নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

May Allah Bless Bangladesh till the dooms day.

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ

I want very active debate

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিংড়ি মাছের রপ্তানী ধরে রাখতে হলে উৎপাদন খরচ অবশ্যই কমাতে হবে!

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৫






আজ থেকে ২০-২২ বছর আগেও দেখছি বুড়িগঙ্গা নদীর বেশ কয়েকটি স্পটে শিকারীরা ছিপ দিয়ে গলদা চিংড়ি মাছ ধরত! এখনও দেশের যে সব নদী দূষণ মূক্ত সেখানেও গলদা চিংড়ি পাওয়া যাবে। বলাই বাহুল্য বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি ও নদ-নদী এবং সাগর চিংড়ি মাছের জন্য দারুণ আবাসস্থল। একে ভিত্তি করেই কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে চিংড়ি মাছের চাষ করে বিদেশে রপ্তানী হচ্ছে। গার্মেন্টস, সিরামিক, ওষুধ সহ উল্লেখযোগ্য পণ্যের সাথে চিংড়ি মাছও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পথ। কিন্তু যখনই দেখি যে বাংলাদেশের চিংড়ি মাছ অধিক মূল্যের কারণে এবং বিশ্বে চিংড়ির দাম ৫০% হ্রাস পাওয়াতে রপ্তানী কমে গেছে এর জন্য উদ্বিগ্ন হতেই হয়;

গলদার মূল্য হ্রাসে রেকর্ড

http://www.amadershomoy.biz/unicode/2017/10/22/350283.htm

খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা অঞ্চলেই বাংলাদেশের সিংহভাগ চিংড়ির ঘের বা খামার সমূহ অবস্থিত। এখানে এক কোটি উপর লোক চিংড়ি উৎপাদনের সাথে তাদের জীবিকা জড়িত। ভারত আমাদের দেশে থেকে অনেক বড় এবং থাইল্যান্ডও কয়েক গুণ বড়। সেখানে একই জাতের গলদা চিংড়ি কম মূল্যে হওয়ায় আমাদের দেশ থেকে বিদেশী আমদানিকারকরা কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিছে। বাংলাদেশে জমি, পুকুর বা চিংড়ি মাছের চাষের স্থান তৈরি, পাথড়ের চুন(পানির স্বচ্ছ, রোগ জীবাণু দমন, মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি) প্রয়োগ, সার(গোবর, ইউরিয়া, টিএসপি), বিদ্যুৎ-ডিজেল পানি নিস্কাশন ও সরবারাহের জন্য, কোল্ড ষ্টোরেজ এবং সর্বপরি শ্রমিক খরচ বর্তমানে এই সবই অনেক বেশী। এমনকি ভিয়েতনাম এবং সদুর ল্যাটিন আমেরিকার দেশ সমূহেও এই খরচ কম। ভিয়েতনাম ও ল্যাটিন আমেরিকার দেশ বিশেষ করে ইকুয়েডরেও চিংড়ি মাছের উৎপাদন খরচ অনেক কম। যেমন আমি লন্ডনে চীনা শপ থেকে ইকুয়েডর থেকে আসা কিং বা টাইগার সাইজের ২ কেজি চিংড়ি মাছ কিনছি ৮ পাউন্ডে একই ধরণের বাংলাদেশী মাছের মূল্য কেজিতে ৬০০-৭০০ টাকার মত। তাহলে দেখা যায় বৃটেন বা ইইউর দেশ সমূহে বাংলাদেশী চিংড়ির দাম পড়ে যাবে কেজিতে ৮ পাউন্ড বা ১০-১১ ইউরোর মত। তাহলে কেন সেখানকার ক্রেতারা ইকুয়েডর বা ল্যাটিন আমেরিকার টাইগার সাইজের চিংড়ি ছেড়ে বাংলাদেশীটা কিনবে? ঐ একই চীনা শপে ৮-৯ পাউন্ডে এক কেজি ওজনের একটা Lobster বা গলদা চিংড়ি কেনা যায়। সেটাই বাংলাদেশ থেকে গত বছর এই গলদার দাম প্রতি কেজিতে হাকা হইত ৮০০ থেকে ১২০০ টাকার মত। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ, খাদ্য সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য, কোল্ড ষ্টোরেজ, পরিবহন ও সর্বপরি শ্রমিক মজুরী সবই একটার সাথে অন্যটা জড়িত। কাজেই ২-১টা দ্রব্যের মূল্য বাড়লে অন্যটারও দাম বৃদ্ধি পায়। একজন শ্রমিক ৭০ টাকা কেজি চাউল, ৮০ টাকা কেজিতে শাক সব্জি, চড়া মূল্যের পিয়াজ সহ অন্যান্য দ্রব্য কিনতে নিশ্চয়ই চিংড়ি ঘেরে বা অন্য কোন কর্মক্ষেত্রে কম বেতনে কাজ করতে পারবে না। গার্মেন্টস সহ অন্য শিল্প ক্ষেত্রেও অদূর ভবিষ্যতে এর প্রভাব পড়তে পারে। আমাদের মত দেশে যেখানে প্রাকৃতিক সম্পদ তেল, গ্যাস সীমিত এবং ধাতব, স্বর্ণ যেখানে নাই সেখানে কৃষি, উল্লেখিত শিল্প হতে উৎপাদিত পণ্য সমূহই রপ্তানি আয় তথা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথ। এই চিংড়িকে নেহায়েত ছোট করে দেখার উপায় নাই যেখানে বাংলাদেশ গত ২০১৬ পর্যন্ত বেশ কয়েক বছর ৫০ কোটি মার্কিন ডলার করে আয় করছে। ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকার অনেক দেশ এখন বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দী। কাজেই চিংড়ির পাশাপাশি অন্যন্য কৃষি বা অন্য শিল্পের উৎপাদন খরচও যাতে কমানো নিদান পক্ষে খরচ যেন তেমন না বাড়ে সেই বিষয়ে অতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। আজকে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দী দেশ গুলি হতে চিংড়ি কম মূল্যে উন্নত দেশ গুলিতে রপ্তানী হচ্ছে সেখানে গার্মেন্টস সহ অন্য উৎপাদিত পণ্যের দামও কমতে পারে। এই সব বিষয়কে লক্ষ্য রেখে জাতীয় ও বেসরকারী পর্যায়ের জন্য কার্যকরী ও দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক পরিকল্পনা দরকার।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০২

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৯

শাহিন-৯৯ বলেছেন: গত বছর ২৫ টাকা করে গলদার ছোট পিছ কিনে ছেড়েছি।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৩

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ভাই এই বিষয়ে যদি আরো বলতেন যে কতদিন লাগে চিংড়ি গুলি বড় হয়ে বিক্রির জন্য। এই সময়টাতে মাছের খাবার, পরিচর্যা সহ আনুষাঙ্গিক খরচ কেমন যায় তাহলে আরো আইডিয়া হইত।

ধন্যবাদ।

৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৭

জাদিদ বলেছেন: আপনার পোস্টটি গুরুত্বপূর্ন। এটা সামহোয়্যারইন ব্লগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে শেয়ার করা হলো।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৪

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: এখন যূগ সোশ্যাল নেটওয়ার্কেরই। তাই এখানে ব্লগে ২টা লাইক পেলেও ফেসবুকে এই পর্যন্ত ৩৮টা লাইক হইছে।

ধন্যবাদ জাদিদ ভাই।

৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০২

আখেনাটেন বলেছেন: সরকার একটি সেক্টরকে প্রায়োরিটি দিতে গিয়ে অন্য সেক্টরগুলোর প্রতি বিমাতাসুলভ অাচরণ করে চলেছে।

চিংড়ি চাষের অাধুনিক পদ্ধতি ও অন্যান্য ব্যাপারগুলোর সুরাহা না করলে এই খাত ভবিষ্যতের জন্য হতাশা বয়ে অানবে। সামাজিক সমস্যাও সৃষ্টি হবে। কারণ উপকূলীয় মানুষ কাজ হারিয়ে শহরমুখী হবে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৫

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: পূর্ণ সহমত!

ধন্যবাদ।

৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: বাংলাদেশ জিন্দাবাদ ,





নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট । অনেক অনেক দেশই আমাদের বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিদ্বন্দী । কিন্তু এসব নিয়ে যাদের ভাবার কথা তারা সবাই নিজের নিজের ধান্ধায় ব্যস্ত । শিল্পোৎপাদনে সহযোগী সব কিছুই এখানে মহার্ঘ্য । কারন, এখানে বাজার নিয়ন্ত্রন বলে কিছু নেই । ফলে, যে যেভাবে পারছে পন্য-সেবা-শ্রম ইত্যাদি খাতে আকাশ ছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি ঘটিয়ে লুটেপুটে খাচ্ছে । আমাদের ভোটে যারা যারা সরকার গঠন করেন তারাই এসবের মালিক ও পৃষ্ঠপোষক ।
সুতরাং চিংড়িখাত সহ কোনও খাতেই উৎপাদন খরচ কমানোর কোনও সম্ভাবনা নেই । যেখানে ভর্তুকির অজুহাতে বছর বছর জ্বালানীর দাম বাড়ানো হয় সেখানে উৎপাদন খরচ কমবে কি করে ? এটা একটা ভিসাস সাইকেল ..........................

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৯

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: আহমেদ ভাই এই কথাটা একদম বলছেন "ভিসাস সাইকেল"! এর থেকে আমাদেরকে বের হতেই হবে। যদি রপ্তানী আয় কমে যায় তখন আমাদের আমদানী ব্যায়ভার মেটানোও কঠিন হয়ে পড়বে। আখেরকার ক্ষতি পুরো দেশ ও জাতির।

অনেক ধন্যবাদ।

৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৬

ইমরান আশফাক বলেছেন: টেকনিকাল ব্যাপারগুলি এড়িয়ে গেলে চলবে না। চিংড়ির ক্ষেত্রে গ্রেডের উপর মূল্য নির্ভর করে (অর্থাৎ ১ কেজিতে কয়টা চিংড়ি মাছ আছে)। অর্গানিক বা ইন অর্গানিক, কেমিকাল প্রোয়োগ, হরমন ইনজেক্ট প্রয়োগ (অতিদ্রুত ওজন বাড়ানোর জন্য), কৃত্বিম চায বনাম প্রাকৃতিক পুকুরে চাষ ইত্যাদি বিষয়গুলি এড়িয়ে যাচ্ছেন আপনি। তাছাড়া আমাদের দেশে বৎসরে ৬/৭ মাসের বেশী চিংড়ি চাষ করা যায় না কারন উক্ত জমি রবিশস্য, ধান ইত্যাদি চাষাবাদের জন্য ছেড়ে দিতে হয়। ফলে জমিতে নিবিড় চাষ পদ্বতি প্রয়োগ করা যায় না।

আমরা জানি চাইনিজ চিংড়ি মাত্রই ভয়াবহ মাত্রায় রাসায়নিক প্রোয়োগ করা হয়। চাইনিজ এলিটরা কিন্তু লোকাল চিংড়ি খায় না বরং বাংলাদেশ বা অন্যত্র থেকে আমদানী করা চিংড়ি খায়।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২১

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: চিংড়ির ক্ষেত্রে আমি যে বিষয় গুলি বলছি সেখানে কোন কৃত্রিম হরোমনের বা জিনেটিক যা কৃত্রিম ভাবে মাছের উৎপাদনের বিষয়টা নাই। আর আমি যেখানে থাকি সেখানে বৃটেন এখনও ইইউ রেগুলেশন মেনে চলে। তাই এখানে চীনা বা অন্যকোন দেশের ক্ষতিকারক কেমিকেল, হরমোন প্রয়োগে চিংড়ি মাছ আমদানীর কোন সুযোগই নাই। আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলিতে উৎপাদন খরচ বাংলাদেশের তুলনায় অনেকটাই কম। এটাই মূল কারণ। ইইউতে ডাম্পিং, কেমিকেল, হরমোন প্রয়োগে প্রাণিজ পণ্য মাংস/মাছ ইত্যাদি আমদানীর কঠোর মনিটরিং হয়;

Imports of food of animal origin from non-EU countries

https://ec.europa.eu/food/sites/food/files/safety/docs/cs_vet-med-residues_animal-imports-non-eu_brochure_en.pdf

৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এসব নিয়ে ভাবার মত কোন প্রতিষ্ঠান নেই। যা হচ্ছে বেসরকারী পর্যায়ে। তবে নতুন বাজার খুঁজতে হবে...

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২২

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.