নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

May Allah Bless Bangladesh till the dooms day.

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ

I want very active debate

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদেশে না আসলে নিজে রান্না করার এত স্বাধীনতা পেতাম না :)

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৩৪







দেশে থাকতে বড় জোর ডিম ভাজা কি চা বানানো ব্যাস এই! এর বাইরে যদি নুডুলস বা অন্য কিছু নিজে তৈরি তথা রান্না করতে যেতাম আম্মুর কয়েক ডজন বকুনী। আম্মু বলত ব্যাটা মানুষদের রান্না ঘরে বেশী যেতে নেই তাতে কপাল ছোট হয়। আর বৃটেন আসার পর যখন একের পর এক রান্না করে ফেসবুকে ছবি ও পদ্ধতি সমূহ শেয়ার করে অতীতে মায়ের বকুনীর কথা বলি তখনি এক আফ্রিকান ফ্রেন্ড অবাক! সে কয় "বল কি"। আমার সহ এখানকার(আফ্রিকান) মায়েরা তার ছেলেরা বয়স ৮-৯ হলেই বলে আমাকে রান্নায় সাহায্য কর। আর মেয়েরাতো যথারীথি! আর বয়স ১২ হলেই আফ্রিকান ছেলেদের নিজ হাতে কম-বেশী রান্না করতে হয়। এটা আমাদের উপমহাদেশের কুসংস্কার যে পুরুষ মানুষের রান্না ঘরে যাওয়া ঠিক না। অথচ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান সহ সার্কের অন্য সব দেশেই পাড়া মহল্লার সাধারণ হোটেল, রেস্তোরা হতে ফাইভ ষ্টার হোটেল সর্বত্রই পুরুষ শেফদের জয়জয়কার শুধু বাড়ীর রান্নার ক্ষেত্রে মা, বোন, বিবি ও মেয়েদের যত কতৃত্ব তথা বহু ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি। আমি মনে করি শখ বা ইচ্ছা হলে বাড়ীর কিশোর(১৪-১৬) হতে বড়রা যদি চায় তারাও যেন রান্না করে সেটা উপভোগ করতে পারে। সে যাই হৌক বিদেশে আসার পর মেস মেম্বারদের থেকে দেখে ও পরে ইন্টারনেটে বিশেষ করে ইউটিউব দেখে বিভিন্ন আইটেম রান্না করা এখন কঠিন কিছুই না। যদিও খুব সহজ না তবে সব সময়ই এখন রান্না করা উপভোগ করি মোটেও খারাপ লাগে না। আর ঈদ সহ বিশেষ খাবারের আয়োজনে পুরো মনোযোগ সহ বাড়তি আনন্দ হয় :)


১) উপরের ছবিতে ২০১১ সালে একটি স্যামন মাছ কিনে রান্না করছিলাম। যেদিন রান্না করি সেটার উপর পোষ্টও দেই (সেপ্টম্বর, ২০১১);

http://www.somewhereinblog.net/blog/Bangladesh_Zindabad/29448256

২) দ্বিতীয় ছবিতে মাশরুম ও ছোলার ফ্রাই করছি ২০১২র রমজান মাসে(আগষ্ট)। এই নিয়ে আমার পোষ্টও আছে;



http://www.somewhereinblog.net/blog/Bangladesh_Zindabad/29653854

তারপর সময় যতই গড়ায় ক্যারিয়ার তথা জব, শপিং ও ঘরের কাজের ব্যাস্ততার জন্য রান্নার উপর তেমন ব্লগিং করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। তাই রান্না করা আবার এসবের ছবি তুলে বর্ণণা যে সময় সাপেক্ষ তা বলাই বাহুল্য। তবুও আজকে এরই মাঝে উল্লেখযোগ্য কিছু রান্না তুলে ধরলাম।

৩) মুরগীর স্পেশাল ঝাল ফ্রাই সাথে মটরশুটি ও আলু;



৪) ভুনা গরুর গোশতের তরকারী পাশে ফুলকপির কারী;



৫) মিক্সড ভেজিটেবল কারী। এখানে উপাদান গুলি হল ফুলকপি, ব্রোকলি, সবুজ ক্যাপসিকম, গাজর, সুইট কর্ন;



৬) ওভেনে চিকেনের গ্রিল করা;





উপরের এই ৬টি আইটেম নিজ বুদ্ধি ও পরিচিতদের মুখে শুনে করছি।

৭) চীনা ষ্টাইলে ভেজিটেবল ফ্রাই। এর নাম Vegetable Medleys। অবশ্যই এটা ইউটিউবের ভিডিও দেখে রান্না করছি। অত্যন্ত সুস্বাদু। রুটি বিশেষ করে পাউরুটির সাথে গরম গরম খেতে দারুণ;



আপনারাও নিম্নের ইউটিউবের ভিডিওটা দেখে এই চীনা Vegetable Medleys রান্না করতে পারেন;

https://www.youtube.com/watch?v=667yR9TbwyY

৮) এটাও চীনা ষ্টাইলের ভেজিটেবল ফ্রাই যার নাম Yasai Itame এর সাথে চীনা ষ্টাইলে চিকেন নাগেট ফ্রাই। এগুলোওযথারীতি ইউটিউব দেখেই রান্না করছি;



এই Yasai Itameর রান্না প্রণালীর ভিডিও লিংক;

https://www.youtube.com/watch?v=VtTSLBJF4H0

দুঃখিত চিকেন নাগেট ফ্রাইয়ের ভিডিও লিংকটা সেভ করে রাখি নাই 

৯) পুরান ঢাকার ষ্টাইলে তেহারী রান্না। সরিষার তেলে বানানো এই তেহারী দারুণ স্বাদ । এটাও যথারীতি ইউটিউবের ভিডিও দেখেই রান্না করা;



এর জন্য নিম্নের ভিডিও লিংক অনুসরণ করছি;

https://www.youtube.com/watch?v=BJbPY6CijKQ

১০) নিজ হাতে রান্না করা প্রথম চিকেন বিরিয়ানী। এটা কোন একক নয় বিভিন্ন ভিডিও দেখে নিজের সুবিধা মত কম-বেশী উপকরণ দিয়ে তৈরি করছি;



১১) এরপর যা না বললেই না সেটা আগে বলে নেই । আগে মানুষের বিয়েতে বিশেষ করে নিকট আত্নীয় বা পরিচিতজনদের বিয়েতে বর ও কনের বা কারো পক্ষ হতে(ঠিক মনে পড়ে না কার পক্ষ হতে) বাসায় দই মাছ পাঠানো হইত। কিন্তু বাংলাদেশে থাকতে কখনই এই দই মাছ খাওয়ার সৌভাগ্য হয় নাই। আম্মুরে বললে লাঠি নিয়ে তেড়ে আসত আর মুখে বকাঝকাতো মিস নাই। বলত এত ঝামেলা ভাল লাগে না। আর আমিও জিদ্দি পোলা একবার যে খাওয়া মনে ধরে সেটা না খাওয়া পর্যন্ত শান্তি নাই। তাই এই বৃটেনেই করছি দই মাছ(রুই)। সরিষা তেল ও টক দইয়ের এই রুই মাছ রান্নাটা সেই রকম স্বাদ হইছে :)







এই দই মাছ রান্নাটাও কয়েকটি ভিডিওর সংমিশ্রণ। তবে এখানে দারুচিনি, এলাচ, তেজপাতা এগুলো দেই নাই। আমার কাছে এগুলো বেশীর ভাগ মুরগী, গরু, খাশীর গোশতের সাথেই ভাল লাগে। এগুলো মাছের সাথে দিলে মাছের স্বাদটা তেমন পাই না। তাই এই সব গরম মশল্লা বাদ দিয়েই দই মাছ রান্না করছি!


নিজ হাতে রান্না করে খাওয়া এখন নেশার মত হয়ে গেছে। নিজ ঘরের রান্নার মত বাইরের আর অন্য খাবার সহজে ভাল লাগে না। বৃটেনে ইংরেজদের দেখি তাদের অনেকেই দুফুরে নিজ বাসার রান্না করা খাবার থেকে বাইরের স্যান্ডউইচ, পাস্তা, ম্যাকডোনাল্ডের বার্গার সহ নানান ফাষ্টফুডই বেশী খায়। আমি যখন নিজের হাতের এই দেশী ও বিদেশী(উপমহাদেশ, চীন, মোঘল-তুর্কী) ষ্টাইলে রান্না করা খাবার আমার কর্মস্থলে খাই তার গন্ধে আমার কলিগরা এর সুঘ্রাণে বলে Very nice and delicious food you cooked! তখন আমিও বলি যে ঘরের খাবার শুধুই সুস্বাদুই নয় বরং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। নিজে রান্না করাতে যে বিনোদন আছে সেটা যে রান্না করে না তাকে সহজে বোঝানো যায় না। সেই সাথে আশা করব বাংলাদেশের মা, বোন, স্ত্রী ও কন্যারা তারা যেন ঘরের ছেলে পুরুষরা যদি মাঝে মাঝে রান্না করে খেতে চায় তো সেই সুযোগ দিয়েন। এই নিয়ে কোন কুসংস্কার ইস্যু আনবেন না। রান্নার যে শিল্প সমূহ সত্যিই অনন্য!

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫৮

নীল বরফ বলেছেন: হমমম!। বেশ ভালো রান্না করেন দেখছি!। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। দেশে থাকতে আর ৮-১০ ছেলের মত আমি কোনোদিনও রসুইঘরে ঢুকে দেখিনি। দেশে ছেড়ে আসার আগে একদিন আম্মা প্রথমে গরুর মাংস মসলা মাখানো দেখানো আমাকে । ৫ মিনিট পরেই আম্মা বলল এবার তুই মাখা!। আমি পারিনি এত কাছ থেকে দেখার পরও, পুরাই মসলা উলটপালট করে মাংসের রং পাল্টে যাবার জোগাড়!। আম্মার খুব আলতো পায়ে ডাইনিং টেবিলে বসে কান্নাটা এখনো চোখে ভাসে।

সময়ের সাপেক্ষে এখন রান্না শিখে ফেলেছি; আমার কাছে এটা এখন এক আর্ট। আচ্ছা, টক দইয়ের মাছের পুরো রেসিপি টা আমাকে দিবেন। দেখে বড়ই মজাদার মনে হলো। প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম, সত্যিই আমার কাজে লাগবে।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ভাই রোম শহড় একদিনে হয়নি। কেউই আমরা প্রথমেই ভাল রান্না করতে পারব না। এটা প্র্যাকটিস করতে করতে অন্তরের অন্তস্থল থেতে আয়ত্ব করতে হয়। যখন এটা হয়ে যায় তখন রান্নাটা ভাল হয়ে যায়। সে যাই হৌক নিচে আপনার জন্য দই মাছের রেসিপিটা দিলাম;

দই মাছের জন্য লাগবে;

উপকরণঃ

১) ৫০০ গ্রাম রুই মাছ,
২) টক দই ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম,
৩) লাল মরিচের গুড়া দুই চা চামচ,
৪) আদা বাটা ২-৩ চা চামচ,
৫) রসুন বাটা ২-৩ চা চামচ,
৬) হলুদের গুড়া ২-৩ চা চামচ,
৭) পিয়াজ কুচি অথবা বাটা ৫০০ গ্রাম,
৮) সরিষা তেল ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম,
৯) টমেটোর কুচি ৫০০ গ্রাম,
১০) লবণ স্বাদ মত [আমি দুই ধাপে(মেরিনেট ও সেদ্ধ) দেড় চা চামচ ব্যাবহার করছি]।
১১) কাচা মরিচ বাটা ২ চামচ,
১২) কাচা মরিচ ৪ থেকে ৬টা(রান্নার শেষ পর্যায়ে অর্ধেকটা কেটে দিলে গন্ধটা সুন্দর হয়),
১৩) কাল গোল মরিচ দানা (১৫-২০টি),
১৪) পানি ১০০ হতে ১৫০ গ্রাম

রান্নার প্রণালীঃ

প্রথমে একটি বোলে মাছের উপর অর্ধেক চা চামচ লবণ, এক চামচ করে হলুদ, লাল মরিচের গুড়া, আদা এবং রসুন বাটা দিয়ে মেরিনেট করুন। এটা ৩০ মিনিট হতে এক ঘন্টাও রাখতে পারেন। তবে ৩০ মিনিটের নিচে যেন না হয়। তাতে মাছ এই মসল্লা গুলো ঠিক মত শুষে নিবে না।

একটি পট বা হাড়িতে ২০০-২৫০ গ্রাম সরিষা তেল নিন। তাতে মধ্য আচে জ্বাল দিয়ে প্রথমে ২ চা চামচ আদা ও একই পরিমাণ রসুন বাটা ঢালুন। এটা ২-৩ মিনিট ভাজা হলে এতে ঐ ১৫-২০ দানা কাল গোল মরিচ ঢালুন। এর ১-২ মিনিট পর পিয়াজ(কুচি বা বাটা) ঢালুন। এই পিয়াজ অর্ধেকটার মত ভাজা হলেই টমেটোর কুচি দিন। ৩-৪ মিনিট পর টমেটোটা গলে ঘ্রাণ বের হলেই এতে কাচা মরিচের বাটা(২ চামচ) দিন। তারপর এক চামচ লবণ দিন। এর মিনিট খানেক পর ২ চামচ হলুদ গুড়া ও এক চামচ লাল মরিচের গুড়া দিন। এভাবে ১-২ মিনিট নাড়ুন। এই সময়ে জ্বালটা একটু কমিয়ে দিতে পারেন যাতে মসলা গুলো পুড়ে না যায় তা লক্ষ্য রাখতে হবে। তারপর এতে ১০০ গ্রাম পানি ঢালুন। এর ৩-৪ মিনিট পর গ্রেইভিটা যখন সেদ্ধ হয়ে আসবে তখন ৩০০-৪০০ গ্রাম টক দই ঢালুন। এখন একে ভাল ভাবে নাড়ুন। এখন মেরিনেট করা রুই মাছ গুলিকে একটি ফ্রাই প্যানে(নন ষ্টিকি হলে ভাল হয়) ১০০ বা ১৫০ গ্রাম সরিষা তেলে পেটি গুলোর দুই পার্শ্বে মিডিয়াম বা এর কিছু কম জ্বালে ৩ মিনিট বা এর সামান্য কিছু বেশী ভাজুন। ভাজার আন্দাজ আমার কাছে ৩০-৪০% হলেই চলবে। কোনমতেই বেশী ভাজা তথা ক্রিসপি করা যাবে না। এরই মধ্যে টক দইয়ের কারীতে বলক চলে আসবে। তখন সাবধানে ভাজা হওয়া মাছের পেটি গুলোকে সেদ্ধ হতে থাকা টক দইয়ের কারীতে ঢেলে দিন। এভাবে ৪-৬ মিনিট সেদ্ধ করুন। নামানোর মিনিট দুই আগে লম্বা করে কাটা কাচা মরিচ গুলিকে(৪-৬) কারীর উপরে ফাকে ফাকে ছড়িয়ে দিন। এতে পুরো কারীর গন্ধটা সুন্দর হবে।
***

আপনার কাছে অনুরোধ রইল এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে রান্না কেমন হইছে তা জানাবেন।

ধন্যবাদ।

২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


মাউত-ওয়াটারিং! :)

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: :)

ধন্যবাদ।

৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৭

পিচ্চি হুজুর বলেছেন: ভাই আপনি দেখি মহা বড়লোক, আস্ত স্যামন মাছ কিনছেন।
বাইরে থাকার এই একটা মজা আছে রান্না নিয়া নিত্য নতুন এক্সপেরিমেন্ট করা যায়।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫০

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ভাই এখানে ধনী বা গরীবের বিষয় না। স্যামন মাছ বৃটেনে প্রায় সবাই খায়।

ধন্যবাদ।

৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫০

সুমন কর বলেছেন: প্রথমবারেই এতো সুন্দর !! দাওয়াত দেন, ট্রেস্ট করে আসি... ;)

প্লাস।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫১

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: :)

ধন্যবাদ।

৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাইজান মন ছুঁয়ে যাওয়া পোষ্ট। মাঝে মাঝে আমারও এমন রান্নার এক্সপেরিমেন্ট করতে মন চায়, দেশে আছি বলেই হয়ত সেটা করা হয়ে উঠে না, তবে রান্না করা ঝামেলার কাজ অথচ দেখেন বিদেশের একাকীত্ব সেই ঝামেলার কাজকেও করতে বাধ্য করে তোলে। মাঝে মাঝে এও চিন্তা করি; আচ্ছা দেশে এইরকম একাকীত্বের মাঝে থাকলে কি আপনাদের মতো জীবন এমনভাবে চলতো !

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০২

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: আসলে আমাদের দেশের ঐতিহ্যে পুরুষ মানুষকে বেগ পেতে হয় কিচেন রুমের ভিসা নেওয়ার জন্য :)

তবে বাড়ীর মহিলাদের একটু বুঝিয়ে বললে এই যূগে হয়ত কাজ হতে পারে। আর ঝামেলার কথা বলছেন যদি মনের ইচ্ছাটা শক্ত হয় তাইলে এটা কোন কঠিন কিছু না। এখন প্রায়ই শুনি বউ বাপের বাড়ী গেলে অনেকের কাজের লোক তেমন না থাকলে গৃহকর্তাকেই কম-বেশী রান্না করে খেতে হয়। সচেতেন পুরুষ মানুষ বাইরের খাবারের চেয়ে ঘরের তৈরি খাবারকেই গুরুত্ব দেয়। ১-২ বেলা জরুরী অবস্থায় ঠিক আছে কিন্তু কয়েকদিন হইলে নিজের উদ্যোগেই রান্নাটা করা ভাল। আমি দেশে থাকতেই এমন পরিস্থিতিতে কিছু বাড়ীর কর্তাদের দেখছি নিজেরাই রান্না করে খাইছে। আর স্বাভাবিক ভাবেই আপনার রোজ রান্না করার দরকার নাই। কারণ আপনার বাসার হয়ত মা, বোন অথবা গিন্নী রান্না করবে। তবে কালে ভদ্রে বিশেষ মজাদার কিছু খেতে চাইলে নিজ উদ্যোগে করতেই পারেন।

ধন্যবাদ।

৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৯

নীল_প্রজাপতি বলেছেন: রান্না দেখে বলবো কি.....
ভাষা খুঁজে পাইনা........ =p~
অপূর্ব রান্নার ছবি.. ধন্যবাদ।।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৩

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: :)

আপনাকেও ধন্যবাদ।

৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩

নীল বরফ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ রেসিপি দেবার জন্যে। আমি অবশ্যই রান্না করে আপনাকে জানাবো। আমি বিদেশে এসেও রান্না পারছিলাম না, ঐযে মন থেকে আসতো না। তোঁ একদিন সিদ্দিকা কবিরের রান্নার বই নিয়ে বসে আছি; কি করি ? স্যান্ডউইচ আর নুড্ডলস দিয়ে আর কয়দিন!! হটাত ওই বইয়ের শুরুতে লিখা যে রান্না শেখার জন্যে প্রথমে মন থেকে আন্তরিকতা লাগবে, তখনো যে বুঝিনি যে রন্ধন আসলে এক শিল্পপ্রনালী!। ওই লাইনটুকুই আমাকে পুরাই পাল্টে দিলো। এই কারনে আমি মরহুমা সিদ্দিকা কবিরের প্রতি আজীবন ঋণী থাকব।
আমি এখানে মাছ ধরতে যাই, সমুদ্রে আর নদীতেও । তাজা মাছের রান্না অনেক বেশি মজাদার লাগে। রেড স্ন্যাপার, কড,উরোপিয়ান কার্প, ব্রিম, ত্রাউট ধরে রান্না করে খাই। তাই আপনার কাছে নতুন রেসিপি দেখে হামলে পরলাম।

হ্যাপি নিউ ইয়ার, ভাল থাকবেন।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২২

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: সিদ্দিকা কবির মারা গেছেন জেনে খারাপ লাগল। আল্লাহর কাছে উনার রুহের মাগফিরাত কামনা করি।

সামুদ্রিক মাছ শুধুই সুস্বাদু নয় বরং স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।

আমি অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করি ছবি সহ আপনার রান্না করা দই মাছের রেসিপিটা দিবেন।

আপনাকেও হ্যাপি নিউ ইয়ার!

ধন্যবাদ।

৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২১

ইমরান আশফাক বলেছেন: চমৎকার পোস্ট, সাহস করে একবার শুরু করে দিলেই হলো। প্রতিনিয়ত নতুন অভিজ্ঞতা হবে যে আর কিভাবে কি করলে রান্নাটা আরও সুস্বাদু হবে বা এই ভুলটা আর হবে না।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৪

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৩৩

মহান অতন্দ্র বলেছেন: " সেই সাথে আশা করব বাংলাদেশের মা, বোন, স্ত্রী ও কন্যারা তারা যেন ঘরের ছেলে পুরুষরা যদি মাঝে মাঝে রান্না করে খেতে চায় তো সেই সুযোগ দিয়েন। " সমস্যা সুযোগটা তো তারা নিতে চাই না। আপনি আরও অনেক রাঁধুন এবং আমাদের দাওয়াত করুন :P

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:২৯

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: :)

ধন্যবাদ।

১০| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:০৪

নীল-দর্পণ বলেছেন: ওহহো বছরের প্রথমদিন সকালেই কী চমতকার একটা পোস্ট ! দই মাছের রেসিপিটা দারুন লেগেছে। আমার মনে হয় ইলিশ, চিংড়ি বা মুরগিও এই সিস্টেমে রান্না করলে দারুন হবে। ইনশাআল্লাহ শিঘ্রই করে দেখতে হবে । :)

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৯

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: :)

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.