নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

May Allah Bless Bangladesh till the dooms day.

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ

I want very active debate

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যদি আমাদের দেশে এভাবে খাদ্যপণ্যের মূল্য কমানোর প্রতিযোগীতা হত!

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৮




২০১৩ সালে আমার এক ইংরেজ কলিগ বলল তুমি কেন TESCOর বদলে ALDI থেকে শাক-সবজ্বি কেন না! টেস্কোর মূল্য আলডি থেকে ৫০-৭০% বেশী মূল্য নেয়। তার পরামর্শ মোতাবেক আলডিতে গিয়ে আমি অবাক। যেমন টেস্কোতে যে শসা ৮০ পেনী করে সেটাই আলডিতে ৫০ পেন্স। এভাবেই পালন শাক, টমেটো, লেবু, গাজর, মাশরুম সহ সব শাক-সবজ্বির দাম অনেক কম। তারপর সেই বাসা থেকে দূরের সেই আলডি ষ্টোর হতেই প্রয়োজনীয় ভেজিটেবল গুলো কিনতে লাগলাম। তবে ঘটনা এখানেই শেষ না।

দুধের একটা ক্যান(২.২৭ লিটার) কিনতাম ১.২০ পাউন্ডে সেই টেস্কো থেকেই। একই সময় এই পরিমাণের ক্যান ওয়ালমার্টের ASDA বিক্রি করত ১ পাউন্ডে। এরপর হঠাৎ করেই টেস্কো এর দাম করে ১.৪০ পাউন্ড। তারপর দেখা যায় টেস্কোর বিক্রি অনেক হ্রাস পায়। এতে টেস্কোর হর্তাকর্তারা নড়েচড়ে বসে। যে শসা এতদিন ৮০ পেনী ছিল সেটা ৫০ পেনী, দুধ এক ক্যান ১ পাউন্ড করা সহ প্রায় সকল খাদ্যপণ্যর মূল্য কমিয়ে দেয় সেই ২০১৩ সালেই। বিষয়টা আমাকে দারুণ ভাবে আনন্দিত করে। এলাকার কাছের টেস্কো ষ্টোর ছেড়ে ও অতিরিক্ত সময় ব্যায় করে আর দূরের আলডি ও আসদাতে যেতে ভাল লাগছিল না। এই টেস্কোতেই ঐ সময় ১০টা ডিমের একটা কেসের দাম ছিল ১.৫০ পাউন্ড সেটাই Iceland ষ্টোর বিক্রি করত ১ পাউন্ডে। এখন টেস্কোতেও এটা এক পাউন্ডেই পাওয়া যায়।

বৃটেনের গ্রোসারী চেইন ষ্টোর গুলোর মধ্যে TESCO, ASDA, Sainsburys, Co-operative, Iceland, ALDI, Morrissons, B&M, Home Bargains উল্লেখযোগ্য। এদের মধ্যে চলে ব্যাপক প্রতিযোগীতা। সিন্ডিকেট করে খাদ্য অথবা অন্য ভোগ্যপণ্যর দাম বৃদ্ধি করবে সেটা প্রায় অসম্ভব। কিছুদিন আগে আলডি তাদের বিভিন্ন পণ্যের দাম কমায় বাজারের অন্যান্য প্রতিদ্বন্দীদের তুলনায়;

Aldi cuts prices in fresh assault on supermarket rivals


http://www.telegraph.co.uk/finance/newsbysector/retailandconsumer/12154401/Aldi-cuts-prices-in-fresh-assault-on-supermarket-rivals.html

এখানে সর্বশেষ যে শসা টেস্কো ৫০ পেনীতে বিক্রি করত এখন সেটা দেখি ৪২ পেন্স। তারপরেও আলডি কিভাবে পণ্যের দাম কমায় সেটা অবাক না হয়ে পারি না। আরো উল্লেখযোগ্য বিষয় হল মুসলমানদের রমজান মাস এলে এই চেইন ষ্টোরের কতগুলি বিশেষ মূল্য ছাড় দেয়;

Ramadan 2016
Ramadan is the ninth month of the Islamic calendar. In 2016, this holy month will be 6th June to 5th July. It is observed by Muslims worldwide as a month of fasting from dawn until sunset.


http://www.tesco.com/groceries/zones/default.aspx?name=ramadan

ASDA Ramadan Mubarak Offers (£1 Bombay Mix, Basmati Rice 10kg for £9, etc)

http://www.hotukdeals.com/deals/asda-ramadan-mubarak-offers-1-bombay-744571

Ramadan boosts supermarket sales of rice, chapati flour, dates and meat as Muslims stock up for festival 'bigger than Christmas'

http://www.independent.co.uk/news/business/news/ramadan-boosts-supermarket-sales-of-rice-chapati-flour-dates-and-meat-as-muslims-stock-up-for-10339906.html

অমুসলিম প্রধান দেশ হয়েও বৃটেনের মুসলমানদের রোজা ও সারা বছর খাদ্যপণ্য নিয়ে আল্লাহর রহমতে দূ্ঃশ্চিন্তা করতে হয় না। অথচ বাংলাদেশে সারা বছর কোন অজুহাত পেলেই ব্যাবসায়ীরা খাদ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে। আর রোজা আসলে গরীব ও মধ্যবিত্তদের মাথায় হাত পরে। এখানে সব ব্যাবসায়ীরা একজোট। দ্বিগুণ লাভ করলেও তাদের পেট ভরে না। এতে যে গরীব ও মধ্যবিত্তরা কষ্ট করতাছে সেটা তার স্বপ্নেও দেখে না।

বিদেশে থেকে যখনই এই রকম খাদ্য ও অন্যান্য পণ্যের মূল্য কমতে দেখি তখনই বাংলাদেশের কথা মনে পরে। ফেলে আসা দেশের মানুষ একটু ভাল ও পরিমাণ মত খাবে সেটা রীতিমত যুদ্ধের বিষয়। তার উপর আছে ভেজাল ও ক্ষতিকর খাদ্য এবং ওজনে কম পরিমাণের বিষয়। তাই ভাবি কতগুলি দিকে কূল করা যায়?

এতদা সত্ত্বেও আমি আশাবাদী মানুষ। যদি সরকারের খাদ্য, বাণিজ্য সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় গুলো উদ্যোগী হয় তবে সিন্ডিকেট মূক্ত ও সুস্থ প্রতিযোগীতার পরিবেশ সৃষ্টি করে দেশে খাদ্যপণ্যের মূল্য কমানো তথা সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব। এখন প্রশ্ন হল সরকারের নীতি নির্ধারক মহল এই বিষয়ে আন্তরিক ভাবে ব্যাবস্থা নিবে কি? রমজান মাস আসতাছে মাত্র ৩ মাস বাকি। তাই এখন থিকে উদ্যোগ নিলে প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যর মজুদদারী, কৃত্রিম সংকট ও অতিরিক্ত মূল্য প্রতিরোধ করা সম্ভব। দেখা যাক এবার কি হয়!


মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


"অমুসলিম প্রধান দেশ হয়েও বৃটেনের মুসলমানদের রোজা ও সারা বছর খাদ্যপণ্য নিয়ে আল্লাহর রহমতে দূ্ঃশ্চিন্তা করতে হয় না। অথচ বাংলাদেশে সারা বছর কোন অজুহাত পেলেই ব্যাবসায়ীরা খাদ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে। আর রোজা আসলে গরীব ও মধ্যবিত্তদের মাথায় হাত পরে। "

-এটা কি প্রমাণ করে?

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৯

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: আপনে মনে হয় বাজার করেন না অথবা দেশে পত্রিকা পড়েন না;

Soaring food prices in Ramadan

http://en.prothom-alo.com/opinion/news/50412/Soaring-food-prices-in-Ramadan

Inflation up in June amid Ramadan price hike

http://newagebd.net/136530/inflation-up-in-june-amid-ramadan-price-hike/

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


রমযানে আমরা লন্ডন যাবো বাজার করতে।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪১

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ভাত পায়না খাইতে,
সাইকেল দিয়া যায় মুততে!

নিজ দেশের খাদ্যপণ্য মূল্য স্থিতিশীল করার চেষ্টা না নিয়ে আপনে বিদেশে মার্কেটিং করবেন...তাইলে যেহেতু আপনে ধনী মানুষ দেশের গরীবদের জন্য কিছু কিনা আইনেন :)

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অমুসলিম প্রধান দেশ হয়েও বৃটেনের মুসলমানদের রোজা ও সারা বছর খাদ্যপণ্য নিয়ে আল্লাহর রহমতে দূ্ঃশ্চিন্তা করতে হয় না। অথচ বাংলাদেশে সারা বছর কোন অজুহাত পেলেই ব্যাবসায়ীরা খাদ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে। আর রোজা আসলে গরীব ও মধ্যবিত্তদের মাথায় হাত পরে। এখানে সব ব্যাবসায়ীরা একজোট। দ্বিগুণ লাভ করলেও তাদের পেট ভরে না। এতে যে গরীব ও মধ্যবিত্তরা কষ্ট করতাছে সেটা তার স্বপ্নেও দেখে না।

এখন প্রশ্ন হল সরকারের নীতি নির্ধারক মহল এই বিষয়ে আন্তরিক ভাবে ব্যাবস্থা নিবে কি? রমজান মাস আসতাছে মাত্র ৩ মাস বাকি। তাই এখন থিকে উদ্যোগ নিলে প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যর মজুদদারী, কৃত্রিম সংকট ও অতিরিক্ত মূল্য প্রতিরোধ করা সম্ভব। দেখা যাক এবার কি হয়!

+++++++++++++++

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪২

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি যখন লন্ডনে বাজার করতে পারছেন, সব বাংগালীই করতে পারবে; আপনি মংগলগ্রহের বাংগালী নন।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৯

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: বার হাত কাকড়ের তের হাত বীচি। নিজ দেশের লোভীদের বিরুদ্ধে কথা না বলে ফাউল প্রসঙ্গ টেনে আনা চাটুকার ও ট্রোলদের কারবার। এই রকম বাটপার লোকদের জন্যই সিন্ডিকেট হয় এবং যার জন্য র্দূভোগ পোহায় দেশের দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত জনগণ। ভাবখানা এমন যে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ উন্নত দেশ গুলোতে গিয়ে বাজার করতে পারে। তাইলেতো আর দ্রব্যমূল্য নিয়ে ক্যাচাল হইত না। তাই আমার এখানে বাটপার এবং ট্রোলদের কোন স্থান নাই। ভরা হইল খোয়াড়ে....গেট লষ্ট‍!

৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪১

কহেন কবি কালিদাস বলেছেন: ভাই যথার্থই বলেছেন কিন্তু সমস্যা আমাদের সবার । ব্যবসাইদের কথা বলে লাভ নাই, ওরা পবিত্র রমজান মাসে যা করে তা রীতিমত টর্চার এর মত । তবে হ্যাঁ আমাদের সরকার যদি চেষ্টা করে তাহলে হয়ত কিছুটা হলেও আমাদের কষ্ট কমতে পারে।

আর হ্যাঁ , উচ্চমার্গের কিছু আতেল এর কথা এই কান দিয়ে ঢুকিয়ে আরেক কান দিয়ে বের করে দেবেন । এরা প্রতিটা কথায় মানুষকে খোঁচাতে চেষ্টা করে । পাত্তা না দিলেই হল ।

পোস্টে প্লাস ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৫

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ভাই সবার দোষ এটা বলা যথার্থ না। বেশীর ভাগ গরীব ও মধ্যবিত্তরা এখানে প্রভাবশালীদের অনিয়ম ও র্দূনীতির শিকার।

ধন্যবাদ।

৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ওরা যা করে মানুষের স্বার্থে না ব্যবসার স্বার্থে করে। পণ্যের দাম কমালে মানুষ কিনবে বেশী এই লজিক। অবশ্য ক্রেতারাও লাভবান হয়। আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা ব্যবসা বোঝেনা। পাবলিককে সুযোগ পেলেই কোনঠাসা করে আর যত নিন্মমানের পারে পণ্য চড়া দামে গছাতে চেষ্ট াকরে। আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হই কিন্তু ওদেরও ব্যবসার সুনাম নষ্ট হয়,মুনাফা কমে।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৭

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: আর যাই হৌক উন্নত দেশগুলোতে মানুষকে ব্ল্যাকমেইলিং করে ব্যাবসা করে খাদপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে না। আর আমাদের দেশে প্রায় সব ব্যাবসায়ীরা একজোট। তাই ঘুরে ফিরে মানুষকে তাদের কাছেই যেতে হয়।

ধন্যবাদ।

৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫৩

আবু শাকিল বলেছেন: একজন আম্রিকায় বইসা লন্ডনে বাজার করতে যান!!
অন্যজন আলদি থেকে হ্রাসকৃত মূল্য শাক- সব্জি কিনে দেশের বাজার মূল্যের নিয়ন্ত্রনের স্বপ্ন দেখেন!!!
এই লেখাগুলো পড়েই আমাকে কাল বাজারে যেতে হবে মাছ সব্জি কিনতে!!!!
কী-বোর্ড তুমি কেম্নে পার!!

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৯

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: তো ভাই দেশে যারা অনিয়ম ও র্দূনীতির মাধ্যমে চড়া মূল্য নিয়ে জিনিস বিক্রি করে তাদের সমন্ধে মন্তব্য কি?

৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৪১

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমাদের দেশের এসব যারা দেখার তারা তা কখনোই দেখবেনা। কারন তাদের এত বেশি টাকা যে কোন জিনিসের দাম বেড়েছে আর কমেছে তা দেখার সময় নাই।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৯

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: দুঃখজনক হলেও সত্য!

৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:২৪

মৃমৃ্রপামজু বলেছেন: need to chang the traditions

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০০

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: সহমত এবং ধন্যবাদ।

১০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫১

ঐন্দ্রিলা নিশাত বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ রোজাতে বেশি ভোগ করে তাই দামও বাড়ে। ভোক্তা সচেতনতা আমাদের দেশে একেবারেই নেই।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০১

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: বিক্রি বেশী হলে পণ্যের দাম কমে আর আমাদের দেশে দাম বাড়ে। এটা ব্ল্যাকমেইলিং। ভোক্তার জন্য আইন মোটামুটি থাকলেও প্রয়োগ নাই।

১১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৫

উল্টা দূরবীন বলেছেন: আমাদের দেশে এতোটা সম্ভব কিনা জানি না।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০২

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: সরকার ও দেশের নীতি নির্ধারকরা আন্তরিক না হলে এভাবেই চলবে।

১২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫০

আহমেদ জী এস বলেছেন: বাংলাদেশ জিন্দাবাদ ,




সর্ষের ভেতরেই ভুত । যে মহলের কাছে আন্তরিক ভাবে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন তারা নিজেরাই যে সিন্ডিকেটেড ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৩

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: :P

ধন্যবাদ।

১৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২০

ঢাকাবাসী বলেছেন: দুনিয়াতে সবচাইতে অসৎ অসভ্য লোভী ব্যাবসায়ী জাত অইলো বাংলাদেশের সব ব্যাবসায়ীরা!। এদের মিনিমাম এথিকস বলে কিছুই নেই।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৪

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: যতদিন সাধারণ পাব্লিক একজোট হয়ে এই সকল র্দূনীতিবাজদের ধোলাই করবে ততদিন এরা ক্রেতাদের ঘাড়ে কাঠাল ভেঙে খাবে।

ধন্যবাদ ঢাকাবাসী ভাই।

১৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভাই,
আপনি আল্ডির উদাহরণ দিয়েছেন। এই জায়ান্ট চেইন ইউরোপের এগ্রিতে সবচেয়ে চীপ ব্রান্ড একই সাথে তারা সবচেয়ে কম মানের পণ্য বিক্রি করে। তারা সব সময় তুলনামূলক ভাবে অন্যদের কম্পীট করে লো প্রাইস দেয়, সেজন্য কোয়ালিটিতে কম্প্রমাইজ করে। আরো স্পেসিফিকলি বললে, ইউরোপে জিএমও এগ্রি প্রডাক্ট খুবই চীপ, কিন্তু অরগ্যানিক কৃষি পণ্য খুবই এক্সপেন্সিভ। এটা খুবই স্বাভাবিক। ইউরোপের বিস্তৃত মধ্যবিত্ত এবং ইমিগ্র্যান্ট জিএমও এগ্রি প্রডাক্ট নির্ভর।

যদি আমাদের দেশে এভাবে খাদ্যপণ্যের মূল্য কমানোর প্রতিযোগীতা হত!
ব্যাপারটা এরকম হলে কতই না ভালো হোত তাই না? এবার আসেন কিছু ইনফাস্ট্রাকচারাল কথা বলি।
১। বাংলাদেশে কৃষি পণ্য রেজিস্টার্ড নয়, চাহিদার আলোকে উৎপাদন হয় না। রেজিস্টার্ড না থাকায় ফলনে ভারসাম্য এবং ডাইভার্সিটি নেই। ফলে বিশেষ বিশেষ এলাকায় বিশেষ বিশেষ ফলন বেশি করা হয়। এতে হয় বাম্পার ফলন হচ্ছে, বাম্পার মানেই ফলনের দাম কম। অথবা খরায় সবাই ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে।
২। কিছু ফলন (ধান, আম, পেয়ারা, বড়ই) এর বাম্পার হলেও একই মৌসুমের অন্য ফলন ব্যাপক চাহিদা থাকা স্বত্বেও উৎপাদন হচ্ছেই না, প্রতি বছর আদা, পেঁয়াজ, রসুন, মসুর ডাল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় যা অতি রাসায়নিক সার, স্প্রে নির্ভর জিএমও জাত, স্বাস্থের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
৩। কৃষক সরকারের কাছ থেকে সার বীজ কীটনাশক জৈব সার পাচ্ছেন না। এগুলো সব দালালের হাতে। ফলে সবাই ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে সহজ লভ্য বীজের ফলন করেন। তাছাড়া একটি এলাকায় সবাই ধান করলে চাইলেও অন্য ফলন করা যায় না। ফলন রেজিস্ট্রেশন এবং এর অনুকুলে বীজ সার দেয়া, ফসল কে চাহিদার আলোকে সমন্বিত করা হয় না বলে, এবং উৎপাদিত কৃষি পন্যের দামের ন্যায্য মূল্য না দেয়ায়, পণ্য দামে সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকাই স্বাভাবিক। কৃষক হয় হায় হায় করে অথবা সময় বুঝে বেশি দাম নিবার চেস্টা করে।
৪। ব্যাপারটা এতো সহজও নয়। বাংলাদেশের জন্য উপযোগী ফারমার্স মারকেট হয়ে উঠেনি শহরে, ফলে শহরের ভোক্তা এবং গ্রামের উৎপাদনকারীর মাধ্যে কয়েক স্তরের দালাল চক্র কাজ করে। পবিত্র রমজান মাসে এবং অন্য ফেস্টিভালে এরাই বাজার নিয়ন্ত্রণ করে, এখানে কৃষক তেমন সুবিধা পান না। কারন ফলন তারা আগেই লট ধরে বেচে দেন, কিছু সামান্য ব্যাতিক্রম ছাড়া !
৫। ট্রান্সপোর্টেশন খুবই এক্সপেন্সিভ।
৬। চাঁদাবাজি। স্থানীয় দুর্বিত্ত রাজনীতির লোকের আর রাস্তার পুলিশ সবাই মিলে শকুনের মত লুফিয়ে থাকে।
৭। কৃষি উপকরণ না থাকায় উৎপাদন খরচ বেশি। উপরন্তু ঋন থাকায় ফলন স্টরেজ করতে পারেন না কৃষক।
৮। তার উপর পচনশীল সবজি জাতীয় কৃষি পণ্য সংরক্ষণের কোন উপায়ই দেশে নেই, তাই তারা এন্টি ক্লোরিনেটেড ওয়াটার, কার্বাইড কিংবা ফরমালিন ব্যবহার করছেন!
৯। এখন প্রায় সব বীজই জিএমও, এগুলা থেকে উৎপাদিত ফলনের বীজ থেকে চারা হয় কিন্তু ফল হয় না। ফলে প্রতি বছর চারা কিনার বোঝা, আর এগুলা যেহেতু পতঙ্গ প্রতিরোধী নয় তাই এদের সার বীজ কীটনাশক স্প্রে বেশি লাগে। এগুলা সব মিলে কৃষকের বছর বছর ঋনের দায় বাড়ছেই। কিন্তু শহরে বসে আমরা দাম কম চাই খালি!


এইসব বহুবিধ কারণে কৃষক সর্বসান্ত। হাঁ কিছু দালাল মধ্যস্বত্য ভোগ করে বড় লোক হচ্ছেন। এগুলার জন্য সরকার এবং কৃষি প্রসাশন দায়ী। কিভাবে উপরে ব্যাখ্যা করেছি, এখানে বিশেষ আইন করলেই বা নির্দেশ দিলেই হবে, একটা সমন্বিত কৃষি উৎপাদন এবং বিপনন ব্যবস্থা দাড়া করাতে হবে যাতে মধ্যস্বত্য দালালের অংশগ্রহন থাকবে না, বরং ডিরেক্ট চ্যানেলে সরাসরি কৃষক তার পণ্য শহরের বাজারে আনতে পারবেন (ফার্মারস মারকেট) কিংবা চুপার চেইন গুল ডাইভার্স কৃষক সোর্স থেকে পণ্য কিনবেন। সেই সাথে সার বীজের বন্দোবস্ত করতে হবে, চাহিদার আলোকে উৎপাদন কে উৎসাহিত করতে হবে।

দাম কমানোই যেন নাগরিকের একমাত্র কাম্য না হয়। পিছনের ব্যাপার গুলো নাগরিকদের বুঝতে হবে, নাগরিক সচেতনতা তৈরি করে সরকারের উপর চাক দিতে হবে। আমাদের সরকার গুলো লূটপাট ছাড়া কিছুই করছে না, তবে তারা যে করছে না এটা তাদের চোখে আঙুল দিয়ে না দেখাতে পারলে তারাও কিছু করবে না।

১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২১

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ভাই, ALDI জিএমও মার্কেটিং করলেও তারা ইইউর রেগুলেশন অনুযায়ীই করে। কাজেই সেগুলো মোটেও নিম্ন মানের না। আর শুধু বৃটেন না বাকী উন্নত দেশ গুলোতেও অর্গানিক এগ্রি পণ্য জিএমওর চেয়ে দামী। এটা খুব স্বাভাবিক বিষয়।

আপনার ৩ থেকে ৬ এর মধ্যেই মূল সমস্যা। সরকার, আমলা ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের অনিয়ম, র্দূনীতিই কৃষি ও খাদ্যপণ্যের অত্যাধিক মূল্যের জন্য দায়ী। বাকী পয়েন্ট গুলো কম-বেশী কঠিন হলেও সমাধান কঠিন না। এর জন্য চাই আন্তরিক ও সততার সাথে উদ্যোগ। এখানেই বাংলাদেশ ও উন্নত সভ্য দেশ গুলির মধ্যে পার্থক্য!

আর আমার কথা দাম কমানো মানে কৃষক ও বিপণনকারীদেরকে লস দিয়ে বিক্রি করা না। আলডি, টেস্কো কিংবা আসদা কেইউ বৃটেনে লস দিয়ে বিক্রি করতে চায় না বা সহজে করে না। তারা বিশেষ উপলক্ষ্যে কম লাভে বিক্রি করে। কিন্তু আমাদের দেশে আড়তদার ও বিক্রেতারা লাভের উপর লাভ কয়েক গুণ দামে বিক্রি করে যা কালবাজারী ছাড়া আর কিছুই না। এটাই উন্নত দেশে প্রায় কল্পনাই করা যায় না।

১৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩

রাতুল রেজা বলেছেন: ১৪৭৫৬০ বর্গ কিলমিটার হোল দেশের আয়তন আর জনসংখা হল প্রায় ১৬ কোটি। এখানে পন্যের চেয়ে মানুষ বেশি। তাই পেটের দায়ে কেউ না কেউ বেশি দামে কিনে নিবেই। ব্যবসায়ীদের তাই কোনো মাথাব্যাথা নেই। তারা জানে তারা বেচতে পারবে। আর সরকার এগুলো দেখভাল করবে? ভাই ব্যাবসায়ীরাই তো সরকার, কাকে কি বলবেন আপনি।

১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৭

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: আর সরকার এগুলো দেখভাল করবে? ভাই ব্যাবসায়ীরাই তো সরকার, কাকে কি বলবেন আপনি।

এটাই মূল সমস্যা যে তারা অনিয়ম ও র্দূনীতির সাথে জড়িত।

ধন্যবাদ রাতুল রেজা ভাই।

১৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৫৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



এইগুলা আমাদের কাছে কেবলই স্বপ্ন হয়ে থাকবে মনে হয়। সিন্ডিকেটের উপর কথা কয় এমন সাহস আছে নাকি ?

১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২০

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: এইগুলা আমাদের কাছে কেবলই স্বপ্ন হয়ে থাকবে মনে হয়। সিন্ডিকেটের উপর কথা কয় এমন সাহস আছে নাকি ?[/sb

এখানেই আফসোস!

ধন্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.