নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

May Allah Bless Bangladesh till the dooms day.

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ

I want very active debate

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবশেষে আমার স্বপ্নের ফুটবল ক্লাব ম্যানইউর খেলা দেখতে ওল্ড ট্রাফোর্ডে একদিন!

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:১৮





















সেই ১৯৮৮-৮৯ সাল হবে প্রথম ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডের নাম শুনেই কেন যেন এর প্রতি দূর্বল হয়ে পড়ি। নিজ দেশের ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং এর পরে বিদেশের প্রথম পছন্দের ক্লাবই হল এই ম্যান ইউ। ঐ সময় স্যার আলেক্স ফার্গূসন মাত্র কয়েক বছর হয় দায়িত্বে। ইউরোপীয়ান আঙিনায়তো দূর নিজ ইংল্যান্ডে চির প্রতিদ্বন্দী লিভারপুলের চেয়েও অনেক পিছিয়ে। লিভারপুল ঐ ১৯৯০ এর আগে ১৮ বার ইংলিশ লীগ চ্যাম্পিয়ান যার বিপরীতে ম্যান ইউ মাত্র ৫ বার চ্যাম্পিয়ান ছিল। ১৯৮৮-৯৪ পর্যন্ত স্রেফ পত্রিকা পড়েই ইংলিশ লীগ সহ ইউরোপের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দেশের লীগের খবর রাখতাম। তারপর ১৯৯৫ হতে ডিশ এন্টেনা ও ক্যাবল টিভির কল্যাণে সরাসরি ইংলিশ লীগ খেলা দেখার সুযোগ হল। তাও অবশ্য নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে নয় ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত। স্পোর্টস চ্যানেল ইএসপিএন ডিকোডার(পে-চ্যানেল) হয়ে যাওয়াতে ১৯৯৭ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। তারপর আর সহজে টিভিতে ম্যান ইউর খেলা মিস হয় নাই যদি না লোডশেডিং হত। সেই ১৯৯০-৯৪ এরিক ক্যান্টনা(ফ্রান্স), ক্যারল প্রবস্কি(চেক) ১৯৯৬ ও এর পরে বেকহাম, গিগস তারা মেগাষ্টার। সেই সময়ে লিভারপুল শক্তিতে অনেক পিছিয়ে গেছে। তখন ১৯৯৫-২০০২তে ম্যান ইউর প্রবল প্রতিদ্বন্দী ছিল আর্সেনাল। গানার্সদের কাছে ডাচ ডেনিস বার্গক্যাম্প, মার্ক ওভারমার্স যে খেলা উপহার দিত সত্যিই অসাধারণ। তার পরেও বেকহাম, গিগস, রয় কিয়েনদেরকে দিয়ে ফার্গূসন যে কৌশল করতেন তাতে ম্যান ইউর সাথে লীগে টেক্কা দিতে কেউ ধারাবাহিক ভাবে পারে নাই। এরই মধ্যে ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ডের চির প্রতিদ্বন্দী জার্মান ফুটবল দল বায়ার্ন মিউনিখকে নাটকীয় ভাবে(৯০+ মিনিটি সময়) ২-১ গোলে হারিয়ে UEFA চ্যাম্পিয়ান্স লীগ শিরোপা জিতলে সারা বিশ্বে লাইম লাইটে চলে আসে ফার্গূসনের ম্যান ইউ। বস্তুত তখনই নিজ দেশের লিভারপুলকেতো বটেই স্পেন, ইটালীর সব দলকে ছাপিয়ে ম্যান ইউই বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। এই বিষয়ে গত বছর একটি রিপোর্ট আসে;



Manchester United 'most popular team in world' with 659 million fans

Click This Link



সেই ১৯৯৯ সাল থেকেই প্রবল ইচ্ছা ছিল যে একদিন ম্যান ইউর খেলা সরাসরি ষ্টেডিয়ামে যেয়ে দেখব। প্রায়ই স্বপ্ন দেখতাম যে ম্যান ইউর খেলা সরাসরি দেখছি। যেদিনই স্বপ্ন দেখে ঘুম ভাঙত খুবই মনটা বেজার হয়ে সারাদিনই বিষন্নতায় কাটত। ঠিক যেমন ম্যান ইউ কারো সাথে হারলে যে রকম কষ্ট টা পাই। বিদেশে পড়াশোনার জন্য অনেক বড় আগ্রহ বিশেষ করে ইংল্যান্ডে যাওয়া ইচ্ছা ছিল। তারপর অনেক অপেক্ষার পর ২০০৯ সালে টিয়ার-৪ সেই সুযোগ করে দিল। কিন্তু ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডে আসা আর কোন ক্লাবের খেলা দেখা সহজ নয়। শুধু যে অর্থ তা না বরং সময় এবং দূরে ভ্রমণ করাও কষ্ট সাধ্য। তারপর যখন লন্ডন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেই তখন চিন্তা করি যে ম্যানচেষ্টার বা তার আশে পাশের কোন শহড়ে থাকব। তবে ম্যানচেষ্টার কলেজ, ভার্সিটি গুলোর টিউশন ফি অনেক বেশী বিধায় এর পাশেই একটি শহড়ে থাকার সিদ্ধান্ত নেই। যদিও শহড়ে একটা থাকার ভাল ব্যাবস্থা হল কিন্তু স্থায়ী কোন জব পাওয়া যাচ্ছিল না। সবই খন্ডকালীন। এর কারণ ষ্টুডেন্টদের কলেজ, ভার্সিটি চলাকালীন ২০ ঘন্টার বেশী কাজ করা নিষিদ্ধ। আর ছুটিকালীন যত ঘন্টা পারা যায়। এই কারণেই কোন জবেই বা কোম্পানীতে স্থায়ী হওয়া যাচ্ছিল না। এরপরেই ২০১২র শেষে শুরু হয় একটা কোম্পানীতে স্থায়ী জব। যা ফ্লেক্সিবল যে পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজের সময় নির্ধারণ করা যায়। এর আগে সোম হতে শনিবার ভিন্ন ভিন্ন সময়ে টানা কাজ করতে হত। মাঝে মাঝে অসময়েও হঠাৎ ডিউটির ডাক আসত। তাই কোন সময় যে ম্যান ইউ বা অন্য ক্লাবে যেয়ে খেলা দেখব সেই সুযোগ হত না। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় আগের তুলনায় সুযোগ অনেক বেশী। প্রতি সপ্তাহে না হলেও এক অথবা দুইবার খেলা দেখা সম্ভব। এমনই ভাবে গত মঙ্গলবার ১৭ই সেপ্টেম্বর সেই সুযোগ আসে। সেটা ছিল UEFA চ্যাম্পিয়ান্স লীগ ২০১৩-১৪ মৌসুমের শুরুর ম্যান ইউর প্রথম ম্যাচ। প্রতিপক্ষ জার্মানীর বায়ার লেভারকুসেন। ভাগ্যই বলতে হবে যে টিকেট পেয়ে যাই। ম্যান ইউর ওয়েব সাইটে চেক করে দেখি সাধারণ সীটের মনে হয় ষ্টেডিয়াম গ্যালারীর বিভিন্ন দিকে মাত্র ১৫-২০ টা খালি ছিল। মোট সিট ৭৮ হাজারের কিছু বেশী। তার মধ্যে পূর্ব দিকের স্থানকেই বেছে নেই। সকাল ৯:২০এ টেলিফোনে মেম্বারশিপ ফি সহ সেই দিনের টিকেটও কেনা হল। ভেবেছিলাম টিকিটেরে বিষয়ে মোবাইলে টেক্সট দিবে। কিন্তু অপারেটর বলল যে আপনার মেম্বারশিপ ২৮ দিনের আগে রেজিষ্টার্ড হবে না। তাই এখন আমরা এসএমএস করব না। তবে আপনাকে একটা রেফারেন্স নাম্বার দিব এটা নিয়ে আমাদের টিকেট অফিসে যাবেন। আর সাথে আপনার আইডি(পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স), প্রুফ অব এড্রেস(ইউটিলিটি বিল অথবা মাসিক ব্যাংক ষ্টেটমেন্ট) নিয়ে যাবেন। অবশেষে আমার শহড় থেকে প্রথমে ট্রেনে পৌছলাম ম্যানচেষ্টারের অক্সফোর্ড রোড ষ্টেশনে সময় সন্ধ্যা ৬:১৫। সেখান থেকে অনেক অপেক্ষার পর ২৫০ নাম্বার বাসে পৌছে গেলাম আমার প্রিয় দল ম্যান ইউর ওল্ড ট্রাফোর্ড ষ্টেডিয়ামের পরিসীমায় সময় সন্ধ্যা ৬:৪০। মনে হয় ম্যানচেষ্টার শহড়েও ভাল ট্রাফিক জ্যাম লাগে। পৌছে প্রথমেই গেলাম টিকেট অফিসে। আমার বাংলাদেশী পাসপোর্ট, ব্যাংক ষ্টেটমেন্ট দেখিয়ে নিয়ে নিলাম টিকেট। মজার কথা হল যে শহড়ে থাকি সেই দিনের তাপমাত্র ছিল ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। কিন্তু ম্যানচেষ্টারে এসে দেখি ৯ ডিগ্রী। পুরাই আমাদের মাঘ মাসের মত শীত। অবশ্য মোটা জ্যাকেট সাথেই ছিল। ইংল্যান্ডের আবহওয়া মাঝে মাঝে খুব দ্রুত বদলায়। হঠাৎ ঝড়ো বৃষ্টিতে আগের দিনের তাপমাত্র ১৮ হতে ১৩ ডিগ্রীতে নামে। তাই ধারণা ছিল যে ম্যানচেষ্টারে আরো ২-৩ ডিগ্রী কম হবে। কারণ ম্যানচেষ্টার সুমুদ্রপৃষ্ট হতে অপেক্ষাকৃত উচু জায়গায় অবস্থিত। এরপর যখন গ্যালারীতে প্রবেশ করলাম ওহ একেতো চোখ ধাধিয়ে গেল তার উপর ঠান্ডাও তেমন লাগছিল না। সে যাই হৌক গ্যালারিতে প্রবেশ করে বহু বছরের ইচ্ছা পূরণ হলেও তখনও বিশ্বাস হচ্ছিল না যে এখন আমি আমার প্রিয় দলের খেলা দেখার জন্য আসতে পেরেছি। মনে হচ্ছিল এখনও বোধ হয় সেই ঢাকায় ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখছি :)



খেলা সমন্ধে বলতেই হয় যে স্যার আলেক্সের উত্তরসুরী ম্যান ইউর নতুন কোচ ডেভিড ময়েস তিনি রুনি, ভ্যান পার্সিদের দিয়ে ইপিএল মতই তার প্রথম চ্যাম্পিয়ান্সলীগের ম্যাচে আক্রমণাত্নক কৌশল অবলম্বন করেন। সেই দিন ছিল এভারটন হতে আসা বেলজিয়ান মারিও ফেলেইনির প্রথমবারের মত সেরা একাদশ হিসেবে মাঠে নামা(আগের লীগ ম্যাচ ক্রীষ্টাল প্যালেসের সাথে অভিষেক)। তবে সেই খেলায় ভ্যান পার্সি আশানুরুপ খেলতে পারে নাই। যদিও দ্বিতীয় গোলটি তার পা থেকে আসছে। অবশ্যই ওয়েন রুনী ভাল খেলেছে। তবে আমার মতে ম্যান অবদা ম্যাচ ছিল ইকুয়েডরিয়ান এন্টোনিও ভ্যালেন্সিয়া। বরাবরের মতই শুরু হতে ক্ষীপ্রতা ও দম পুরো ৯০ মিনিট মাঠ মাতিয়ে রাখে। একেতো ভ্যান পার্সি, রুনীকে গার্ড দিচ্ছিল লেভারকুসেন অন্য দিকে ভ্যালেন্সিয়াও তাদের ঘুম হারাম করে দেয়। আর ফেলেইনীও যেমন আক্রমণ ভাগে সহায়তা করছিল অন্য দিকে লেভারকুসেনের আক্রমণের অনেক অংশই নিজের লম্বা গড়ন দিয়ে বাধা দিচ্ছিল। সেই খেলার দুঃখ একটাই যে ভ্যান পার্সি হ্যাট্রিকটা করতে পারল না। দুই দুটি সহজ গোলের সুযোগ সে কিভাবে মিস করলা তা ভেবে পাই না। তবে সে যাই হৌক রুনি, ভ্যালেন্সিয়াতো বটেই ম্যান ইউর কিপার ডেভিড ডি গিয়াও একটি গোলে অবদান রাখছে। রুনির দ্বিতীয় গোলটিতে তার লম্বা নিশানা করা ভলি লেভারকুসেনের রক্ষণভাগ রুখতে ব্যার্থ হয়। ঐ ম্যাচে ম্যান ইউ প্রমাণ করছে যে তারা বর্তমানে একটি ব্যালান্সড দল। যদিও এইবার তারা নেইমার, গ্যারেথ বেইলের মতা নতুন উচু তারকা নেয়নি তবে গিগসকে প্রথম একাদশে না নামালে ম্যান ইউকে হারানো যেকোন দলের জন্য খুবই কঠিন কাজ হবে। ১৭ই সেপ্টেম্বরের খেলা দেখে মনে অনেক আনন্দ যে সেটা হৃদয়ের অনেক গভীরে দাগ কাটছে। পছন্দের একাধিক খেলোয়াড়কে একসাথে দেখতে পাওয়ার অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করা সহজ না। তাই এখন সুযোগ হলে ওল্ড ট্রাফোর্ডে গিয়ে খেলা দেখা মিস হবে না। B-)

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: দারুন।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২৯

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: বর্ণনা খুব ভাল লাগল। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২৯

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০৭

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
চমৎকার ||

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২৩

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৬

অসামাজিক সাব্বির বলেছেন: ggmu

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: :)

৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: দারুন!!!!

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫

অন্ধকারে একজন বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার ওল্ড ট্রাফোর্ডে খেলা দেয়া। ম্যান ইউ এর বর্ণনা ও ছবি দুইই ভালো লাগলো। আমারও এই স্বপ্নটা আছে একদিন ওল্ড ট্রাফোর্ডে গিয়ে খেলা দেখার :)

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২

মো: ইলিয়াস বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার ওল্ড ট্রাফোর্ড যাত্রা.....আসায় আছি ন্যু-ক্যাম্পে যাব বলে।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হিংসিত হইলাম। /:) :P

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৩

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.