নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কারো কেউ নই তো আমি , কেউ আমার নয় , কোন নাম নেইকো আমার শোন মহাশয়।।

বাবুরাম সাপুড়ে১

নিভন্ত এই চুল্লিতে মা একটু আগুন দে আরেকটুকাল বেঁচেই থাকি বাঁচার আনন্দে

বাবুরাম সাপুড়ে১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতবর্ষ -গ্রেট ব্রিটেন , পলাশীর প্রান্তর : ইতিহাস বলে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর কান্ডারী হুঁশিয়ার কবিতায় আক্ষেপ করে ছিলেন
-- তব সম্মুখে ঐ পলাশীর প্রান্তর,
বাঙ্গালীর খুনে লাল হ’ল যেথা ক্লাইভের খঞ্জর!
ঐ গঙ্গায় ডুবিয়াছে হায়, ভারতের দিবাকর
উদিবে সে রবি আমাদেরি খুনে রাঙিয়া পুনর্বার।


১৭৫০ সালে বিশ্বের ম্যানুফ্যাকচারিং আউটপুটের ২৪% ভারতবর্ষে উৎপন্ন হত। বিশ্ব বাণিজ্যে ভারতের অংশ ছিল ২৭%।

১৭৫৭ সালে গঙ্গা কিনারে পলাশীর প্রান্তরে দাঁড়িয়ে ক্লাইভের স্বগতোক্তি : মাই গড দিস প্লেস ইস রিচার দ্যান লন্ডন !

ভারত বলতে এখানে স্বাধীনতা পূর্ববর্তী অবিভক্ত ভারতের কথা বলা হচ্ছে।

অতীতের ভারত কখনোই গরীব দেশ ছিল না , গরীব দেশে কেউ সম্পদ লুট করতে আসে না , তা সে বাইরের দেশের মুসলমান ইনভেডাররাই হোক অথবা ইংরেজ /পর্তুগিজ /ফরাসীরা।

২০০ বছর শোষণের পর ১৯৪৭ সালে ভূখা -নাঙ্গা ভারতীয়দের ধর্মের নামে বিভক্ত করে ইংরেজ যখন ভারত ছেড়ে যায় তখন বিশ্ব বাণিজ্যে ভারতের অংশ দাঁড়ায় ২% আর ব্রিটেনের ২৭% ।

তথ্য গুলো বিখ্যাত ইতিহাসবিদ ইয়েল -অধ্যাপক পল কেনেডীর 'The Rise and Fall of the Great Powers' বইয়ে উল্লেখিত আছে।

২০০ বছরের ইংরেজ শাসনের লুট ভারতকে গরীব তৃতীয় বিশ্বের দেশ বানিয়ে ছেড়েছিলো , ব্রিটেন হয়েছিল প্রথম বিশ্বের ধনী দেশ।

২০০ বছরের এই লুটের প্রতিদান দিতেই হয়তো ইংরেজরা সংস্কৃত শব্দ লুঠ অথবা হিন্দি /বাংলা শব্দ লুট কে মর্যাদা দিয়ে Loot হিসাবে অক্সফোর্ড ডিকশনারিতে ইংরাজি শব্দ হিসাবে স্বীকৃতি দেয়।

গত শতাব্দীর চল্লিশের দশকের বাংলার দুর্ভিক্ষে সরকারী হিসাবমতে ৫০ লক্ষ লোক মারা যায় কারণ ব্রিটিশ প্রধান মন্ত্রী চার্চিল নেটিভ ইন্ডিয়ানদের খাবার কেড়ে সেই সম্পদ দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের জন্য খরচ করেছিলেন।
চার্চিল কে যখন লিখিত ভাবে জানানো হয় লক্ষ লক্ষ ভারতীয় দুর্ভিক্ষের কারণে না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে তখন ফাইলের মার্জিনে তাঁর নোটিং ছিল : অর্ধ -উলঙ্গ গান্ধী এখনো মরেনি কেন?
এগুলো রেকর্ডেড ফ্যাক্টস।

কথিত আছে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে সূর্য অস্ত যেতনা ,হয়তো রাতের অন্ধকারে ঈশ্বর পর্যন্ত ব্রিটিশদের বিশ্বাস করতে পারত না।

ডিসেম্বর ২০১৬

১৬ই ডিসেম্বরের ফোর্বস ম্যাগাজিন জানাচ্ছে গত ১৫০ বছরে এই প্রথমবার ভারতের অর্থনীতি (জিডিপি) আকার -আয়তনে গ্রেট -ব্রিটেন কে অতিক্রম করেছে। ইউএস ডলার এর মানদন্ডে ভারতের GDP ২.৩১ ট্রিলিয়ন ডলার , ব্রিটেনের ২.৩০ ট্রিলিয়ন ডলার।

ভারতীয় রুপী এবং ব্রিটিশ পাউন্ডের প্রকৃত ক্রয়ক্ষমতার হিসাবে ভারতের জিডিপি অবশ্য কয়েকবছর আগেই ব্রিটেনকে পিছনে ফেলেছে : পারচেসিং পাওয়ার প্যারিটি অর্থাৎ PPP টার্মস এ ভারতের বর্তমান GDP ৮ ট্রিলিয়ন ডলার --বিশ্বে তৃতীয় ( আমেরিকা এবং চীনের পরে ) এবং ব্রিটেনের ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার , বিশ্বে দশম।

অবশ্য এভারেজ পার-ক্যাপিটা ইনকাম অথবা গড় মাথা -পিছু আয়ের নিরিখে ভারত ব্রিটেন থেকে অনেক অনেক পিছিয়ে আছে। কারণ ভারতের অত্যধিক জনসংখ্যা । অর্থনীতিবিদরা জানাচ্ছেন , দুটো দেশের বর্তমান জিডিপি বৃদ্ধির গতি যদি আরও ৩০-৩২ বছর জারী থাকে তাহলে ভারত মাথা-পিছু আয়ে ব্রিটেনের সমকক্ষ হতে পারবে কারণ এই জিডিপি বৃদ্ধির গতিতে ভারত অনেক এগিয়ে। হয়তো বছরটা হতে পারে ২০৪৭ । ব্যাপারটা হয়তো প্রতীকী --১৭৫৭--১৯৪৭-২০৪৭--ইতিহাসে ১০০/২০০ বছর হয়তো খুব একটা বড় সময় নয়।

রেফারেন্স :
১) An Era of Darkness : The British Empire in India by Shashi Tharoor
২) Inglorious Empire :What the British did to India by Shashi Tharoor
৩) The Rise and Fall of the Great Powers by Paul Kenedy

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ভারত একটি বিশাল রাষ্ট এবং তার জনসংখ্যায় ও বিশাল। সেখানকার কোটি কোটি মানুষ এখনও দারিদ্র সীমার নীচে বাস করে। বিশাল রাষ্ট্রের কোটি কোটি দরিদ্র জনসম্পদ এক করলে বা মোট জিডিপি একত্র করলে বিটেন থেকে বেশী কিছু হলে তেমন চমকিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ কথায় আছে বিন্দু বিন্দু জল.... গড়ে......।

পক্ষান্তরে, ব্রিটেনের আয়তন ভারতের তুলনায় অনেক ছোট। কিন্তু তাদের জনসংখ্যা শিক্ষিত ও উন্নত। একটি জাতিকে শুধু টাকা পয়সা দিয়ে বিচার করলে অপূর্ণ থেকে যাবে।

সাধারণ বিষয় হল, ব্রিটেন এখন কোন রাষ্ট্রের জন্য হুমকি নয় এবং তার পার্শ্ববর্তী দেশের জন্যও নয়। যদিও তারা অতীতে সারা বিশ্বে লুটে পুটে খেয়েছে।

কিন্তু ভারতের ক্রমবর্ধমান উন্নতিতে প্রতিবেশী ছোট ছোট রাষ্ট্রের কপালে ভাঁজ পড়ছে। অতীতের ব্রিটেনের মত এখন ভারতের পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র সমূহ ভারতকে বিশ্বাস করতে পারছেনা।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: "ভারত একটি বিশাল রাষ্ট এবং তার জনসংখ্যায় ও বিশাল। সেখানকার কোটি কোটি মানুষ এখনও দারিদ্র সীমার নীচে বাস করে।"
একদম ঠিক বলেছেন। ভারতের বর্তমান জিডিপি বৃদ্ধির গতি যদি আরো ৩০-৩২ বছর continue করে তাহলে এই গরিবরা উন্নত হতে পারবে।

"পক্ষান্তরে, ব্রিটেনের আয়তন ভারতের তুলনায় অনেক ছোট। কিন্তু তাদের জনসংখ্যা শিক্ষিত ও উন্নত।"
এটা অনেকাংশেই সম্ভব হয়েছে ২০০ বছরের লুটের ফলে।কিন্তু এটাও ঠিক যে কোন দেশ বা জাতির বর্তমান প্রজন্ম তাদের পূর্বপুরুষদের কৃতকর্মের জন্য দায়ী হতে পারে না।

"সাধারণ বিষয় হল, ব্রিটেন এখন কোন রাষ্ট্রের জন্য হুমকি নয় এবং তার পার্শ্ববর্তী দেশের জন্যও নয়। যদিও তারা অতীতে সারা বিশ্বে লুটে পুটে খেয়েছে।"
একদম ঠিক।

"কিন্তু ভারতের ক্রমবর্ধমান উন্নতিতে প্রতিবেশী ছোট ছোট রাষ্ট্রের কপালে ভাঁজ পড়ছে। অতীতের ব্রিটেনের মত এখন ভারতের পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র সমূহ ভারতকে বিশ্বাস করতে পারছেনা।"
এগুলো মনগড়া কথাবার্তা। ইংরেজিতে এটাকে বলে প্রোপাগান্ডা।

২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৬

আহলান বলেছেন: আসলেই আমরা ইতিহাসকে মনে রাখি না .... ভারতের সাথে বূটেনের বর্তমান যে সম্পর্ক ততেে এই ২০০ বছরের শাসন শোষনের ইতিহাস চরম "বিব্রতকর" বলেই মনে হয়।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫০

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: "......ভারতের সাথে বূটেনের বর্তমান যে সম্পর্ক ....."
কোন দেশ বা জাতির বর্তমান প্রজন্ম তাদের পূর্বপুরুষদের কৃতকর্মের জন্য দায়ী হতে পারে না।

৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: "কিন্তু ভারতের ক্রমবর্ধমান উন্নতিতে প্রতিবেশী ছোট ছোট রাষ্ট্রের কপালে ভাঁজ পড়ছে। অতীতের ব্রিটেনের মত এখন ভারতের পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র সমূহ ভারতকে বিশ্বাস করতে পারছেনা।"
এগুলো মনগড়া কথাবার্তা। ইংরেজিতে এটাকে বলে প্রোপাগান্ডা।


বলেন কিরে ভাই............... এইগুলান মনগড়া কথাবার্তা............................................ :`> :`> :-&

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১৫

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: propaganda
prɒpəˈɡandə/
noun
1.
information, especially of a biased or misleading nature, used to promote a political cause or point of view.

৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৪

দরবেশমুসাফির বলেছেন: অক্সফোর্ড ইউনিয়নের বিতর্ক অনুষ্ঠানে এমপি শশী থারুরের বক্তব্য শুনেছেন দেখা যাচ্ছে। আসলেই ভদ্রলোক চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন ঔপনিবেশিক শাসকদের অত্যাচার আর ভণ্ডামি। যারা এখন কথায় কথায় ওয়েস্টার্ন সিভিলাইজেশনের তবলা বাজায় তাদের শশী থারুরের বক্তব্য শোনাটা অবশ্য কর্তব্য।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৩

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: হ্যাঁ ,শশী থারুরের বক্তব্যটি আমি আগে শুনেছিলাম। পল কেনেডীর দু-একটা বই পড়া ছিল। পোষ্টটি এই সবের থেকে তথ্য নিয়ে লেখা। বক্তব্যের শেষদিকে শশী থারুর বলেছিলেন ২০০ বছরের শোষণের প্রতিদানে ব্রিটিশরা ভারতকে আগামী ২০০ বছর ধরে বছরে ১ পাউন্ড করে ক্ষতিপূরণ দিক ! আসলে তিনি যেটা ইঙ্গিত করেছিলেন সেটা হল ব্রিটিশ রা শুধুমাত্র "সরি" বলুক।


৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভলিউম বেশী কিন্তু মাথা পিছু আয় বৃটেনের তুলনায় অনেক অনেক কম আর সেটা সমান হবার চান্স নেই বললেই চলে কারণ আমাদের এসব দেশের সরকারগুলো জনসংখ্যা বৃদ্ধিটাকে কোন গুরুত্বই দেয়া হয় না, ভোটের জন্য! ভলিউমে বৃটেনকে টপকে গেছি ভেবে আনন্দের কিছু নেই মনে হয়। ভারতে ৭৬০০০ কোটি টাকার ঘুষ (টেলিকম- আলমাজি) লেন দেন হয় বৃটেনে হয় না! বৃটেনে প্রায় ১০০ঁ% শিক্ষিত আর ভারতে? ৪৫% হতে পারে। তবু ভারত আমাদের তুলনায় সব দিক দিয়ে বহু বহু উপরে

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: "ভলিউম বেশী কিন্তু মাথা পিছু আয় বৃটেনের তুলনায় অনেক অনেক কম আর সেটা সমান হবার চান্স নেই বললেই চলে কারণ আমাদের এসব দেশের সরকারগুলো জনসংখ্যা বৃদ্ধিটাকে কোন গুরুত্বই দেয়া হয় না, ভোটের জন্য! "

ভারতীয় উপমহাদেশ বহিরাগত আক্রমণ /কলোনাইজেশন এর ফলে দরিদ্র হয়েছে ,দারিদ্র বাড়লে অশিক্ষা -কুশিক্ষার সাথে সাথে ধর্মান্ধতা বাড়ে ,জনসংখ্যা বাড়ে --এটা পরীক্ষিত সত্য। আর জনসংখ্যা বাড়লে available সম্পদের ওপর চাপ পরে ,দুর্নীতি বাড়ে -এটা একটা ভিসিয়াস সার্কেল।

"ভলিউমে বৃটেনকে টপকে গেছি ভেবে আনন্দের কিছু নেই মনে হয়।"

ঠিকই বলেছেন , আমাদের এখনো অনেকপথ হাঁটতে হবে,আনন্দের কিছু নেই--- এই জন্যই পোস্টে আমি লিখেছি : ".....ব্যাপারটা হয়তো প্রতীকী --"

৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৭৫০ সালে ভারতে কি উৎপাদন হতো যে, বিশ্বের ২৪% উৎপাদন হতো? পাথর আর বাৈ?

ইস্ট ইন্ডিয়া কোমপানী ছিল সাধারণ পাবলিক কর্পোরেশন, যা ৫০% বাংগালী আজও বুঝে না।

আপনার ইতিহাস এনালাইসিস সঠিক নয়।

৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭

এই আমি রবীন বলেছেন: "২০০ বছর শোষণের পর ১৯৪৭ সালে ভূখা -নাঙ্গা ভারতীয়দের ধর্মের নামে বিভক্ত করে ইংরেজ যখন ভারত ছেড়ে"
ইংরেজদের ধর্মের নামে বিভক্ত করা’টা কি প্রোপাগান্ডা নয়? আজ যেমন যে কোন দোষ আমরা আম্রিকা/ইহুদি’দের নামে নিশ্চিন্তে ছেড়ে দিতে পারি।
রামু, নাসির নগরে কে বিভেদ সৃষ্টি করেছিল? বৃটিম/আমেরিকা নয়, নিশ্চয়। (অবশ্য ইহুদি অবশ্যই জড়িত, ফেবু দিয়ে।)

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: ইংরেজরা ভারতকে ১৯৪৭ সালেই কেন স্বাধীনতা দিয়েছিলো , এতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কি ভূমিকা ছিল ,আমেরিকা এবং তৎকালীন সোভিএট্ রাশিয়া ফ্যাক্টর গুলো কি রোল প্লে করেছিল ,ধর্মের ভিত্তিতে ভারত ভাগে সত্যিকার অর্থে ধর্মের এবং জিন্নাহর কতটুকু ভূমিকা ছিল কি এবং এতে ব্রিটিশরা কি গেম খেলেছিল ইত্যাদি সম্পর্কে অনেক নতুন তথ্য বেরোচ্ছে অনেক ইনফরমেশন ডিক্লাসিফায়েড হয়েছে।আমাদের অনেক জানা ইতিহাস আবার নতুন ভাবে জানতে হবে।

৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:
১৭৫০ সালে ভারতে কি উৎপাদন হতো যে, বিশ্বের ২৪% উৎপাদন হতো? পাথর আর বাৈ?
ইস্ট ইন্ডিয়া কোমপানী ছিল সাধারণ পাবলিক কর্পোরেশন, যা ৫০% বাংগালী আজও বুঝে না।
আপনার ইতিহাস এনালাইসিস সঠিক নয়।



১৭৫০ সালে ভারতে কী উৎপন্ন হত , বিশ্ব বাণিজ্যে ভারতের অংশ কত ছিল এগুলো জানতে নিচের লিঙ্ক গুলো দেখুন :

India in the World Economy, 1750-20101


INDIAN GDP, 1600-1871: SOME PRELIMINARY ESTIMATES AND A COMPARISON WITH BRITAIN


HOW THE BRITISH RUINED INDIA

৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: ব্রিটেন হয়েছিল প্রথম বিশ্বের ধনী দেশ। ২০০ বছরের এই লুটের প্রতিদান দিতেই হয়তো ইংরেজরা সংস্কৃত শব্দ লুঠ অথবা হিন্দি /বাংলা শব্দ লুট কে মর্যাদা দিয়ে Loot হিসাবে অক্সফোর্ড ডিকশনারিতে ইংরাজি শব্দ হিসাবে স্বীকৃতি দেয়।

১৭৫৭ সালে গঙ্গা কিনারে পলাশীর প্রান্তরে দাঁড়িয়ে ক্লাইভের স্বগতোক্তি : মাই গড দিস প্লেস ইস বেটার দ্যান লন্ডন !


২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: হ্যাঁ ,এগুলো ফ্যাক্টস।

১০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১২

দিমিত্রি বলেছেন: দূর্নীতি বন্ধ করতে পারলে ভারত আরো আগেই ব্রিটেনকে ছাড়িয়ে যেতে পারতো। মোদীর কিছু ষ্টেপ দেখা যাচ্ছে, যদি ষ্টেপগুলো ঠিকমত কাজ করে, তবে ভারত হয়তো আরো এগিয়ে যাবে।

৩০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: দারিদ্রতার সাথে দুর্নীতি অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত --এটা একটা ভিসিয়াস সার্কেল।

১১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫

আখেনাটেন বলেছেন: জনসংখ্যা এক সময় সমস্যা ছিল। তবে একে জনশক্তিতে রূপান্তর করে কীভাবে বিশ্বের বুকে ছড়ি ঘুরানো যায় তা অাস্তে অাস্তে চীন করে দেখাচ্ছে। ভারত দেখাবে অদূর ভবিষ্যতে। বাংলাদেশও যদি শুধু শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে ঢেলে সাজাতে পারত তাহলে বিশ্বের বুকে অর্থনৈতিকভাবে একটি সমীহ জাগানো দেশ হিসেবে বিবেচিত হত।

সামনের দিনগুলোতে চীন ও ভারতের বিশ্ব রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব রাখবে এতে কোন সন্দেহ নেই। এক সময় এই বিশাল জনগোষ্ঠীর দেশগুলোর উপর ছড়ি ঘুরিয়েছিল ব্রিটিশ বুর্জুয়ারা। সেদিন অার বেশি দূরে নয় এই পশ্চিমারা এশিয়াকে তোয়াজ করে চলতে হবে।এর কিছু লক্ষণ এর মধ্যে দেখা যাচ্ছে চীনের ড্যামকেয়ার ভাবের কারণে। বাংলাদেশ এদের পেছনে থাকলেই হল।

৩০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২১

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: "তবে একে জনশক্তিতে রূপান্তর করে কীভাবে বিশ্বের বুকে ছড়ি ঘুরানো যায় তা অাস্তে অাস্তে চীন করে দেখাচ্ছে।"
একদম ঠিক। সমস্ত দেশের উচিত মূর্খ জনশক্তিকে শিক্ষিত জনশক্তিতে পরিবর্তন করা।

১২| ৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:০১

টারজান০০০০৭ বলেছেন: এটাও একটা প্রোপাগান্ডা মনে হইতাছে!

সম্পদ বাড়ার সাথে সাথে সামরিক শক্তিতে বলীয়ান হইলে সুপার পাওয়ার হওয়া যাইতে পারে, তবে যেইদেশে মানুষের চেয়ে গরুর মূল্য বেশি, সেই দেশ সম্পদে , শক্তিতে বলীয়ান হইলেও সভ্য হইতে পারিবে না !কথায় আছে 'অঙ্গার শতধৌতেন মলিনাঞ্চ ন মুচ্যতে' , কয়লা শত ধুইলেও ময়লা যাইবে না ! কুকুর-পুচ্ছ দ্বাদশ বর্ষ নলের ভিতর রাখিয়া দিলে নল বক্র হইয়া যাইতে পারে, কিন্তু পুচ্ছ কদাপি সরল হইবে না।”
ভারত মহান ছিল কোনসব শাসকের আমলে তাহা স্মরণযোগ্য। এখনকার শাসকেরা ভারতকে সম্পদে শক্তিতে হয়তো উপরে উঠাইবে, তবে সভ্যতায়, মানবতায় গোশালা বানাইবে !
ব্রিটিশরা এক হারামি ছিল , আরেক হারামীদের হাতে ক্ষমতা দিয়া গেছে !

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:২২

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: আপনি এর -তার ইয়ে ফালানো বন্ধ করে বেশ তো কমেন্ট করছেন.....!

১৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫

টারজান০০০০৭ বলেছেন: সবার ইয়ে ফালানো শেষ ! তাই ভালো কমেন্ট বাড়াইতেছে ! :D =p~

২৬ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:১৬

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: হেদায়েত প্রাপ্ত হয়েছেন ?

১৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৩৮

টারজান০০০০৭ বলেছেন: হেদায়েত পাওয়ার চেষ্টা করিতেছি !

১৬ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: ভালো। এবাদতে একদম ফাঁকি হয় না যেন !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.