নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়াশোনা করি। লেখালেখি করি। চাকরি করি। লেখালেখি করে পেয়েছি ৩টি পুরস্কার। জাতিসংঘের (ইউনিসেফ) মীনা মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড ২০১১ ও ২০১৬ প্রথম পুরস্কার। জাদুর ঘুড়ি ও আকাশ ছোঁয়ার গল্পগ্রন্থের জন্য অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ শিশুসাহিত্য পুরস্কার ২০১৬।

বিএম বরকতউল্লাহ

জানতে চাই।

বিএম বরকতউল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

লেজ

১০ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৩


ওই দেখ্ দেখ্ ভূতের লেজ। পেছন থেকে চুন্নু ছুটে এসে বলল, কই কই?
গালিব বলল, দেখছিস না, ওই যে কদম গাছের মোটা ডোলে কেমন ঝুলছে। রবিন মুখ বাড়িয়ে বলল, ওই যে কালো রশির মতন? হ, তাই তো! আমার ভীষণ ভয় করছে ভাই। আমি গেলাম।
দাঁড়া, লেজসুদ্ধ ভূতটাকে টেনে নিচে নামাব, বলল গালিব। রবিন শুকনা মুখে বলল, এটা কী করে সম্ভব, আমরা এই তিন জনে কি ভূতটার সঙ্গে পারব?
‘পারতেই হবে’ বলল চুন্নু। প্রতিদিন ইশকুলে যাওয়ার সময় ওই ভূতটা গাছের ডালে বসে ভুম ভুম করে আমাদের ভয় দেখায়। এবার ভুম ভুম করার মজা দেখাব।
গালিব বলল, চুপ, চুপ। আগে রেডি হয়ে নিই। ভূতের লেজ ধরলে যাতে ফসকে যেতে না পারে। হাতে বালু নিয়ে নে।
রবিন বলল কী করবি তোরা?
কী করব মানে? লেজ ধরে টেনে ভূতটাকে মাটিতে ফেলব। তারপর পিটিয়ে তক্তা বানিয়ে ওই ডোবার কাদায় পুঁতে ফেলব।
তিন জনেই রাস্তার বালিতে হাত ঘষে নিল। তারপর টিপ টিপ পায়ে হেঁটে কদম গাছের তলে গেল তারা।
কে আগে লেজটা টেনে ধরবে? চোখ চাওয়া চাওয়ি করছে তারা। গালিব ধুম করে ধরে ফেলল লেজটা। অমনি চুন্নু আর রবিন ধরে টান শুরু করল।
যতই টানে ততই লেজ নিচে নেমে আসে। লেজ টানতে টানতে ওরা কাহিল গয়ে গেল। ওদের সামনে লেজের স্তূপ পড়ে গেল। কিন্তু ভূতটা তো পড়ছে না।
রবিন হাঁপাতে হাঁপাতে বলল, ঘটনা কি রে। খালি লেজ নেমে আসে; ভূত কই?
হঠাৎ লেজে টান পড়ল। ভূতটা উপরের ডালে গিয়ে বসল নাকি?
আবার টানতে লাগল। লেজ আর নামছে না।
লেজ টানে লেজ নামে না। গাছ নড়ে। তিন জন ঝুলে পড়ল লেজ ধরে। টানতে টানতে তারা একেবারে শুয়ে পড়ল মাটিতে। ধুপ করে এসে পড়ল মস্ত ভূতটা। একেবারে তিনজনের উপরে। তিন জনই ভূতটাকে ধরতে গেল। যেখানেই ধরে সেখানেই কেমন গল গল করে। গরুর ভূড়ির মতন শরীর। হঠাৎ ভূতটা এমন একটা ভেংচি মারল; মনে হলো বিদ্যুৎ চমকে গেল। চারদিকে অন্ধকার দেখতে লাগল তারা। ভূতটা দৌড়ে পালাচ্ছে। ওরা তিন জনে লেজ ধরে আছে। ভূতটা দৌড়ত লাগল। লেজে টান পড়তেই ভূতটা গোত্তাখেয়ে পড়ে গেল।
গালিব চুন্নু আর রবিন দৌড়ে গিয়ে ঝাপিয়ে পড়ল ভূতের উপর। শুরু হলো কোস্তাকুস্তি। ভূতটা ছুটে পালাতে চায় কিন্তু গালিবরা খাবলে ধরে তাকে মারতে লাগল। ক্লান্ত ভূতটা থুতু আর ফেনা ছুড়ে মারতে লাগল। দেখতে দেখতে থুতু ফেনায় শরীর ভরে গেল। যা ধরে তা-ই পিছলে যায়। এই সুযোগে ভূতটা এক দৌড়ে চলে গেল। তারা লেজটা টেনে ধরল। কিন্তু হাত পা শরীর এতই পিছলা যে লেজটা আর আটকাতে পারে নি। ছের ছের শব্দ করে চলে গেল ভূতটা। ওরা তিন জন বসে বেদম হাঁপাতে লাগল।
রবিন বলল, এখন গায়ের এই ফেনা কী করি। সমানে চুলকাচ্ছে। গালিব আর চুন্নুও চুলকাতে চুলকাতে বলল, অল্পের জন্য ভূতটাকে সাইজ করতে পারলাম না। চল বাড়ি যাই। কীভাবে ভূতকে সাইজ করতে হয় আমাদের জানা হয়ে গেছে; আরেক দিন পেলেই হলো।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষেরও একসময় লেজ ছিলো। কালের বিবর্তনে তা হারিয়ে গেছে।

১১ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৯

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: লেজওয়ালা মানুষের যদি ছবি তুলে রাখতো কেউ দারুন হতো, নাহ্?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.