নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়াশোনা করি। লেখালেখি করি। চাকরি করি। লেখালেখি করে পেয়েছি ৩টি পুরস্কার। জাতিসংঘের (ইউনিসেফ) মীনা মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড ২০১১ ও ২০১৬ প্রথম পুরস্কার। জাদুর ঘুড়ি ও আকাশ ছোঁয়ার গল্পগ্রন্থের জন্য অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ শিশুসাহিত্য পুরস্কার ২০১৬।

বিএম বরকতউল্লাহ

জানতে চাই।

বিএম বরকতউল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রম্যগল্প: প্রেম ও রিম্যাণ্ড

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩

আমার ক্লাসমেট মতি একটি প্রেম করিয়াছিল। ছোট্ট একটি প্রেম। ছোট্ট বলিতেছি এই কারণে যে, প্রেমটি তাহার হৃদয়ে অঙ্কুরিত হইবার পর বেশি দিন টিকাইয়া রাখিতে পারে নাই। পরিবারের সদস্যদের গণপিটুনি, বন্ধু-বান্ধবদের টিটকারী-তিরস্কারে অতিষ্ঠ হইয়া প্রেমটি ফুড়ুত করিয়া উড়িয়া কোথায় জানি উধাও হইয়া গেল।

যেখানে বাঘের ভয়-সেইখানেই রাত হয়-এমন একটি কথা আছে আর স্রষ্টা মতিকে দিয়া এই কথাটি পুনরায় প্রমাণ করাইয়া ছাড়িলেন। নইলে যেই ভাইটিকে সে দাদা বলিয়া ডাকে; যে কিনা সবার চাইতে রাগী, যাঁহাকে সবচাইতে সমীহ করে, ভয় পায়, তিনি যেই পথ ধরিয়া হাঁটিয়া চলেন, মতি ভুল করিয়াও সেই পথ মাড়ায় না, অথচ কীভাবে জানি তাহার একটুখানি প্রেমের কথা বিরাট বড় গল্প হইয়া সেই দাদাটির কানে গিয়া আছাড় খাইয়া পড়িল।

মতি ধরা পড়িল, কঠিন ধরা। রাগী দাদাটি বিছার মত লাফাইয়া মতিকে ধরিয়া ফেলিলেন। বাঘের খপ্পরে অসহায় হরিণের দশা হইল। দাদাটি তাঁহার গায়ের সমস্ত শক্তি খাটাইয়া বেদম মারিলেন। আর বলিলেন, 'জীবনের মত প্রেম শিখাইয়া দিমু, কলেজে পড়তে দিছি, প্রেম করতে দেই নাই, কত্তবড় দুঃসাহস তর, বজ্জাত কোথাকার...' এইসমস্ত বলিয়া দাদা হাঁপাইতে লাগিলেন। দাদাটি ক্লান্ত না হইলে মতির দফা রফা হইত। দাদার ক্লান্তি তাহাকে সাময়িক মুক্তি দিল।

মতি পরেরদিন সমস্ত পিটনি আর পিটনির দাগ পিঠে লইয়া বীরদর্পে গিয়া কলেজে উঠিল। ছোট্ট শিশু কষ্ট পাইয়া যেমন মাকে শোনাইয়া আনন্দআশ্রয় লাভ করে মতিও তাহার প্রিয়তমা কোকিলাকে দুঃখের কথা বলিয়া আনন্দআশ্রয় লাভ করিতে চাহিল।

মতি কোকিলাকে হৃদয় বিগলিত করিয়া তাহার সকল কথা খুলিয়া বলিল। যতটুকু ঘটিয়াছে ততটুকু এবং যতটুকু ঘটে নাই ততটুকুও বলিল। বলে আর ফাঁকে ফাঁকে পিঠের জামা তুলিয়া রাগী দাদার চড়-লাত্থির দাগ দেখাইয়া কোকিলার সামনে মোমের মত গলিয়া পড়িল। তাহার সমস্ত কিছু বলিবার মধ্যে ভালবাসায় দুঃখ-কষ্ট সহ্য করিয়া প্রিয়তমার কাছে ফিরিয়া আসিবার যেমন বীরত্ব ছিল-তেমনি ছিল প্রিয়তমার বেদনামিশ্রিত ভালবাসা গভীর করিয়া পাওয়ার নীরব প্রত্যাশা।

প্রিয়তমা কোকিলা অভিভাবিকার মত মলিনমুখে তাহার সকল কথা শুনিল। কোকিলা ধীরে ধীরে তাঁহার হাতখানি বাহির করিয়া মতির বেদনাক্রান্ত পিঠে হাত বুলাইয়া আদর মাখাইয়া দিল। অতঃপর তাহাকে দুই বাহুতে টানিয়া কাছে লইয়া তাহার কপালের ঠিক মাঝখানটায় চোখ মুদিয়া ছোট্ট অথচ গভীর একটা চুম্বন রেখা টানিয়া দিল। মতির সমস্ত শরীর চনমন করিয়া উঠিল। মনে হইল কোকিলা তাহার সমস্ত দুঃখ-কষ্ট মুছিয়া-পুছিয়া, ঝাড়িয়া ফেলিয়া দিয়া তাহাকে হৃদয়ে গ্রহণ করিল। মতিও আলোক তরঙ্গে তাহার মধ্যে কোকিলাকে শোষণ করিয়া নিল।

কোকিলার আর কলেজে আসিতেছে না। বড় ছটফট করিতে লাগিল মতি। অপরিণত বয়সের অপরিণত প্রেম-ভালবাসা করিয়া শেষে ঠকিলে কিংবা ধরা খাইলে যে যন্ত্রণা হয় তাহা নীরবে হজম করা ছাড়া আর উপায় থাকে না। প্রিয়তমাকে পাইবার জন্য মনের ভিতরে যে সাধ জাগিয়া উঠে তাহার সাথে পাল্লা দিয়া যদি সাধ্যটুকু জাগিতে না পারে তাহা হইলে একটি কাজই করিবার থাকে। তাহা হইল হা আর পিত্তেস। মতি তাহাই করিতে লাগিল।

মাসখানেক পরে একটি চিঠি পাইল মতি। কোকিলার চিঠি। ‘আমি বিবাহ করিয়াছি। এখন স্বামীর ঘরে আসিয়া ঘরকণ্যা করিতেছি এবং তোমাকে নির্মম পিটনি ও কষ্ট হইতে নিষ্কৃতি দিয়াছি। প্রেম করিয়া পিঠে যে আঘাতের চিহ্নগুলি দেখাইয়াছিলে, সেই চিহ্নগুলি যেমন ক্রমান্বয়ে এতদিনে মুছিয়া গিয়াছে; তুমি আমাকে সেইভাবে তোমার মন হইতে মুছিয়া ফেলিও। এই আমার মিনতি।’


মতি চিঠিটি পড়িল। এবং অনেক কষ্ট করিয়া হৃদয়ের গোপন প্রকোষ্ঠ হইতে কোকিলাকে টানিয়া বাহির করিল। অতঃপর তাহার জীবন হইতে সে চোখের জলে কোকিলাকে চিরতরে মুছিয়া দিল।

দুই.

মতিভাই বিদ্যাবুদ্ধি অর্জন করিয়া উপযুক্ত হইয়াছে এবং উপযুক্ত একটি বিবাহ করিয়া সংসার-র্ধম করিতেছে। সে ছেলে-মেয়ে লইয়া আনন্দ আর দুখের ভেলায় ভাসিতেছে। সংসার জীবনে স্বামীতে স্ত্রীতে ছোটখাট গণ্ডগোল, মান-অভিমান, রাগারাগি, টুকটাক ঘটনা-রটনা ইত্যাকার নানান বিষয় লইয়া যখন তোলপাড় করিয়া উঠে তখন সংসার সমুদ্রে একটু ঢেউ খেলিয়া যায়। অতঃপর পরষ্পর ছাড় দিয়া, আপোস মীমাংসা করিয়া, ভালবাসিয়া, আদর করিয়া, গালের টোল কমাইয়া আবার সব ঠিকঠাক করিয়া চলে।


এখন কেন জানি কোকিলার কথা মনে করিয়া বুকটা হুহু করিয়া কাঁদিয়া উঠিতেছে তাহা ঠিক বলিতে পারে না মতি। শুধু বলিতে পারে, তাহাকে মনে পড়িতেছে এবং খুব করিয়া মনে পড়িতেছে।


দীর্ঘ তিরিশ বছর আগের ছোট প্রেমখানি কেমন করিয়া কোনখানে কীভাবে রহিয়া গেল, কীভাবে তাহার সমস্ত কাজে সমস্ত চিন্তা-চেতনাকে ফাঁকি দিয়া হৃদয়ের কোন ওরতে-পোরতে ঘাপটি মারিয়া থাকিল, আবার কী মনে করিয়া এতদিন নীরব থাকিয়া এখন সরব হইয়া উঠিল, তাহা মতির জ্ঞানের অতীত।


মতির বয়স বাড়িবার সাথে সাথে মনে হয় প্রেমটিও পাল্লা দিয়া তাহার অজান্তে বড় হইয়া শাখা-প্রশাখা মেলিতেছে। এখন হঠাৎ করিয়া তাহার বুকের ভিতরে যখন একটু একটু করিয়া প্রেমের অস্তিত্ব টের পাইতেছে, তখন নারীর নতুন মা হওয়ার মত এক ধরনের পুলক অনুভব করিতেছে। নারীগর্ভে সন্তান আগমনে মায়ের যেমন গর্ব হয় তেমনি পরম আনন্দ অনুভব করে। এত দুঃখ, কষ্ট আর বিপদ সহ্য করিয়া সন্তান ধারন করে নারী হয় ধন্য।

এখন মতির ভিতরে একটু একটু করিয়া প্রেম গজাইতেছে আর সে অনেক বড় করিয়া আনন্দ ও গর্ব বোধ করিতেছে। কিন্তু প্রেম গর্ভে ধারণ করিয়া যেইভাবে হাত-পা সিটকাইয়া, হই-হুল্লোড় করিয়া আনন্দ প্রকাশ করিবার কথা; সে সেইভাবে আনন্দ করিবার কোন সুযোগ পাইতেছে না। একা একা এবং নীরবে দুঃখ করা যায়, আনন্দ করিতে হয় অনেকের মধ্যে অনেককে লইয়া। দুঃখ কাহারও মধ্যে ভাগ করিয়া দেওয়া যায় না; ভাগ করিয়া আনন্দ লওয়া যায়। মতির দুর্ভাগ্য সে ইহার কিছুই করিতে পারিতেছে না।


মতি ঘরে আসিয়া তাহার স্ত্রী, পুত্র-কন্যা হইতে তাহার পুরানা প্রেমের নতুন উচ্ছ্বাস যতই লুকাইয়া রাখিবার চেষ্টা করিতেছে ততই নিজেকে প্রকাশ করিয়া ফেলিতেছে। তাহার চোখ-মুখ হইতে আনন্দ ঠেলিয়া ঠিকরাইয়া পড়িতেছে।

অবশেষে স্ত্রীর সন্দেহের তালিকায় এক নম্বরে মতিমিয়ার নাম উঠিয়া গেল।


স্ত্রী বলিতেছে, কিছুদিন যাবৎ তোমাকে ভাল করেই লক্ষ করছি, তোমার মতিগতি ভাল ঠেকছে না আমার।
মতি ক্ষেপিয়া বলে, কীসব আজাইড়া কথা কও তুমি?

স্ত্রী আঙুল নাচাইয়া বলিল, আজাইড়া কথা না বাছাধন, আজাইড়া কথা না। ইদানীং তোমার সংসারে মন নাই, আমার প্রতি খেয়াল নাই, ছেলেমেয়ের প্রতি নজর নাই। তোমার শরীরে, মনে ফুর্তি গজাইছে। সব দেখতেছি, সব। কারে ফাঁকি দিতে চাও তুমি, শুনি? মতির বউকে ফাঁকি দেওয়া এত্ত সহজ না, মতি মিয়া, কইয়ে রাখলাম। আসল কথা কও, কী হইছে তোমার। তোমার চলায় ছন্দ, কথায় ছন্দ, নেচে নেচে বাথরুমে যাও, শিষ মার, গান গেয়ে বাথরুম গরম করে ফেলছ, ওসব কি? মনে করছ কিছুই বুঝি না আমি? রাখো সব খবর আমি লইতেছি। প্রেমের সাধ মিটাইয়া দিমু। কোথায় কার সাথে লটন-পটর করতেছ, সব খবরই লইতেছি-বলিয়া তাহার স্ত্রী শরীর ঝাকাইয়া, একটা জেংড়া মারিয়া উঠিয়া গেল।


নারী সবকিছু সহ্য করিতে পারিলেও নিজের স্বামীকে বিভক্ত করিবার যন্ত্রণা সহ্য করিতে পারে না। তাহা হউক বাস্তব আর হউক কাল্পনিক।


মতির স্ত্রীর অসম্ভব বাড়াবাড়িতে তাহার পুরানা প্রেম কল্পজগতে কেমন মোচড় দিয়া উঠিতেছে। কেন এমন হইতেছে, তাহার ব্যাখ্যা সেও জানে না, কল্পনাতেও আসে না। কেবল এক ধরনের শূণ্যতা, একধরনের স্মৃতি বারেবারে মনের ভিতরে রোমন্থিত হইয়া তাহাকে আড়ষ্ট করিয়া ফেলিতেছে। যেই কোকিলাকে লইয়া এতকিছু, সেই কোকিলা তাহার কিছুই জানে না। সে হয়তো এই গভীর রাতে তাহার প্রিয় স্বামীটির বোগলতলায় মাথাটি ফেলিয়া অবুজ শিশুর মত হা করিয়া বেঘোরে শান্তির ঘুম ঘুমাইতেছে।


সংসারে শুরু হইল অশান্তি। স্বামীর পুরানা প্রেম বনাম স্ত্রীর সন্দেহ। স্ত্রীধন প্রতিদিন প্রতিক্ষণ তাহার পিছনে আঠার মত লাগিয়া আছে। কথায়, আচরণে, খাওয়ায়, পরায়, উঠা-বসায় সন্দেহের বিষাক্ত তীর ছুড়িয়া মারিতেছে, জেরা করিতেছে...। ক্যু বাহির করিবার জন্য অন্ধিসন্ধি করিয়া বেড়াইতেছে মতির স্ত্রী। মতির অবস্থা ত্রাহিমধুসূদন।

সংসার কাননের এই সংবাদটি আর চুপ করিয়া বসিয়া থাকিল না। ইহা অস্বাভাবিক ও বেপরোয়া হইয়া উঠিল এবং উহার মধ্যে অসম্ভব গতি সঞ্চারিত হইল, ঘটনাটি বাতাসের আগে আগে ভিড় ঠেলিয়া, চিপাগলি দিয়া, আঁকিয়া-বাঁকিয়া, আকাশ-পাতাল বাহিয়া এমনভাবে এমন সকল জায়গায় গিয়া প্রবেশ করিল যে, মুখ দেখাইবার আর কোন জায়গা রহিল না। মতি নিঃসঙ্গ হইয়া পড়িল।


গতকাল মতিকে কয়েকবার ফোন দিলাম। ফোন ধরিল না। আজ আবার করিলাম। অনেকক্ষন রিং হইবার পরে তাহার কলেজ পড়ুয়া পুত্রটি ফোন রিসিভ করিল, কথা বেশি সুবিধার মনে হইল না।

ছেলেটি ধমকের সুরে বলিল, কে আপনি? কাকে চান?

বলিলাম, আমি তোমার আব্বুর পুরনো বন্ধু। তাকে একটু দেয়া যাবে?

না দেয়া যাবে না, রাখি।

বললাম, শোনো শোনো বাপু, একটু জরুরী কথা ছিল, একটু দাও তো তোমার আব্বুকে।

সে রাগতঃ স্বরে বলল, যতই জরুরী কথা হোক, আব্বু এখন কিছুতেই কথা বলতে পারবেন না।

কেন, কী এমন সমস্যা? সহানুভূতি দেখিয়ে বললাম আমি।

ছেলেটি বলল, বাসায় বিরাট গণ্ডগোল। আব্বু ধরা পড়ে গেছে।

বললাম, বলো কি, কোথায় ধরা পড়ল?

আম্মু পেটের কথা মুখ দিয়া বার করার জন্য আব্বুকে রিম্যাণ্ডে নিছে।

রিসিভার রাখিয়া দিলাম।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৫

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: গল্পটা সেই ছিল...

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৪

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ইয়েস!
ধন্যবাদ।

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪০

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: প্রাণ খুলে পড়লাম

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০১

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ কাজলদা।

৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২১

রাশেদ সিমান্ত বলেছেন: গল্পটা সি...ইরম হয়েছে।
প্রিয় পাঠক আরো কিছু মজার মজার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন...
Bangla Funny Video রিক্সাওয়ালা

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৪

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: চমৎকার ছিলো...

৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৫

নিলয় নীল বলেছেন: ভাল লাগলো ভাই

৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বড়ই সরেস প্রেম কাহিনী :)

++++++++

৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩০

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: সকলের জন্য অশেষ শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.