নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

May Allah Bless Bangladesh till the dooms day.

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ

I want very active debate

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশের বাইরে অর্ধযূগ পার!

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:০৭





সেই স্কুল পর্ব হতে আমার জীবনের বেশীর ভাগ সময়টাই ব্যায় করছি এই ভেবে যে একদিন উন্নত কোন দেশে গিয়ে পড়াশোনা করব এবং যদি সুযোগ হয় তবে সেই দেশে স্থায়ী হবার চেষ্টা করব। এমনি ভাবে আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে ২০০৯এর শেষ ভাগে বৃটেনে ষ্টুডেন্ড ভিসায় আসি। এরপর পড়াশোনার পাশাপাশি আবাস, খাওয়া, যাতায়ত এর চাপ মোকাবেলা করতে করতেই এক দেড় বছর এমনি এমনিই চলে গেল। তখন এই প্রবাস জীবনে এসে অনেকটাই স্থিতিশীল হলাম। দেশে থাকতে শুনতাম যে প্রবাস জীবন অনেক কঠিন। সব জেনেই এসেছি। তাই এখানে পড়াশোনার পাশাপাশি নিজে সব কিছু ব্যবস্থা করা(বাজার, রান্না, ঘর পরিস্কার এবং চাকুরী) করার অদম্য ইচ্ছাই ছিল। আল্লাহর রহমতে এই গুলির কোন কিছুই আমাকে দমাতে পারে নাই। প্রাথমিক অবস্থায় লন্ডনে কাজ না পেয়ে প্রায় ২০০ মাইল দূরে লিডস শহড়ে চাকুরী করছি আবার লন্ডনে কলেজের ক্লাসও করছি। পুরো লাইফটা তখন শক্ত শৃঙ্খলাবদ্ধ হইছিল যদিও কোন সংকট ছিল না। সময় মত বাস ও ট্রেনের টিকিট ও যাতায়ত সবই মসৃণ। আমার জীবনে যতবার না ঢাকার বাইরে গেছি তারচেয়ে বেশী ইংল্যান্ডের অর্ধেক এলাকায় অর্ধশত বারের বেশী ভ্রমণ করতে হইছে। চোখ বন্ধ করে ঘুমিয়ে বাসে যাতায়াত করছি কোন দূঃশ্চিন্তাই হয় নাই। কিন্তু এত সত্ত্বেও দেশের নিজ পিতা-মাতা, ভাই, আত্নীয়, বন্ধু ও প্রতিবেশীদের যে মিস করে আসছি সেটা পূরণ হওয়ার না। বিদেশে কষ্ট জানতাম কিন্তু এভাবে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার গড়ার জন্য যে দেশে আসা যাবে না সেটা ধারণায় ছিল না। এখন রেসিডেন্ট পারমিটে আছি। তাই কিছুদিনের জন্য ছুটিতে গেলে(২ হতে ৪ সপ্তাহ) চাকুরী আর থাকবে না। আমার নিয়োগকর্তা এমন ভাবেই চাকুরী দিছে ওয়ার্ক-রেসিডেন্ট পারমিটধারী হিসেবে যে অসুখ ছাড়া টানা ৫দিনের বেশী ছুটি নেওয়া যাবে না। এই চাকুরীর উপরই এখানে ভবিষ্যতে স্থায়ী হওয়ার অবলম্বন। আপনাকে বছরে মিনিমাম ৩০ হাজার পাউন্ড আয় দেখাতে হবে। তার উপর ঘড় ভাড়া, বিভিন্ন বিল, খাজনা তো আছেই। কাজেই সঞ্চয়ও তেমন একটা থাকে না। আবার এটার চিন্তা করলে স্থায়ী হওয়ার আবেদনের গ্রাউন্ড পাওয়া যাবে না। এভাবেই বিদেশের জালে জড়িয়ে এই বছর কয়েক মাস আগে নিজ পিতার মৃত্যুতেও দেশে আসতে পারিনি। ২০০৯র ঢাকার সেই জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরেই জীবনের শেষ দেখা ও বিদায় হইছিল আব্বুর সাথে। প্রবাসের স্থায়ী হতে গেলে অনিচ্ছা সত্ত্বেও যে নিজ রক্তের সাথে পর হতে হয় সেটা টের পেলাম। এভাবেই দেখতে দেখতে বাংলাদেশের বাইরে ৬ বছর পার হয়ে গেল। আশা করি দেশে স্বজনরা যারা আছেন তারা বুঝবেন যে বিদেশে ক্যারিয়ার টিকিয়ে রাখা রীতিমত যুদ্ধের বিষয়। এখন দেশের যেই বিষয় গুলি মিস করিঃ

১) মা, ভাই, আত্নীয়, বন্ধু, প্রতিবেশী সহ অনেক পরিচিত জন,
২) বিভিন্ন ধরণের শাক-সব্জি যেমন লালশাক, পাটশাক, পুইশাক, কলমিলতা শাক, সাজনা পাতার শাক,
৩) সকালের নাস্তায় হোটেল-রেষ্টুরেন্টের বুটের ও মটরের ডাল, ভাজি, নিহারী ইত্যাদি,
৪) বিকালের নাস্তায় আলু বা ডালপুরী, পিয়াজু, ছোলাবুট ভাজা, বেগুনী, শিক কাবাব, চটপটি-ফুচকা ইত্যাদি,
৫) ষ্টেডিয়ামে গিয়ে ঢাকা মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবের ফুটবল খেলা দেখা।

এবার বিদেশে যে সুবিধা গুলি উল্লেখযোগ্যঃ

১) কোন বিদ্যুৎ বিভ্রাট নাই,
২) সরাসরি কলের পানি পান করা যায়,
৩) বাস, ট্রেন যাতায়াতে কোন দেড়ী নাই এবং নেই কোন ট্র্যাফিক জ্যম। নিরাপদে রাস্তা পারাপার, বাসে উঠা নামায় নির্দিষ্ট স্থানে ষ্টপেজে লাইন ধরা। ট্যাক্সি ক্যাব ডাকার জন্য মোবাইল এ্যাপ আছে এতে আপনার ট্যাক্সি কতক্ষণে আপনাকে পিক করবে এবং কোন পথে আসছে সবই সেই এ্যাপে জানতে পারবেন, ভাড়াও সঠিক মিটারে হবে,
৪) খাদ্যদ্রব্য সম্পূর্ণ ভেজাল মূক্ত এবং উপাদান হিসেবে ক্যালরি, কার্ব, সুগার, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও অন্যান্য ফ্যাট, প্রোটিন, সল্ট, ভিটামিন ১০০ গ্রামে কত গ্রাম আছে তা উল্লেখ করা থাকে,
৫) নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের কথায় কথায় বাড়তি মূল্য নাই(বিগত ৬ বছরে বেশীর ভাগ জিনিসের দাম বাড়ে নাই),
৬) সরকারী কি বেসরকারী অফিসে কোন কাজে অহেতুক দিনের পর দিন বা মাসের পর মাস সময় নষ্ট করতে হয় না যেখানে ঘুষের কথা স্বপ্নেও চিন্তা করা যায় না,
৭) টেলিফোন, মোবাইল, ইন্টারনেট ব্যাবহার তুলনামূলক দাম কম এবং লাইন, সিগনাল মসৃণ আর গতি যথারীতি দারুণ,
৮) ব্যাংকিং লেনদেন সহজ ও নিরাপদ এবং দ্রুতগতির।

বিশেষ করে মাত্র ১৬(সিম অনলি কন্ট্রাক্ট) পাউন্ডের ভিতর পুরো বৃটেনের মোবাইল কল এবং অধিকাংশ ল্যান্ড লাইনে আনলিমিেটেড মিনিট কথা বলা যায়। একই তারে ফোন, ইন্টারনেট ও ক্যাবল টেলিভিশন দেখা যায়।

জীবনে কিছু পাইতে হইলে কিছু ত্যাগও করতে হয় বিশেষ করে যারা বিদেশে এসে স্থায়ী হতে চান। এর জন্য সবচেয়ে জরুরী বিষয় আপনি কতটা লক্ষ্যে অবিচল, ধৈহ্যশীল, সাহসী, কর্মঠ, যেকোন বৈরী পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে ইচ্ছুক। শুধু জ্ঞান বুদ্ধি থাকলেই চলবে না পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেওয়ার মনমানসিকতাও থাকতে হবে। অনেকেই বিদেশে এসে ভাত বা দেশীয় খাদ্য বা ষ্টাইলে রান্না খাওয়া না খেলে চলে না কিন্তু এটা হতে সামিয়ক ভাবে হলেও দূরে থাকার জন্য তৈরি থাকতে হবে। সেই সাথে নিজ পিতা-মাতা, ভাই-বোন ও অন্যান স্বজনদের থেকেও একটা লম্বা সময় বিরতি নেওয়ার জন্যও প্রস্তুত থাকতে হবে। যারা ব্যাচেলর তারা এটা সহজেই পারবেন। তবে যারা বিবাহিত তাদেরকে অনুরোধ যে তারা নিজ জীবন সঙ্গীকে ফেলে যেন বিদেশে না আসে। পারলে তাকে সাথেই নিয়ে যান নতুবা দেশেই ক্যারিয়ার গরুন অথবা থাকুন।

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৫৪

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: ভালো লাগল ভাই পড়ে । ধন্যবাদ গঠনমূলক কথা বলার জন্য ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:১৩

অবিবাহিত ছেলে বলেছেন: অনেক কিছু জানা গেল । আপনার জন্য শুভ কামনা ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৩৫

সুলতানা রহমান বলেছেন: এমনিতেই আমরা জানি এখানে অনেক সমস্যা। কিন্তু আপনার লিখা পড়লে তো সবাই চলে যেতে চাইবে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০১

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: তারচেয়ে বরং এখনই নিজ দেশের যে গুলো দৃষ্টিকটু সমস্যা আছে সেগুলোর সমাধানে সিরিয়াস হতে হবে। তাইলেই আশা করি নিজ দেশ ছেড়ে উন্নত দেশে যাওয়ার অত তাড়া থাকবে না। সময় থাকতে বাস্তবমুখী চিন্তা করতে হবে।

৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৪৯

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো শুভকামনা থাকলো ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০১

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫০

blackant বলেছেন: SHUVO KAMONA .

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০১

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫৭

জ্ঞানহীন মহাপুরুষ বলেছেন: যতরকম সুযোগ সুবিধার কথা বললেন তাতে তো এদেশের মানুষ বিদেশে ছুটবে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৩

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: দয়া করে ভাই ৩নং মন্তব্যকে দেওয়া উত্তরটা দেখে নিয়েন।

৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:২৬

মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: খুব ভালো লাগলো

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৪

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩১

অলৌকিক আগন্তুক বলেছেন: খুবই ভাল লাগল। ইচ্ছা করছে এখনই চলে যাই। শুভ কামনা রইল।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৬

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: যদি সত্যিই সুযোগ থাকে তবে অষ্ট্রেলিয়া বা কানাডায় যেতে পারেন। বৃটেন এখন অনেক কঠিন বিশেষ করে ক্যামেরুনের কনজারভেটিভ পার্টি ক্ষমতায় আসার পর। সেই সাথে ইইউ ভূক্ত যেকোন উন্নত রাষ্ট্রও অভিবাসনের ক্ষেত্রে অষ্ট্রেলিয়া ও কানাডা হতে কঠিন।

ধন্যবাদ।

৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৫

জুন বলেছেন: মানিয়ে নেয়াই হলো আসল কথা। আমি জীবনে এক গ্লাস পানি ঢেলে খাইনি মানসিকতা থাকলে বিদেশ কেন বর্তমানে দেশে থাকাও কঠিন।
ভালোলাগছে আপনার নি:সংকোচ লেখনী।
+

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৮

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: আমি ইউটিউবের কাছে অনেক কৃতজ্ঞ! বৃটেনে রান্না করা শুধু মেসের মেমবাদের কাছে নয় বরং ভিডিও ক্লিপ দেখে অনেক রেসিপিরই রান্না করা শিখছি। এখানেই প্রযুক্তি অনেক উপকারী।

ধন্যবাদ।

১০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এইরকম মানসিকতা নিয়ে যদি দেশে কাজ করতে পারতাম তাহলে এই দেশও বহুদূর এগিয়ে যেত। কিন্তু আমরা হইলাম সব নেক একজন নবাব। নবাবী যখন পাইছি তখন মাটিতে আর ভুলেও পা দেয়া যাবেনা। এই হলো আমাদের মানসিকতা।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১১

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: আসলে মনমানসিকতা বিশেষ করে স্বার্থপড়তার ভাবটা আমাদের দূর করতে হবে। কেউ খাইল আর কেউ খাইল না এটা থেকে উত্তরণ ঘটাতে হবে। বৃটেনে যার সামর্থ্য নাই তাকে খাওয়া, থাকা এবং চিকিৎসার জন্যও চিন্তা করতে হয় না। আমাদের দেশে থাকার চেয়ে সবার জন্য খাদ্য ও চিকিৎসা যা মৌলিক অধিকার সেটার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। এটা কঠিন কিন্তু অসম্ভব না। সততা থাকলেই হইল আমাদের জ্ঞান বুদ্ধির অভাব নাই।

ধন্যবাদ।

১১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪২

নেক্সাস বলেছেন: আরে জিন্দাবাদ ভাই। মেলাদিন পর আপনাকে দেখলাম। কেমন আছে কমরেড?

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১২

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ! আপনে কেমন আছেন নেক্সাস ভাই?

ধন্যবাদ।

১২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন: দেশে থাকতে কেউ কোন ব্যাপারে সেক্রিফাইস করতে চায় না। আপনার জন্য শুভ কামনা

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১২

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: হ্যা ভাই আমিও কিছুটা হলেও এর ভাগীদার।

ধন্যবাদ।

১৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৮

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: জীবন !

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৩

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: মানেই সংগ্রাম!

১৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৯

শামছুল ইসলাম বলেছেন: কঠিন বাস্তবতার আলোকে লেখা, ভাল লেগেছে।

শেষের কথা গুলো খুবই মূল্যবানঃ

//জীবনে কিছু পাইতে হইলে কিছু ত্যাগও করতে হয় বিশেষ করে যারা বিদেশে এসে স্থায়ী হতে চান। এর জন্য সবচেয়ে জরুরী বিষয় আপনি কতটা লক্ষ্যে অবিচল, ধৈহ্যশীল, সাহসী, কর্মঠ, যেকোন বৈরী পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে ইচ্ছুক। শুধু জ্ঞান বুদ্ধি থাকলেই চলবে না পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেওয়ার মনমানসিকতাও থাকতে হবে।//

ভাল থাকুন। সবসময়।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৪

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: আল্লাহ আপনাকেও ভাল রাখুন!

ধন্যবাদ।

১৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "বিশেষ করে মাত্র ১৬(সিম অনলি কন্ট্রাক্ট) পাউন্ডের ভিতর পুরো বৃটেনের মোবাইল কল এবং অধিকাংশ ল্যান্ড লাইনে আনলিমিেটেড মিনিট কথা বলা যায়।"

কবি তো এই জায়গায় নিরব। আমি মাসে দেই ৪৫ ডলার। ৪০০ মিনট টক টাইম ও ৩০০ মেগাবাইট ডাটা। ম্যাসেজ আনলিমিটেড। আর কিছু নাই। ইন্টারনেট বিল দেই ৬৫ ডলার; ১৯০ গিগাবাইট ডাটা। আয়ের অর্ধেক মোবাই-ইন্টারনেট-ক্যাবল কোম্পানি খাইয়া ফালায় :(( :((

বাজি ভাই, মাঝ খানে মনে করেছিলাম ব্লগিং ছেড়ে দিলেন নাকি? দেইখা নিশ্চিত হইলাম ব্লগিং ছাড়েন নাই। শুভ জন্মদিন (প্রবাস জীবন) =p~




৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২০

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: কানাডায় মোবাইল ও ইন্টারনেট এত দাম কেন সেটা বোধগম্য নয়। আপনাদের পাশের দেশ আমেরিকা এবং সদুর অষ্ট্রেলিয়াতেও মোবাইল সস্তা শুনছি। বিশেষ করে অষ্ট্রেলিয়ায় মাত্র ৩০ ডলারে আনলিমিটেড মিনিট প্যাকেজ আছে মোবাইল ফোনে। যদিও ডেটা ১ কি ২ জিবি। আর ইন্টারনেটের জন্য সবচেয়ে ভাল দেশ হইল ফিনল্যান্ড। ইন্টারনেট প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার। এখানে আপনাকে ডেটা সীমিত করবে সেটা কল্পনাই করা যায় না। এখানে দক্ষিণ কোরয়িার মতই উচ্চগতির ইন্টারনেট। কয়েক মিনিটেই ১-২ জিবি ডাউনলোড স্বাভাবকি বিষয় সেই সাথে আপলোডও।

ভাই বিদেশে থেকে চাকরী ও ঘরের কাজ সামলাইতেই দিন শেষ, তাই আশা করি বুঝবেন যে ব্লগে কিভাবে সময় দিব :)

অনেক ধন্যবাদ পলাশ ভাই।

১৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৮

রাােসল বলেছেন: Thanks not to make discourage. Everywheree have to straggle, that is Bangladesh or others. I think much discourage with bad intention.

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২১

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: হুম!

১৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩

তোমোদাচি বলেছেন: ভাল লাগল লেখা!
এই দোটানায় ৭ বছর থেকে অবশেষে দেশে ফিরেছি ---- অনেক রিলাক্স!
আমার অভিজ্ঞতা স্থায়ী হওয়ার জন্য বিদেশ ভাল জায়গা নয়; অল্প কয়েক বছরের জন্য বিশেষ উদ্দেশ্যে সফল করার জন্য ঠিক আছে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৩

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: জাপানে স্থায়ী হওয়া অনেক দূস্কর। সেই তুলনায় ইউরোপে অপেক্ষাকৃত সহজ। পুরো ইউরোপে বহু বাংলাদেশী প্রবাসী স্থায়ী ভাবে আছে। আশা করি ফেসবুকে তাদের থেকে পজেটিভ ওপনিয়ন পাবেন।

ধন্যবাদ তোমোদাচি ভাই।

১৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৩

আবু শাকিল বলেছেন: আপনার ভাগ্য ভাল।উন্নত দেশে আছেন এবং ভাল আছেন।
ভাল থাকার দোয়া রইল।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৪

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: সমস্ত প্রশংসার মালিক আল্লাহ!

যাযাক আল্লাহ খায়ের!

১৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো থাকুন এই শুভকামনা রইলো

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৫

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

২০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৫

সুমন কর বলেছেন: আপনার অনুভূতি পড়ে ভালো লাগল।

ভালো থাকুন। সব সময়।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৬

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

২১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৯

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ভালো থাকুন প্রবাসে।

ভালো থাকার জন্যই আমাদের সব প্রচেষ্টা।

বিদেশে অনেকে কষ্ট করে জীবন যাপন করছে অনেকে আবার অনেক অনেক ভাল আছে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৬

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

২২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আপনার মত ভাবনাটা আমারও। একসময় দেশের বাইরে যাব - তারপর সেখানেই স্থায়ী হয়ে থাকব।

কিন্তু মাঝে মাঝে ছোট এই বেলার স্বপ্নটাকেই চাই সত্যি না হোক।
সিরিয়াসলী ভাই, যেই জ্যামকে এত গালিগালাজ করে সবাই - সেই জ্যাম না থাকলে একদম বিরক্ত লাগে। আমার ঐ দূষণযুক্ত জ্যামই ভাল।

ভাল লাগলো লেখাটা।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৩

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: কথা হইল সময় মত কাজ সারা। ২০০৬ সালেও এক দিনে ২-৩টা কাজ সারছি ঢাকা শহড়ের বিভিন্ন স্থানে ঘুরা ঘুরি করে। এমনকি পুরান ঢাকা হতে নতুন ঢাকায় ডাবল যাতায়াত করছি সেটাও সকাল ৯টা হতে বিকাল ৫টার মধ্যেই। ঠিক ৩ বছর পর ২০০৯ সালে নিজের এই ষ্টুডেন্ট ভিসার কাজে বাসা থেকে সকাল সোয়া ৮টায় বের হইলেও এই জ্যামের কারণে বিকাল ৫টা কি সন্ধ্যা ৬টা বেজে গেলেও পুরো একটা কাজও সারতে পারি নাই। ঐ কাজটাই পরের দিন দুফুর পর্যন্ত লাগছে সেটা সারতে। তাইলে বুঝেন ট্র্যাফিক জ্যাম কত বড় একটা আপদ! আপনে হয়ত এমন কোন ক্যারিয়ারে জড়িত না যেখানে এই র্দূবিষহ জ্যাম আপনার তেমন ক্ষতি করে। একটি দেশ ও জাতিকে অগ্রসর হতে হইলে সময় মত কাজ হওয়া অত্যন্ত জরুরী তা বলাই বাহুল্য।

ধন্যবাদ।

২৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৪১

আ.র.জা বলেছেন: একটা জিনিস বাদ দিছেন-
মশারি ছাড়া রাতে ঘুমানো যায়।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:২২

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: আরে দিলেনতো লজ্জায় ফালায়া। মশারির কতা ভুলেই গেছি। বিদেশে থাকতে থাকতে মনে হয় না আগে কি সুন্দর মশারির তলে দিন কাটাইতাম :)

ধন্যবাদ।

২৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫২

মোঃহাদী বলেছেন: ব্রিটেনে বাংলাদেশী ছাত্রদের জন্য স্কলারশিপ ব্যাবস্থা আছে কি ? যোগ্যতা , রেজাল্ট কি রকম হওয়া দরকার ?

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:২৪

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: অবশ্যই আছে। তবে একেক ভার্সিটির একেক রকম নিয়ম। তাই দয়া করে গুগলে সার্চ দিয়ে দেখে নিন আপনার রেজাল্ট অনুযায়ী সুযোগ আছে কিনা। প্রতি বছর বেশ বাংলাদেশী ছাত্র স্কলারশিপ নিয়ে বৃটেনে আসছে।

২৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫৮

চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: আমার অবস্থাও একই রকম ভাই। ৪ বছর সাইপ্রাস আর এখন ১ বছর ইউ এস এ। আর ভাল্লাগে না ভাই।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:২৭

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ভাই ধৈহ্য ধরে রাখেন। একবার বাংলাদেশে স্থায়ী ভাবে চলে আসলে আবার এরচেয়ে অনেক বেশী আফসোস করবেন! তাই নিদানপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রীণকার্ড হোল্ডার হয়ে কয়েক সপ্তাহর জন্য দেশে আসেন।

ধন্যবাদ।

২৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৩

হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: মাঝে মাঝে ভাবি দেশ ছেড়ে বাইরে যাব কিন্তু এই বাবা-মা কে ছেড়ে চলে যেতে ইচ্ছে করে না । বাবাও চাই বাহিরে চলে যায় । এক অদ্ভুত দোটনায় আটকে আছি ।
ভাল থাকবেন ।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৩১

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: যদি আপনার কোন ভাই অথবা বোন পিতামাতাকে দেখার জন্য না থাকে তাইলে বিদেশ যাওয়া সত্যিই মুশকিল। আর যদি উনারা দেখভাল করে তাইলে বড় সমস্যা নাই। যোগ্যতা থাকলে সময় মতই বিদেশে যাওয়া ভাল। নতুবা বয়স হয়ে গেলে বিদেশে গিয়ে তেমন পরিশ্রম দিতে পারবেন না। এটা আমার অভিজ্ঞতা!

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.