নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

May Allah Bless Bangladesh till the dooms day.

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ

I want very active debate

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

৭১এর অপরাধের বিচার ইস্যু চলতে থাকলে হাসিনার কোন সমস্যা আছে কি?

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:২৯



পদ্মা সেতু প্রকল্প



কানাডায় আবুল হাসান চৌধুরী অভিযুক্ত!







পদ্মা সেতুর ঠিকাদারি কাজ পেতে বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার ষড়যন্ত্রের ঘটনায় কানাডিয়ান কোম্পানি এসএনসি-লাভালিনের সাবেক এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করেছে দেশটির পুলিশ (রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ— আরসিএমপি)।অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন এসএনসি-লাভালিন ইন্টারন্যাশনালের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কেভিন ওয়ালেস, কানাডার নাগরিক জুলফিকার আলী ভূঁইয়া ও বাংলাদেশের আবুল হাসান চৌধুরী। এ ঘটনায় প্রথমবারের মতো একজন বাংলাদেশি নাগরিককে অভিযুক্ত করা হলো।কানাডার সংবাদপত্রগুলো গতকাল বুধবার তাদের অনলাইন সংস্করণে এ সংবাদ প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে কানাডার সংবাদমাধ্যম সিবিসি ছাড়া আর কোনো পত্রিকা আবুল হাসান চৌধুরীর পরিচয় তুলে ধরেনি। সিবিসি বলেছে, আবুল হাসান চৌধুরী বাংলাদেশের একজন গুরুত্বপূর্ণ লবিস্ট এবং সরকারের সাবেক একজন কর্মকর্তা বা মন্ত্রী। ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে।অন্যদিকে জুলফিকার আলী ভূঁইয়াকে একজন ব্যবসায়ী বলা হয়েছে, যাঁর বাংলাদেশে ব্যবসা রয়েছে। বাংলাদেশেও পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ বিষয়ে দুদকের তদন্তেও আবুল হাসান চৌধুরীর নাম রয়েছে। যদিও তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়নি। আবুল হাসান চৌধুরী সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। দুদকের তদন্ত অনুযায়ী, তিনি এসএনসি-লাভালিনের হয়ে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকের ব্যবস্থা করেছিলেন। কানাডায় অভিযুক্ত হওয়ার বিষয়ে গতকাল রাতে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে আবুল হাসান চৌধুরী বিস্ময় প্রকাশ করে জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। সিবিসিও তাঁর সঙ্গে কথা বললে আবুল হাসান চৌধুরী একই ধরনের মন্তব্য করেছেন।



তবে, দুদক এ ঘটনায় যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, তাঁদের মধ্যে কেভিন ওয়ালেসও রয়েছেন। কানাডার ‘বিদেশে ঘুষ প্রদান আইন’ (ফরেন ব্রাইবারি ল) অনুযায়ী কেভিন ওয়ালেসসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়। এই অভিযোগে গত মঙ্গলবার কেভিন ওয়ালেসকে গ্রেপ্তারের পর বুধবার আদালতে হাজিরা দেওয়ার শর্তে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজের দরপত্রের বিষয়টি দেখাশোনার দায়িত্ব ছিল কেভিনের। কানাডার পত্রিকাগুলো বলছে, দেশটির পুলিশ এখন কাজ পাওয়ার জন্য ঘুষ লেনদেনের ঘটনায় কোনো বিদেশি নাগরিক জড়িত থাকলে তা-ও তদন্ত করবে। কেননা, অনেক দেশেই কাজ দিতে ঘুষ লেনদেন একটি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।



এসএনসি-লাভালিনের আরও সাবেক দুই কর্মকর্তা রমেশ শাহ ও মোহাম্মদ ইসমাইলের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করছে আরসিএমপি। তাঁদের বিরুদ্ধে একটি মামলা এখন কানাডার আদালতে চলছে। এই দুজনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে দুদকও মামলা করেছে।



দুদকের করা মামলায় আবুল হোসেন চৌধুরীর সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে বলা হয়েছে, এসএনসি-লাভালিনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের সাক্ষাতের ক্ষেত্রে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী যোগাযোগ স্থাপনকারীর ভূমিকা পালন করেন। রমেশ শাহর নোটবুকে এই দুই সাবেক মন্ত্রীর নাম রয়েছে। তবে, অপরাধ সংঘটনে মো. আবুল হাসান চৌধুরী ও সৈয়দ আবুল হোসেনের অপরাধ-সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি তদন্তকালে খতিয়ে দেখা হবে। এ যুক্তি দেখিয়েই এ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেনি দুদক।



তাই দুদকের এই যুক্তি গ্রহণ করেনি পদ্মা সেতুর মূল অর্থায়নকারী বিশ্বব্যাংক। এখন দাতাদের ঋণ ছাড়াই নিজস্ব অর্থে ৩০০ কোটি ডলারের পদ্মা সেতু তৈরির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ। যদিও এ কাজ ধীরগতিতে এগোচ্ছে।



Click This Link

***********





২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসেই হাসিনার বর্তমান মহাজোট ৭১এর যুদ্ধাপরাধ পরে মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার না করায় আমার এই নিয়ে নানা প্রশ্নের উদয় হয়। তখনই ধারণা হয় ইচ্ছা করেই দেড়ী করা যায় এই কারণেই হাসিনা ঐ বছরই উদ্যোগ নেয় নাই। তাতে দুইটা লাভ আপাতত হাসিনার আলীগের হইছে ১) বিভিন্ন অনিয়ম-র্দূনীতি, জুলুম-কুশাসন এবং ভারতপ্রীতির বিষয় সমূহকে লাইম লাইটে আসতে না দেওয়া এবং ২) পরবর্তী নির্বাচনে যেন এই ইস্যুটা ব্যাবহার করা যায়। সর্বশেষ দুদক যখন হলমার্ক কেলেংকারীতে সোনালী ব্যাংকে রাজনৈতিক ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত পরিচালনা পরিষদকে নির্দোষ ঘোষণা করল তাতে বুঝতে বাকী নাই দেশের প্রশাসনের অবস্থা কি রকম! বিচার বিভাগও বহু প্রশ্নবিদ্ধ। তাই একের পর এক অনিয়ম, র্দূনীতি, জুলুম হলেও এর জন্য দায়ী ক্ষমতাসীনদের ধরাই যায়নি। এই কারণেই পদ্মা সেতুর জন্য বিশ্বব্যাংকের ঋণ তথা নির্মাণ বিষয়টি তীরে এসে তীর ডুবল সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেন এবং হাসিনার প্রথম আমলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসানের কমিশন বাণিজ্যের আশায়। কানাডার এসএনসি লাভালিনের কর্মকর্তার ডাইরীতে নাম থাকলেও দুদক এই দুইজনকে চার্জশীটে অন্তর্ভূক্ত করতে নারাজ। উপরন্ত হাসিনা আবুল হোসেনকে দেশপ্রেমিক উপাধি দিয়ে ফেলছে। তাই এখন কানাডার পুলিশের অভিযোগ পত্রে আবুল হাসানের নাম আসলেও দুদক হাসিনার সার্টিফিকেটকেই সবচেয়ে বড় মনে করবে। আর এই নিয়ে জাতীয় ইস্যুও বেশী দিন হবে না। কারণ এখন ৭১এর মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার করছে। তাই হাসিনা সরকারের সকল অপকর্ম এখন ম্লান!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:২১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "আমার আবুলের চেয়ে বড় দেশপ্রেমিক কে আছে ????"

-----------------------------বাজি ভাইয়ের আপা =p~ =p~ =p~

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০০

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: :D

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পদ্মা সেতুতে কোন দুর্নীতি হয় নাই। দুর্নীতির চেষ্টাও হয় নি। লেনদেন তো নয়ই। সেতুর কন্সাল্টিং ঠিকাদার যার ফাইনাল সিলেক্সানও হয় নি। ওয়ার্ক অর্ডার তো দুরের কথা! সেই ঠিকাদার কম্পানির রমেশ সেনের ডাইরিতে "হোসেন ২% হাসান ১%" ইত্যাদি লেখা ছিল।
ঠিকাদাররা হিসাব করার সময় এই ধরনের ফান্ড ধরে রাখে। লাগলে লাগল, না লাগলে নাই, এটা তাদের নিজস্য ব্যাপার।

কোন লেন দেন না হওয়াতে এই সামান্য অস্পষ্ট লেখা দেখে কারো বিরুদ্ধে মামলা করা যায় না। এই সামান্য আলামতে আদালত কাউকেই দোষি সাব্যস্ত করতে পারবে না। মামলাটি দুর্বল,
যার ডায়েরি রমেশ সেন, তার নাম নেই চার্জশিটে!
নেই প্রধান আসামি ২% আবুলের নামও!

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: টিপিক্যাল হাকা সাহেব বলে কথা। রমেশ ও ইসমাইলের সাথে দেখা করে আবুল হোসেন রীতিমত ভয় দেখাইছিল এসএনসি লাভালিনকে। আবুল হাসান চ্যানেল হিসেবে কাজ করছে কমিশনের লোভে। কানাডার পুলিশ আমাদের দেশের মত না যে দূর্বল ভিত্তিতে কাউকে রাজনৈতিক হয়রাণির জন্য মামলা করবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.