নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কারো কেউ নই তো আমি , কেউ আমার নয় , কোন নাম নেইকো আমার শোন মহাশয়।।

বাবুরাম সাপুড়ে১

নিভন্ত এই চুল্লিতে মা একটু আগুন দে আরেকটুকাল বেঁচেই থাকি বাঁচার আনন্দে

বাবুরাম সাপুড়ে১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চীনের টাইমবম্ব টিক টিক করছে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১১


ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে চীন বেশ উদ্বেলিত। ট্রাম্প লোকটা প্রোটেকশনিস্ট ,আমেরিকায় ইমপোর্ট কমিয়ে দেশেই উৎপাদন বাড়াতে চায় ,আমেরিকান জন্য জব ক্রিয়েট করতে চায় --বক বক করার সাথে সাথে ইত্যাদি প্রভৃতি আরো অনেক কিছু করতে চায়। এখন আমেরিকায় সবথেকে বেশী এক্সপোর্ট করে চীন। চীনের অর্থনীতির এক বিরাট অংশ দাঁড়িয়ে আছে এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড ইন্ডাস্ট্রির ওপর ,কয়েক কোটি চাইনিজ এই এক্সপোর্ট এই সেক্টরে কাজ করে। চীনের অন্য বৃহত্তম এক্সপোর্ট মার্কেট গুলো হলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন , মিডল ইস্ট ,জাপান এবং ভারত।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর দেশগুলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ঠান্ডা ,গ্রোথ সেরকম নেই। তেলের দাম কমে যাওয়ায় মিডল ইস্ট এর রমরমা অনেক কমে গেছে। চীন ঝগড়া করছে জাপান ,ভিয়েতনাম ,ফিলিপাইনস এবং আরো অনেক দেশের সাথে সাউথ চায়না সমুদ্র নিয়ে। নরেন্দ্র মোদী আসার পর ভারত তার ম্যানুফ্যাকচারিং বেস শক্ত করার চেষ্টা করছে। চীন তাহলে ট্রিলিয়নস অফ ডলার এর উৎপাদিত পণ্য রপ্তানী করবে কোন দেশে? মানে যদি আগের থেকে ২০-২৫% কম রপ্তানীও হয় সেটা চীনের অর্থনীতিতে এক বিরাট ধাক্কা দেবে--জব লস হবে এবং আনুষঙ্গিক অনেক সমস্যা দেখা দেবে।
কিন্তু চীনের প্রধান সমস্যা এটা নয়। তাদের টাইমবম্ব টিক টিক করছে অন্য জায়গায়। মরগ্যান স্ট্যানলির এক সম্প্রতি রিসার্চ রিপোর্ট জানাচ্ছে গত ১৫-২০ বছরে চীন এক ভয়ংকর ঋণগ্রস্ত দেশে পরিণত হয়েছে। কোন দেশ ঋণ গ্রহণ করে দুই স্তরে --সরকারী (দেশের সরকার এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত বানিজ্য সংস্থা গুলি ) এবং বেসরকারি সংস্থা গুলি। এখন ঋণ নেওয়া বিদেশ থেকে হতে পারে অথবা দেশের জনগণের থেকে। যার থেকেই নেয়া হোক না কেন সেটাকে সুদ সহ পরিশোধ করতে হয়।
ঋণ অভ্যন্তরীন হোক অথবা বিদেশ থেকে ,সরকারী হোক অথবা বেসরকারী --সেটাকে সুদ সহ পরিশোধ করতে হয়। চীনের ক্ষেত্রে এই অভ্যন্তরীন ঋণ এক ভয়ংকর জায়গায় পৌছে গেছে। একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। অর্থনীতিবিদরা একটি দেশ কতটা ঋণগ্রস্থ এটা পরিমাপ করতে একটা অনুপাত বা রেশিও ব্যবহার করেন -সেটা হচ্ছে প্রতি ডলার জিডিপি তৈরী করতে কত ডলার debt বা ঋণ ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০০৮ সালে অত্যধিক ঋণগ্রস্থ আমেরিকান অর্থনীতি যখন সাব -প্রাইম ক্রাইসিস এর কারণে আমেরিকা সহ সারা বিশ্ব কে নিয়ে অর্থনৈতিক মন্দায় পড়ে তখন সেখানে প্রতি ডলার জিডিপি তৈরী করতে ঋণ ব্যবহার হতো ৩ ডলার। এটা একটা ভয়ংকর অনুপাত --৩ ডলার ঋণ তৈরী করছে মাত্র ১ ডলার জিডিপি। এটা sustainable নয় । বিশ্বের অধিকাংশ বড় অর্থনীতির দেশগুলোর ক্ষেত্রে এই অনুপাত ১:১ অর্থাৎ প্রতি এক ডলার জিডিপি তৈরী করতে ঋণ ব্যবহার হয় এক ডলার। ইউরোপের কিছু দেশে এই অনুপাত ১: ১.৫--এই পর্যন্ত অনুপাত ঠিক আছে --এটা ম্যানেজ করা যায়। ঋণ -জিডিপি অনুপাত যদি ২ বা তার বেশি হয় তাহলে সেটা ডেঞ্জার জোন , মানে নদী বিপদ সীমার ওপর দিয়ে বইছে। ২০১৬ সালের শেষে চীনের ক্ষেত্রে এই অনুপাত পৌঁছেছে ৪.৫ এ। অর্থাৎ চীনের এখন প্রতি ডলার জিডিপি তৈরী করতে ঋণ লাগছে ৪.৫ ডলার। এটা এক ভয়ংকর অবস্থা। চীনের বর্তমান নমিনাল জিডিপি প্রায় ১২ ট্রিলিয়ন ডলার --এখন গণনা করে নিন তার ঋণ কত --১২ ট্রিলিয়ন ডলারের ৪.৫ গুন। আজ পর্যন্ত পৃথিবীর কোন দেশ এই বিশাল পরিমান ঋণ নিয়ে সারভাইভ করে নি --না আমেরিকা না ইউরোপের কোন দেশ। চীন কি পারবে? বিশ্বের জন্য এটা একটা বিরাট ইভেন্ট রিস্ক।

অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন এটা চীনের সমস্যা অন্যদের কি? ঘটনা হচ্ছে পৃথিবীর দেশগুলো এখন ইন্টার -ডিপেন্ডেন্ট। ২০০৮ সালে আমেরিকান সাব -প্রাইম ক্রাইসিস এর সময় আমেরিকার সাথে সাথে বিশ্বের বাকী দেশগুলোর কী হাল হয়েছিল সবাই দেখেছেন। মাত্র কয়েক বছর আগে অত্যধিক ঋণের কারণে গ্রীসের মত ছোট্ট দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা পুরো বিশ্বের অর্থনীতিকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলো। চীন এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। চীনের অর্থনীতির পতন হওয়া জঙ্গলে মহীরুহের পতনের মতো হবে। জঙ্গলে বিশাল মহীরুহ যখন ভূপতিত হয় তখন তার আশেপাশের গাছেরা রক্ষা পায় না।

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২২

ভাবুক কবি বলেছেন: কথাগুলো জানা ছিলনা, খুবই গুরত্ববহ পোস্ট।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: পড়েছেন ,কমেন্ট করেছেন ,অনেক ধন্যবাদ।

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২৮

ভাবুক কবি বলেছেন: আমার জগতে স্বাগতম।

আমি নতুন বলেই এই আহবান।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: চিন্তা নেই --দিন যেতে থাকবে এবং অভিজ্ঞ ও পুরোনো হতে থাকবেন।

৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০

সুপ্ত শিপন বলেছেন: ++++

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৮

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমেরিকান বাজার সংকুচিত হলে, ও ঋণের কারণে চীন গ্রীসের মত সংকটে যাবে না; কারণ, চীনে নাগরিক সুবিধা গ্রীকের পর্যায়ে নেই, ওরা জীবন ধরণের মান নীচে নামিয়ে আনতে পারবে, কেহ প্রতিবাদ করবে না; চীনের ইনফ্রাস্ট্রাকচার গড়া হয়ে গেছে, চা'য়ের দোকানে আড্ডা না মেরে বাড়ীতে চা বানিয়ে খাবে।

৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমেরিকান বাজার সংকুচিত হলে, ও ঋণের কারণে চীন গ্রীসের মত সংকটে যাবে না; কারণ, চীনে নাগরিক সুবিধা গ্রীকের পর্যায়ে নেই, ওরা জীবন ধরণের মান নীচে নামিয়ে আনতে পারবে, কেহ প্রতিবাদ করবে না; চীনের ইনফ্রাস্ট্রাকচার গড়া হয়ে গেছে, চা'য়ের দোকানে আড্ডা না মেরে বাড়ীতে চা বানিয়ে খাবে।

৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মরগান স্ট্যানলির রিসার্চের ব্যাপারে আমার সন্দেহ আছে। চীনের অর্থনীতি মোটেই এতটা ভঙ্গুর নয়। খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের কাছে তিন ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ করে বসে আছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহু দেশ যাদের কাছে থেকে ঋণ নিচ্ছে, তারা এভাবে দেউলিয়া হতেই পারে না।
বলা হয়, আপনি কত কম টাকায় একটা মোবাইল ফোন কিনতে চান? চীন ঠিক তত টাকাতেই মোবাইল ফোন বানিয়ে দেবে আর তার থেকেও মুনাফা করবে। বিশ্বে এমন কোন পন্য নেই, যা চীন বানাতে পারে না আর তা' থেকে মুনাফা করতে পারে না। ওদের মেধাকে খাটো করে দেখা ঠিক নয়।

৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: বলেনকি কয়েকদিন জানতাম তো চীন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অনেক সমৃদ্ধ!!

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২৫

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: চীন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অনেক সমৃদ্ধ এই নিয়ে কোন বিরোধ নেই। সমস্যা অন্য জায়গায়।

৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫০

কালীদাস বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলামের সাথে সহমত। সারা দুনিয়ার ইলেক্টনিক্স মার্কেট প্রায় পুরাটাই চায়নার দখলে। অন্যান্য আরও অনেক জিনিষেরও মেইন প্রডিওসার চায়না। চাইনিজদের সব প্ল্যান ছিল লং রানের কথা চিন্তা করে, এবং এর ফল এরা পেয়েছেও ভাল। ভুল একটা ছিল সেটার মাসুলও দিয়েছে, এখন অবশ্য শোধরানোর চেষ্টা করছে (ওয়ান চাইল্ড পলিসি)। এই লোক ছাড়া আর কারও কাছে এরকম শুনিনি, বা নিজে যখন চায়নায় গিয়েছি ডেভেলপমেন্টের লাইনে কোন ফলও দেখিনি।

৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০৮

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: @চাঁদগাজী ,@আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম @কালীদাস

ডি -গ্লোবালাইজেশন এর ফলে শুধু আমেরিকার বাজার সংকুচিত হবে না ,সারা বিশ্বের বাজার সংকুচিত হবে। এতে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে যে দেশ গুলো এক্সপোর্ট নির্ভর সেগুলোর ওপর । কিন্তু পোস্টে আমি লিখেছি এটা চীনের প্রধান সমস্যা নয়। চীনের প্রধান সমস্যা প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ণ ডলার ঋণ। চীন গত ২০ বছরে যে ম্যাসিভ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ,ফ্যাক্টরী ,ম্যানুফ্যাকচারিং বেস বানিয়েছে তার সবটাই ধার করা অর্থে। এই অর্থ তাকে পরিশোধ করতে হবে। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর গত ৭০ বছরে আমেরিকা যত স্টিল এবং সিমেন্ট ব্যবহার করেছে , গত ২০ বছরে চীন ব্যবহার করেছে তার থেকে অনেক বেশী। দেশের সরকারের কাছে ঋণ পরিশোধ করার একটা সহজ উপায় কারেন্সী প্রিন্ট করা। কিন্তু এতে ভয়ঙ্কর মুদ্রাস্ফীতি (ইনফ্লেশন) হয় ,কারেন্সি ডি -ভ্যালু হয় , sovereign rating downgrade হয় , ইকোনমিক্স এটাকে বলে cascading effect -- তাতে অর্থনীতিতে ধস নামে। নেটে সার্চ করে জিম্বাবোয়ে এবং আর্জেন্টিনার মুদ্রাস্ফীতির অবস্থা দেখে নিন।

পৃথিবীতে এখনো পর্যন্ত মাত্র একটা দেশের এখন পর্যন্ত ব্যাপক হারে কারেন্সী প্রিন্ট ( পড়ুন ডলার প্রিন্ট ) করার ফলেও মুদ্রাস্ফীতি (ইনফ্লেশন) এবং কারেন্সি ডি -ভ্যালু হয় নি --সেটা হচ্ছে আমেরিকা। অর্থনীতির সাথে যারা যুক্ত তারা আমেরিকার ফেডারেল রিসার্ভ এর "Quantitative Easing " টার্ম টার পরিচিত। ২০০৮ সালের সাব -প্রাইম ক্রাইসিস এর পর আমেরিকা ট্রিলিয়ন্স এন্ড ট্রিলিয়ন্স ডলার প্রিন্ট করেছে ধসে যাওয়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কিন্তু সেটা সত্ত্বেও আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতি অথবা ডলার ডি -ভ্যালু হয় নি। এর কারণ কি জানেন ? কারণ ডলার হচ্ছে পৃথিবীর রিসার্ভ কারেন্সি। পৃথিবীর প্রায় সমস্ত দেশ তাদের এক্সপোর্ট- আর্নিং ডলারে সঞ্চয় করে , চীনের ৩ ট্রিলিয়ন ডলার , ভারতের ৩৫০ বিলিয়ন ডলার , বাংলাদেশের ৩২ বিলিয়ন ডলার ফরেন এক্সচেঞ্জ US ডলারে সঞ্চয় করা আছে , চাইনিজ কারেন্সী তে নয়। আপনি -আমি বিদেশে গেলে পাসপোর্টে ডলার এন্ডোর্স করে নিয়ে যাই , চাইনিজ কারেন্সি নয়। আমেরিকা নিজের ইচ্ছামতো ডলার প্রিন্ট করতে পারে কোন রকম সাইড -ইফেক্ট ছাড়া (মুদ্রাস্ফীতি এবং কারেন্সি ডি -ভ্যালু) , চীনের পক্ষে সেটা সম্ভব নয়।

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন : আপনি কত কম টাকায় একটা মোবাইল ফোন কিনতে চান? চীন ঠিক তত টাকাতেই মোবাইল ফোন বানিয়ে দেবে আর তার থেকেও মুনাফা করবে। বিশ্বে এমন কোন পন্য নেই, যা চীন বানাতে পারে না আর তা' থেকে মুনাফা করতে পারে না। ওদের মেধাকে খাটো করে দেখা ঠিক নয়।

আমার উত্তর : চীন সস্তায় পণ্য কি করে বানাতে পারে আপনি জানেন? চীন সরকার সাবসিডি দিয়ে ফ্যাক্টরির জন্য ইনফ্রাস্ট্রাকচার বানিয়ে দেয় , subsidised লোন এবং বিদ্যুৎ দেয় , উৎপাদিত পণ্যের উপর ট্যাক্স কম নেয়। কিন্তু somebody has to pay for it . এখানে somebody হচ্ছে তাদের দেশের সরকার --ঋণ নিয়ে তারা দিচ্ছে। কিন্তু কতদিন ?

কালীদাস বলেছেন :এই লোক ছাড়া আর কারও কাছে এরকম শুনিনি, বা নিজে যখন চায়নায় গিয়েছি ডেভেলপমেন্টের লাইনে কোন ফলও দেখিনি।
আমার উত্তর : চীনের অর্থনীতির ব্যাপারে আরো পড়াশুনো করেন , বিভিন্ন ইকোনমিক জার্নাল পড়েন , অর্থনীতি বিদ দের সাথে কথা বলেন , চীনের বর্তমান অর্থনীতি নিয়ে নিয়ে অনেক কিছু জানতে পারবেন। চায়নায় এক দু -বার গেলেই যে এর অর্থনীতির স্ট্রাকচারাল চেঞ্জ নজরে আসবে তার কোন মানে নেই।

এখানে একটা কথা পরিস্কার করে বলে রাখি। এটা ভাবার কোন কারণ নেই যে চীনের অর্থনৈতিক সমস্যা একদম দোরগোড়ায় ,আজ -কাল বা ছ -মাস একবছরের মধ্যে এর ভয়ংকর প্রকাশ ঘটবে । সমস্যার ইনডিকেটর গুলো দেখা যাচ্ছে , চাইনিজ ইকোনমি slowdown করছে ,চাইনিজ বিলিওনিয়ার রা চীন থেকে অর্থ উঠিয়ে আমেরিকায় নিয়ে যাচ্ছে। ২০০৮ সালে আমেরিকার অর্থনীতির আসল ক্রাইসিস সামনে এসেছিলো কিন্তু এর শুরু হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে , চীনের ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে ,কিন্তু সমস্যা হচ্ছে দেশের সরকার এবং সেন্ট্রাল ব্যাংক গুলো সমস্যা গুলোকে ইগনোর করে ,আমেরিকা করেছিল এখন চীনও সেটা করছে।

১০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০২

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: আরেকটা কথা ।আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন :
"খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের কাছে তিন ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ করে বসে আছে।"-- এই ধরণের মন্তব্য আগেও দেখেছি।

এটা সাধারণ মানুষের সম্পূর্ণ ভুল বোঝা। সমস্যাটা আমেরিকার নয় চীনের। এই তিন ট্রিলিয়ন ডলার চীন আমেরিকার ট্রেজারী -বিল কিনে রেখেছে। যেমন ভারত ৩০০ বিলিয়ন ডলার ট্রেজারী -বিল কিনেছে ,বাংলাদেশ ৩২ বিলিয়ন ডলার কিনেছে।জাপানের কেনা আছে ১.২ট্রিলিয়ন ডলার ,সুইজারল্যান্ডের ৬৮৫ বিলিয়ন ডলার ,সৌদি আরবের ৫৩৫ বিলিয়ন ডলার .... এগুলো ফরেন এক্সচেঞ্জ রিসার্ভ। এছাড়া এই দেশগুলোর এই অর্থ সঞ্চয় রাখার উপায় নেই। এই বিশাল অর্থের সোনা কেনা যায় না ,সাপ্লাই লিমিটেড ,ইমপ্যাক্ট কস্ট অনেক বেশী। চাইলে চট করে বিক্রি করা যায় না ,লিকুইডিটি অনেক কম। আমেরিকা দেদার সে ডলার প্রিন্ট করে মানে ট্রেজারী -বিল ইস্যু করে, সুদ দেয় মাত্র ০.৫% থেকে ০.৮% প্রতি বছর। ট্রেজারী -বিল লিকুইড ,সারা পৃথিবী জুড়ে প্রতিদিন বিলিয়নস অফ ডলার সেকেন্ডারি মার্কেটে ট্রেড হয়। অনেক সহজে এন্ট্রি -এক্সিট করা যায়। পৃথিবীর দেশগুলো তাদের সঞ্চয় নিয়ে হামলে পরে US Treasury Bill কেনার জন্য।
পৃথিবীতে US Dollar একছত্র অধিপতি , চাইনিজ Renminbi তার কাছে শিশু।

১১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
লেখা আর মন্তব্যগুলো পড়ে বুঝলাম, আসলেই উদ্বেগ এর বিষয়!!!!

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩২

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: এখন দুনিয়াতে ,বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে Event Risk অথবা Black Swan Event এর সম্ভবনা অনেক বেড়ে গেছে।

১২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩২

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: এখন দুনিয়াতে ,বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে Event Risk অথবা Black Swan Event এর সম্ভবনা অনেক বেড়ে গেছে।


১৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০৫

কালীদাস বলেছেন: আমি ইকোনোমিক্সের কেউ না, কাজেই আমার জানার বা দেখার ভুল হতে পারে :) তবু খালি চোখে যা দেখি তার সাথে পোস্টের কনটেন্ট মেলাতে পারিনি। কিছুক্ষণ ঘাটালাম এখন, কেবল দুয়েক জায়গায় দেখলাম বলা হয়েছে যে কোন কোন সেক্টরে জিডিপি গ্রোথ ওভারএস্টিমেটেড ছিল বা মিসরিপোর্টেড ছিল। কিন্তু লংরানে চায়নিজ ইকোনমির এরকম পরিণতি কোথাও দেখলাম না। ঠিক আছে, অবসর সময়ে ঘাটাব চাইনিজ ইকোনমি তাসের ঘর কিনা :) কাইন্ডলি মরগান মিয়ার রিপোর্টটার লিংকটা দেবেন প্লিজ, পরে ঘাটাব অন্য রেফারেন্সগুলোও।

ধন্যবাদ :)

১৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১১

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: @কালীদাস
আপনি মনোযোগী পাঠক ,আপনাদের মতো পাঠকদের জন্য পোস্ট লিখতে ভালো লাগে। নিচে চীনের debt bubble নিয়ে উদ্বিগ্ন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের কিছু মহারথীদের পোস্ট /youtube লিংক দিলাম ,সময় করে ঘুরে আসবেন। মরগ্যান স্ট্যানলির যে বিশেষ রিপোর্ট টির কথা আমি পোস্টে উল্লেখ করেছি সেটি পেইড সাবস্ক্রিপশন ,আমার সংস্থার সম্পত্তি , ওটি শেয়ার করা সম্ভব নয় ,এর জন্যে দুঃখিত। তবে নিচে দিলাম অনেক ফুড ফর থট :

China’s Collapse Is Coming, More So Now Than Ever - Gordon Chang

FT Features

BBC This World - The Great Chinese Crash (2016)

Soros Warns : China is Near Economic Collapse

China’s Big Debt Worries George Soros. Should It Worry You?

Soros: China Hard Landing Is Practically Unavoidable

Ruchir Sharma on China
http://www.livemint.com/Politics/TwY2PO62LwT3ZaLyZQy9CO/China-may-tip-world-into-recession-Morgan-Stanleys-Ruchir.html

George Soros , Andy Xie , এবং Ruchir Sharma সম্বন্ধে জানতে লিংক গুলো ক্লিক করুন।

১৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভাই বাবুরাম সাপুড়ে ১, আপনার প্রতিমন্তব্যের সাথে একমত হতে না পারার জন্য দুঃখিত। অর্থনীতির ছাত্র হিসাবে এটুকু আমার জানা আছে যে, এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড ইকনমি ইজ স্ট্রঙ্গার দ্যান ইম্পোর্ট ওরিয়েন্টেড ইকনমি। এদিক বিবেচনায় চীনের অর্থনীতি অনেক শক্তিশালী। তার অর্থ অবশ্য এই নয় যে তারা এই মুহূর্তে আমেরিকাকে ছাড়িয়ে গেছে। তবে চীনের অর্থনীতি মোটেই ভঙ্গুর নয়। তারা দিনের পর দিন আরও শক্তিশালী হচ্ছে।

ধন্যবাদ।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫১

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: @আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আপনি আমার পোস্ট বা মন্তব্যের সাথে একমত না হতেই পারেন , এতে কোন অসুবিধা নেই। কিছু মনে করবেন না একটা কথা বলি : ---এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড ইকনমি ইজ স্ট্রঙ্গার দ্যান ইম্পোর্ট ওরিয়েন্টেড ইকনমি ---এটা একটা একদম জেনারেলাইসড স্টেটমেন্ট। এগুলো আমাদের দেশের (হয়তো আপনার দেশেও ) অধিকাংশ কলেজ -বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিশ -চল্লিশ বছর আগের চোতা মুখস্ত করে পাস করা অর্থনীতির অধ্যাপকরা পড়ায় এবং এগুলোই তারা পড়েছে। আমেরিকান ইকোনমি ইস ওয়ান অফ দা লারজেস্ট ইম্পোর্ট ওরিয়েন্টেড ইকনমিস বাট স্ট্রংগার দ্যান আদার্স। যাইহোক আমার পোস্ট চীনের debt bubble নিয়ে ছিল। এই নিয়ে বিভিন্ন এক্সপার্ট দের চিন্তা ভাবনার লিংক দিয়েছি কালীদাস এর মন্তব্যের প্রতি জবাবে।

১৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২৩

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ভ- তে ভারতপন্থিদের এতে বগল বাজানোর কোনো মওকা দেখিনা ! মওকা মতন দান মারতে গিয়া ইন্ডিয়া যেমনে বাংলার পুলাপাইনের কাছে পুঙা মারা খাইছিলো , তেমনে এই টাইম বোম্ব ফাটলে ইন্ডিয়ারও বগল উইড়া যাইবো, বাজাইতে আর হইবো না।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: পোস্ট ভালো করে পড়েছেন ? আমি লিখেছি :" অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন এটা চীনের সমস্যা অন্যদের কি? ঘটনা হচ্ছে পৃথিবীর দেশগুলো এখন ইন্টার -ডিপেন্ডেন্ট। ২০০৮ সালে আমেরিকান সাব -প্রাইম ক্রাইসিস এর সময় আমেরিকার সাথে সাথে বিশ্বের বাকী দেশগুলোর কী হাল হয়েছিল সবাই দেখেছেন। মাত্র কয়েক বছর আগে অত্যধিক ঋণের কারণে গ্রীসের মত ছোট্ট দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা পুরো বিশ্বের অর্থনীতিকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলো। চীন এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। চীনের অর্থনীতির পতন হওয়া জঙ্গলে মহীরুহের পতনের মতো হবে। জঙ্গলে বিশাল মহীরুহ যখন ভূপতিত হয় তখন তার আশেপাশের গাছেরা রক্ষা পায় না। "
অবশ্য মাদ্রাসা পড়ুয়াদের অর্থনীতির আলোচনায় কাজ কি?

১৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০২

টারজান০০০০৭ বলেছেন: সাপুড়ে, আফনে সাপ ধইরা খেলা দেখাইতেন আর গাছ গাছড়া বেচতেন ঐটাই ভালো ছিল। শিয়ালের সাথে গলা মিলাইয়া হুক্কা হুয়া করলেই শিয়াল হওয়া যাইবো না , বড়োজোর হাড্ডি খান পাইতে পারেন ! আর আমার দুর্ভাগ্য , মাদ্রাসায় পড়ার সুযোগ হয়নাই।তয় আফনে মনে হয় টোল এ পইড়া কৌটিল্য শাস্ত্র মুখস্ত কইরা এইখানে পোস্ট প্রসব করতাছেন। যা লিখছেন কথা হয়তো সত্য, তয় মতলব চীনের দুর্দশার দুরাশা, প্রকারান্তরে ভারতের লাভের আশা।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র আপনিও পড়তে পারেন , বিশ্বের অনেক বিখাত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়। অবশ্য এসব কাফির দের জন্য , আপনার কি? এসবে ছওয়াব /নেকী কিছুই লাভ হবে না।

১৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:২৮

টারজান০০০০৭ বলেছেন: বামাতী আর টিকিওয়ালাদের এই এক সমস্যা , ইসলাম ফোবিয়ায় ভোগে। ইসলাম ও মুসলমানদের কোনো গন্ধ পাইলেই এদের চুলকানি এমন ভাবে ওঠে, খাওজাইতে খাওজাইতে পিছনের কাপড় যে উইঠা যায় টের পায় না , মারা না খাইলে কাপড় আর নামে না ! আফসোস , ব্লগে ছাগু পুন্দানোর লোক এখনো আছে ! কিন্তু টিকিওয়ালাদের পুন্দানোর লোক দেখি না ! যাই হোক , কৌটিল্য অর্থশাস্ত্র অনেক দেশের ইউনিভার্সিটিতে কেন পড়ায় আমার জানা নাই ! অর্থনীতি আমার সাবজেক্ট না ! হইতে পারে কৌটিল্য শাস্ত্রের নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট হিসেবে আফনেগো সারে জাহাছে লুচ্চা দেশের ৫০ কোটি মানুষ এখনো খোলা আকাশের নিচে হাগে কিনা এইটা প্রমান করার জন্য গুবেষণা করে !

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৫

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: "কৌটিল্য অর্থশাস্ত্র অনেক দেশের ইউনিভার্সিটিতে কেন পড়ায় আমার জানা নাই ! অর্থনীতি আমার সাবজেক্ট না ! "

ইংরাজিতে একটা কথা আছে " ignorance is bliss " ।
বাংলা মানেটা না হয় ডিকশনারি খুঁজে দেখে নিন।

১৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫

রাতুল_শাহ বলেছেন: পোস্ট আর মন্তব্যগুলো পড়ার পর মাথা ভারী হয়ে গেছে। অর্থনৈতিক ব্যাপারগুলো খুব একটা বুঝিনা।

চীন বড় ধরনের অর্থনৈতিক কোন ধাক্কা খা্ওয়ার আগে, তা সামাল দেওয়ার জন্য বিকল্প রাস্তা তারা বের করবে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: তারা চেষ্টা করছে। কিন্তু যেহেতু চীনের closed economy , দেশের সমস্যা বাইরে খুব একটা আসতে দেয় না , সংবাদপত্র গুলো রেগুলেটেড তাই তাদের অ্যাকচুয়াল সমস্যাটা কি সেটা ক্লিয়ার নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.