নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

May Allah Bless Bangladesh till the dooms day.

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ

I want very active debate

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যদি বাংলাদেশে সব চিকিৎসা, টেষ্ট ও প্রয়োজনীয় ওষুধ বিনামূল্যে হইত!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৫:১০










দেশে থাকতে মাত্র ৩-৪ বার ডেন্টিষ্ট তথা দাতের ডাক্তারের কাছে গেছিলাম। তাও সরকারী হাসপাতালে! তারপর দেশে কোলগেট ও পেপসুডেন্ট টুথপেষ্ট এভেইলএবল হলে(আগে কিছু নির্ধারিত ও অভিজাত বিপণীতে পাওয়া যেত) দাতে তেমন সমস্যাই হয় নাই। তবে একটি দাত অনেক আগেই খানিকটা ক্ষয় হতে হতে বৃটেন আসার পর এই বছর ফেলে দিতেই হল। ১৫-২০% টিকে ছিল তাই ডেন্টিষ্ট যখন দাত তুলে তখন সমস্যা হয় নাই। এর তিন মাস পর আবার যখন এই মাসের শুরুতে গেলাম তখন তিনি বললেন এই জায়গায় একটা দাত বসানোর কথা। আমি প্রথমে বললাম আদৌ কি দরকার আছে? তারপর তার কথাতেই রাজী হইলাম। তাকে খরচের বিষয়ে প্রশ্ন করাতে বলল "তোমার যদি উচ্চ আয় না থাকে এবং ট্যাক্স ক্রেডিট পাও তাইলে সম্পূর্ণ ফ্রি"। খুশীতে আমার মন ভরে গেল। ঠিক আছে ডেন্টিষ্ট যখন বলতাছেন তাইলে দাতের ইমপ্ল্যান্ট ব্রীজটা করেই ফেলি। পরে ডেন্টাল সেন্টারের রিসেপশনিষ্টকে জিজ্ঞাসা করলাম বিত্তবান বা সামর্থ্যবানদের জন্য এটা কেমন খরচ? বলল সব মিলিয়ে ৩১০ পাউন্ড লাগবে। পরে আমি ওয়েব সাইটে দেখি এটাই প্রাইভেটে লাগে ৭০০ পাউন্ড। উল্লেখ্য বৃটেনে National Health Service(NHS) যা সরকারী ফান্ডে চলে এমন ডেন্টাল সেন্টারে নিম্ন হতে উচ্চ আয়ের মানুষেরা পুরো থেকে ৬০-৭০% দাতের চিকিৎসায় ভর্তূকী পেয়ে থাকে। তাই NHS ছাড়া প্রাইভেটে চিকিৎসা অনেক ব্যায় বহুল। কাজেই আমারও দাত বসানো বিনা খরচে ও আরামে হয়ে গেল। এখানে অন্য সব চিকিৎসা সম্পূর্ণ ফ্রি তবে ওষুধ আয় অনুযায়ী কিনতে হয়। বিত্তবান-সামর্থ্যবান ও ট্যাক্স ক্রেডিট যাদের নাই এমন বৃটিশরা ছাড়া বাকী বৃটিশ নাগরিকরা ৯৯% ওষুধই ফ্রি পায়। এছাড়াও রক্ত পরীক্ষা, এক্স-রে, স্ক্যান সহ সব ধরণের টেষ্ট বৃটিশ নাগরিক ও বৈধ রেসিডেন্টদের জন্য ফ্রি। রোগ নিয়ে অহেতুক ভুল চিকিৎসা, ভুল ওষুধ প্রায় নেই। কাজেই অহেতুক রোগ না থাকলে বাড়তি অর্থের জন্য ডাক্তাররা অবৈধ কোন কাজ করে না।

সহজে সারার মত রোগ হইলে এক কোর্সের ওষুধেই রোগ সারে। সেই সাথে দীর্ঘ মেয়াদেও সারার মত রোগ হইলে সেটাই ধীরে ধীরে সুন্দর ভাবে সারে। ক্যান্সার সহ যেকোন জটিল রোগ সারানোর জন্য যতটা সম্ভব প্রচেষ্টা সহ হার্ট, লিভার, কিডনী, চোখ সহ সম্ভ্যাব্য প্রতিস্থাপনযোগ্য শরীরের অঙ্গ ষ্টোরে রিজার্ভ থাকলে সেগুলোও ফ্রিতে স্থাপন করে দেয়। বহু লোক এগুলো মৃত্যুর পর এটা দান করে যায়। খালি যদি বৃটিশদের সবাই একটু বুঝে অতিরিক্ত মিষ্টি, চর্বি, সোডা, প্রসেসড ফুড এবং এলকোহল কম গ্রহণ করত তাইলে তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে NHSর অর্থ অপচয়টা কম হইত।

বৃটেন সহ ইইউভূক্ত বেশীর ভাগ সদস্য রাষ্ট্র সহ ইউরোপে সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে ও আইসল্যান্ডের নাগরিকদের জন্য সব ধরণের চিকিৎসা পুরাটাই বিনামূল্যে। এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের স্বাস্থ্য সেবার জন্য ইন্সুরেন্স গুণতে গুণতে কাহিল হওয়ার অবস্থা হয় যদিও সেই দেশের চিকিৎসা ইউরোপের মতই অনেক উন্নত। আর অষ্ট্রেলিয়া ও কানাডাতে সব চিকিৎসা ফ্রি হলেও চোখ ও দাতের চিকিৎসা ফ্রি না। এর জন্য অষ্ট্রেলিয়ান ও কানাডিয়ানদের অনেক অর্থ ব্যায় করতে হয়। তাই মানুষ মুখে শুনি তাদের আত্নীয়রা যারা অষ্ট্রেলিয়া ও উঃ আমেরিকায় থাকে তারা বাংলাদেশেই দাতের চিকিৎসাটা করায়।

আর স্বদেশ তথা বাংলাদেশের কথা!!! যদিও সংবিধানে বলা আছে স্বাস্থ্য সেবা সব নাগরিকের অধিকার তবে বাস্তবে যার অর্থ-ক্ষমতা আছে সে চিকিৎসা পায় আর যার নাই সে অকালে মরে অথবা খানিকটা কি সারা জীবন ধূকে। অনেক সময় অর্থ ব্যায় করেও দরিদ্র ও মধ্যবিত্তরা সঠিক চিকিৎসা পায় না। কোন সময় টেষ্টের দরকার নাই কিংবা তেমন বেশী ওষুধের দরকার নাই। কিন্তু প্যাথলজিকাল ল্যাব ও ওষুধ কোম্পানী হতে কমিশন খাওয়ার লোভে অহেতুক রোগীদের অর্থ অপচয় করায়। অনেক সময় বুঝে বা অবহেলা করে সঠিক পথে টেষ্ট ও ওষুধ না দিয়ে রোগকে বাড়িয়ে তোলে। এতে করে অনেক মানুষই নিস্ব হয় অথবা দেনায় জর্জরিত থাকে। ইউরোপ ও সোশ্যাল ওয়েলফেয়ারের দেশ গুলিতে ইউটিলিটি বিল(গ্যাস, বিদ্যুৎ), টেলিফোন, জ্বালানি তেল সহ বিভিন্ন পণ্য হতে নির্ধারিত অথবা কিছুটা বাড়তি কর আরোপ করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাসস্থান সহ বেশ কয়েকটি সেক্টরে বরাদ্দ করে। তাই সেই সকল দেশে চিকিৎসা নিয়েতো ভাবতেই হয় না আর অন্য সব ক্ষেত্রেও র্দূনীতিও অনেক কম। তাই বলছিলাম বাংলাদেশে বিভিন্ন শুল্ক করের উৎস থেকে একটা অংশ স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ হলে তথা সরকার এই উদ্যোগ নিলে সব দরিদ্র ও মধ্যবিত্তরা অনেকটা ভাল স্বাস্থ্য সেবা পেত। উদ্যোগটা নিঃসন্দেহে কঠিন কিন্তু মোটেও অসম্ভব না। আমাদের বাংলাদেশে এখন পৃথিবীর ৯৮% ওষুধ বিভিন্ন কোম্পানী উৎপাদন করে। এটা আর কোন কল্পনার বিষয় না। দেশের মানুষের গড় আয়ু এখন ৭২ বছর। যদি ভেজাল মূক্ত খাদ্য, খাদ্যের সঠিক গুণাগুণের লেভেল এবং বিশুদ্ধ পানির নিশ্চয়তা থাকত তাইলে আমাদের দেশের মানুষের আয়ু ৯০+ বছর হইত। আর যাই হৌক বাংলাদেশের মানুষের আশা ও মনোবল অনেক এই উৎসাহ হতেই ইউরোপকে দেখেই এই লেখার প্রয়াস। আমার মরহুম আব্বা ও মরহুমা আম্মা সহ বহু মানুষকে চিকিৎসা নিয়ে সংগ্রাম ও অনেককে চরম কষ্ট-র্দূভোগ পোহানো সহ ধুকে ধুকে মরতে অথবা দীর্ঘদিন বিছানায় পড়ে থাকতে দেখছি। তাই ইউরোপকে দেখে আর চাই না যে ভবিষ্যত প্রজন্ম স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির জন্য কষ্ট করুক।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:১৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আহারে! এমন যদি আমাদের এইখানে সম্ভব হতো! আমাদের দেশের প্রাইভেট চিকিৎসা শুধুই ব্যবসা, ক্ষেত্র বিশেষে মানুষকে জিম্মি করে ব্যবসা। তবে নানাবিধ দুর্ণীতির পরেও এখনও সরকারী হাসপাতালে মানুষ অন্তত কিছু গরীব মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে যা নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো।

তবে আমাদের দেশের যদি ভালো ড্রাইভার থাকত, আমরা আরো অনেক উন্নত হতে পারতাম। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আর দুর্নীতি আমাদেরকে ইউরোপ থেকে ২০০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৯

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ভাই, এর জন্যই সংবিধানে মৌলিক অধিকার সবার জন্য স্বাস্থ্য কথাটা উল্লেখ করলাম। স্বাস্থ্যের বিষয়টা কোন বিলাসিতা বরং জীবন-মরণ সমস্যা। বাচ্চা না কাদলে যেমন মা দুধ দেয় না তেমনি আমরা সবাই মিলে না ধরলে সরকারও কথা শুনবে না। তাই কর-রাজস্ব হতে স্বাস্থ্য খাতের জন্য বরাদ্দ নির্ধারণ করলে সরকারী হাসপাতাল গুলোতে গরীব ও মধ্যবিত্তরা আরো বেশী সেবা পেত। যদিও এখানে কঠোর ভাবে র্দূনীতিটাকে শূন্য বা কমে রাখতে হবে।

ভাই রোম শহড় একদিনে গড়ে উঠে নাই। সবার আগে চাই জনগণের মধ্যে ঐক্য। রাজনৈতিক দল গুলা এই জনগণ থেকেই আসে। এর জন্যই বলছি আমি আপনে হয়ত এই স্বাস্থ্য সেবা বাংলাদেশে পাব না তবে আমাদের নাতি-নাত্নীদের জন্য চিন্তা করা উচিত।

ধন্যবাদ ভাই।

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বাংলাদেশে ব্রিটিশ মানের চিকিৎসা ও সুযোগ সুবিধা পাওয়ার আশা করা যায় না। এদিক থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১২

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: দূরত্ব দূরত্বই থাকবে যদি এটাকে না কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর জন্যই বললাম ভাই আশা ছাড়া যাবে না। আশাই মানুষকে উদ্যোগ নিতে উৎসাহ দেয়।

ধন্যবাদ ভাই।

৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:০৫

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: আফসোস !

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৫

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: সত্যিই আফসোস ভাই!

৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:১৩

গোফরান চ.বি বলেছেন: ভালো লাগলো । ব্রো ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৫

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।

৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:২৮

কবিরাজ হুজুর বলেছেন: ৫০০ টাকার ওষুধ লিখে আর ৫০০০ টাকার টেস্ট দেয়। তাও তাদের নির্ধারিত ল্যাব থেকে রিপোর্ট আনতে হয়। জয় বাংলা।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২১

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: অনেক সময় অতিরিক্ত ওষুধ শরীরের ক্ষতি করে। আর যে হারে টেষ্ট দেয় তাতে স্থায়ী রোগ আছে যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, লিভার, কিডনী সহ অন্যান্য রোগীরা যদি গরীব-মধ্যবিত্ত হয় তাতে তাদের দূর্ভোগ পোহানো সহ দেউলিয়া হওয়া নিশ্চিত। এই বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণলায়ের কেমন গাইডলাইন অথবা মনিটরিং হয় যার কথা প্রায় শুনিই না। সবই খালি বাণিজ্যে ব্যাকুল তাতে মানুষ মরুক, দূর্ভোগ পোহাক।

ধন্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.