নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কারো কেউ নই তো আমি , কেউ আমার নয় , কোন নাম নেইকো আমার শোন মহাশয়।।

বাবুরাম সাপুড়ে১

নিভন্ত এই চুল্লিতে মা একটু আগুন দে আরেকটুকাল বেঁচেই থাকি বাঁচার আনন্দে

বাবুরাম সাপুড়ে১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইহুদীরা নাকি "অভিশপ্ত"??

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:২৫

কয়েকদিন আগে এই ব্লগে ইহুদীরা “অভিশপ্ত” ইত্যাদি প্রভৃতি নিয়ে একটা পোস্ট দেখলাম। সেই পোস্ট টি কয়েকশত বার পঠিত , "লাইক" ও রয়েছে কয়েকটা। কমেন্ট সেকশনে এক ব্লগারের উক্তি "ভয়াবহ রকম অবাধ্য এক জাতি ইহুদী " , "বারবার আল্লাহর তরফ থেকে নবী রাসূল পেয়েও তারা সঠিক পথে আসেনি "! যাইহোক, সবাইকার ভাবনা-সোচনা আপনা আপনা।

কয়েক বছর আগে ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ খোমেইনী সমগ্র ইসলামী দুনিয়া কে অনুরোধ করেছিলেন " boycott anything and everything that originates with the Jewish people "

ঐতিহাসিকরা বলেন মানব বিবর্তনের ইতিহাস কয়েক লক্ষ বছর হলেও মানব সভ্যতার ইতিহাস মাত্র কয়েক হাজার বছরের । বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির অগ্রগতি গত কয়েক হাজার বছরে শম্বুক গতিতে হলেও গত মাত্র একশো-সোয়াশো বছরে এই অগ্রগতি লাভ করেছে ,ইংরাজিতে যাকে বলে ,"Quantum Leap ". এরোপ্লেন থেকে কম্পিউটার , জীবনদায়ি ওষুধ থেকে চাঁদে পদার্পণ বা মঙ্গলে রোবট সবই গত এক শতাব্দীর অবদান। একই সাথে উন্নত হয়েছে সাহিত্য ,চলচিত্র এবং সমাজবিজ্ঞানের অন্যান্য শাখা।

বিজ্ঞান ,সাহিত্য ,সমাজবিজ্ঞান ইত্যাদিতে উৎকর্ষের এক বিশ্ব স্বীকৃত মানদন্ড নোবেল পুরস্কার। ১৯০১ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত প্রায় ৮৭৫ জন বিজ্ঞানী ,সাহিত্যিক ,সমাজবিজ্ঞানী এবং পিস এক্টিভিস্ট নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। এঁদের অবদান ছাড়া মানুষ পড়ে থাকতো কয়েক শতাব্দী পিছনে।
মানব সভ্যতার এই উৎকর্ষ সাধনে "অভিশপ্ত "ইহুদী জাতির অবদান দেখুন:
১) ফিজিক্সএ ৫১ টি নোবেল পুরস্কার (ফিজিক্স নোবেলের ২৬%)
২) কেমিস্ট্রি তে ৩৬ টি নোবেল পুরস্কার (কেমিস্ট্রি নোবেলের ২০%)
৩) মেডিসিন বা ফিজিওলজি তে ৫৫ টি নোবেল পুরস্কার (মেডিসিন নোবেলের ২৬%)
৪) অর্থনীতি তে ২৯ টি নোবেল পুরস্কার (অর্থনীতি নোবেলের ৩৮%)
৫) শান্তিতে (পিস) ৯ টি নোবেল পুরস্কার( পিস্ নোবেলের ৯%)
৬) সাহিত্যে ১৪ টি নোবেল পুরস্কার ( সাহিত্য নোবেলের ১৩%)
সারা পৃথিবীতে ইহুদি জনসংখ্যা মাত্র ১.৫ কোটির কিছু বেশী (প্রায় ৭০-৮০ লক্ষ ইসরায়েলে , বাদবাকী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে) ।

ইসরায়েলের এক সাংবাদিক প্রশ্ন তুলেছিলেন ,আয়াতোল্লাহ খোমেইনীর কথা মত সমগ্র মুসলিম দুনিয়া তো দূরের কথা ,শুধুমাত্র ইরান যদি বয়কট করে "anything and everything of Jewish people " তাহলে ইরানের শিশুদের পোলিও টিকা নেওয়া বন্ধ করতে হবে কারণ এটা এক ইহুদী বিজ্ঞানীর আবিস্কার। ইরানের মুসলমানদের সিফিলিস এবং গনোরিয়া রোগ এবং খোমেইনীর হৃদযন্ত্র এবং ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসা হয় ইহুদী বিজ্ঞানীদের আবিস্কার করা ওষুধে।ডিপথেরিয়া থেকে কানের ব্যাথা , ব্রেন ড্যামেজ থেকে মনবিজ্ঞানের চিকিৎসা ,ইনসুলিন থেকে স্ট্রেপ্টোমাইসিন সবকিছুই ইহুদী বিজ্ঞানী দের আবিস্কার। মেডিসিনে ৫৫ টি নোবেল পুরস্কার তারা এমনি এমনি পায়নি।

কর্মসূত্রে আমার দু-বার ইসরায়েল যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল , প্রথমবার ২০০৯ সালে এবং দ্বিতীয় বার ২০১৩ সালে। ইসরায়েল গিয়ে আমি যে জিনিসটায় অবাক হলাম না সেটা হল অর্থনীতি এবং টেকনোলোজি তে এক অসাধারণ উন্নত দেশ , কিন্তু যেটা আমাকে অবাক করলো সেটা হোল দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ১০-১৫% আরব মুসলমান এবং তারা "প্রাউড ইসরায়েলি" .

ভারতে আমার মুসলমান বন্ধুদের প্রায় অনেকেই (সবাই নয়) ইহুদীদের "ঘৃণা" করে। কারণ জিজ্ঞাসা করলে কোন সঠিক উত্তর নেই। তাদের অনেকের মতে এটা নাকি "ঈমানী" দায়িত্ব কারণ ধর্মগ্রন্থে নাকি লেখা আছে আবার কারও মতে -সে সব কিছু না , ইহুদীরা গাজায় "জেনোসাইড" চালাচ্ছে তাই এই ঘৃণা। বাংলাদেশ ,পাকিস্তান সহ বিশ্বের প্রায় কোন মুসলিম প্রধান দেশেরই ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই.

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়া ছাড়া আর যে দেশটি ভারত কে সাহায্য করেছিল সেটি ছিল ইসরায়েল এবং অনেক মুসলিম দেশের আগে ৪ ফেব্রুয়ারী ১৯৭২ সালে ইসরায়েল বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দেয় এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশের তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী খোন্দকার মোশতাক আহমেদ চিঠি দিয়ে ইসরায়েল এর স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যান করেন।

বাংলাদেশের কাছে ইসরায়েল এর স্বীকৃতি তো দূরের কথা , একজন বাংলাদেশী ইসরায়েল ভ্রমণ করতেও পারে না। ২০০৩ সালে বাংলাদেশী সাংবাদিক সালাহ চৌধুরী কে ইসরায়েল ভ্রমণের অপরাধে সাত বছরের জন্য জেলে পাঠানো হয়।যে পাকিস্তান ১৯৭১ এ ৩০ লক্ষ জেনোসাইড করেছিল তার সাথে বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখে কিন্তু ইসরায়েলের সাথে নয় যারা মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছিল এবং স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে একদম প্রথম দিকে ছিল।

ভারতের সাথে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় ১৯৯২ সালে। ভারত স্বাধীন হওয়ার দু-তিন বছর পর বিশ্ববিখ্যাত ইহুদী বিজ্ঞানী আইনস্টাইন নেহেরুকে অনুরোধ করেছিলেন ইসরায়েল এর সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করার , কিন্তু নেহেরু থেকে ইন্দিরা গান্ধী সবারই দ্বিধা ছিল , কারণ এতে নাকি ভারতের মুসলমানদের মধ্যে বিরূপভাব তৈরী হবে এবং মধ্যপ্রাচের আরব দেশগুলির সাথে সম্পর্ক খারাপ হবে। ভারতের অর্থনৈতিক সংস্কারের রূপকার পি ভি নরসীমা রাও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই সব ভন্ডামি তুচ্ছ করে ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। সেই থেকে ইসরায়েল ভারতের এক অকৃত্রিম বন্ধু দেশ। ভারত এবং ইসরায়েলের সম্পর্ক স্থাপনে ইসরায়েলের যতটা না লাভ হয়েছে ,ভারত লাভবান হয়েছে তার কয়েকগুন। বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি ,কৃষিক্ষেত্র , মহাকাশ গবেষণা ,ডিফেন্স টেকনোলজি এবং ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস এ ইসরায়েলি সহায়তা ভারতকে সমৃদ্ধ করেছে এবং করছে।১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে কার্গিল যুদ্ধে ইসরায়েল একমাত্র দেশ যারা ভারতকে অত্যাধুনিক রাডার এবং স্যাটেলাইট দিয়ে সাহায্য করেছিল।

ইসরায়েল ছোট্ট একটি দেশ ,জনসংখ্যা মাত্র ৭০-৮০ লাখ । নিচের ম্যাপ টি দেখুন। মাঝের ছোট্ট লাল অংশটি ইসরায়েল।

১৯৪৮ সালে ইসরায়েল তৈরী হওয়ার সাথে সাথে তাকে একযোগে আক্রমণ করে পাঁচ-পাঁচটি আরবদেশ -ইজিপ্ট ,লেবানন ,সিরিয়া জর্ডন এবং ইরাক। জন্মের বছরেই তার মৃত্যু হওয়ার কথা। কিন্তু শিশু কৃষ্ণের কালিয়া বধের মত ইসরায়েল পর্যুদস্ত করে তার থেকে অনেক বড় আক্রমণকারী দেশগুলোকে।

১৯৬৯ সাল এবং Three NO 's -War of Attrition
"NO peace , NO recognition , NO negotiation -destroy the State of Israel " --৬৩০ গুন্ আয়তনে বড় আরব দেশগুলি রেজোলিউশন পাশ করলো -ইসরাইলের ধংসই একমাত্র কাম্য। ইজিপ্টের ক্যারিশম্যাটিক প্রেসিডেণ্ট Gamel Abdel Nasser রণহুংকার দিয়ে সাথের আরব দেশগুলিকে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লেন ইসরায়েলের ওপরে।
যুদ্ধ স্থায়ী হল মাত্র ছ-দিন। আবার শোচনীয় পরাজয়। ইজিপ্টের বিমানগুলিকে সম্পূর্ণ ভাবে ধংস করে দিল ইসরায়েল। পরাজয়ের গ্লানিতে পরের বছর মাত্র ৫২ বছর বয়সে হৃদরোগে মৃত্যু হয় গামেল আব্দেল নাসেরের।

৬ই অক্টোবর ১৯৭৩। আবার আক্রান্ত ইসরায়েল। দিনটা ছিল "ইয়ম কিপ্পুর " -ইহুদী ক্যালেন্ডারে এক পুন্য দিন। উৎসবের আমেজে মত্ত ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রস্তুত ছিল না একযোগে ১২ টি আরবদেশের হটাত আক্রমনের। ঘুরে দাঁড়াতে তাদের সময় লাগলো দু-তিনদিন। ইতিহাসে এটি "ইয়ম কিপ্পুর" যুদ্ধ নামে বিখ্যাত। যুদ্ধের ফলাফল আপনারাই অনুমান করে নিন।

এর আগের বছর ১৯৭২ সালের মিউনিখ অলিম্পিক চলাকালীন অংশগ্রহণকারী ১১ জন ইসরায়েলি এথলিটদের হত্যা করে ফিলিস্তানি সন্ত্রাসবাদীরা।এদের অস্ত্র , অর্থ এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে সাহায্য করেছিল কয়েকটি আরবদেশ। পরের ১৫ বছর ইসরায়েল পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে লুকিয়ে থাকা এই সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করে এক এক করে হত্যা করে। একজন সন্ত্রাসবাদীও রক্ষা পায় নি।

গাজার জেনোসাইড :
একাধিক আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সাইড এফেক্ট এই গাজার অশান্তি। যেকোন সম্পর্কই খারাপ হয় একে অন্যের প্রতি অবিশ্বাস থেকে। আগেকার PLO এবং এখনকার HAMAS এবং ইসরায়েল কেউ কাউকে জায়গা ছেড়ে দিতে রাজি নয়। ইসরায়েল নিজের বাহুবলে বলীয়ান আর HAMAS কে সাহায্য করে আরব দেশগুলি। HAMAS প্যালেস্টাইনের জনবহুল জায়গা থেকে মিসাইল ছোঁড়ে ইসরায়েল লক্ষ্য করে ,টেকনোলোজি তে বলীয়ান ইসরায়েলের আছে মিসাইল শিল্ড -"Iron Dome". ,তারা প্রতিহত করতে পারে সেই আক্রমণ। উল্টা মার্ দেয় ইসরায়েল। যুদ্ধবিমান দিয়ে বম্বিং করে আসে হামাস অধ্যুষিত জায়গায়। ফলাফল , হাজার হাজার নিরীহ প্যালেস্টাইনবাসীর মৃত্যু যদিও ইসরায়েল রক্ষা করতে সমর্থ হয় তার নিজের দেশের নাগরিকদের।
আরবদের মানসিকতা এখনো সেই "তিন না " এর নির্ভরশীল -"নো পিস ,নো রিকগনিশন ,নো নেগোশিয়েশন - ডেসট্রয় দ্য স্টেট অফ ইসরায়েল " ।
ইসরায়েলের জবাব "....if we were to lay down our arms today ,there will be no Israel tomorrow ". সুতরাং যুদ্ধ চলছে ,চলবে।

ইসরায়েল কি ইহুদীদের দখল করা দেশ ?
প্রায় ৩৩০০ বছর আগে পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন শহর জেরুজালেম এ বাস করতো আজকের ইহুদীদের পূর্ব পুরুষেরা। হিব্রু ভাষী ,একেশ্বর বাদী ইহুদীদের ধর্ম ছিল জুদাইসম (judaism ) , বিশ্বে এটাই প্রথম আব্রাহামিক রিলিজিয়ন , প্রতিবেশী ছিল প্যাগান পূজারী আরবরা। ইসলামের আরবে আসতে তখন অনেক দেরি।প্রায় ২০০০ বছর আগে জেরুজালেম দখল করে রোমানরা। ইহুদীরা বিতাড়িত হয় স্বভূমি থেকে এবং ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। বিভিন্ন সময়ে "ল্যান্ড অফ ইসরায়েল " কে শাসন করে রোমান ,খ্রীষ্টান এবং মুসলমান শাসকরা।জেরুজালেম একই সাথে জুদাইসম ,ক্রিশ্চিয়ানিটি ,ইসলাম ,সামারিটানিজম ,দ্রুজ এবং বাহাই ধর্মের পবিত্র স্থান। পরে এটি দখলে আসে অটোম্যান সাম্রাজ্য এবং ব্রিটিশদের। গত শতাব্দীতে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে এবং চলাকালীন জার্মানীতে হিটলারের হাতে নিহত হয় প্রায় ৬০ লক্ষ ইহুদী ,ইতিহাসে যা "হলোকাস্ট" নামে পরিচিত।
অসংখ্য ইহুদী জার্মানী থেকে পলায়ন করে চলে আসে আমেরিকা এবং ব্রিটেনে ।যুদ্ধে জার্মানীর পরাজয়ের পর আমেরিকা ,ব্রিটেন এবং আরো বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকে ইহুদীরা তৈরী করে আজকের স্টেট অফ ইসরায়েল ,১৯৪৮ সালে। মানে "ফ্রম ল্যান্ড অফ ইসরায়েল" টু "স্টেট অফ ইসরায়েল"- মাঝে সময় কেটে গেছে ৩০০০ বছর বা তারও বেশী সময় ।
কিন্তু এই স্টেট অফ ইসরায়েল তৈরী করলো এক ভীষণ সমস্যা। ইসলামিক আরব দেশগুলির মাঝে এক আন-ইসলামিক jewish স্টেট মেনে নিতে পারে নি কোন আরব দেশই।১৯৪৮ সালেই তারা আক্রমণ করে এই নব গঠিত দেশকে। সেই যুদ্ধের কথা আগেই লিখেছি। সেই যুদ্ধের ট্রাডিশন সমানে চলছে -জোর যার মুলুক তার -মাঝখানে মারা পরে নিরীহ মানুষ ,পৃথিবীর বাস্তবতা এটাই।

যাইহোক কিছুক্ষন আগে কথা হচ্ছিলো এই "অভিশপ্ত" ইহুদী দের অবদান নিয়ে।
বর্তমান পৃথিবীতে প্রায় ১৫০-১৬০ কোটি মুসলমান এবং প্রায় ১০০-১১০ কোটি হিন্দু বাস করে। গত ১০০ বছরে জনসংখ্যা বাড়ানো ছাড়া এই বিশাল জন গোষ্ঠীর অবদান কি ? শিল্পে ,পদার্থ বিজ্ঞানে ,রসায়নে ,মেডিক্যাল সাইন্সএ এবং অর্থনীতিতে এদের অবদান প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। কেউ বর্তমান যুগের পাঁচটা জীবনদায়ী ওষুধের নাম বলতে পারবে না ,যা এরা আবিস্কার করেছে।কজন নোবেল পুরস্কার পেয়েছে হাতের কড়ে আঙ্গুলে গুনে বলে দেওয়া যায়। হিন্দুরা ব্যস্ত ছিল জাতপাত নিয়ে আর মুসলমানরা চিন্তিত কবরে শায়িত মৃত ব্যাক্তির ভবিষ্যত নিয়ে। সেই তালে ইহুদীরা আবিস্কার করে নিয়ে গেলো সবকিছু।
এরপরও অসুস্থ মস্তিষ্ক এর অধিকারী যারা ইহুদীদের "অভিশপ্ত" বলবেন তাদেরকে বলি : আপনারা অসুস্থ হওয়ার পর ডাক্তার ডাকতে যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন তার আবিস্কারক ইসরায়েলের এক ইহুদী ইঞ্জিনিয়ার। তার নামটা আর লিখলাম না ,জানতে নেটে সার্চ করুন। ও হ্যাঁ , সার্চ ইঞ্জিনটাও এক ইহুদী বিজ্ঞানীর আবিস্কার। যে ফেসবুকে নিত্য ইহুদীদের গাল পাড়েন সেই ফেসবুকের আবিস্কর্তা মাত্র ৩০ বছরের এক নাস্তিক ইহুদী যুবক ,তার নাম মার্ক জুকেরবার্গ। তারা “অভিশপ্ত” জাতই বটে !
আমার এই লেখাটি পড়ে যদি কারও অনুভূতি আহত অথবা ধৈর্য্য নিহত হয় তাহলে মাপ করে দ্যান, কি আর করা যায় - সোচনা-সমজ না আপনা আপনা !

বিঃ দ্রঃ : এই পোস্টএর তথ্যগুলি সের্গেই ব্রিন এবং ল্যারি পেজ নামের দুই ইহুদী যুবক দ্বারা আবিস্কার করা Google এ সার্চ করে পাওয়া।

মন্তব্য ৬৪ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৬৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:১৪

বীরেনদ্র বলেছেন: প্রথমে যদি ধর্ম দেখি তাহলে বলতে হয় ইহূদীরা অভিশপ্ত। কিন্তু ধর্মই কি সব কিছু? মনে হয় "না" । বর্তমান সভ্যতাতে সবচে' বেশী অবদান ইহুদীদের। কয়েকটি ভুল দেখতে পাচ্ছি। দ্বিতীয় আরব ইজ্রায়েল যুদ্ধ হয় ১৯৬৭ সালে এবং এটাতে প্রথম ইজরায়েল আক্রমন করে যাকে বলা হয় প্রি এম্পটিভ এটাক। ইজরায়েলের জনসংখ্যা ৭৫ লক্ষ, ৪০-৪৫ লক্ষ নয়। ইজরায়েলের এক প্রধানমন্ত্রী একবার বলেছিলেন " If the Arabs disarm completely I promise them cent percent security, but if we disarm, there will be no more Isarel on the globe". সব কিছুতেই অন্যদের দোষ দিয়ে নিজেরা কিছুই না করার মানসিকতা যতদিন না বদলাবে ততদিন মুসলিম জনসংখ্যা বাড়বে হয়ত ঠিক,কিন্তু তা দিয়ে পৃথিবী জয় করা সম্ভব হবে কিনা তা কে জানে। কি অন্যেদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে কি লাভ? বিষোদ্গার করতে করতে এখন তো পৃথিবীতে দেখছি মুসলিমরা মুসলিমদের বেশী হত্যা করছে।

২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৩

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: প্রথমেই কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ বীরেনদ্র।
প্রথমে যদি ধর্ম দেখি তাহলে বলতে হয় ইহূদীরা অভিশপ্ত।
--কারণটা কি জানতে পারি কি?
দ্বিতীয় আরব ইজ্রায়েল যুদ্ধ হয় ১৯৬৭ সালে.
আসলে ওয়ার অফ attrition চলে ছিল ১৯৬৭-১৯৭০ পর্যন্ত।
ইজরায়েলের জনসংখ্যা ৭৫ লক্ষ, ৪০-৪৫ লক্ষ নয়।
ধন্যবাদ ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য। বর্তমান জনসংখ্যা ৮০ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে।

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ইহুদী/ ইস্রায়েলীদের সম্পর্কে সুন্দের একটি পোস্ট লেখার জন্য। কোন সন্দেহ নেই “ইহুদীরা অভিশপ্ত জাতি”, “ইহুদীদের ঘৃনা করতে হবে”- এই ধারনাটা আমাদের মোল্লা সমাজ আমাদের মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছে। এইটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এর ইতিহাস একটু প্রাচীন- এটার শুরু সম্ভবত ওমাইয়াদ খিলাফতের শেষের দিকে এবং আব্বাসীয় খিলাফতের সময়। এইটা অল্প কথায় ব্যাখ্যা করা সম্ভব না। যদিও কোরআনে ইহুদীদের অভিশাপ দেওয়া হয়েছে, সেটা একটা নিদ্দৃস্ট জেনারেশনকে/ অথবা নিদৃস্ট কিছু সংখ্যক ইহুদীদের। কোরআনে কোথাও ইহুদীদেরকে কোন ইউনিভার্সেল অভিশাপ দেওয়া হয় নাই। এইটা কোনভাবেই সম্ভব না।

এর পরে যে গুলি বলেছেন, তাদের বিজ্ঞান, সাহিত্য, আবিস্কার সেইগুলি আমরা সবাই জানি। এইটাও কোন সমস্যা না। কোন বোধ শক্তি সম্পন্ন মানুষ এই গুলি অস্বীকার করেনা।

আপনি খোমেনীর কথা বলেছেন, তার উদ্বৃতি দিয়েছেন। আমার মতে ইরান হচ্ছে আমেরিকার মতই ইহুদীদের সবচেয়ে বড় বন্ধু। বিশ্বাস করলেন না?

যখন ইহুদীরা ব্যাবিলনে বন্দী ছিল, কারা তাদের কে মুক্তি দিয়েছিল?- পার্সিয়ান

যখন ইথিওপিয়ান খৃস্টানরা ৫২০ সালে ইয়েমেন আক্রমণ করে সেখানের হিমায়রেটি ইহুদীদের হত্যা করছিল, তখন ইহুদীরা কার কাছে সাহায্যের জন্য গিয়েছিল?- পার্সিয়ান।

কারা ইরানে সাফাওয়া শিয়া ডায়নেস্টি (Safawi Shia dynasty) তৈরী করেছিল ঐ অঞ্চলে রাশিয়ার সুবিধার জন্য অস্থিরতা তৈরী করতে?- রাশিয়ার ইহুদীরা।

ইরান বেকড শিয়া মিলিশিয়া –হিযবুল্লাহ, যারা লেবানন এবং সিরিয়াতে অস্থিরতা তৈরী করছে, করা এর দ্বারা উপকৃত হচ্ছে? – ইসরায়েল।

এগুলি সব কো- ইন্সিডেন্স? এইগুলি হচ্ছে ফ্যাক্ট।

ইরানের পতাকার সিম্বল কি? “আল্লাহ” লেখা নাকি ইহুদী “মেনোরা ক্যান্ড্যেল”? নিজেই দেখেন?

আরও শুনতে চান? বাদ দেন, এইগুলি হচ্ছে রাজনীতি, মানুষের ইমোশন নিয়ে খেলা করা, মানুষ কে ধোঁকা দেওয়া। যখন কোন কিছু কুকুরের মত ডাকে, কুকুরের মত লেজ নাড়ায়- আমরা জানি ঐটা কি জিনিশ।

বর্তমান পৃথিবীতে এই ইহুদীদের অবদান কোন ভাবেই অস্বীকার করছিনা, করার কোন কারণও নেই। ধর্ম গ্রন্থে তাদের যেমন কিরকম ফেভার দেওয়া হয়েছিল বলা হয়েছে, তাদের অবাধ্যতার দরুন তাদের কে শাস্তিও দেওয়া হয়েছে। কোথাও তাদের কে ঘৃনা করতে শিখানো হয় নাই। এই সব ইহুদী বিদ্বেষর উৎপত্তি তথাকথিত মোল্লারা।

এইবার আসেন আপনার লেখার হেডিং “ইসরায়েল কি ইহুদীদের দখল করা দেশ ?” এইটা নিয়ে কিছু বলি।

আপনি এইখানে যে ইতিহাস লিখেছেন তা আংশিক সত্য। আপনি শুরু করেছেন রোমানদের সময় থেকে। কেন? তার আগে কি হয়েছিল? তার আগের ১০০০ বছরের ইতিহাস কোথায়? এই ভুমির উপর ইহুদীদের মুল দাবী সলোমনের সময় থেকে। এই পর্যন্ত সলোমনের টেম্পলের কোন অস্তিত্ব অথবা ঐ সময়ে ঐ ভুমিতে কোন ইহুদী বসতির প্রমান আজ প্রায় ৯০ বছর ধরে জেরুজালেম, প্যালেস্টাইনের মাটি খুড়ে কিছু দেখাতে পেরেছে?

আপনাকে একটা প্রশ্ন করি। চিলড্রেন অফ ইসরায়েল আর ইহুদী কি এক জিনিশ? ইসলাম এবং কোরাইশ কি এক জিনিশ? এইটার উত্তর বের করতে পারলে আপনার কাছে অনেক জিনিশ ক্লিয়ার হয়ে যাওয়ার কথা।

দুইটার মধ্যে পার্থক্য কি? বর্তমানে যারা “চিলড্রেন অফ ইসরায়েল” দাবী করে তারা কারা? “খাযারা”- নামক কোন প্রাচীন দেশের নাম শুনেছেন? আরব-খাযারা যুদ্ধের কথা কোন দিন শুনেছেন? একটু গুগল সার্চ দেন, অল্প কিছু ইনফরমেশন পাবেন। তাহলে বুঝবেন, যারা জেরুজালেম নামক জায়গাটা দখল করে আছে তাদের প্রকৃত পরিচয় কি।

আরেকটা কথা, বর্তমান জেরুজালেম বা প্যালেস্টাইন কোনভাবেই ইহুদী এবং মুসলমানদের জন্য কোন রকম ধর্মীয় গুরত্ব বহন করে না।

এরপরও, বর্তমান জেরুজালেম বা প্যালেস্টাইন –এ ইহুদীদের যে কোন দাবীই......
১। ধর্মীয় গ্রন্থ দ্বারা
২। আর্কিওলজিকাল ফ্যাক্ট দ্বারা
৩। ইতিহাস দ্বারা
ধোপে টিকে না, একমাত্র গায়ের জোর ছাড়া। এবং এই জন্য তারা তাই করছে।

ধন্যবাদ।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৩

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: হানিফঢাকা , প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ এতো মূল্যবান কমেন্ট করার জন্য।আপনি এক মনযোগী পাঠক সন্দেহ নেই।

আপনি লিখেছেন -----কোন সন্দেহ নেই “ইহুদীরা অভিশপ্ত জাতি”, “ইহুদীদের ঘৃনা করতে হবে”- এই ধারনাটা আমাদের মোল্লা সমাজ আমাদের মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছে। এইটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।------
আপনি একদম বুলস আই তে তীর মেরেছেন। এটা হাইলাইট করাই আমার পোস্টের উদ্দেশ্য ছিল। আপনি আমার থেকেও সুন্দর ভাবে এটা বর্ণনা করেছেন।

পরে আপনি ইসরায়েল -ইরান এর মিলি জুলি বন্ধুত্ব নিয়ে যা লিখেছেন সেটা আপনার ব্যাক্তিগত ডিডাকশন এনিয়ে আমি তর্কে যেতে চাই না ,যেমন আমি কারো সাথে তর্ক করি না আইসিস ইসরায়েলি মোসাদের তৈরি কিনা। পক্ষে ,বিপক্ষে নানা মত পাবেন।

এখন আসা যাক ইসরায়েল এর ইতিহাস নিয়ে।ল্যান্ড অফ ইসরায়েল সত্যি সত্যি ইহুদীদের ছিল কিনা এনিয়ে বিভিন্ন সমাজ বিজ্ঞানী ,এনথ্রোপোলজিস্ট যাদের একটা বড় অংশই বিখ্যাত সব ইহুদী তাদের মধ্যেই বিস্তর মতভেদ।সুদূর অতীতের কোনকিছুই বোধহয় কনক্লুসিভলি prove করা যায় না। ঘটনা হচ্ছে স্টেট অফ ইসরায়েল একটা রিয়েলিটি এবং সেটা স্বীকার করাই প্যালেস্টাইন ,আরব দেশগুলি এবং ইসরায়েলর পক্ষে মঙ্গল এবং এদের মধ্যে যা কিছু সমস্যা সেটা শান্তিপূর্ণ ভাবে মিটিয়ে নেওয়ার মধ্যেই সব পক্ষের মঙ্গল।

৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ তথ্যপুর্ণ লিখাটির জন্য । অনেক গুরুত্বপুর্ণ তথ্য রয়েছে লিখাটিতে ।
ইসরায়েলী উন্নত কৃষি প্রযুক্তি ভারত , চীন, অস্ট্রেলিয়া ও মার্কিন যুক্তরাস্ট
প্রয়োগ করে তাদের কৃষিক্ষেত্রে প্রভুত উন্নতি করেছে । অামি ব্যক্তিগতভাবে
বাংলাদেশের কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভাইস চ্যানসেলরদের বরাবরে ইমেইল করে
কোন কোন ক্ষেত্রে কৃষিতে ইসরাইলী প্রযুক্তি কিভাবে ব্যাবহার করা যায়
তা জানিয়েছি । এটাও বলেছি যে ইসরাইলের সাথে এখন আমাদের
কুটনৈতিক সম্পর্ক নেই , তা থাকুক সেটা রাজনেতিক ব্যপার , তবে
বন্ধু প্রতিম দেশ যারা কৃষিতে ইজরাইলি প্রযুক্তি ব্যাবহার করছে তাদের
কাছ হতে সহজেই উন্নত কৃষি প্রযুক্তি আহরণ করতে পারবে । তাদের গবেষনা
বিভাগ একটু সচেস্ট হলে এটা সহজে্‌ই সম্ভব ।
শুভেচ্ছা রইল সুন্দর তথ্যপুর্ণ পোস্টটির জন্য ।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৫

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: ধন্যবাদ ডঃ আলী আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য।

৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০১

র‍্যাশ বলেছেন: লেখাটা গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ইসরাঈলী তথা ইহুদীরদের সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা খন্ডন করা হয়েছে। মানব সভ্যতার অগ্রগতিতে ইহুদীদের অবদান অস্বীকার করে চলা মুসলিমদের জন্য এই পোস্ট মারাত্নক ডোজ হিসেবে কাজ করবে। যদিও কিছু বিষয়ে অতি সরলীকরণ করা হয়েছে। কয়েক বছর আগে ইসরাইলী লেখক সলমো স্যান্ডেরর The Invention of the Jewish People বইয়ে ইহুদীদের জেরুজালেম থেকে বিতারনের মিথকে খন্ডন করা হয়েছে। আর যদি তর্কের খাতিরে ধরেই নেই যে প্যালেষ্টাইনের আদি বাসিন্দা ইহুদীরা তবুও ঐ অঞ্চলে মুসলিম প্যালেষ্টাইনীদের উচ্ছেদ করে ইহুদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা অনৈতিক। কোন ভুখন্ড কোন জাতি গোষ্ঠীর জন্য নির্ধারিত নয়। পূর্ব পুরুষ ঐ অঞ্চলের অধিবাসী ছিল এই যুক্তিতে বর্তমান অধিবাসীদের উচ্ছেদ করে ভূমি দখল করাকে দখল দারিত্ব হিসেবেই গণ্য হবে।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: র‍্যাশ প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ এতো মূল্যবান কমেন্ট করার জন্য।হানিফঢাকা কে করা আমার আগের মন্তব্যই আবার রিপিট করলাম :
ল্যান্ড অফ ইসরায়েল সত্যি সত্যি ইহুদীদের ছিল কিনা এনিয়ে বিভিন্ন সমাজ বিজ্ঞানী ,এনথ্রোপোলজিস্ট যাদের একটা বড় অংশই বিখ্যাত সব ইহুদী তাদের মধ্যেই বিস্তর মতভেদ।সুদূর অতীতের কোনকিছুই বোধহয় কনক্লুসিভলি prove করা যায় না। ঘটনা হচ্ছে স্টেট অফ ইসরায়েল একটা রিয়েলিটি এবং সেটা স্বীকার করাই প্যালেস্টাইন ,আরব দেশগুলি এবং ইসরায়েলর পক্ষে মঙ্গল এবং এদের মধ্যে যা কিছু সমস্যা সেটা শান্তিপূর্ণ ভাবে মিটিয়ে নেওয়ার মধ্যেই সব পক্ষের মঙ্গল।

৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: জটিল বিষয়। এত বিশদ জ্ঞান নেই। তবে তাদের ব্যপারে আমেরিকা ছাড়া মনে হয় আর সবাই একমত যে তারা প্যালেস্টাইনে আশ্রয় নিতে এসে পরে সেখানেই দখলদারি কায়েম করে বসে। কে কত হাজার বছর ধরে ছিল সেটা বিবেচ্য নয়। তাদের কেন সেখানে থাকতে বলা হয়েছিল আবার কেনই বা ধীরে ধীরে তারা প্যালেস্টাইনকে দখল করে নিতে চেষ্টা করেছে সব ইতিহাস তো গুগল , উইকিপিডিয়াতেই আছে। প্যালেস্টাইনের আল আকসা মসজিদ তাদের দখলকৃত ভূমিতে। এই মসজিদটাও তো তারা ছেড়ে দেয়নি প্যালেস্টাইনকে...

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ। নিচে হানিফঢাকার কমেন্টএ আমার উত্তর দেখুন।

৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭

নতুন বলেছেন: ইরানের পতাকার সিম্বল কি? “আল্লাহ” লেখা নাকি ইহুদী “মেনোরা ক্যান্ড্যেল”? নিজেই দেখেন?





হানিফ ভাই... মেনোরা ক্যান্ডেলের মতন তো লাগে না।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:০০

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: "হানিফ ভাই... মেনোরা ক্যান্ডেলের মতন তো লাগে না।"
উনি আপনার কমেন্টের উত্তর দিয়েছেন।

৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:২৪

হানিফঢাকা বলেছেন: এখন আসা যাক ইসরায়েল এর ইতিহাস নিয়ে।ল্যান্ড অফ ইসরায়েল সত্যি সত্যি ইহুদীদের ছিল কিনা এনিয়ে বিভিন্ন সমাজ বিজ্ঞানী ,এনথ্রোপোলজিস্ট যাদের একটা বড় অংশই বিখ্যাত সব ইহুদী তাদের মধ্যেই বিস্তর মতভেদ।সুদূর অতীতের কোনকিছুই বোধহয় কনক্লুসিভলি prove করা যায় না। - দুঃখিত আপনার এই কথাটা মানতে পারলাম না। আপনার কি মনে হয় যদি তাঁদের হাতে বিন্দু মাত্র কোন প্রমান থাকত,তারা তা নিয়ে চুপ করে বসে থাকত? এইটা সম্পূর্ণ রাজনীতি। প্রমানের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। গত ৮০-৯০ বছর ধরে এরা তাঁদের দাবির স্বপক্ষে কোন প্রমান দেখাতে পারেনি- এইটা নিয়ে সারা বিশ্ব তাঁদের কিছু বলেছে? কারন একটাই।

এইটার কনক্লুসিভ প্রুফ অনেক আগেই হয়ে আছে। কেউ স্বীকার করছে, কেউ করছে না। নিচের লিঙ্কটা দেখতে পারেন, কিছু ধারনা পেতে পারেন। এখন ইহুদী স্কলাররাও এইটা স্বীকার করতে শুরু করেছে।
প্রমিজড ল্যান্ডের সন্ধানে

ঘটনা হচ্ছে স্টেট অফ ইসরায়েল একটা রিয়েলিটি এবং সেটা স্বীকার করাই প্যালেস্টাইন ,আরব দেশগুলি এবং ইসরায়েলর পক্ষে মঙ্গল এবং এদের মধ্যে যা কিছু সমস্যা সেটা শান্তিপূর্ণ ভাবে মিটিয়ে নেওয়ার মধ্যেই সব পক্ষের মঙ্গল। - হয়ত, হয়তবা না। শান্তিপূর্ণ সমাধান আমরা সবাই চাই, কিন্তু এটা কি সম্ভব? যাদের ভুমি দখল হয়েছে, তারা কি এটা মেনে নিতে পারবে? আপনার দেশ এইভাবে দখল হয়ে গেলে আপনি এইটা মেনে নিতে পারবেন? ধরেন আপনি মেনে নিলেন, তারপরেও কি এইটা দখলদারিত্বের একটা উদাহরণ হয়ে থকবেনা। এর পরে অন্য কোন দেশ যদি একই ভাবে আরেক দেশ দখল করে নেয়, তখন কি বলবেন? তাহলে ইরাক যখন কুয়েত দখল করেছিল, সেটা কি ঠিক ছিল? এইভাবে শক্তি প্রয়োগ কখনোই ভাল কিছু বয়ে আনেনা। ইহুদীদের ইতিহাস , এদের আদি নিবাস নিয়ে আমি প্রচুর পড়ালেখা করেছি। শুধু এতটুকু বলতে চাই তারা কোনভাবেই ইস্রায়েলী না। তারা খযারা এবং ইউরপিয়ান। তাঁদের কোন পুর্ব পুরুষ কোনদিন ঐ ভুমিতে পা রাখনি। ঐ ভুমির উপর তাঁদের কোন লিগাল দাবী নেই।

@নতুনঃ মেনোরা ক্যন্ডেলের মত লাগছে না? ঠিক আছে লাগে না।

ধন্যবাদ।

৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৫৩

মেরিনার বলেছেন: যারা এই আলোচনায় অংশ নিয়েছেন, তাদের সকলকে অনুরোধ করবো নীচের লিংকে দেয়া সাইটটায় একটু সময় কাটাতে:

view this link

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।

১০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৪৩

বীরেনদ্র বলেছেন: Quran (5:51) - "O you who believe! do not take the Jews and the Christians for friends; they are friends of each other; and whoever amongst you takes them for a friend, then surely he is one of them; surely Allah does not guide the unjust people.
The verse clearly says that the Muslims should not befriend the Jews and the Christians. King David first established the State of Isarel about 1000 yr BC. whereas the Muslims occupied Jerusalem only in 637/8 AD. The western wall or the wailing wall is believed to be the remanant of the Temple of Solomon.

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: কোরান সম্পর্কে আমার সেরকম কোন জ্ঞান নেই। আগের কমেন্টএ যেটা হানিফঢাকা লিখেছেন সেটাই কপি পেস্ট করলাম : "--যদিও কোরআনে ইহুদীদের অভিশাপ দেওয়া হয়েছে, সেটা একটা নিদ্দৃস্ট জেনারেশনকে/ অথবা নিদৃস্ট কিছু সংখ্যক ইহুদীদের। কোরআনে কোথাও ইহুদীদেরকে কোন ইউনিভার্সেল অভিশাপ দেওয়া হয় নাই। এইটা কোনভাবেই সম্ভব না।"

ঘটনা হচ্ছে সমস্ত ধর্মগ্রন্থই মানব রচিত,স্ব -বিরোধিতায় ভরা এবং এক একটা লাইন কে বিভিন্ন ভাবে ইন্টারপ্রেট করা যায়।(আমার ব্যাক্তিগত মত ,বিশাসীদের সাথে তর্কে যেতে চাই না ) ঐশী গ্রন্থ হলেও স্ব -বিরোধিতায় ভরা লাইন গুলিকে নাকি তার "কনটেক্সট "এ বিচার করতে হবে। তাই নানা মুনির এবং নানা মোল্লার নানা মত্।

১১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৫০

দুর্গম পথের যাত্রী বলেছেন: ইহুদিদের জন্মই আজন্ম পাপ । পৃথিবীর যেখানেই কোন ষড়যন্ত্র হবে সেখানেই এই জানুয়ার গুলোর হাত থাকবে ।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: কয়েক বছর আগে ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ খোমেইনী সমগ্র ইসলামী দুনিয়া কে অনুরোধ করেছিলেন " boycott anything and everything that originates with the Jewish people "
"এই জানুয়ার গুলোর.. " আবিষ্কার করা সবকিছুই বর্জন করুন না কেন ,মায় গুগল ,মাইক্রোসফট। আবার রিপিট করি "Hypocrisy thy name is..." শুন্যস্থান টা ইহুদীদের আবিষ্কার করা Google সার্চ করে জেনে নিন। ইংরাজীর মানে বুঝতে না পারলেও Google করুন ,আপনার জীবন ইহুদীময় হয়ে যাবে।

১২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:০৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: পোস্টটা নিয়ে চমৎকার আলোচনায় অনেক কিছু জানা হলো।

তবে আমি বিশ্বাস করি, সত্য তার নিজের আলোয় উদ্ভাসিত হবে এবং জয়যুক্ত হবে - হোক তা হাজার বছর পরে।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৩১

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: এটা হানিফঢাকার আগের কমেন্টের উত্তর :
"..এইটার কনক্লুসিভ প্রুফ অনেক আগেই হয়ে আছে। কেউ স্বীকার করছে, কেউ করছে না। "
শুনুন আবার বলছি , যখন ২০০-৩০০ বছরের পুরানো ইতিহাসের কনক্লুসিভ প্রুফ পাওয়া যায় না তো ৩০০০,৫০০০ বা তার পুরানো ইতিহাসের কনক্লুসিভ প্রুফ হয় কি করে। ইতিহাস সাধারণত বিজয়ীরা own করে , তাতে ধর্মের রং লাগে ,ইতিহাসের ঘটনার স্টেকহোল্ডার রা ইতিহাস কে তাদের মতো বর্ণনা করে। এছাড়াও ঐতিহাসিক দের মধ্যে বিতর্ক থাকে ইতিহাসের রেফারেন্স পয়েন্ট নিয়ে।ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে জিন্নাহ ভিলেন ,কিন্তু পাকিস্তানে তিনি "কায়েদ -এ -আজম " . মোহম্মাদ ঘোরী ভারতে একজন মুসলিম invader ,যে হিন্দুদের লুটপাট করেছিল কিন্তু পাকিস্তানে সে মুসলমানদের হিরো, কাফের হিন্দুদের টাইট করেছিল ,ইসলাম spread করেছিল তার নামে মিসাইল বানায় যদিও ঘোরীর আক্রমণের সময় পাকিস্তান ছিল না। কাশ্মীরের ইতিহাস নিয়ে দুজন উচ্চশিক্ষিত কাশ্মীরি হিন্দু পণ্ডিত এবং কাশ্মীরি মুসলমান এর সাথে আলোচনা করুন ,মতবিরোধ ছাড়া কিছু পাবেন না। তারা আলাদা আলাদা রেফারেন্স পয়েন্ট নিয়ে আসবে ।কাশ্মীর নিয়ে ইতিহাস পড়বেন ? প্রশ্ন উঠবে কার লেখা ইতিহাস ?
ইতিহাসে ধর্মের রং লাগার এটা একটা উদাহরণ।এখন কে বিচার করবে জিন্নাহ ভিলেন না "কায়েদ -এ -আজম " ? মাত্র ৬০-৭০ বছরের পুরোনো ইতিহাসের যদি এই "কনফিউসন" ,তাহলে চিন্তা করুন ৩০০০-৫০০০ বা ৭০০০ বছরের পুরানো ইতিহাসের "কনক্লুসিভ প্রুফ" খাবেন না মাথায় লাগাবেন । আসলেই কি জানেন ঐতিহাসিক দের কাছে যেকোন সুদূর অতীতের ইতিহাস বর্ণনা অনেকটা অন্ধের হস্তীদর্শনের মতো। যে যেমন বোঝে ,সে সেই ভাবে লেখে। "এই বিষয় টা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ আছে .."- ইতিহাস বইয়ে এটা একটা কমন লাইন।
...শান্তিপূর্ণ সমাধান আমরা সবাই চাই, কিন্তু এটা কি সম্ভব?
শান্তিপূর্ণ নেগোশিয়েশন ছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে এছাড়া আর কোন উপায় নাই। ১৯৪৮ থেকে ৬৮ বছর ধরে এই সমস্যা চলছে ,শান্তিপূর্ণ নাহলে আরো ৬৮০ বছর চলবে।
"যাদের ভুমি দখল হয়েছে, তারা কি এটা মেনে নিতে পারবে?" ----কার দেশ কে দখল করেছে তার টাইম রেফারেন্স পয়েন্ট কি হবে? ২০০০-৫০০০-১০০০০ বছর ,তার আগে না পরে ---কে ডিসাইড করবে ? ইতিহাসের যে কোন বিবাদের অন্যতম একটা কারণ এই রেফারেন্স পয়েন্ট। শুনুন বিবর্তনের ফলে মানুষ হয়তো অনেকটা সভ্য হয়েছে, ( আমি বিবর্তনে "বিশ্বাস" করি , কেউ হয়তো "বিশ্বাস" করেন তার /তাদের নিজের আল্লাহ ,ভগবান বা গড তাকে টুপ্ করে মানুষ বানিয়ে পৃথিবীতে ড্রপ করে গেছে , আমি এ ব্যাপারে বিরোধে বিশ্বাস করিনা -যার যেমন ইতিহাসে বিশ্বাস করতে ইচ্ছা সে তাই করুক) , মানুষের একটা acquired স্কীল হোলো ( instinct skill নয় ) সমস্যা -বিবাদের শান্তিপূর্ণ সমাধান করা ,এখানে বিবাদমান গোষ্ঠী গুলোকে ফ্লেক্সিবল হতে হয়। যদি গোষ্ঠীগুলো বিবাদ নিয়ে রিজিড হয় তাহলে তারা ফিরে যায় তাদের বেঁচে থাকার basic instinct এ। সেটা কি জানেন ? একদম আদিম animal instinct -সারভাইভাল অফ দা ফিটেস্ট অথবা might is right . এখন প্রশ্ন হলো , এখানে, মানে ইসরায়েল সমস্যায় লিপ্ত বিবাদমান গোষ্ঠী গুলি যেহেতু সমস্যা -বিবাদের শান্তিপূর্ণ সমাধান করা ত্যাগ করে সারভাইভাল অফ দা ফিটেস্ট অথবা might is right এর খেলায় মত্ত -যেমন আরবদের/ফিলিস্তানীদের হুংকার "destroy the State of Israel " অথবা ইসরায়েলের " no question of laydown of arms, fight is on " তখন এই সমস্যার নন -বিবাদমান দেশগুলোর কি করা উচিত ? নিশ্চয় মানবেন এই সমস্যা -বিবাদের শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজতে সাহায্য করা। সমাধান হবে কি না হবে সেটা ভবিষ্যৎ বলে দেবে।
ভূমিদখল করা নিয়ে এই চমৎকার অ্যানিমেশন ভিডিও টা দেখতে আপনাকে এবং পাঠক দেরকে অনুরোধ করছি :
This Land is Mine




১৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "ইসরায়েল কি ইহুদীদের দখল করা দেশ ?
দেখা যাক ইতিহাস কি বলে। প্রায় ৩৩০০ বছর আগে পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন শহর জেরুজালেম এ বাস করতো আজকের ইহুদীদের পূর্ব পুরুষেরা।"

আগে বাস করত এই অযুহাতে যদি কোন দেশ দখল করা যায় তাহলে আমেরিকা রেড ইন্ডিয়ানদের দিয়ে দেয়া হয় না কেন? অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ড কেন স্থানীয় আদিবাসিদের হাতে ছেড়ে দিয়ে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ ও ইউরোনীয়ানরা নিজ দেশে ফিরে যায় না??

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: আমি লিখেছি "দেখা যাক ইতিহাস কি বলে। " ইতিহাস সত্যি বলে না মিথ্যা বলে পোস্টে সেটা নিয়ে কিছু লিখিনি। ইতিহাসের সত্যি মিথ্যা ,রেফারেন্স পয়েন্ট ,কে ডিসাইড করবে কোনটা সত্যি ,কোনটা মিথ্যা এব্যাপারে হানিফঢাকার কমেন্ট এ আমার উত্তর গুলো ভালো করে পড়ুন।

১৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৭

আমি তুমি আমরা বলেছেন: একচোখা লেখা। তিন হাজার বছর আগে ইহুদীরা তাদের মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত হয়েছিল, তাই ১৯৪৮ সালে ইসরাইল প্রতিষ্ঠা আপনি সমর্থন করেন। অথচ যে ফিলিস্তিনীদের ভূমি দখল করে ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করা হল তাদের কোন দূর্ভোগ আপনার লেখায় উঠে এল না।

বললেন ইসরাইল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহায্য করেছে। ঠিক কি কি ধরণের সাহায্য-বলবেন কি?
দয়া করে আবার বলবেন না দুই ইহুদী সার্গেই ব্রিন ও ল্যারি পেজের তৈরী গুগলকে জিজ্ঞাসা করতে। জিজ্ঞাসাটা আপনার কাছে।

আরেকটা কথা। মার্ক জুকারবার্গের কথা বলতে গিয়ে বললেন "ইহুদী নাস্তিক"।যদ্দূর জানি ইহুদীরা একেশ্বরবাদী, তাদের ধর্মে নাস্তিকতার কোন স্থান নেই।তাহলে যে নাস্তিক, সে ইহুদী হয় কি করে? আর ইহুদী হলে নাস্তিক হয় কি করে?

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২২

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: "একচোখা লেখা। " --হা: হা: আপনার অনুভূতি যে আহত এবং ধৈর্য নিহত হয়েছে তা বেশ বোঝা যাচ্ছে। এমনটা যে হতে পারে পোস্টে এব্যাপারে আগেই সতর্ক করেছিলাম। কথা শুনলেন না।

"অথচ যে ফিলিস্তিনীদের ভূমি দখল করে ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করা হল তাদের কোন দূর্ভোগ আপনার লেখায় উঠে এল না।"----প্যালেস্টানীয় দের দুর্ভোগ আমার এই লেখার বিষয় বস্তু ছিলো না। পরে হয়ত কখনো এব্যাপারে লিখতে পারি।

"বললেন ইসরাইল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহায্য করেছে। ঠিক কি কি ধরণের সাহায্য-বলবেন কি?"
আমি লিখেছি ইসরায়েল ভারত কে সাহায্য করেছিল :----১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়া ছাড়া আর যে দেশটি ভারত কে সাহায্য করেছিল সেটি ছিল ইসরায়েল।------- ইসরায়েল ভারত কে ইন্টেলিজেন্স এবং অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে ছিল।

"মার্ক জুকারবার্গের কথা বলতে গিয়ে বললেন "ইহুদী নাস্তিক"।যদ্দূর জানি ইহুদীরা একেশ্বরবাদী, তাদের ধর্মে নাস্তিকতার কোন স্থান নেই।তাহলে যে নাস্তিক, সে ইহুদী হয় কি করে? আর ইহুদী হলে নাস্তিক হয় কি করে?"-----Under Jewish law, a person who is born Jewish or who converts to Judaism is permanently Jewish even if they convert to another faith , become agnostic or atheist ....

১৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২

মহা সমন্বয় বলেছেন: আসলে এগুলো সবই হচ্ছে ইহদী নাসারাদের ষড়যন্ত্র।
তাই ইহুদি নাসারাদের পণ্য বর্জন কইত্তে হপে। X((
ধর্মই যাবতীয় সাম্প্রদায়িকতার উৎস।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২১

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: "ধর্মই যাবতীয় সাম্প্রদায়িকতার উৎস।"
শ কথার এক কথা কইছেন।

১৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২১

শ্রাবণধারা বলেছেন: কোনই সন্দেহ নাই ইয়াহুদীরা অভিশপ্ত । আপনি যে নবেল পুরষ্কার পাবার লিষ্ট দিছেন তাতেই বোঝা যায় এরা অভিশপ্ত । ফিজিক্স, কেমেস্ট্রি, ইকনমিকস, মেডিসিনের মত বিষয়ে সারা জীবন গাধার মত কঠোর পরিশ্রম করে, গবেষণা করে, মৌলিক কিছু আবিষ্কার করে নবেল পাওয়া তো এক অভিশপ্ত জীবনই বটে - এদের সাথে গাধার পার্থক্য কি ?

অথচ দেখেন মধ্যপ্রাচ্যের শেখেরা কি দারুণ বেহেস্তি জীবন যাপন করে - দেশী বিদেশী শ' খানেক বিবি, হাজার দাস-দাসী, বিলাস ব্যাসন তারা কোন কাজ ছাড়াই ভোগ করে । তার উপর মরার পরও তাদের জন্য হূরের বন্দোবস্ত আছে আর ইয়াহুদী বিজ্ঞানীরা আগুনের মধ্যে সিদ্ধ হচ্ছে । তো তাইলে কি প্রমাণ হইলো না যে ইয়াহুদীরা অভিশপ্ত ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৪

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: "অথচ দেখেন মধ্যপ্রাচ্যের শেখেরা কি দারুণ বেহেস্তি জীবন যাপন করে - দেশী বিদেশী শ' খানেক বিবি, হাজার দাস-দাসী, বিলাস ব্যাসন তারা কোন কাজ ছাড়াই ভোগ করে । "
হে :হে : শেখের পোয়ের দোষ কি ? বেহেস্তি জীবন কার না ইচ্ছা করে!

১৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:১৩

হানিফঢাকা বলেছেন: মনে হচ্ছে আলোচনা জমে উঠেছে। আবার আসলাম কমেন্ট করতে। আপনি আমার কমেন্টের যে উত্তর দিয়েছেন সেটা আমি পড়লাম। কিছু জিনিষ ক্লিয়ার করা ভাল।

১। ইহুদী ধর্মাবলম্বী দের সাথে আমার কোন ব্যাক্তিগত বিরোধ নাই। চাকরির সুবাধে বেশ কিছু ইহুদী লোকের সাথে একসময় পরিচয় ছিল, তাঁদের দুই একজনের সাথে এখনো মাঝে মধ্যে কথা হয়।

২। আমার ব্যাক্তিগত আক্রোশ টা আরব এবং ইস্রায়েলী রাজনৈতিকদের বিরুদ্ধে। আমি আবারো বলছি আরব এবং ইসরায়েল একটা রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব- এটাতে দুই পক্ষই মানুষকে তাঁদের পক্ষে টানার জন্য ধর্মীয় ফ্লেভার ব্যাবহার করেছে। ১৯৪৮ সালের আগে আরব জনগোস্টি এবং ইহুদী জনগোস্টিদের সম্পর্ক এনালাইসিস করলেই বুঝবেন।

এইবার আপনার কমেন্টে আসি। আপনি ইতিহাসের কথা বলেছেন- “আসলেই কি জানেন ঐতিহাসিক দের কাছে যেকোন সুদূর অতীতের ইতিহাস বর্ণনা অনেকটা অন্ধের হস্তীদর্শনের মতো”। আমি আপনাকে যে ইতিহাসের কথা বলতে চেয়েছিলাম, সেটা কোন সাব্জেক্টিভ ইতিহাস না। আমি বলতে চাচ্ছি আর্কিওলজিকাল ফ্যাক্ট এর কথা- যা নিঃসন্দেহে প্রমানিত সত্য, যা এখন তারাও স্বীকার করে। এই বিষয়ে তারা চুপ।

দ্বিতীয়ত, কোন ঐতিহাসিকের বর্ণনা দ্বারা এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবার কোন দরকার নেই। তাঁদের ওল্ড টেস্টেমেন্টে কি লেখা আছে সেটা এনালাইসিস করলেই ত হয়। সেই পথেও এরা এগুতে চায়না।

আপনি ইতিহাসের রেফারেন্স পয়েন্টের কথা বলেছেন। জিজ্ঞেস করেছেন, রেফারেন্স পয়েন্ট কে নির্ধারণ করবে? হাস্যকর কথা। কারন ইহুদীরা নিজেরাই ইতিহাসের রেফারেন্স পয়েন্ট নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সেইক্ষেত্রে, অন্য রেফারেন্স পয়েন্ট কেন খুজতে যাব? তারা যা বলেছে, তাতে আমরা রাজী আছি, কিন্তু তাঁদের বলার স্বপক্ষে প্রমান ত দেখাবে নাকি?

যেহেতু আপনি ইতিহাসের রেফারেন্স পয়েন্টের প্রশ্ন তুলেছেন, সেজন্য বলছি, ইহুদীদের রেফারেন্স পয়েন্ট হচ্ছে জশুয়া যখন কেনান আক্রমণ করে দখল করে এবং পরবর্তীতে সেইখানে ডেভিড এবং পরে ডেভিডের পুত্র সলোমনের প্রথম টেম্পল- এই হচ্ছে রেফারেন্স পয়েন্ট।

এই রেফারেন্স পয়েন্ট বিভিন্ন ভাবে খুব সহজেই জিওগ্রাফি, আর্কিওলজিকাল ফ্যাক্ট, ফ্যাকচুয়াল হিস্ট্রি, ওল্ড টেস্টামেন্ট দ্বারা ডিফেন্ড করা যায়। আমি নিজেই সব গুলি দিয়ে অকাট্য ভাবে প্রমান করে দেখাতে পারব। স্কলাররা আরও বেশী পারবে। কিন্তু তারা এই পথে হাটেনা। ইহুদীরা তাঁদের পলিটিশিয়ানদের দ্বারা ব্রেইন ওয়াশড, মুসলমানদের বেলাও এইটা সত্য।

যেহেতু আপনার দাবির পক্ষে কোন অকাট্য প্রমান নেই, সেহেতু আপনি মানুষের ব্রেইন ওয়াশ করেছেন আর শক্তি প্রয়োগ করে আরেকজনের ভুমি দখল করেছেন। দখল করার ৯০ বছরের মধ্যেও আপনার দখলদারিত্বের পক্ষে কোন প্রমান দিতে পারেন নি। যদি “Might is right”- এই নীতি অবলম্বন করেন, তাহলে ঠিক আছে। এইটা যদি কোন দিন আপনার জন্য বুমেরাং হয়ে দ্বারায় সেদিন Might is right”- এই নীতি মানবেন ত?

ইহুদী এবং মুসলমান উভয়েই যেদিন মনে প্রানে বিশ্বাস করবে তারা বনী ইসরায়েল না, এবং মুসলমানরা যেদিন ইহুদী সম্পর্কে তাঁদের মনোভাব পাল্টাতে পারবে, সেইদিন এর প্রকৃত সমাধান সম্ভব। এর একমাত্র অন্তরায় হচ্ছে রাজনীতি।

ইহুদীরা জানে তদের পিঠ দেয়ালে ঠেকা, এই ভুমি থেকে উচ্ছেদ হলে তারা যাবে কোথায়? সেই জন্য তারা এত সঙ্ঘটিত, কমিটেড। তাঁদের মন থেকে দেশ হারানোর ভয় তারাতে হবে, এবং এটা মুসলমানরাই পারে।

ধন্যবাদ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১২

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: @ হানিফঢাকা
আমার বক্তব্য ছিল :
---এখন আসা যাক ইসরায়েল এর ইতিহাস নিয়ে।ল্যান্ড অফ ইসরায়েল সত্যি সত্যি ইহুদীদের ছিল কিনা এনিয়ে বিভিন্ন সমাজ বিজ্ঞানী ,এনথ্রোপোলজিস্ট যাদের একটা বড় অংশই বিখ্যাত সব ইহুদী তাদের মধ্যেই বিস্তর মতভেদ।সুদূর অতীতের কোনকিছুই বোধহয় কনক্লুসিভলি prove করা যায় না।---

আপনি লিখেছিলেন :
“------খাযারা”- নামক কোন প্রাচীন দেশের নাম শুনেছেন? আরব-খাযারা যুদ্ধের কথা কোন দিন শুনেছেন? ----- তাহলে বুঝবেন, যারা জেরুজালেম নামক জায়গাটা দখল করে আছে তাদের প্রকৃত পরিচয় কি----" এবং "---শুধু এতটুকু বলতে চাই তারা কোনভাবেই ইস্রায়েলী না। তারা খযারা এবং ইউরপিয়ান....."

আমার উত্তর: ইহুদিদের এই "খাযারা" ওরিজিন এর প্রোপোনেন্ট বিখ্যাত ইহুদী ইতিহাসবিদ -Prof. Shlomo Sand of Tel Aviv University . তাঁর মতে "....mass conversions to Judaism occurred among the Khazars in the Caucasus, Berbertribes in North Africa, and in the Himyarite Kingdom of the Arabian Peninsula." তাঁর বিখ্যাত বই -The invention of the jewish people. ইউটউব এ এই ভিডিও লেকচার টি দেখতে পারেন ,ইহুদীদের খাযারা অরিজিনের ওপর আপনার কনভিকশন আরো দৃঢ় হবে। https://www.youtube.com/watch?v=TX_xXMsg9BI

এবারে মুক্তমন নিয়ে আরেক বিখ্যাত ইতিহাসবিদ Prof. Shaul Stampfer এর কথা শুনুন। Prof Stampfer is currently a professor of Soviet and East European Jewry at the Hebrew University. "The Myth of the Khazar Conversion- Shaul Stampfer" এই ইউটউব ভিডিও টির লিংক ও দিয়ে দিলাম। খুব সংক্ষেপে তাঁর বক্তব্য : “Such a conversion, even though it’s a wonderful story, never happened,” https://www.youtube.com/watch?v=PYbycYgjnSU

আপনি চাইলে এরকম আরো অনেক ফর এন্ড এগেইনস্ট ন্যারেটিভ /কাউন্টার ন্যারেটিভ দিতে পারি।সময় হলে Richard Elliott Friedman এবং Jeff Tigay নামের আরো দুই প্রথিতযশা ইতিহাস বিদের এই সংক্রান্ত লেখা পড়ুন।
( Richard Elliott Friedman is a biblical scholar and the Ann and Jay Davis Professor of Jewish Studies at the University of Georgia.)

(Jeff Tigay, a 1995 winner of the Lindback Award for distinguished teaching, is Emeritus A.M. Ellis Professor of Hebrew and Semitic Languages and Literatures in the Department of Near Eastern Languages and Civilizations. From 1995-1998 he was Chair of the Jewish Studies Program. He retired in 2010 after teaching at The University of Pennsylvania since 1971.)

সুতরাং হাতে কি রইলো ? আমার বক্তব্যটাকে ---"এখন আসা যাক ইসরায়েল এর ইতিহাস নিয়ে।ল্যান্ড অফ ইসরায়েল সত্যি সত্যি ইহুদীদের ছিল কিনা এনিয়ে বিভিন্ন সমাজ বিজ্ঞানী ,এনথ্রোপোলজিস্ট যাদের একটা বড় অংশই বিখ্যাত সব ইহুদী তাদের মধ্যেই বিস্তর মতভেদ।সুদূর অতীতের কোনকিছুই বোধহয় কনক্লুসিভলি prove করা যায় না " --- এর পরেও কনট্রাডিক্ট করবেন?
এর পরেও আমার উপরোক্ত বক্তব্যের সাথে আপনার মত্ না মিললে lets agree to disagree .

আপনি লিখেছেন :
---- "তাঁদের মন থেকে দেশ হারানোর ভয় তারাতে হবে, এবং এটা মুসলমানরাই পারে"----
Fully agree with you . ইস্রায়েলের এক্সসেসিভ আগ্রাসনের প্রধান কারণ এটাই :দেশ হারানোর ভয়। তারা মনে করে aggression is the best defence .

সুতরাং ইসরায়েল -প্যালেস্টাইন সমস্যার সমাধান ?----" ঘটনা হচ্ছে স্টেট অফ ইসরায়েল একটা রিয়েলিটি এবং সেটা স্বীকার করাই প্যালেস্টাইন ,আরব দেশগুলি এবং ইসরায়েলর পক্ষে মঙ্গল এবং এদের মধ্যে যা কিছু সমস্যা সেটা শান্তিপূর্ণ ভাবে মিটিয়ে নেওয়ার মধ্যেই সব পক্ষের মঙ্গল......"

১৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:১৯

নতুন বলেছেন: ইহুদী সমস্যা ধমীয় না বরং রাজনিতিক সুবিধার জন্যই জিয়িয়ে রেখেছে।...

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৬

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: হুম :

২০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:১২

আশাবাদী অধম বলেছেন: শিক্ষা, চিকিৎসা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ইহুদিদের উৎকর্ষের এ রকম আরো বহু নজির হয়তো দেয়া যাবে। কিন্তু যারা মূলত ধর্মের বিরোধী তাদেরকে এই পোস্টে দেখা যাচ্ছে ইহুদি ধর্মের লোকদের উন্নতিকে মুসলিম এবং হিন্দুদের অনগ্রসরতার বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসেবে পেশ করছেন। তাহলে তো মেনে নিতে হয় যে ইহুদীরা ধর্মের কারণেই এত এত নোবেল প্রাইজ পেয়েছে, ধর্মের কারণেই তারা শিক্ষা, চিকিৎসা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এত অবদান রাখতে পেরেছে। যাহোক এতদিনে তবু একটা ধর্ম পাওয়া গেল যা মানুষকে পিছিয়ে দিচ্ছেনা বরং সভ্যতার উৎকর্ষে সিংহভাগ অবদান রাখছে। সবাইকে দাওয়াত দিচ্ছি, ইহুদি ধর্ম গ্রহণ করুন। শিক্ষা, উন্নয়ন,................নোবেল জয়ের এ মহান অভিযানে আপনিও শরিক হোন।

বিষয়টা পরিষ্কার? পরিষ্কার? ( উত্তরঃ পরিষ্কার)

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩২

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: "সবাইকে দাওয়াত দিচ্ছি, ইহুদি ধর্ম গ্রহণ করুন।"
কি যে বলেন না। হিন্দুরা ইহুদী হলে গরু কার মা হবে ? মুসলমানরা ইহুদী হলে বেহেস্তের অসংখ্য হুর , বিলাস সম্ভোগ সব ফস্কে যাবে। হিন্দু ,মুসলমানদের এতো বড় সর্বনাশ আপনি করবেন না।

২১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৩২

সুলতানা সালমা বলেছেন: ইজ্রাইলিরা বন্ধুত্বের মর্যাদা দিতে জানে না। গাজার নিরিহ মুসলিমদের দেখে সবার ভাল ই শিক্ষা হচ্ছে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: Nobody is denying about who the victim is . Question is what is the solution of the problem .

২২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৩৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বর্তমান পৃথিবীতে প্রায় ১৫০-১৬০ কোটি মুসলমান এবং প্রায় ১০০-১১০ কোটি হিন্দু বাস করে। গত ১০০ বছরে জনসংখ্যা বাড়ানো ছাড়া এই বিশাল জন গোষ্ঠীর অবদান কি ?" তা যা বলেছেন!

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৫

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: " তা যা বলেছেন!"
তা যা লিখেছেন !

২৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৫৭

আশাবাদী অধম বলেছেন: "১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়া ছাড়া আর যে দেশটি ভারত কে সাহায্য করেছিল সেটি ছিল ইসরায়েল"[/si


১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের বাইরে যে ব্যক্তিটি সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশেকে সাহায্য করেছিল সেই ইহুদি হেনরি কিসিঞ্জারকে আপনার লেখায় একবারও স্মরণ করেন নি!
এর তেএব্র পরতিবাদ জানাচ্ছি!
আহারে! লোকটা বড় ভালোমানুষ ছিল!

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৭

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: " লেখায় একবারও স্মরণ করেন নি!"
মাঝে মাঝে স্মৃতি হীনতায় ভুগি।

২৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার উত্তরের জন্য। প্রথমে আমাদের আলচনার একটা সার সংক্ষেপ তুলে ধরছি, তার পর যে বিষয়টা নিয়ে আমাদের দ্বিমত আছে সেটা নিয়ে কিছু বলব।

১। আমরা দুইজনই একমত হয়েছি, ইহুদীরা অভিশপ্ত জাতি- এইটার কোন ধর্মীয় ভিত্তি নাই। এইটা একটা প্রপাগণ্ডা

২। শান্তি পূর্ণ সমাধানের পক্ষে আমরা দুইজনেই একমত। বর্তমান ইসরায়েল রাস্ট্র একটা রিয়েলিটি- এই বিষয়েও একমত। একি সাথে প্যালেস্টাইনের অধিবাসীরাও একটা রিয়েলিটি- এইটাও আমি মনে করি। (আমি জানিনা এই ব্যাপারে আপনি একমত কিনা)

৩। এই রিয়েলিটি স্বীকার করেই একটা শান্তিপূর্ণ সমাধান বের করতে হবে।

আশা করি এই তিনটা পয়েন্টে আমরা মোটামুটি একমত। (দ্বিমত হইলে দয়া করে বলবেন)

এইবার আসি দ্বিমতের ব্যাপারে। আপনি বলেছেন যে “এখন আসা যাক ইসরায়েল এর ইতিহাস নিয়ে।ল্যান্ড অফ ইসরায়েল সত্যি সত্যি ইহুদীদের ছিল কিনা এনিয়ে বিভিন্ন সমাজ বিজ্ঞানী ,এনথ্রোপোলজিস্ট যাদের একটা বড় অংশই বিখ্যাত সব ইহুদী তাদের মধ্যেই বিস্তর মতভেদ।সুদূর অতীতের কোনকিছুই বোধহয় কনক্লুসিভলি prove করা যায় না”

আমার মনে হয়, একটা জিনিশ আপনাকে বুঝাতে পারছিনা- সেটা হচ্ছে বর্তমান ইসরায়েলে যারা বসবাস করছেন তাদের পূর্ব পুরুষ ঐ ভুমিতে কোনদিন ছিল কি না?। এই ব্যাপারে আমি আপনাকে কিছু সুত্র দিয়েছি। সম্ভবত সুত্র গুলি আপনি ধরতে পারেন নি। এইটা অল্প কথায় ব্যাখা করে বোঝানো সম্ভব না, বিস্তারিত লিখতে হলে এটা একটা বই হয়ে যাবে। তারপরেও আপনার চিন্তার খোরাকের জন্য কিছু বলিঃ

প্রথমেই আমরা মাথা থেকে যে কোন প্রি কনভিন্সড আইডিয়া দূর করে দিব।যখন কোন ইতিহাসের বই বা কোন বক্তার কথা শুনব, আমাদেরকে বুঝতে হবে কোনটা ধারনা এবং কোনটা প্রতিষ্ঠিত সত্য। অর্থাৎ, আমাদেরকে ধারনা থেকে ফ্যাক্ট কে পৃথক করতে হবে।

আমি আপনাকে একটা ভাল সুত্র দিয়েছিলাম। সেটা হচ্ছে বনী ইসরায়েল এবং ইহুদী এক জিনিশ কি না। উত্তর হচ্ছে না। বনী ইসরায়েল হচ্ছে একটা ট্রাইব বা গোত্র, আর ইহুদী হচ্ছে একটা বিশ্বাস বা ধর্মীয় বিশ্বাস। সুতরাং সব ইস্রায়লী যেমন ইহুদী না তেমনি সব ইহুদিও ইস্রায়েলী না। বর্তমান জেরজালেমে যারা আছে তারা ইস্রায়েলী না, তারা ইহুদী। আমার পূর্ব পুরুষ কোন এক সময় সনাতন ধর্মাবলম্বী ছিল। এর পর মুসলমান হয়েছে। এখন যেহেতু আমি মুসলমান, সেহেতু আমি কি নিজেকে কোরাইশ বংশের দাবী করতে পারব নাকি আরব ভুমির উপর আমার দাবী প্রতিষ্ঠা করতে পারব? অবশ্যই না। সেই একি লজিকে আমাদের দেখতে হবে, তারা ইহুদী হোক বা যাই হোক, তাদের পুর্ব পুরুষরা ঐ ভুমি থেকে এসেছে কি না। কারন একজন রাশিয়ান অরজিন যদি ইহুদী ধর্ম গ্রহণ করে, তবে সেই একি লজিকে ঐ ভুমির উপর তার কোন দাবী খাটবে না। কারন সে ইহুদী হলেও সে একজন রাশিয়ান। তার এবং তার পুর্ব পুরুষের জন্মভুমি রাশিয়াতে। আশা করি এতটুকু বুঝাতে পেরেছি।এইজন্য আমি খাযারার উদাহরণ টেনেছি। আপনি উইকিপিডিয়া, জুইশ এনসাইক্লোপিডিয়া, এনসাইক্লোপিডিয়া অফ আমেরিকা, এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ব্রিটানিকা- যে কোন জায়গায় এদের সমর্পকে জানতে পারবেন। এদের মানুষ এবং স্ম্রাজ্য সম্পর্কে যে কথা গুলি লেখা আছে সেগুলি তাদের জন্য ভয়ংকর। তারা মুলত তুর্কি ওরিজিন, তারা ইহুদী ধর্মে কনভার্ট হয়েছিল। এই কনভার্টেড ইহুদী যাদের অরজিন তুর্কি এবং রাশিয়াতে, তারা কিভাবে জেরুজালেমের ঐ ভুমির উপর দাবী করে? এইটাও যদি না বুঝেন, তবে তাদের চেহারার দিকে লক্ষ্য করেন। তাদের চেহারা দেখে কি মনে হয় তারা আরব অরজিন? এতটুকু না বুঝলে, সেইটা আমার ব্যার্থতা। এইটার প্রমানের জন্য আপনি কোসলার লিখিত The Thirteenth Tribe (published in 1976) বইটা পড়ে দেখতে পারেন। উনি এই বিষয়টা নিয়ে লিখেছেন, ফলাফল সে মৃত, কেউ জানে না কিভাবে।

তাদের প্রত্যেক নেতার চেহারা লক্ষ্য করুন। তারা পোল্যান্ড, হাঙ্গেরী, রাশিয়ান, জার্মান অরজিন।

ধরেন, এইটাও আপনি মানলেন না। আপনি বললেন এইভাবে প্রমান হয় না। কেন হয় না? বলবেন এতে কনফিউশন আছে। ঠিক আছে, এই নিয়ে বিতর্ক করলে আমিও করতে পারি। আপনি যে লিঙ্ক গুলি দিয়েছেন (ভিডিও গুলি বাদে) তার সাথে আমি কিছুটা পরিচিত। তাদের কথার টোন আমি ধরতে পারি। ঠিক আছে, আরও কনক্রিট প্রমান চান, কোন ব্যাপার না। আরেকটা সুত্র দিচ্ছিঃ

যে কোন শিক্ষিত মানুষকে সে ইহুদী, খৃস্টান, মুসলমান যাই হোক না কেন, তাকে যদি প্রশ্ন করেন “বাইবেলে বর্ণিত কিংডম অফ শেবা” বর্তমান কোথায় অবস্থিত। সবাই বলবে দক্ষিণ আরবে বর্তমান ইয়েমেন। আপনি যে কোন সোর্স ব্যাবহার করেন- ওল্ড টেস্টামেন্ট, ইতিহাস, আর্কিওলজিকাল প্রুফ, জিওগ্রাফী- সবাই বলবে বর্তমান ইয়েমেন। এইটা প্রমানিত সত্য। এইবার জিজ্ঞেস করেন, কিংডম অফ শেবা যদি বর্তমান ইয়েমেনে হয়ে থাকে, তবে সলোমনের রাজ্য (তাদের রেফারেন্স পয়েন্ট) কিভাবে বর্তমান জেরুজালেমে হয়? তাদের নিজেদের ধর্ম গ্রন্থ ওল্ড টেস্টামেন্ট বা ৭ম শতকের দিকে আবিস্কৃত “কেব্রা নাগেস্ট”- ইহা কোনভাবেই সমর্থন করে না। এইটা নিয়ে যদি একটু রিসার্চ করেন তবে তাদের আদি নিবাস পেয়ে যাবেন।

বর্তমান জেরুজালেমর আর্কিওলজিকাল ফ্যাক্ট যা আপনি নিজে হাতে ধরে নিজের চোখে দেখতে পারেন যা তারা গত ৮০-৯০ বছর ধরে চেষ্টা করছে- তা কোনভাবেই তাদের দাবীকে সমর্থন করে না। সেই জন্য বলেছি ধারনা থেকে ফ্যাক্ট কে আলাদা করে দেখলেই বুঝতে পারবেন সত্য কি জিনিষ।

এই পর্যন্ত এখনো কোন মুসলিম সোর্স ব্যাবহার করিনি। কোন আস্যরিয়ান, ব্যাবিলিয়ন, গ্রীক, রোমান- সোর্স ব্যাবহার করিনি। তার মানে এই না এইগুলি আমরা জানিনা। আমাদের এত সোর্স ব্যাবহার করার দরকার নেই। তারা যেইটা বলবে আমরা সেই সোর্সই দেখব, কিন্তু সেই সোর্সের ব্যাকআপে এমন কিছু প্রমান থাকতে হবে যেটা দিয়ে তাদের দাবী প্রমানিত হয়। গত ৯০ বছরে তারা পারেনি, আর ভবিস্যতেও পারবেনা। কারন সত্য হচ্ছেঃ

১। বর্তমান জেরুজালেমে ৫০০-৬০০ বিসি এর আগে কোন গুরুত্ব ছিলনা। এইটা একটা সংলগ্ন এরিয়া ছিল। এর নাম কোনদিন ২০০-৩০০ বিসি (সঠিক টাইম লাইন দেখতে হবে) এর আগে জেরুজালেম ছিলনা
২। ইহুদীরা কোনদিন ইজিপ্টে বন্দি ছিলনা।
৩।সলোমনের স্ম্রাজ্য কোনদিন ঐ খানে ছিলনা।

প্রত্যেকটা পয়েন্ট ধরে ধরে প্রমান করা যাবে। এইটা আপনিও চাইলে পারবেন। কিংডম অফ শেবা দিয়ে শুরু করতে পারেন।

ধন্যবাদ।



০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: "আশা করি এই তিনটা পয়েন্টে আমরা মোটামুটি একমত। "
অবসোলুটলি একমত ,দ্বিমতের প্রশ্নই ওঠে না।

"এইবার আসি দ্বিমতের ব্যাপারে। "
আমার মতে দ্বিমতের কারণ :
১) আপনার বিশ্বাসে /মতে /যুক্তিতে /কনভিকশনে ,যেটাতে আপনি ১০০% সিউর, ল্যান্ড অফ ইসরায়েল আজকের ইসরাইল বসবাসকারী দের ছিলোনা। বর্তমান ইসরায়েল বাসীরা যারা বেশীরভাগই নিজেদের ইহুদী ক্লেম করে, আপনার কথায় "তারা খযারা এবং ইউরপিয়ান."
২) আমার বক্তব্য এ ব্যাপারে ঐতিহাসিক দের মধ্যে মতভেদ আছে। কিছু বিখ্যাত ঐতিহাসিক আপনি যে লাইন অফ আরগুমেন্ট নিয়েছেন সেটা সমর্থন করে আবার উল্টো দিকে equally বিখ্যাত কিছু ঐতিহাসিক আপনার লাইন অফ আরগুমেন্ট সমর্থন করে না।
সুতরাং আপনার আর আমার এই দ্বিমত নিয়ে তর্কের এখানেই ইতি টানছি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
নতুনকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি সঙ্গে থাকার জন্য।

২৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯

হানিফঢাকা বলেছেন: এইখানে তাদের রেফারেন্স গুলি দেখতে পারেন। এইটা অনেক গুলি প্রমানের মধ্যে ছোট একটা অংশ।
http://israelect.com/reference/WillieMartin/Jews_Are_Not_Israelites.htm

২৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০১

নতুন বলেছেন: তাকে যদি প্রশ্ন করেন “বাইবেলে বর্ণিত কিংডম অফ শেবা” বর্তমান কোথায় অবস্থিত। সবাই বলবে দক্ষিণ আরবে বর্তমান ইয়েমেন। আপনি যে কোন সোর্স ব্যাবহার করেন- ওল্ড টেস্টামেন্ট, ইতিহাস, আর্কিওলজিকাল প্রুফ, জিওগ্রাফী- সবাই বলবে বর্তমান ইয়েমেন। এইটা প্রমানিত সত্য।

অনেকে বলে এটা ইথিউপিয়া তে ছিলো... :)

https://en.wikipedia.org/wiki/Sheba

২৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২১

হানিফঢাকা বলেছেন: @নতুনঃ আপনার দেওয়া লিঙ্ক আপনি একটু ভালভাবে পড়ে দেখেন। খালি ইথিওপিয়া শব্দটা দেইখা হুট কইরা লিঙ্ক কপি পেস্ট করে দিয়েন না।

ইথিওপিয়া শেবার অন্তর্ভুক্ত ছিল। শেবার রানী তার শেষ সময়টা সম্ভবত ইথিওপিয়াতে কাটিয়েছেন। দক্ষিণ আরবে শেবার রানীর স্ম্রাজ্য ছিল উহা আপনি গুগল করলেই পাবেন। এর চেয়ে ভাল ইয়েমেনর আর্কিওলজি দেখেন।

ধন্যবাদ।

২৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৫

হানিফঢাকা বলেছেন: @নতুনঃ - আর যদি মনে করেন তার স্ম্রাজ্য শুধুমাত্র ইথিওপিয়াতে ছিল, ইয়েমেন ছিল না (যেইটার কোন ভিত্তি নাই)- তাহলে প্রমান ত আরও শক্তঃ সলোমনের রাজত্ব কখনোই বর্তমান জেরুজালেমে ছিল না।

ধন্যবাদ।

২৯| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯

নতুন বলেছেন: হানিফঢাকা বলেছেন: @নতুনঃ আপনার দেওয়া লিঙ্ক আপনি একটু ভালভাবে পড়ে দেখেন। খালি ইথিওপিয়া শব্দটা দেইখা হুট কইরা লিঙ্ক কপি পেস্ট করে দিয়েন না।

ভাই আমি কিন্তু বলেছি "" অনেকে বলে এটা ইথিউপিয়া তে ছিলো " তার মানে এটা বেশ কয়েক দেশই দাবি করে ..

৩০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: বেশ তথ্যসমৃদ্ধ আলোচনা। অনেক বক্তব্যের সাথেই একমত নই, তবে যুক্তির সাথে আলোচনার এ প্রয়াসের জন্য মূল লেখক এবং মন্তব্যকারী পাঠক হানিফঢাকা কে জানাচ্ছি সাধুবাদ ও শুভেচ্ছা।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৫

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা খায়রুল আহসান ।

৩১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: ইহুদীরা এত এত জ্ঞান ও সম্পদের মালিক হয়েও দুই হাজার বছরে কোন স্বাধীন রাস্ট্র গঠন করতে পারে নি।
শেষ পর্যন্ত আমেরিকা ইউরোপের সহযোগিতায় যে ইসরাইল রাস্ট্র গঠন করেছে তার বয়স এখনও একশ বছর পার হয় নাই।
আমেরিকা ইউরোপের সাহায্য ছাড়া এই রাস্ট্র কয়েক বছরও টিকতে পারত না।
এর পরও যদি ওদেরকে অভিশপ্ত না বলেন তাহলে আর কে অভিশপ্ত?

আরো দেখুন প্রায় পাঁচ হাজার বছরের পুরোন এই ধর্মটির অনুসারী মাত্র কয়জন? এক কোটিও হবে না। অথচ অন্যান্য মৌলিক ধর্মগুলি বিশ্বের শত কোটি মানুষকে নিজেদের অনুসারী বানাতে পেরেছে। সারা বিশ্বের মানুষ ওদেরকে অভিশপ্ত হিসেবে চেনে বলেই এত জ্ঞান ও সম্পদের পরও ওদের ধর্ম কেউ গ্রহন করে না।

আর আজকে বিশ্বব্যাপী ধনী-দরিদ্রের চরম ব্যাবধান, পরিবেশ ধ্বংস এবং অস্রব্যাবসার প্রসার ঘটাতে গিয়ে লক্ষ কোটি মানুষকে যুদ্ধের মাঝে ফেলে ধ্বংস করার মুল কারিগর কি ইহুদীরা নয়? খোদ আমেরিকার রাজনীতি কি তারাই নিয়ন্ত্রন করছে না? এর পরও আপনি যদি তাদেরকে মহান হিসেবে সম্মান জানাতে চান - সেটা আপনার ব্যাপার। কিন্তু বিশ্ববাসির দৃস্টিতে তারা অভিশপ্ত আছে এবং থাকবে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: ----"এর পরও যদি ওদেরকে অভিশপ্ত না বলেন তাহলে আর কে অভিশপ্ত?".....
-----"ওদের ধর্ম কেউ গ্রহন করে না।"-------------
----"কিন্তু বিশ্ববাসির দৃস্টিতে তারা অভিশপ্ত আছে এবং থাকবে।"-------

আপনার চিন্তা -ভাবনা,বিশ্বাস আপনার অধিকার কিন্তু (অন্ধ)বিশ্বাস যত হোক ধারালো যুক্তিটা শান দিও বন্ধু।

৩২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৩

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: ----"এর পরও যদি ওদেরকে অভিশপ্ত না বলেন তাহলে আর কে অভিশপ্ত?".....
-----"ওদের ধর্ম কেউ গ্রহন করে না।"-------------
----"কিন্তু বিশ্ববাসির দৃস্টিতে তারা অভিশপ্ত আছে এবং থাকবে।"-------

আপনার চিন্তা -ভাবনা,বিশ্বাস আপনার অধিকার কিন্তু (অন্ধ)বিশ্বাস যত হোক ধারালো যুক্তিটা শান দিও বন্ধু।

৩৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "ধারালো যুক্তিটা শান দিও বন্ধু"
ভাল বলেছেন, তাহলে আপনার যুক্তিগুলি একটু বলুন শুনি -
১।সেই ঈসা(আ) এর পর গত প্রায় দুই হাজার বছরে তাদের কোন স্বাধীন ভুখন্ড কেন নাই?
২।জ্ঞানে বিজ্ঞানে এত উন্নত, অর্থ সম্পদ ও রাজনৈতিক ক্ষমতায় এত দক্ষ হওয়ার পরও তারা কেন মাত্র এক কোটিতে সীমিত?
৩। তারা যদি এত উন্নতই হবে তাহলে বিশ্বব্যাপী মানুষ কেন তাদের ইহুদী ধর্ম গ্রহন করছে না?

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: -----তাহলে আপনার যুক্তিগুলি একটু বলুন শুনি-----
পোস্ট এবং কমেন্ট গুলো আবার ভালো করে পড়ুন।

৩৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: কমেন্টের বিশাল এবং বিভিন্ন বিষয়ক আলোচনা (বা প্যাচাল) আবার পড়া সম্ভব না হলেও মুল লেখাটা আর একবার দেখলাম। সেখানে এই প্রশ্নগুলির উত্তর নাই(অথবা আমি খুজে পাচ্ছি না!)। যদি সরাসরি সংক্ষেপে উত্তর গুলি দিতেন?

সেই সাথে আর একটা প্রশ্ন। ধরুন একজন ক্রেতা বাজার দরে (দরদাম করে যে দাম ঠিক করা হয়) কোন একটা পণ্য কিনল। তাহলে এই লেনদেন দ্বারা কে উপকৃত হল - ক্রেতা নাকি বিক্রেতা?

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫১

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: ----"জ্ঞানে বিজ্ঞানে এত উন্নত, অর্থ সম্পদ ও রাজনৈতিক ক্ষমতায় এত দক্ষ হওয়ার পরও তারা কেন মাত্র এক কোটিতে সীমিত?"--
--- "তারা যদি এত উন্নতই হবে তাহলে বিশ্বব্যাপী মানুষ কেন তাদের ইহুদী ধর্ম গ্রহন করছে না?"----

ইহুদীরা গাধার মতো পরিশ্রম করে ,২০,৩০,৪০ বছর গবেষণা করে নোবেল পুরস্কার পায়। মড়ার পর আবার জাহান্নামের আগুন। আপনাদের দেখুন কেমন মজা -সারা জীবন তাদের আবিস্কারের সুফল ভোগ করলেন আবার তার পর বেহেস্তের ৭২ হুরী সম্ভোগ ,বিলাসব্যসন কি নেই ? ইহুদিদের আছে এই সব ? কোন গাধা তাদের ধর্ম গ্রহণ করবে ? তাই তারা এক কোটিতেই সীমাবদ্ধ ।

----"সেই সাথে আর একটা প্রশ্ন। ধরুন একজন ক্রেতা বাজার দরে (দরদাম করে যে দাম ঠিক করা হয়) কোন একটা পণ্য কিনল। তাহলে এই লেনদেন দ্বারা কে উপকৃত হল - ক্রেতা নাকি বিক্রেতা?"-----
আমি ভাই আদার ব্যাপারী -----আমার ফিক্সড ক্রেতা --দরদাম করতে হয় না।

৩৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫২

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আচ্ছা আপনিও কি তাহলে সেই গাধার দলে - না কি ইতিমধ্যেই ইহুদী ধর্ম গ্রহন করে ফেলেছেন??

মনে হচ্ছে আপনার ধারনা পৃথিবীর ৭৩০ কোটি মানুষ সব গাধা। তারা ইহুদীদের অতি উন্নত ধর্ম বুঝে নাই, তাই সেই ধর্ম গ্রহন করে নাই। হ্যা এটা ভাবা যেতেই পারে - পাবনার হেমায়েতপুরে একটা প্রতিষ্ঠান আছে যার ক্লায়েন্টরা প্রায় সবাই ভাবে সে সর্বশ্রেষ্ঠ। বাকি সবাই পাগল ছাগল নির্বোধ। আপনিও যদি সেভাবে ভাবতে চান আপত্তি নাই, তবে তাতে বাস্তবতা পাল্টাবে না।

হ্যা ফিক্সড প্রাইসের কথা যেটা বলেছেন সেটাই ইহুদীদের মুল কাজ। তারা যা কিছু আবিষ্কার করেছে তার প্রতিটি থেকে মনোপলি সিস্টেমে (আপনার ফিক্সড প্রাইসে) সারা দুনিয়ার মানুষের পকেট কেটেছে। তার সাথে সুদি কারবারতো আছেই। সেজন্যই সেক্সপিয়ার পর্যন্ত তার নাটকে ইহুদীদের দেখিয়েছে রক্তচোষা সুদখোর হিসেবে - (আবার বলিয়েন না সেক্সপিয়ারও হুরের আসায় এ'সব লিখেছিলেন)।

আমাদের দেশে চোরাকারবারীরা বহু প্রয়োজনীয় জিনিস এমনকি জীবন রক্ষাকারী ওষুধও বিভিন্ন পন্থায় (তাদের আবিষ্কৃত) দেশে আনে। তার দ্বারা অনেকে উপকৃতও হয়। তাই বলে চোরাচালানীদের কেউ মহান বলে মাথায় তুলে রাখে না। ইহুদীদের বেলায়ও সেটাই ঘটেছে। তাদের সকল গবেষণার উদ্যেশ্য হচ্ছে মুনাফা করা, তারা সেটাই করছে। ফিক্সড দামে উচ্চমুল্যে যে সেবা সে বিক্রি করছে তার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকতে হলে, তাদের মহান জাতি হিসেবে সম্মান করতে হলে আমার দেশের চোরাকারবারীদেরও জাতীয় পুরোষ্কারে ভুষিত করে সম্মান জানান উচিত - কি বলেন??

১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন:-----"সেটাই ইহুদীদের মুল কাজ। তারা যা কিছু আবিষ্কার করেছে তার প্রতিটি থেকে মনোপলি সিস্টেমে (আপনার ফিক্সড প্রাইসে) সারা দুনিয়ার মানুষের পকেট কেটেছে।"

তাদের সমস্ত আবিষ্কার বর্জন করুন। একজন সত্যিকারের মোমিনের কাজ কি জানেন না? শুধু এবং শুধুমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা। ব্লগিং করা সব মুনাফেকি কাজ। বেহস্ত যেতে চাইলে এসব বর্জন করুন।

৩৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯

জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন:


হানিফঢাকা ভাইকে সাদুবাদ এমন সুন্দর লেখার জন্য
আর লেখককে স্বাগতম জানাচ্ছি সে যেন নির্লজ্জ পক্ষপাত্বিত্ত আর কখনও না করে।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:১১

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: আপনার জ্ঞান কম আছে কিন্তু জ্ঞানের ক্ষুধা আছে --এটা ভালো।

৩৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:২৬

অ্যালেক্স আমিন বলেছেন: তথ্যবহুল একটা পোষ্ট পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম।

ধন্যবাদ লেখক ভাইকে!!!!

১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:১২

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.