠিক তথ্য থাকার বিষয়ে যা বলেছেন
তাতে কোনোভাবেই রাষ্ট্রদ্রোহ হয়নি।
অপরদিকে, বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ড. শাহদীন
মালিকও রোববার রাতে বেসরকারি একটি
টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে
বলেছেন, খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সঙ্গে
রাষ্ট্রদ্রোহের কোনো মিল নেই। তবে,
খালেদার জিয়ার বক্তব্য অন্যায় ও
অগ্রহণযোগ্য।
জানা গেছে, দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে
ষড়যন্ত্র, উস্কানিমূলক বক্তব্য, অবৈধ পন্থায়
সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র এবং
সেনাবাহিনীকে উস্কে দেয়ার অভিযোগে
পেনাল কোডের ১২১(ক) থেকে ১২৪(ক) ধারায়
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়ে থাকে। তবে
এক্ষেত্রে সরকার তথা স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়।
একইভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে
চার্জশিট দাখিলের আগেও স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের অনুরূপ অনুমতি নেয়ার
বাধ্যবাধ্যকতা রয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহ
মামলায় অভিযোগ প্রমাণ হলে আদালত
সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন এবং সর্বনিম্ন তিন
বছরের সশ্রম কারাদ- এবং বিভিন্ন নগদ
অর্থ জরিমানা করতে পারেন।
উল্লেখ্য, গত ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে
মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে খালেদা জিয়া
বলেছিলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা
নিয়ে বিতর্ক আছে। আজকে বলা হয়, এত
লাখ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক
বিতর্ক আছে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ
না করে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, তিনি
বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে
চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার
ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.