নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

May Allah Bless Bangladesh till the dooms day.

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ

I want very active debate

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুইডেনের WTE পদ্ধতি অনুসরণ করলে আবর্জনা ও নোংরা থাকবে না বরং বিদ্যুৎও পাওয়া যাবে!

৩০ শে জুলাই, ২০১৭ ভোর ৬:২৩


SWEDEN’S STRANGE PROBLEM: NOT ENOUGH TRASH


সুইডেন ইউরোপে বিশেষ করে স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশ ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ডের মতই এর শহড়, রাস্তা, ঘাট, আবাসিক এলাকা খুবই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন যা নতুন কোন বিষয় না। একবার ভাবুন হঠাৎ করে যদি সুইডেনে আবর্জনার সংকট দেখা দেয় তাইলে ভাবতে কেমন লাগবে? অবশ্যই খানিকটা হলেও অবাক হওয়ারই কথা। এই সুইডেন তার দেশের বিভিন্ন আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্পের আবর্জনার প্রায় বেশীর ভাগই এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যাবহৃত হয়। ১% দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাটিতে ভরে। এটাকে তারা বলে “waste-to-energy” আবর্জনা হতে শক্তি সংক্ষেপে "WTE";

http://earth911.com/business-policy/sweden-trash-problem

এই আবর্জনা সমূহকে পুড়িয়ে পানি হতে বাস্প উৎপন্ন করা হয়। সুইডেনে এই ধরণের প্রায় ৩২টা প্লান্ট আছে।

সেই সাথে দেশের Recycle পদ্ধতি কি কাগজ কি পুরোনো ও ভাঙ্গা কম্পিউটার সবই পরিবেশের উপর হতে বোঝা হতে রক্ষা করে বিভিন্ন উপযোগী জিনেসে রুপান্তর করে। সুইডেনে এই অপচনশীল বর্জ্য সেই সাথে ই-বর্জ্যর বিষয়ে আইন-কানুন ও নিয়ম আছে। সেটাকেই অনুসরণ করে অহেতুক পরিবেশের ক্ষতির আশংকা কমে গেছে।

এই আবর্জনা সমূহ সরাসরি চুল্লিতে ফেলা হয় না। আগে যাচাই বাছাই কোনটা রিসাইকেলেবল, কোনটা ই-বর্জ্য ইত্যাদি সরিয়ে তারপর বাকী গুলোকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নেওয়া হয়।

এখন বর্তমানে সুইডেনে আর কোন আবর্জনা সমস্যাতো নাই বরং তাদের এই সমস্ত প্লান্টে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আরো আবর্জনা প্রয়োজন। এখন সুইডেনে আবর্জনার কৃত্রিম সংকট! তাই ইউরোপের বিভিন্ন দেশ নরওয়ে, বৃটেন হতে জাহাজে করে আবর্জনা আমদানী করছে সুইডেন। ২০১৪ সালে তারা বিভিন্ন দেশ থেকে ২৭ লক্ষ টন আবর্জনা আমদানী করছে;

https://sweden.se/nature/the-swedish-recycling-revolution

তাই বলছিলাম বাংলাদেশে নিদানপক্ষে যদি ঢাকা শহড়ের আবর্জনার জন্য যথাযথ কয়েকটি প্লান্ট গড়ে এভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যাবহৃত হয় তাইলে ঢাকা শহড়রের জাঞ্জাল সাফ হওয়া সহ ড্রেনেজ সিষ্টেম গুলি ব্লক হওয়া থেকে বহুলাংশে রক্ষা পাবে। ঢাকায় প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ হতে দেড় কোটি লোক। বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন বহু আবর্জনা ফেলা হয়। এখন যেহেতু কোন শক্ত বাণিজ্যিক উপলক্ষ নাই তাই ঢিম তালে ও সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়াই এগুলো বিভিন্ন জায়গায় জমে নোংরা অবস্থা করে। কখনও কখনও কয়েকদিন লেগে যায় এই আবর্জনা সমূহ সাফ করতে। কিন্তু একবার এই গুলিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নেওয়া যায় তাইলে তখন সরকার কিংবা প্রাইভেট কোম্পানী গুলো দ্রুত এগুলি পরিস্কার করবে। এর মাধ্যমে ডিজেল, কয়লা বা গ্যাসের বদলে যদি দৈনিক ১০০ হতে ৩০০ মেগাওয়াট(আনুমানিক) ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবারাহ করা যায় তাইলে লোডশেডিং সমস্যাও লাঘব হবে। এখন দেখার বিষয় হইল যে সময়মত সরকার বা অন্য কেউ যথাযথ উদ্যোগ নেয় কিনা!




মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:২৫

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: “waste-to-energy” এরকম পদক্ষেপ আমারা বাংলাদেশের সকল শহরেই চাই।

৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৩

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: আজাদ ভাই, আগে ঢাকা দিয়াই শুরু হউক! দেখেন কয় বছর লাগে খোদ রাজধানীতে।

ধন্যবাদ।

২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:১৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: এতদিনে রপ্তানি করার মতন একখান জিনিস পাইলাম যাহার প্রাচুর্যে আমাদের দেশে ভরপুর। ব্যবসাটা এইবার ধরিয়া লইব ! :D

৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৪

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: সহমত :)

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: পৃথিবীর নিকৃস্টতম অদক্ষ ঘুষখোর অকর্মন্য মানুষ দিয়ে এসব হয় না। দেশপ্রেমিক সৎ মানুষ দরকার!

৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: একদম ঠিক কথা ভাই। র্দূভাগ্য যে সময় থাকতে সরকার এই সমস্ত বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয় না।

ধন্যবাদ।

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:২২

প্রোলার্ড বলেছেন: সুইডেনে আবর্জনার সংকট দেখা দিলে বাংলাদেশ সেটা সাপ্লাই দেবে ।

আবর্জনা রফতানী করে প্রচুর সুইডিশ ক্রোনা লাভ করা যাবে । এজন্য সুইডেন বাংলাদেশে তাদের বিশেষ একটা দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প চালু করতে পারে। ঢাকার মেয়রদ্বয় এটাকে ভাল একটা সুযোগ হিসেবে নিতে পারেন নিজেদের ইমেজ বাড়াতে।

৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: আইডিয়াটা খ্রাপ না :)

৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৫১

সুমন কর বলেছেন: দারুণ।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৬:৩৫

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:০৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উলুবনে মুক্তো ফেললে উলু (উইপোকা) তার শূর্য না বুঝেই মাটি দিয়ে ঢেকে ফেলে!!!

আমাদের উই রাজনীতিবিদদের কাছে জনগণের কল্যানে এমন ক্রিয়েটিভ ভাবনার তেমনি কদর!!!!!!!!!!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৬:৩৭

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: এরা যদি র্দূনীতির সুযোগ পায় তখন ঠিকই সেই সমস্ত প্রজেক্টে হাত দেয়। এই কারণেই বাংলাদেশে বর্তমানে সড়ক নির্মাণে পৃথিবীর সবচাইতে ব্যায়বহুল।

ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু ভাই।

৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:১৪

চিটাগং এক্সপ্রেস বলেছেন: আজ হতে একশ বছর পর বাংলাদেশে এটা চালু হতে পারে

৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৬:৩৭

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.