নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কারো কেউ নই তো আমি , কেউ আমার নয় , কোন নাম নেইকো আমার শোন মহাশয়।।

বাবুরাম সাপুড়ে১

নিভন্ত এই চুল্লিতে মা একটু আগুন দে আরেকটুকাল বেঁচেই থাকি বাঁচার আনন্দে

বাবুরাম সাপুড়ে১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষ চিন্তা করে তাই ভালবাসে ----ডারউইনএর বিবর্তনবাদ ,যৌন পরিতোষ , রোম্যান্টিক লাভ এবং ভ্যালেন্টাইন ডে।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১২


ভ্যালেন্টাইন দিবস এবং ডারউইন দিবসের মধ্যে মাত্র ৪৮ ঘন্টার পার্থক্য। কিন্তু ধারণাগত ভাবে এ দু'টোর অবস্থান দুই মেরুতে। একটায় উদযাপিত হয় আবেগ ,ভালোবাসা , নৈকট্য ,রোমান্টিসিজম এবং অন্যটায় আবেগ বর্জিত যুক্তি-যুক্ততা এবং প্রতিযোগীতা মূলক সংগ্রামের তত্ত্ব।

সত্যি ঘটনা হচ্ছে ভ্যালেন্টাইন দিবসএর রোম্যান্টিক লাভ এবং ডারউইনএর বিবর্তনবাদ অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত। রোম্যান্টিক ভালোবাসার সাথে যুক্তিযুক্ত চিন্তা ভাবনা অথবা rational thinking এবং সারভাইভাল অফ দ্যা ফিটেস্ট তত্ত্ব অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ভাবে সংযুক্ত। মানুষ চিন্তা করতে পারে তাই সে ভালোবাসতে পারে। একটা ছাড়া অন্যটা সম্ভব নয়। Man thinks ,therefore he loves .

কিতাবী গল্প --ওল্ড টেস্টামেন্ট : বুক অফ জেনেসিস


ঈশ্বর আদমকে পাঠালেন ইডেন উদ্যানে। প্রথম মানবকে ঈশ্বরীয় উদ্যানের সব বৃক্ষের ফল খাওয়ার অনুমতি দিলেন ,একটি মাত্র বৃক্ষ ছাড়া। সেই বৃক্ষ জ্ঞান অর্জনের -ভাল এবং মন্দের জ্ঞান। ঈশ্বর হুঁশিয়ারি দিলেন : জ্ঞান বৃক্ষের ফল খেয়েছো তো মরেছো ! আদম বাধ্য বান্দা , ঈশ্বরের হুকুম মেনে চলে। স্বর্গীয় এই উদ্যানে সে একাকী , ঈশ্বরের করুণা হলো , তিনি সৃষ্টি করলেন সঙ্গিনী হিসাবে ইভকে। উদ্যানের সর্প ইভ কে প্রলোভিত করলো সেই নিষিদ্ধ ফল খাওয়ার , বেকুব ইভ নিজেও খেলো ,আদমকেও খাওয়ালো। ঈশ্বর জানতে পেরে ক্রোধে অগ্নিশর্মা। আদম চতুর লোক , সমস্ত দোষ চাপিয়ে দিলো ইভের ঘাড়ে। ক্রোধে লাল ঈশ্বরের ইভকে অভিশাপ : তোমার সন্তান জন্ম দেওয়ার যন্ত্রণা কয়েকগুন বাড়িয়ে দেওয়া হলো , তোমার সন্তানরা জন্ম নেবে তোমায় তীব্র যন্ত্রণা দিয়ে , তা সত্ত্বেও সন্তানের প্রতি আকাঙ্ক্ষা তোমার কোন দিন কম হবে না !

জ্ঞানবৃক্ষের ফল খাওয়া এবং তার প্রতি দানে যন্ত্রনাময় প্রসব --বড়োই বিদঘুটে শাস্তি -যাইহোক ঈশ্বরের ব্যাপার স্যাপার ,প্রশ্ন করে কেডা ??

কিন্তু ঘটনা হচ্ছে ডারউইনএর তত্ত্বও যে এরই কাছাকাছি !

ডারউইনএর বিবর্তনবাদ বলছে মনুষ্য প্রজাতির দ্বি-পদে বিবর্তনের সময় কালে মগজের আয়তন ছিল খুবই ছোট। পরবর্তী মিলিয়নস বছর ধরে শরীরের অনুপাতে মগজের আয়তন বাড়তে থাকে , দু-পেয়েরা বুদ্ধিমান হতে থাকে। মগজের আয়তন কেন বাড়তে থাকে সে নিয়ে নানা মুনির নানা মত -পরিবেশগত পরিবর্তন , ইকোলজি হাইপোথিসিস , সামাজিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ইত্যাদি ইত্যাদি।

আমরা মনুষ্য প্রজাতিরা জীবজগতে আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী শিম্পাঞ্জী ,গরিলাদের থেকে মোটামুটি তিন -থেকে পাঁচ গুন বড় মাথা বহন করি , সত্যি কথা বলতে কি আমাদের ঘাড় এবং স্পাইনাল কর্ড এত বড় মাথা বহন করার মতো শক্তিশালী নয়। ওই প্রবাদেই আছে না ,যত বড় ঘাড় নয় তত বড় মাথা !


কিন্তু বড় মাথা , বেশী গ্রে-ম্যাটার -এবং বেশী বুদ্ধি মাগনায় এলো না ---এর জন্য মূল্য চোকাতে হলো প্রচুর। সবথেকে বেশি মূল্য দিলো মহিলারা। শিশু জন্ম দেওয়ার কষ্ট বাড়লো কয়েকগুন। এক মা-শিম্পাঞ্জী অথবা এক মা-গরিলার থেকে এক মা-মানুষের সন্তানের জন্মদান অনেক অনেক বেশী যন্ত্রণার এবং কষ্টের।

কিতাবের ঈশ্বর জ্ঞান অর্জনের ফল খেতে নিষেধ করেছিল --যত বেশী জ্ঞান অর্জন ,ততবেশী বড় মাথা ,সে অনুপাতে বৃদ্ধি সন্তান প্রসবের যন্ত্রণার। কিন্তু ইভ কথা শোনেনি , ঈশ্বর অভিশাপ দিল , দুনিয়ার তাবৎ মায়েরা তার মূল্য চোকাচ্ছে ---ঈশ্বরের এটা বড়ই অবিচার !!

বিবর্তনবাদ বলছে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে মানবশিশুর মাথার আয়তন বাড়তে থাকে কিন্তু দু-পেয়ে হয়ে যাওয়ার কারণে মা-মানুষদের বার্থ-ক্যানাল, পেলভিস সেই ভাবে বাড়তে পারেনি। ফলঃ মা-মানুষের যন্ত্রনাময় প্রসব। শুধু তাই নয় প্রি-ম্যাচিউর প্রসব। হ্যাঁ ,ঠিকই পড়েছেন ,প্রি-ম্যাচিউর প্রসব। উন্নত প্রজাতির সমস্ত জীবজন্তুর মধ্যে মানব শিশুই সবথেকে বেশি অপরিণত অবস্থায় জন্ম নেয়।জন্মের পর তার ম্যাচিউর হতে সবথেকে বেশি সময় লাগে কারণ তার জন্মই হয় অপরিণত মাথা নিয়ে। সদ্যোজাত থেকে পরিণত হওয়া কালীন মানবশিশুর মাথা বাড়ে প্রায় তিনগুন ,একটা শিম্পাঞ্জীর বাড়ে মাত্র ৪০ শতাংশ।

মায়ের গর্ভে শিশুর মাথা আর বড় হওয়া সম্ভব ছিল না , কারণ তাহলে মা তাকে প্রসবই করতে পারত না। এখন প্রসব তো হলো কিন্তু জন্মের পর দীর্ঘকাল ধরে তার দরকার নিবিড় লালন পালন কারণ তার অপরিণত মাথা পরিণত হবে অনেক সময় নিয়ে।

মা হওয়া কি মুখের কথা ?

খোকা মাকে শুধায় ডেকে-- "এলেম আমি কোথা থেকে, কোন্‌খানে তুই কুড়িয়ে পেলি আমারে?"
মা শুনে কয় হেসে কেঁদে, খোকারে তার বুক বেঁধে--"ইচ্ছা হয়ে ছিলি মনের মাঝারে…..
……আমার চিরকালের আশায়, আমার সকল ভালোবাসায়, আমার মায়ের দিদিমায়ের পরানে—"


আদিম প্রিমিটিভ সময়ে ,হিংস্র পরিবেশে, একলা মায়ের এই অসহায় শিশু পালন ছিল ভীষণই কষ্টকর এবং অসম্ভব। মানব শিশুর বেঁচে থাকার হার ছিল অনেক অনেক কম। মিলিয়নস অফ বছরে হোমো সেপিয়েন্সের সংখ্যা কয়েক হাজারও ছাড়ায় নি। অসহায় সেই মায়ের দরকার ছিল স্থায়ী এক পুরুষ সঙ্গীর। তার প্রতি মনোযোগী এক পুরুষ বাচ্ছার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেবে কয়েক গুন। কিন্তু এটা হতে গেলে নারী এবং পুরুষটির মধ্যে গড়ে ওঠা দরকার এক দীর্ঘস্থায়ী বন্ধন। শুধুমাত্র যৌন পরিতৃপ্তি এই দীর্ঘস্থায়ী বন্ধনএর গ্যারান্টি দিতে পারে না। এই বন্ধন তখনই স্থায়ী হবে যখন তাদের মধ্যে গড়ে উঠবে এক রোম্যান্টিক ভালোবাসা।

যৌন পরিতৃপ্তি থেকে রোম্যান্টিক ভালোবাসা কিন্তু একদিনে তৈরী হয়নি। এটি এসেছে লক্ষ লক্ষ বছরের বিবর্তন এবং বিভিন্ন পার্মুটেশন -কম্বিনেশনের ফলে।
সন্তান প্রসব বন্ধ হওয়ার দীর্ঘদিন পরও মানুষ-মায়ের যৌন সক্ষমতা ধরে রাখতে পারা সেই বিবর্তনেরই আরেক দিক।

আদিম মা-মানুষকে প্রজনন ক্ষমতা হারানোর দীর্ঘদিন পরও যৌন সক্ষমতা ধরে রাখতে হত সঙ্গী পুরুষটির জন্য কারণ তার যে বাচ্ছা "মানুষ" হতে অনেক সময় লাগে। অন্য মা-প্রাণীদের সেই ঝঞ্ঝাট নেই !!

ব্যাপারটা যত সরল ভাবে বর্ণনা করা হল বাস্তবে ততটা সরলভাবে হয় নি। যৌন পরিতোষ থেকে নারী -পুরুষের রোম্যান্টিক লাভ এক দিনে তৈরী হয় নি , সময় লেগেছে লক্ষ লক্ষ বছর। কিন্তু এটাও সত্যি এই রোম্যান্টিক ভালোবাসার রঙ-বাহারী সৌধ কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকে যৌন পরিতোষের স্তম্ভের ওপর।

তবে এটা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় বৃহৎ কিন্তু অপরিণত মাথা নিয়ে জন্মানো মানব শিশুকে বাঁচিয়ে রাখা রোম্যান্টিক লাভ উদ্ভব হওয়ার অনেক কারণের মধ্যে একটা।

এই রোম্যান্টিক ভালোবাসা না আসলে আমাদের আদিম জনক -জননী দের মধ্যে দীর্ঘ্স্থায়ী বন্ধন তৈরী হতো না , সন্তান জন্মগ্রহন করলেও হতোনা তাদের লালন পালন , বড় মাথা এবং বুদ্ধি নিয়ে জন্মেও হোমো -সেপিয়েন্সরা হারিয়ে যেত সময়ের কাল-চক্রে যেমন হারিয়ে গেছে অনেক প্রজাতি।

ভালোবাসার উৎস সন্ধানে : তোমরা যে বলো দিবস-রজনী ‘ভালোবাসা’ ‘ভালোবাসা’— সখী, ভালোবাসা কারে কয় ?

কল্পনা করুন লক্ষ বছর আগের কোন এক দিন। আফ্রিকার গহীন জঙ্গলে আমাদের পূর্বপুরুষদের কয়েকজন গেছে শিকারে। দিনের শেষে শিকার নিয়ে তারা গুহা প্রত্যাগত। পড়ন্ত সূর্যের আলোতে গাছের নিচে ফুটে থাকা কিছু বন্য ফুল ঝিকমিক করছে। সভ্যতার সেই ঊষালগ্নে ভাষার উদ্ভব হয় নি কিন্তু পৃথিবীর বুকে তখন হয়তো ঋতুচক্র শুরু হয়েছিল , হয়তো বসন্ত আসতো। দলের মধ্যে সবথেকে নবীন যে যুবকটি সে দৌড়ে গিয়ে তুলে নিয়ে এলো কিছু ফুল এবং দ্রুত গুহায় গিয়ে তার সঙ্গিনীর হাতে তুলে দিলো ফুলগুলি। ভাষাহীন সেই যুবক তার সঙ্গিনীকে আই লাভ ইউ অথবা হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন ডে বলে নি কিন্তু তাদের ভালোবাসার অনুভূতির তীব্রতা আজকের থেকে নিশ্চয়ই কম ছিল না।

রোম্যান্টিক ভালোবাসা কোনও সামাজিক নির্মাণ বা পশ্চিমা সংস্কৃতির আমদানী নয় , এর মূল গ্রোথিত আছে মিলিয়ন বছর আগে হোমো-সেপিয়েন্সদের বিবর্তনের উদ্ভবের সময় থেকে।

সবাইকে বিলেটেড হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন দিবস এবং ডারউইন দিবসের শুভেচ্ছা !

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: ১ নং জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন

পোষ্ট টার সৌন্দর্য নষ্ট করে দিয়েছে।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:২১

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: জাহাঙ্গীর কবীর নয়নএর মন্তব্যটি মুছে দেওয়া হয়েছে।ধন্যবাদ।

২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৯

বিজন রয় বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১৯

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫৩

সোহানী বলেছেন: অনেক দিন পর অসাধারন একটা পোস্ট পড়লাম। খুব খুব ভালো লাগলো ব্যাখ্যা বিশ্লেষন ও রিলেশান, সর্বোপরি মায়েদের কষ্ট অনুভব। ... ফলো করলাম যাতে এমন পোস্ট মিস না হয়।+++++++++




প্রথম মন্তব্যকারী "জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন" সত্যিই এমন মন্তব্য করতে পারে তা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। কারন নয়ন বরাবরেই চমৎকার পোষ্ট উপহার দেয় এরকম কিছু কখনই দেখিনি। তাই ব্লগের সৈান্দর্য্য রক্ষায় তা মুছে ফেলার অনুরোধ থাকলো।

ভালো থাকুন নিরন্তর!!

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১৯

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: পোস্ট ভালো লাগায় আত্মশ্লাঘা অনুভব করছি ! অনেক ধন্যবাদ।
জাহাঙ্গীর কবীর নয়নের মন্তব্যটি মুছে দেওয়া হয়েছে।

৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:০৬

আবু তালেব শেখ বলেছেন: সোহানি আপু যার কথা বলেছেন উনি সম্ভত, ,, নাঈম জাহাংগির নয়ন। উনি বেশ জনপ্রিয় এবং জ্ঞানি ব্লগার।
,,,,,
এবং জাহাংগির কবির নয়ন আরেক জন যার কোন মুল্যবোধ নেই। অশ্লীল ভিডিও আর মুল্যহীন কথাবার্তায় বেশ পটু।

বিবর্তনবাদ কি বিশ্বাসযোগ্য?

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:২৯

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: "বিবর্তনবাদ কি বিশ্বাসযোগ্য?"

এটা নির্ভর করছে আপনি কিতাবে বিশ্বাসী না বিজ্ঞানে বিশ্বাসী তার ওপর। বিবর্তন না মানলে পুরো জীব-বিজ্ঞানকেই আস্তাকুড়ে ছুঁড়ে ফেলতে হয়। আবার কিতাব মানলে বিবর্তন কে কখনোই মানতে পারবেন না।

বিজ্ঞান মানুষকে প্রশ্ন করতে শেখায় ,কিতাব মানুষের প্রশ্ন করাকে ভ্রু -কোঁচকায় , বিশ্বাস করতে শেখায়।

বিবর্তনবাদ অ্যাবসলিউট ট্রুথ নয় , বস্তুত বিজ্ঞানে অ্যাবসলিউট ট্রুথ বলে কিছু নেই , ধর্মে ঈশ্বর /আল্লা /গড অ্যাবসলিউট ট্রুথ।
প্রশ্ন করা বিজ্ঞানে খুব জরুরি--এটা ছাড়া ইনোভেশন /ইনভেনশন হয় না। বিশ্বাস করা ধর্মে খুব জরুরি , এটা ছাড়া ছওয়াব /নেকী /পুন্য কিছুই লাভ হয় না।
বিজ্ঞান জীবিত ব্যক্তির জীবনের মান উন্নয়নের চেষ্টা করে , ধর্মীয় কিতাব মৃত ব্যক্তির ভবিষৎ নিয়ে চিন্তা করে।
বিজ্ঞানের কোন আবিষ্কারের সুফল হয় সার্বজনীন, নির্দিষ্ট ধর্মের সুফল শুধুমাত্র সেই ধর্মের অনুসারীর।

বিজ্ঞানে আমরা -তোমরা নেই কিন্তু ধর্মে আমাদের আমরা তোমাদের তোমরার থেকে শ্রেষ্ঠ।
বিজ্ঞানের আছে যুক্তি এবং কিতাবে আছে বিশ্বাস---- এন্ড দ্যা টুইন শ্যাল নেভার মিট।

৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:২২

শুভ_ঢাকা বলেছেন: ব্রিলিয়ান্ট! অসাধারণ একটা পোস্ট। লেখক আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:২১

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩৪

ভাইরাস-69 বলেছেন: বিবর্তন হল প্রকৃতির একটি নিয়ম, এ বিবর্তন ক্রমাগত ঘটছে ও ঘটবে। যদিও বিবর্তন নিয়ে নানা মনে নানান প্রশ্ন আছে। পোষ্টটি পড়ে অনেক ‍কিছু জানা হল।ধন্যবাদ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:২৩

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: "বিবর্তন হল প্রকৃতির একটি নিয়ম, এ বিবর্তন ক্রমাগত ঘটছে ও ঘটবে।"

লাখ কথার এক কথা বলেছেন। ধন্যবাদ।

৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৪১

ওয়াহিদ সাইম বলেছেন: অসাধারণ লেখা ! ধন্যবাদ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


কুইনাইনকে চকোলেটের মাঝে দিয়ে, সিলেটের চা'এর সাথে পরিবেশন করেছেন; ভালো লাগলো।

সায়েন্স ও হৃদয়কে কাছাকাছি আনতে পেরেছেন, প্রকাশের স্টাইল পছন্দ হয়েছে!

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০৩

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: চকোলেট --ভালো মন্দ টাইপের অনেক খেলাম কিন্তু কুইনাইন এবং সিলেটের চা খাওয়া বাকী রয়ে গেছে!

৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

আবু তালেব শেখ বলেছেন: ধর্মবিশ্বাস কুইনাইন নাকি চকোলেট? চাদগাজি সাহেব?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: চাঁদগাজী সাহেব এর স্বাদ নিয়ে আপনাকে জানাবেন !

১০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সবগুলো কথার মর্মার্থ হয়তো বুঝিনি, কিন্তু পুরো পোষ্ট ভালো লেগেছে অবশ্যই.......শুভ কামনা।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০৬

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: ধন্যবাদ।

১১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেইট বাসন্তি আর ভ্যালেন্টাইন প‌্যাকেজ শুভেচ্ছা ;)

দারুন কম্বিনেশনে সাজিয়েছেন :) ভাল লাগল।
আসলে ধর্ম বা ইশ্বর নিয়ে যে ধারনা দাড়িয়ে ধর্ম জানতে দেয়না বা ইশ্বর জানতে, প্রশ্ন করতে মানা করেছে- অনন্ত ইসলামের ক্ষেত্র নিশ্চিত বলতে পারি এ ভূল ধারনা।
আল্লাহকে না চেনা না জানার দল তাদের অজ্ঞতা ঢাকতে বলতে পারে- বেশি জানতে চেয়োনা! িকন্তু আর্লাহ কখনো বলেন নি।বরং কোরআনে বহুবহু বার আহবান আছে- এই গ্রন্থ তাদের জন্য যারা জ্ঞানী! যারা অনুসন্ধানী!
তোমরা আকাশের দিকে তাকাও, প্রকৃতির দিকে দোখৌ আমি বৃথাই সৃজন করিনি! এতে রয়েছৈ জ্ঞানবানদের জন্য উপদেশ!
এরকম অনেক অনেক!

ধার্মিকের অজ্ঞানতা ধর্মের নয়। :) সো বিজ্ঞান মনস্ক অনুসন্ধানী মানুষ এভারেজ ধারনায় থাকবে তাও মানতে কষ্ট হয় বৈকি ;)

যাকগে, বিবর্তন নিয়ে আরেকটি দারুন মতবাদ আছে। আপনি অবহিত আছৈন বোধ করি!
যার সাথে বিজ্ঞান, যৌনতা এবং সৃষ্টিবিকাশের এক দারুন শেকড় সন্ধান মেলে। ভুবন চুরাশী!
বা চুরাশী লক্ষ যোনী ভ্রমন অর্থাৎ যৌন মিলনের বা সৃষ্টি প্রক্রিয়ার ধারায় জন্ম এবং মৃত্যুর মদ্যদিয়ে পরবর্তী স্তরে রুপান্তরিত হয়ে আসা। এবং সর্বেশষ মানব জন্ম! বিষয়টা সংক্ষেপে নিম্নরুপ -

পদ্মপুরাণ মতে-“চুরাশী লক্ষ যোনীতে জন্মের পর মানুষ জন্ম”
ভাবনা :– আমরা সবাই জানি পৃথিবীতে প্রথম প্রাণের সঞ্চার হয়ে ছিল জলে এক কোষী এমিবা রূপ নিয়ে, এই সমগ্র জলচর জীবের রূপ হল – নয় লক্ষ, এক কোষী জলচর জীব বিভিন্ন রূপান্তরের মধ্যে দিয়ে গিয়ে যখন ঐ জলচরের জীবেদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ রূপে পূর্ণতা লাভ করে তখন ঐ জীবের জল জীবন থেকে মুক্তি ,এবার

ঐ আত্মা জলকক্ষ পথ ছেড়ে প্রবেশ করে “বৃক্ষকক্ষ পথে” -কুড়ি লক্ষ রকম বৃক্ষজীবনে রূপ পরিবর্তন হতে হতে বৃক্ষজগতের শ্রেষ্ঠরূপ লাভের পর ঐ আত্মা এবার প্রবেশ করে “কীটকক্ষ পথে” – এগারো লক্ষ রকম কীটজীবনে রূপান্তর হতে হতে কীটজগতে শ্রেষ্ঠরূপ লাভের পর
ঐ আত্মা এবার প্রবেশ করে “পক্ষীকক্ষ পথে”-দশ লক্ষ রকম পক্ষীজীবনে রূপান্তর হতে হতে পক্ষীজগতে শ্রেষ্ঠরূপ লাভের পর ঐ আত্মা এবার প্রবেশ করে “পশুকক্ষ পথে”-ত্রিশ লক্ষ রকম পশুজীবনে রূপান্তর হতে হতে পশুজগতে শ্রেষ্ঠরূপ লাভের পর
ঐ আত্মা এবার প্রবেশ করে” মানুষকক্ষ পথে”–চার লক্ষ রকম মানুষজীবনে রূপান্তর হতে হতে মানুষের জগতে শ্রেষ্ঠরূপ লাভের পর অর্থাত্
ঐ আত্মাটির পরমাত্মায় বিলীন হয়ে গিয়ে স্থায়ী “মুক্তি” লাভ করে ,ঐ আত্মার আর পূর্নজন্ম হয়না ,জন্মমৃত্যুর কক্ষপথে আর থাকতে হয় না ,আর কোন ক্লেশ যাতনা বহন করতে হয় না ,কমপ্লিট “”আনন্দ”” পূর্ণ মানব ” মানবত্বে প্রতিষ্ঠিত “মহাত্মা” হয়ে যান | শাস্ত্রে একেই বলে ” দেবত্ব লাভ “বা “ঈশ্বরত্ব লাভ” |

মানুষের প্রথম জন্মও মাতৃগর্ভে জলেই হয় খুব সূক্ষ ভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে দশমাস দশ দিনে এবং জন্মের এক বছরের মধ্যে আমরাও ঐ (9+20+11+10+30+4)=84 লক্ষ স্তর পার হয়ে চলে আসি :- তাই আমাদের মধ্যে ঐ 84 লক্ষ ধরনের বৃত্তি / সংস্কার বিরাজ করে কারন ঐ জীবন পার হয়েই তো এসেছি| তাই আসুন মানুষের দেহ পেয়ে ঘুমিয়ে সময় নষ্ট না করে জীবনের “শ্রেষ্ঠত্ব” কে অর্জন করি | সার্থক হোউক এই মানব জন্ম |

আমার কাছে বেশ লাগে বিবর্তনের এই ভাবনাটি।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০০

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: প্রথমেই এতো বড় কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ। আপনি মনোযোগী পাঠক ,সন্দেহ নাই।

"আসলে ধর্ম বা ইশ্বর নিয়ে যে ধারনা দাড়িয়ে ধর্ম জানতে দেয়না বা ইশ্বর জানতে, প্রশ্ন করতে মানা করেছে- অনন্ত ইসলামের ক্ষেত্র নিশ্চিত বলতে পারি এ ভূল ধারনা।"
এটা আংশিক সত্য কথন।
সমস্ত ধর্ম অনুসারীরাই বলে তাদের নিজ নিজ ধর্ম প্রশ্ন করতে বা জানতে মানা করে নি। ধর্ম /কিতাব ইত্যাদির ওপর ঈমান আনলে সেগুলোকে অ্যাবসলিউট ট্রুথ বলে মানতেই হবে। আপনি মুসলমান হোলে কি কোরানের কোন কিছুরই ওপরই প্রশ্ন করতে পারবেন ? একজন মুসলমানকে মানতেই হবে কোরান অ্যাবসলিউট ট্রুথ। আপনাকে মানতেই হবে মুহাম্মদ আল্লার নবী। শুধু তাই নয় ,আপনাকে মানতেই হবে তিনিই শেষ নবী। মুসলমান হলে শুয়োর খেতে পারবেন না কারণ ওই অ্যাবসলিউট ট্রুথ গ্রন্থ কোরানে তা নিষেধ করা আছে অ-স্বাস্থকর খাবার হিসাবে। যদিও পৃথিবীর কোটি কোটি চীনা ,জাপানী ,আমেরিকান ,ইউরোপিয়ান এটা প্রতিদিন খাচ্ছে এবং পৃথিবীর একজন গড়পড়তা শুয়োর না-খাওয়া মুসলমানের থেকে একজন গড়পড়তা চীনা ,জাপানী ,আমেরিকান ,ইউরোপিয়ান অনেকবেশী স্বাস্থবান , নীরোগ এবং দীর্ঘায়ু। ধর্ম আপনাকে প্রশ্ন করতে দিলেও --কিন্তু সেটা হতে হবে একটা সীমানার মধ্যে এবং সেই সীমানা খুবই সংকীর্ণ।

অন্যদিকে বিজ্ঞানে কোন কিছুই অ্যাবসলিউট ট্রুথ নয়। ধরা যাক , নিউটনের গতি সূত্র।Ohm's law ? পদার্থবিজ্ঞানের ইমারত দাঁড়িয়ে আছে এ গুলোর স্তম্ভের ওপরে। এরা কি অ্যাবসলিউট ট্রুথ ? বিজ্ঞানে ঈমান আনা কোন ব্যক্তিই তা বলবে না। বস্তুতঃ বিজ্ঞানের কোন থিওরী ,তত্ত্ব ,ল , ফ্যাক্ট ইত্যাদি প্রশ্নের উপরে নয় , ---- these will be disputed ইভেন if they are inconsistent with one experiment/observation.
বিজ্ঞানের অগ্রগতি হয় কারণ সেটা ডাইনামিক সেখানে সংশোধন সম্ভব , আর ধর্মীয় কিতাব ? তা যে অ্যাবসলিউট ট্রুথ ,সুতরাং নো পরিবর্তন !!

আপনার দেওয়া চুরাশী লক্ষ যোনী ভ্রমণের ধর্মীয় কাহানী পড়লাম। রূপকথা হিসাবে বেশ ভালো!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.