নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

May Allah Bless Bangladesh till the dooms day.

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ

I want very active debate

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বায়ুকল বিপ্লবঃ হল্যান্ডের সব ইলেকট্রিক ট্রেনের ১০০% বিদ্যুৎ এখন আসে বায়ু শক্তি হতে!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৫০

Dutch electric trains become 100% powered by wind energy





যখন আমি ইউকেতে কাউন্সিলের ফ্ল্যাটে উঠি তখন থেকেই সব কিছু নিজেকেই কিনতে হয়। আগে ম্যাসের নিয়মে একেক জন ভিন্ন টাইমে খাওয়া দাওয়া সহ প্রয়োজনীয় আইটেম কিনত। তাই অত কিছু খেয়াল করতাম না। তারপর নিজে একা হওয়াতে সব সময় একবারে ১০ কেজি ব্যাগের পিয়াজ কিনি। তারপরেই চেক করলাম এত ভাল পিয়াজ আসে কোথা থেকে! দেখলাম ইউরোপের ছোট্ট দেশ দি নেদারল্যান্ডস বা হল্যান্ড থেকে। শুধু বৃটেনেই নয় বরং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ডাচদের থেকে ট্রাক বোঝাই পিয়াজ রপ্তানী হয়। দামও বেশী একটা বাড়ে না। তাই অবাক হই যে এইটুকুন একটা দেশ এত পিয়াজের এবং তাও বাম্পার ফলন কিভাবে ফলায়! এছাড়াও ডাচ গরুর দুধ এবং অন্যান্য দূগ্ধ জাতীয় খাবারও সারা ইউরোপে সয়লাব। আমরা জানি দেশটার অনেক অংশ সুমুদ্র পৃষ্ঠ হতে নিম্নে অবস্থিত। কিন্তু বহু আগে তারা বাধ দিয়ে এবং কার্যকর পানি নিস্কাশন ব্যাবস্থার মাধ্যমে দেশটার ঐ সমস্ত নিম্নভূমিকে বসবাসযোগ্য করে রাখছে। এর মূলেই আছে তাদের তৈরিকৃত বিশাল বায়ুচালিত পাখা। বাতাসের শক্তিকে ঠিকমত কাজে লাগিয়ে যান্ত্রিক শক্তিতে রুপান্তর করে যে প্রচলন শুরু হইছে বিষয়টির অনেক উন্নয়ন সহ আরো অনেক ক্ষেত্রেই এর ব্যাবহার হয়। কৃষি সেচ সহ পরবর্তীতে বিভিন্ন শিল্প কারখানায় উৎপাদন কাজেও এই বায়ুকলের ব্যাবহার হয় ব্যাপক ভাবে। বলাই বাহুল্য এই বায়ুকলের কারণে পরিবেশের কোন ক্ষতি হয় না।

সর্বপরি এই ২০১৭ সালে এসে দেখা যাচ্ছে যে তাদের সবকয়টি ইলেকট্রিক ট্রেন এখন বায়ুকলে উৎপাদিত বিদ্যুৎ হতে চলে। ডাচদের জাতীয় রেলওয়ে NS জানায় এই বছর ২০১৭র ১লা জানুয়ারী থেকে ট্রেনের জন্য সমস্ত তথা ১০০% বিদ্যুৎ আসে সারা দেশের বিভিন্ন বায়ুকল হতে। মজার কথা হল ট্রেনগুলির জন্য প্রস্তাবিত এই বায়ুকল বিদ্যুৎ ব্যাবস্থার নির্ধারিত সময় ২০১৮র আগেই ডাচদের এই সাফল্য আসে;

https://www.theguardian.com/world/2017/jan/10/dutch-trains-100-percent-wind-powered-ns

এখানে ডাচ বিদ্যুৎ সরবারাহকারী কোম্পানী Eneco এরও যথেষ্ঠ অবদান আছে। Eneco এবং NS তাদের যৌথ ওয়েবসাইটে জানায় যে প্রতিদিন ৫৫০০ ইলেকট্রিক ট্রেন প্রায় ৬ লক্ষ যাত্রী পরিবহন করে। তারা হিসেব করে দেখায় একটি বায়ুকল একঘন্টায় যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে তা দিয়ে একটি ট্রেন একই সময়ে ১২০ মাইল পথ পাড়ি দিতে পারে। সেই সাথে তারা ২০০৫ এর তুলনায় ২০২০ সাল নাগাৎ যাত্রীপ্রতি তারা ৩৫% বিদ্যুতের সাশ্রয়ের ব্যাবস্থা করবে।

ছোট্ট দেশের ডাচদের মেধা অসাধারণতো বটেই সেই সাথে তাদের যথেষ্ঠ পরিশ্রম, নিষ্ঠা, সততার মাধ্যমে তারা এই বায়ুকলের যূগান্তকারী বিপ্লব ঘটাইছে। সেই দেশের ট্রেনের ভাড়া যেমনই হৌক তাতে জাতীয় আয় ব্যাপক। অহেতুক ডিজেল, কয়লা, গ্যাস, তাপশক্তি অথবা পারমাণবিক বিদ্যুতের প্রয়োজন নাই এই ইলেকট্রিক ট্রেন গুলির জন্য। হয়ত পৃথিবীর সব দেশের সব জায়গাতে বায়ুকল হতে ট্রেন বা অন্য ক্ষেত্রে ১০০% বিদ্যুৎ প্রাপ্তি সম্ভব না তবে যদি চেষ্টা করে ২৫-৩০% বিদ্যুতও পাওয়া যায় তাতে ক্ষতি কি?

বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল সহ বিভিন্ন নদ-নদী, খাল বিল, সহ বিভিন্ন খোলা অঞ্চলে বায়ুকল বসিয়ে তাতে যান্ত্রিক শক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন সহ অনেক কাজ করা সম্ভব। সেই সাথে সৌর শক্তি হতে বিদ্যুত উৎপন্নের জন্য সোলার প্যানেলতো আছেই। অহেতুক কুইক রেন্টাল তথা ডিজেল চালিত বিদ্যুৎ সহ কয়লা, গ্যাস সহ অন্যান্য তাপশক্তির অপচয় না ঘটিয়ে বায়ুকল হতে ব্যাপক বিদ্যুৎ প্রাপ্তি সম্ভব। এতে বিভিন্ন বিদ্যুৎ প্রজেক্টের জন্য রাষ্ট্র ও জনগণের বিপুল অর্থ ব্যায় করা হ্রাস পাবে। বিশেষ করে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রর জন্য এত অর্থ ব্যায় না করে এবং সুন্দরবনের পরিবেশের ভবিষ্যতের কথা ভেবে এর চেয়েও অনেক কম খরচে এই বায়ুকল এবং সোলার প্যানেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ ব্যাবস্থা খুলনা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত উপকূলে গড়া সম্ভব! ডাচরা যদি প্রতিদিন বায়ুবিদ্যুৎ হতে ৫৫০০ ট্রেন চালাতে পারে আমরা কেন রামপালের বদলে এর মাধ্যমে বেশী বিদ্যুৎ পাব না? এখনই সময় বায়ু চালিত বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে মনোযোগ এবং গুরুত্ব দেওয়া।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:৫৪

সাদাত তানজির বলেছেন: আপনার কথায় যুক্তি আছে, কিন্তু তাদের দেশের আবহাওয়া-পরিবেশ-পারিপার্শিক অবস্থা ও আমাদের দেশের অবস্থা বুঝতে হবে।
তাদের দেশে বাতাসের যে বেগ তা আমাদের দেশে সিকি ভাগও নাই। আর জমি তো নাইই....
তখন দেখা যাবে পাখাই ঘুরতেছে না।

না বুঝে শুধু শুধু তুলনা করলে তো হবে না।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:১৫

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: আপনে মনে হয় পোষ্টটা ঠিকমত পড়েন নাই তাই এই অংশটা এড়িয়ে গেছেন;

"হয়ত পৃথিবীর সব দেশের সব জায়গাতে বায়ুকল হতে ট্রেন বা অন্য ক্ষেত্রে ১০০% বিদ্যুৎ প্রাপ্তি সম্ভব না তবে যদি চেষ্টা করে ২৫-৩০% বিদ্যুতও পাওয়া যায় তাতে ক্ষতি কি?"

উত্তরবঙ্গে ও মধ্যভাগে অনেক খোলা জায়গায় অত বাতাস নাও থাকতে পারে তবে উপকূলীয় অঞ্চল সহ বড় ও মাঝারি নদ-নদী এবং বড় বিল-হাওড় এখানে প্রচুর বাতাস আছে। পানিতে না নামলে যেমন সাতার শেখা যায় না তেমনি এই বিষয়ে সরকারী বা বেসরকারী ষ্টাডি না করে এই ধরণের উপসংহারে আসাটাও বুদ্ধিমানের কাজ না।

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৪২

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: সাধারণ লেখা। ভাল লাগল । সাথে এমন কিছু আমাদের দেশে হোক এটা কামনা করি

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:০৯

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অন্যান্য দেশের জন্য দৃষ্টান্ত। বিশেষ করে আমাদের মতো বিদ্যুৎ ঘাটতির দেশগুলোর জন্য।

ধন্যবাদ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪০

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ আবুহেনা ভাই।

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১৬

মোঃ আক্তারুজ্জামান ভূঞা বলেছেন: ধরা যাক একটি ট্রেনের সামন বায়ুকল বসানো হলো। ট্রেনটি চলতে থাকলে পাখা ঘুরতে থাকবে, বিদ্যুৎ উৎপন্ন হতে থাকবে, সেই বিদ্যুৎ দিয়ে ট্রেন চলতে থাকবে...বাতাসই যদি দরকার হয় বায়ুকল চালাতে তাহলে চলন্ত ট্রেনইতো চমৎকার সমাধান।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪২

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ট্রেন যে সব জায়গা দিয়ে চলে সেখানে সব জায়গায় সমান বায়ুপ্রবাহ নাই। আবার ঝড় বা দমকা হাওয়ার কবলে পরলে ট্রেনকেই লাইনচ্যুত করে ফেলবে :P

৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২২

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আসল কথা হল সততা আন্তরিকতা আর পরিশ্রম।
এ'গুলি যথেস্ট পরিমানে থাকলে যে কোন জাতি যেকোন উপায়ে উন্নতি করবেই।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৩

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: পূর্ণ সহমত মুরশিদ ভাই।

৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: মোঃ আক্তারুজ্জামান ভূইঞার নো- বেল ঠেকায় কে ? ইস ! আমার মাথায় কেন যে আগে আইলো না !
আমাদের হেনিতে বোধহয় বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প ছিল গোলাপি ম্যাডামের সময়ে। গোপালী আইসা কি করছে কে জানে। কুনু খবর নাই।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৩

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: হা হা :)

৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



এসব দিকে নজর দেয়া যেতে পারে।

পোস্টে ধন্যবাদ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৪

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ নকিব ভাই।

৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১২

বাংলার জামিনদার বলেছেন: এই একই বুদ্ধি দিয়া দুনিয়ার সব জায়গার বিদ্যুতের সমাধান হইতো তাহলে আর সিষ্টেম আসতোনা। আসতো কি?

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৫

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: এর জন্যই বলছি চেষ্টা করে দেখতে দোষ কি! যদি এক তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎ বায়ুকল এবং সোলার প্যানেলের মাধ্যমে পাওয়া যায় তাতে অনেক অর্থ সাশ্রয় সম্ভব।

৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন:

এনার্জি বিষয়ক লিখা দেখে ভালো লাগল। এই বক্তব্যের জন্যও আপনাকে ধন্যবাদ- "হয়ত পৃথিবীর সব দেশের সব জায়গাতে বায়ুকল হতে ট্রেন বা অন্য ক্ষেত্রে ১০০% বিদ্যুৎ প্রাপ্তি সম্ভব না তবে যদি চেষ্টা করে ২৫-৩০% বিদ্যুতও পাওয়া যায় তাতে ক্ষতি কি?" অন্য দেশের কপি পেস্ট সমাধান যে বাংলাদেশে কাজ নাও করতে পারে আপনি সেদিকটা নজরে রেখেছেন।

বাংলাদেশের বায়ু বিদ্যুতের পটেনশিয়াল কম এটা প্রমাণিত। নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি এই চার মাসে বায়ু প্রবাহ গড়ে ২-৩ মিটার/সেকেন্ড এর নিচে নেমে আসে। অন্যদিকে জুন-সেপ্টেম্বর এই ৪ মাসে গড়ে অনুমানিক ৬-৭মিটার/সেকেন্ড বায়ু প্রবাহ থাকে। তবে এই সময়ে কিছু দিন ঝটিকা ঝড় কালবৈশাখী আসে তা খুব স্বল্প সময় স্থায়ী থাকে।

কথা হচ্ছে এই গড় বাৎসরিক বায়ু প্রবাহ কমার্শিয়ালি বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনুকূলে নয় একেবারেই। কিছু পাইলট ( ১। ফেনীর মুহুরি ড্যাম এ ৪টা টারবাইন আছে মাত্র ২২৫ কিলোওয়াট করে। ২। কুতুবদিয়া সৈকতে ১ মেগাওয়াটের জন্য প্রায় ১০০টা ছোট টার্বাইন আছে​ (​http://www.thedailystar.net/backpage/no-hope-kutubdia-1224655)​। ৩। সম্প্রতি জাওয়াদ হাসান নামে এক ইলেক্টিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছোট ভাই নিজ উদ্যোগে নিজের ডেভেলপ করা​ ​ টার্বাইন বসিয়েছেন​ ​​টেকনাফ- কক্সবাজার সৈকত এলাকায়।​ ঊনার সাথে বসে ​কষ্ট ভার্সেস প্রডাকশন মডেল দাঁড়া করানোর পরিকল্পনা আছে আমাদের।

​​
(Xi Lua, Michael B. McElroy and Juha Kiviluomac School of Engineering and Applied Science, Cruft Lab, Department of Earth and Planetary Sciences, Harvard University, VTT Technical Research Centre of Finland)
​এই ছবিটা দেখতে পারেন, উইন্ড পটেনশিয়াল আসলেই আশাব্যঞ্জক না, বাংলাদেশ উইন্ড পটেনশিয়ালিটির সর্ব নিন্ম ব্যান্ডে অবস্থান করছে। তবে জিই সিমেন্স এরা খুব এডভান্স টেকনোলজি নিয়ে এসেছে, কাট অফ স্পীড খুব কমিয়ে এনেছে ৫-৭মিটার/সেকেন্ডে। যা আশাব্যঞ্জক। এর বাইরে দেশীয় টেকনোলজি ডেভেলপ করা গেলে এবং তার সাথে কমিউনিটি গ্রীড বা ন্যাশনাল গ্রীড সংযোগ দেয়া গেলে এই খাতে লোকে ইনভেস্ট করবে। সুতরাং বায়ু বিদ্যুতের সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেয়া যায় না। ​


তবে ইউরোপের যেমন আছে বায়ু, আমাদের ঠিক তেমনি আছে সোলার। এটা খুব সিরিয়াসলি আমরা ভাবিনি সরকারি পর্যায়ে। তবে প্রাইভেট খাত এটাকে কিঞ্চিত এগিয়ে নিচ্ছে তাও গ্রিড টাইড আপ না হবার কারনে এবং ফাঁক ফোকর থাকার কারনে এই সেক্টর এগুচ্ছে না। বিস্তারিত পড়তে পারেন আমার বণিক বার্তায় প্রকাশিত আর্টিক্যালে-
সৌর শক্তি কথামালাঃ বাংলাদেশের নবায়ন যোগ্য জ্বালানীর সম্ভাবনা



সোলার ইর‍্যাডিয়েন্স স্কোরে বাংলাদেশের অবস্থান মাঝামাঝি থেকেও কিছুটা উপরে, বলা চলে ইউরোপের অনেক উপরে। এমনকি শীতের দিনেও গড় দিন দৈর্ঘ্য ইউরোপ থেকে আমাদের অনেক বেশি, উপরন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে প্রধান ঋতু গ্রীষ্মের মেরুকরণ হচ্ছে (দীর্ঘায়ন) হচ্ছে এবং রোদের সময়কাল ও প্রখরতা বাড়ছে বলে ধারনা করা হচ্ছে, তবে সোলার ইর‍্যাডিয়েন্সে এর প্রভাব আসতে সময় লাগবে কেননা এই ডেটা নূন্যতম ২০ বছরের এভারেজ।

তুলনামূলক উদাহরণ-
সোলার ইর‍্যাডিয়েন্স কিংবা সোলার ইন্সুলেশন ফিগার জিও লোকেশন, বাড়ির দিক, সুর্যের গতিপথের সাথে ছাদের সমান্তরলতা, হেলানো কিংবা ঢালাই ছাদ, প্যানেল এর কৌনিক পজিশন ইত্যাদির উপর নির্ভর করে, যা বছরের বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন হয়। সাধারন সামার মাস গুলোতে সোলার ইর‍্যাডিয়েন্স বেশি, উচ্চ ইর‍্যাডিয়েন্স উচ্চ সৌর শক্তি উৎপাদনের মাত্রা নির্দেশ করে।

নিচের ছবিতে দেখুন, জার্মান-নেদারল্যান্ডস-বেলজিয়াম সীমান্ত শহর মাসট্রীকট বনাম কুমিল্লার সোলার ইর‍্যাডিয়ান্স তুলনা (এক নিরুদ্দেশ পথিকের ২ নিবাস!)। দেখা যাচ্ছে-গড় ইন্সুলেশন ফিগার কুমিল্লায় ১,৪৭৫ বেশি, অর্থাৎ একই প্যেনেলে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন মাসট্রীকট থেকে কুমিল্লায় ১,৪৭৫ গুন বেশি হবে। (আইডিয়াল হিসেব, সামান্য তারতম্য হতে পারে)। উল্লেখ্য মাস্ট্রিক্ট শহরে বাড়ির ছাদে প্যানেল খুবই জনপ্রিয়, যা গ্রীড টাইড আপ!

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৫৪

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ভাই আমার মূল উদ্দেশ্য দেশের সুমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল এবং বড়, মাঝারি ও ছোট নদ-নদী গুলির যেখানে বায়ু প্রবাহ ভাল সেখানেই এই বায়ুকল বসানো যেতে পারে। তাই এর মাধ্যমে যদি এক-চতূর্থাংশ বা এক-তৃতীয়াংশ দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা মিটানো যায় তাতে লাভ আমাদেরই। বৃটেনেও সব জায়গাতেই এই বায়ুকল নাই। বেশীর ভাগই আইরিশ সাগর, স্কটল্যান্ড ইত্যাদি জায়গায় অনেক বায়ুকল আছে। কারণ ঐ সব অঞ্চলে বায়ু প্রবাহ খুবই ভাল। সবই নির্ভর করে আমাদের দেশে ষ্টাডি করে কম-বেশী প্রকল্প গড়ে তাতে বোঝা যাবে এতে আরো অগ্রসর হওয়া যায় কিনা।

আমি সেই সাথে সোলার এনার্জির কথাও বলছি যদিও তা খুব অল্প। এটাও অর্থ সাশ্রয়ী।

ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ অনেক মূল্যবান তথ্য শেয়ার করার জন্য।

১০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বাংলাদেশ যা বায়ু দিয়ে অর্জন করতে পারবে না তা কিন্তু সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে পারবে। হ্যাঁ জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং কৃষি নির্ভরতার কারনে কিংবা মরুভূমির মত উচ্চ সোলার রেডিয়েশন ও অব্যবহৃত জমি না থাকার কারনে লার্জ স্কেইল সলার বেইজ করতে পারবে না। তবে মাইক্রো স্মল এবং মিডিয়াম স্কেইলে ব্যাপক সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। আমাদের আবাসিক গ্রামীণ ও শহুরে বাড়ির ছাদগুলোকে সঠিক ডিজাইনে এনে বহুল সৌর পটেনশিয়ালিটি তৈরি করা যায়।

এই জন্য দরকার সঠিক নীতিমালা, সঠিক উৎপাদন এবং আমদানি কৌশল, গ্রীড টাই আপ ব্যবস্থা এবং ব্যক্তি সহ যে কোন পর্যায়ের ইনভেস্টরকে বিদ্যুৎ বিক্রির শর্ত হীন সুবিধা দান।

সমস্যা হচ্ছে, বাংলাদেশ এখনও পুরানো মডেলে রেল লাইন করছে, দেশে এখনও ইলেকট্রিক রেইল নেই। নেই ১৫০ বছরের পুরানো ট্রাম। আছে তেল চুরির স্বর্গ তেল চালিত লোকোমোটিভ ইঞ্জিন। সুতরাং তুলনা একেবারেই চলে না।

ট্রেইন শুধু নয় নেদারল্যান্ডস এর অধিকাংশ ব্যক্তি গ্রাহকও বায়ু বিদ্যুৎ এর গ্রাহক। "গ্রীন এনার্জি" হিসেবে এটাকে এখানে খুব এঙ্কারেজ করা হয়। একই বিদ্যুৎ সেবাদান কারি প্রতিষ্ঠান এসেন্ট এনেকো সোলার প্যানেল বসাতে বছরে ২ বার চিঠি দেয়, প্রনোদনা সহ, যেই বিদ্যুতের অতিরিক্ত গ্রীডে ফিডেড হয়।

ভালো থাকবেন!

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৫৬

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: আবারও অনেক ধন্যবাদ ভাই।

আপনিও ভাল থাকুন।

১১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ১। ঊপকূলীয় বেল্টে কুয়াকাটা হতে শুরু করে নোয়াখালীয়র চরাঞ্চল হয়ে পতেঙ্গা কুতুবদিয়া টেকনাফ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ গড় বাৎসরিক বায়ু প্রবাহ অঞ্চল। কুতুবদিয়া ও টেকনাফ এর উইন্ড মেজারমেন্ট সবচেয়ে ভালো।
২। উপকূলীয় ছাড়া অনশোরে পার্বত্য এলাকা এবং পঞ্চগড়ে গড় বাৎসরিক বায়ু প্রবাহ কিছুটা ভালো।
৩। নাসার উইন্ড ম্যাপিং এ দেখা যাচ্ছে অফশোরে মেজারমেন্ট অনশোর থেকেও কিছুটা ভালো। যেহেতু বঙ্গোপসাগরের মহীসোপান অগভীর তাই এটা ভবিষ্যতে সম্ভাবনাময় হতে পারে।

সবার আগে দরকার উচ্চ মানসম্পন্ন অত্যাধুনিক উইন্ড সার্ভে এবং ত্রি-ডি উইন্ড ম্যাপিং। তাইলেই আমরা জানতে পারবো কোন স্থানে কোন উচ্চতায় উইন্ড পটেনশিয়াল বেশি। ব্লাইন্ড উইন্ড ইন্সটলেশন অর্থ অপচয় করা সমীচীন নয়।



০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৫

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

১২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪১

ঢাকাবাসী বলেছেন: দুর্ণীতির কারণে কিছুই হবেনা এদেশে! উইন্ড মিল কিনলে কমিশন বেশি পাওয়া যাবেনা তাই কিনিনা! বরং প্রাইভেট পাওয়ার প্লান্টে বেশী কমিশন, সারা জীবন কমিশন!

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৭

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: এটাই হইল আসল কথা। যেখানে ঘুষ-র্দূনীতি নাই সেখানে সহজে সরকার যাবে না।

ধন্যবাদ ভাই।

১৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২১

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে শেষটায় এসে ধাক্কা খেলাম। আপনি লিখেছেন, "বিশেষ করে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রর জন্য এত অর্থ ব্যায় না করে এবং সুন্দরবনের পরিবেশের ভবিষ্যতের কথা ভেবে এর চেয়েও অনেক কম খরচে এই বায়ুকল এবং সোলার প্যানেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ ব্যাবস্থা খুলনা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত উপকূলে গড়া সম্ভব!" বায়ু ও সোলারের ব্যয় সম্পর্কে এ তথ্যটি সঠিক নয়। নবায়নযোগ্য জ্বালানির মধ্যে জলবিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কম, কিন্তু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মান ব্যয় বেশি। তেল, গ্যাস, কয়লার মধ্যে কয়লা বিদ্যুৎ সবচেয়ে সস্তা। বায়ৃ আর সোলার অনেক বেশি ব্যয়বহুল বলেই এখনো জনপ্রিয় হচ্ছে না। নেদারল্যাণ্ডসের মোট বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদ হচ্ছে ৩ হাজার ৩ শ ৪১ মেগাওয়াট, যা মোট উৎপাদনের ৫.৬%।https://en.wikipedia.org/wiki/Wind_power_in_the_Netherlands

অন্য দিকে চীনের বায়ু বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ১ লাখ ৪৯ হাজার মেগাওয়াট। Click This Link

চীনের সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৪৩ হাজার ১৮০ মেগাওয়াট। Click This Link

চীনের জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৩ লাখ ১৯ হাজার মেগাওয়াট। Click This Link

তারপরও চীনের মোট বিদ্যুতের ৭৩% উৎপাদিত হয় কয়লা থেকে। https://en.wikipedia.org/wiki/Coal_in_China
চীনের কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদনের মোট পরিমান জানা যায় না। আমার ্অনুমান চীনের ৬ শতাধিক কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ১৫ থেকে ১৬ লাখ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের সব বড় দেশের বিদ্যুতের সিংহভাগ আসে কয়লা থেকে। বিশ্বের ৪১% বিদ্যুৎ কয়লা থেকে উৎপাদিত হয়। মূলধারার বিদ্যুৎ উৎপাদন এখনো কয়লা আর গ্যাস নির্ভর। এ অবস্থার পরিবর্তন হতে এখনো বহু দেরি আছে। বরং কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন দক্ষতা বাড়াবার জন্যই জোর গবেষণা চলছে। আমাদের গ্যাস যে হারে শেষ হচ্ছে তাতে কয়লা ছাড়া গতি নেই। কারণ এলএনজি কেনা আমাদের সাধ্যের বাইরে। জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র করার মত আর কোন নদী আমাদের নেই। বায়ু বিদ্যুতের ভবিষ্যৎও অন্ধকার। গত এক বছর ধরে যে সমীক্ষা চলছে তার ফল খারাপ আসছে। সৌর বিদ্যুৎ এখনো নির্ভর যোগ্য নয়। গ্রীড ভিত্তিক উৎপাদনের জন্য কিছু কোম্পানিকে কাজ দেয়া শুরু হয়েছে। আমাদের আবহাওয়া আর ধুলাবালির কারণে পিভি প্যানেল ঠিকরাখা কঠিন। বছরের বেশিরভাগ সময় আকাশে মেঘের আনাগোনার কারণে উৎপাদনে যে ওঠানামা চলবে সেটা গ্রিডের জন্য বিপজ্জকন। সৌর বিদ্যুতের জন্য প্রচুর জমি দরকার। সেটাও আমাদের জন্য সমস্যা।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১২

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: সুন্দরবনের পরিবেশের কথা ভেবেই এটা বলছি। রামপালে না করে আরো দূরে অথবা অন্য কোথাও কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র করুক। তাতে এত বেশী আপত্তি হবে না।

এখানে হল্যান্ডের ট্রেন সার্ভিস নিয়ে পোষ্ট। আমি এও বলছি যে যদি কোন দেশ বায়ুকল হতে ২৫-৩০% বিদ্যুৎ পায় তাতে কোন ক্ষতি নাই। সেই সাথে সৌরবিদ্যুৎও আছে। উপরে সহব্লগার এক নিরুদ্দেশ পথিক এর মন্তব্য সমূহ দেখুন।

গ্যাস, কয়লা ও পরমাণু এগুলো তুলনামূলক ভাবে অনেক নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবারাহ ব্যাবস্থা। কিন্তু সেই সাথে পরিবেশ, মানুষের নিরাপত্তাটাও ভেবে দেখতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.