নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কারো কেউ নই তো আমি , কেউ আমার নয় , কোন নাম নেইকো আমার শোন মহাশয়।।

বাবুরাম সাপুড়ে১

নিভন্ত এই চুল্লিতে মা একটু আগুন দে আরেকটুকাল বেঁচেই থাকি বাঁচার আনন্দে

বাবুরাম সাপুড়ে১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটা দেশ-জাতি-সমাজ কি করে উন্নত হয় ??

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০১

বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির অগ্রগতি ছাড়া কোন দেশ ,সমাজ ,জাতি উন্নত হতে পারে না এটা নিশ্চয় সবাই স্বীকার করবেন। তীব্র ধর্ম বিশ্বাস এই উন্নতির প্রতিবন্ধক। বর্তমান দুনিয়ার যেকোন দেশ ,সমাজ ,জাতির ওপর নজর দিন----মধ্যপ্রাচ্য ,ভারতীয় উপমাহাদেশের দেশগুলো ,আফ্রিকা ( বিশ্বের প্রায় ৫০% জনগণ )----- যারা যত বেশি তীব্র ধর্ম বিশ্বাসী তারা তত বেশি বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিতে পিছিয়ে আছে। এই দেশগুলোর প্রায় ৯০% মানুষ শুধু ঈশ্বর /আল্লা /গডএ বিশ্বাস করে তাই নয় ,ধর্মকে তারা মনে করে সম্পুর্ণ জীবন ব্যবস্থা ( মুসলিম দেশগুলোতে এই বিশ্বাস প্রায় ৯৯-১০০%) . গত ৫০০০ বছরে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির যা উন্নতি হয়েছে,গত ১৫০ বছরে হয়েছে তার কয়েকশো গুন। কখনো ভেবেছেন এটা কেন হলো ?? বিজ্ঞানীরা বলেন গত ৫০০০ বছরে মানুষের বেসিক বুদ্ধিমত্তায় কোনো পরিবর্তন আসে নি , তাহলে এই গত ১৫০ বছরে বিজ্ঞান -প্রযুক্তির এই বিস্ফোরক উন্নতির কারণ কি?

ধর্ম নিয়ে সবথেকে বেশী গোঁড়ামি ছিলো ইউরোপীয়ান খৃষ্টানদের। শতশত বছর ধরে তাদের জীবনে চার্চের প্রভাব ছিলো প্রশ্নাতীত। ইউরোপীয়ান রেনেসাঁর(১৪-১৭ শতাব্দী ) পর থেকে তাদের জীবনে ধর্মের প্রভাব কম হতে শুরু করে। রিলিজিওন-ইজম খুব ধীরে ধীরে পরিবর্তন হয় হিউমান-ইজমএ। সেখানকার কিছু কিছু মানুষের উপলব্ধি হতে থাকে ,ধর্ম ব্যক্তিগত বিষয়, এটাকে মানুষের জীবনের সবকিছু পরিচালনা করার প্রয়োজন নেই। ইউরোপীয়ান রেনেসাঁর পরে পরে উন্নত হতে থাকে জিওগ্রাফি , এস্ট্রোনমি , কেমিস্ট্রি , ফিজিক্স , ম্যাথমেটিক্স , ম্যানুফ্যাকচারিং , এনাটমি এবং ইঞ্জিনিয়ারিংএর। আবিষ্কার হয় প্রিন্টিং প্রেস। প্রিন্টিং প্রেসের আবিষ্কার মানব সভ্যতার অগ্রগতিতে এক বিরাট মাইলস্টোন।এর ফলে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিই শুধু নয় , বিভিন্ন বিষয়ের জ্ঞান ছড়িয়ে পরে এক বিরাট সংখক মানুষের মধ্যে। গত ১০০ বছরের বিজ্ঞান -প্রযুক্তির বিস্ফোরক অগ্রগতিকে যদি আমরা এক গগন -চুম্বী অট্টালিকার সাথে তুলনা করি তাহলে রেঁনেসা এবং প্রিন্টিং প্রেস আবিষ্কার তার মজবুত ভিত্তি তৈরী করে ছিল।

বিজ্ঞান এবং ধর্মের মধ্যে বেসিক কন্ট্রাডিকশন

বিজ্ঞান মানুষকে প্রশ্ন করতে শেখায় ,ধর্ম মানুষের প্রশ্ন করাকে ভ্রু -কোঁচকায় , বিশ্বাস করতে শেখায়। বিজ্ঞানে অ্যাবসলিউট ট্রুথ বলে কিছু নেই , ধর্মে ঈশ্বর /আল্লা /গড অ্যাবসলিউট ট্রুথ। প্রশ্ন করা বিজ্ঞানে খুব জরুরি--এটা ছাড়া ইনোভেশন /ইনভেনশন হয় না। বিশ্বাস করা ধর্মে খুব জরুরি , এটা ছাড়া ছওয়াব /নেকী /পুন্য কিছুই লাভ হয় না। বিজ্ঞান জীবিত ব্যক্তির জীবনের মান উন্নয়নের চেষ্টা করে , ধর্ম মৃত ব্যক্তির ভবিষৎ নিয়ে চিন্তা করে। বিজ্ঞানের কোন আবিষ্কারের সুফল হয় সার্বজনীন, নির্দিষ্ট ধর্মের সুফল শুধুমাত্র সেই ধর্মের অনুসারীর।
বিজ্ঞানে আমরা -তোমরা নেই কিন্তু ধর্মে আমরা আমরা এবং তোমরা তোমরা এবং আমাদের আমরা তোমাদের তোমরার থেকে শ্রেষ্ঠ। বিজ্ঞানের আছে যুক্তি এবং ধর্মের আছে বিশ্বাস এন্ড দ্যা টুইন শ্যাল নেভার মিট।

তীব্র ধর্ম বিশ্বাস কেন বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির অন্তরায় ?

বিখ্যাত নিউরো -সাইন্টিস্ট Andrew Newbergএক অবিশ্বাসী বা প্রশ্নকারীর ব্রেন স্ক্যান করেন যখন সে মেডিটেট করছিলো। একই সাথে তিনি ব্রেন স্ক্যান করেন গভীর বিশ্বাসী কিছু বৌদ্ধ মংক এবং খ্রীষ্টান নানের । তিনি দেখলেন অবিশ্বাসী বা প্রশ্নকারীর ব্রেনের সামনের অংশ বা prefrontal cortex যেটা মানুষের এনালিটিক্যাল থিংকিং নিয়ন্ত্রণ করে সেটি বেশি এক্টিভ। বিশ্বাসী মংক এবং নানের ,যখন তারা প্রার্থনা রত , তখন তাদের ব্রেনের posterior superior parietal lobe যেটাকে তিনি Orientation Association Area (OAA --) বলেছেন ,সেটা বাস্তবতা এবং ফান্টাসীর মধ্যে পার্থক্য নিরুপন করতে পারে না, এবং তিনি প্রশ্ন করেছেন Is this what happens to monks who feel a oneness with the universe, or with nuns who feel the presence of God?

তীব্র ধর্ম বিশ্বাস মানুষের এনালিটিক্যাল থিংকিং কে নিরুৎসাহিত করে। কিন্তু এনালিটিক্যাল থিংকিং ছাড়া বিজ্ঞান এগোতে পারে না।

ধর্ম বিশ্বাসের তীব্রতা থেকে যে দেশ, সমাজ ,জাতী ,কালচার যতটা বেশি বেরোতে পেরেছে ,বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে তারা ততোটা এগিয়েছে ,জাতি হিসাবে ইহুদী ,খ্রীষ্টান ,বৌদ্ধ --দেশ হিসাবে ইউরোপ ,আমেরিকা ,জাপান, চীন। মনে রাখবেন এই জাতির বা দেশগুলোর এক বিরাট অংশ ধর্ম পালন করে , নিজ নিজ ঈশ্বরেও বিশ্বাস করে কিন্তু এক বিরাট অংশ ধর্মের যাঁতাকল থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে ,ঈশ্বরে বিশ্বাস করলেও সেটা ব্যক্তিগত মনে করে, ধর্ম তাদের দৈনন্দিন জীবন পরিচালনা করে না , ছোট থেকে এক শিশুকে ধর্মীয় শিক্ষায় পণ্ডিত করে তুলতে চায় না ,আমার ধর্ম জীবনের পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা অথবা আমার ধর্মই শ্রেষ্ঠ ধর্ম , আমার ঈশ্বরই সত্য , তোমার ঈশ্বর অসত্য, আমার উপাসনা পদ্ধতি একমাত্র তাঁর কাছে গ্রহণ যোগ্য ,তোমার উপাসনা পদ্ধতি ফালতু ---এই সব ননসেন্স শিক্ষা দেয় না।

যে দেশ ,জাতি ,ধর্ম ,কালচার তাদের সন্তানদের ক্রিটিকাল থিংকিং তৈরী হতে দেয় না , প্রশ্ন বা যুক্তির থেকে বিশ্বাস করাকে বেশি গুরুত্ব দেয়, তাদের সন্তানরা বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির অগ্রগতিতে কোন অবদান রাখতে পারে না , এইজীবনের উন্নতি সাধনে ব্যর্থ হয়ে পরজন্মের ভবিষ্যত চিন্তায় ব্যস্ত হয়।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



মানুষর জ্ঞানের স্তর এমন যায়গায় ছিল যে, মানুষ চাষবাস করতে জানতো না, শিকার করতো।
সময়ের সাথে মানুষর জ্ঞানের স্তর এমন যায়গায় এসেছিল যে, তাদের সামান্য অংশ লিখতে পড়তে পারতো, রূপকথা বলতে পারতো।
মানুষর জ্ঞানের স্তর এমন যায়গায় এসেছে যে, তারা এটোমিক শক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৮

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: "সময়ের সাথে মানুষর জ্ঞানের স্তর এমন যায়গায় এসেছিল যে, তাদের সামান্য অংশ লিখতে পড়তে পারতো, রূপকথা বলতে পারতো।
মানুষর জ্ঞানের স্তর এমন যায়গায় এসেছে যে, তারা এটোমিক শক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে।"

একদম ঠিক বলেছেন।

২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯

আহা রুবন বলেছেন: কী আবল-তাবল কথা লিখছেন। এত কষ্ট কইরা , চেষ্টা কইরা ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ম্যাথ, ফিলো... নিয়া ঘাটাঘাটির কুনও মানে হয়। তার চেয়ে অরাই এইসব ফালতু বিষয় নিয়া থাকুক শেষে আমরা খালি কমু, ইহা তো আমরা আগেই জানি-- আমাগো ধর্মগ্রন্থে আচে।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: বিজ্ঞান-প্রযুক্তি টা ইহুদী -খ্রিস্টান -নাসারাদের থাকুক , আমাগো ছওয়াব /নেকী /পুন্য --থাকলেই হবে!

৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৬

এম দাস বলেছেন: চমতকার লিখেছেন। এ সম্পর্কীত একটি আছে
আমি লাঞ্ছিত এক সংখ্যালঘু বলছি.......
http://shikkhabarta.com/?p=13073

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩১

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: চমতকার কমেন্ট করেছেন।

৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: সব অপপ্রচার #:-S

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: সবই তো তাঁরই ইচ্ছা !

৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৭

জেন রসি বলেছেন: সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে ধার্মিকরাও ধর্মীয় আইন মেনে চলতে পারেনা। এবং চায়ও না। কারন আধুনিক আর্থ সামাজিক কাঠামোগুলো ধর্মীয় আইন থেকে অনেক উন্নত। প্রয়োগের দিক থেকে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মগুলোর খুব বেশী ভ্যালু এখন নেই। তবে রাজনীতিতে খুব কৌশলে বিশ্বাসকে ডিভাইস হিসাবে কাজে লাগানো হচ্ছে।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: মানুষ শুধু ঈশ্বর বিশ্বাস করলে সমস্যা ছিল না। সমস্যা শুরু হয় বিভিন্ন ধর্মগুরু , মহাপুরুষ , নবী , আগের নবী ,শেষ নবী এই সব আসার পর।
যখন থেকে ধর্ম মানুষের দৈনন্দিন জীবন পরিচালনা করা শুরু করলো , যখন থেকে ধর্মগুরু , মহাপুরুষ , নবী /শেষ নবীরা তাদের অনুসারীদের শেখালো যে বিশ্বাস করো যে আমার ধর্ম জীবনের পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা অথবা আমার ধর্মই শ্রেষ্ঠ ধর্ম , আমার ঈশ্বরই সত্য , তোমার ঈশ্বর অসত্য, আমার উপাসনা পদ্ধতি একমাত্র তাঁর কাছে গ্রহণ যোগ্য ,তোমার উপাসনা পদ্ধতি ফালতু--এই সব নন ননসেন্স শিক্ষা এবং সাধারণ অশিক্ষিত জনগণ এগুলো গ্রহণ করলো , বিশ্বাস করতে শুরু করল , তাদের ক্রিটিকাল থিংকিং এবং লজিকাল রিসনিং এবিলিটি কমতে শুরু করলো।গত ১০০ বছরে যে দেশ /জাতি /ধর্ম এর অনুসারীরা ধর্মের যাঁতাকল থেকে যত বেরিয়ে আসতে পেরেছে তারা বিজ্ঞান -প্রযুক্তিতে উন্নত হয়েছে, তাদের বিশ্বাস কে ,জীবনকে ,দেশকে অন্যরা "ব্যবহার" করতে পারে না কিন্তু ধর্মীয় দেশের অশিক্ষিত জনগণ এবং তাদের বিশ্বাস ডিভাইস হিসাবে ব্যবহার হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.