নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

May Allah Bless Bangladesh till the dooms day.

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ

I want very active debate

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাস প্রতি ফিক্সড রেটে বাংলাদেশে আনলিমিটেড মিনিট/টেক্সট ও ন্যূনতম ডেটার মোবাইল ফোন সার্ভিস কবে হবে?

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ২:৩৫




বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের সার্ভিসের বয়স শিকি শতাব্দীরও অধিক! কিন্তু সেই তুলনায় একটি সরকারী ও ৫টি বেসরকারী মোট ৬টি মোবাইল সেবা প্রদানকারীর সার্ভিস চার্জ তথা কল/টেক্সট ও বর্তমানে ইন্টারনেট ডেটার রেট অনেক বেশী। শুরু থেকেই সিটিসেল ও পরে গ্রামীণ, এক্টেল(রবি), সেবা(বাংলালিংক) সবাই ব্যাবসা শুরু তথা বিনিয়োগ, নেটওয়ার্ক স্থাপন ইত্যাদি ব্যায়ের ইস্যুতে কেউই সার্ভিস চার্জ সহজ লভ্য করতে পারে নাই। এমনকি সরকারী ল্যান্ড লাইন থেকেও কল করলেও ইনকামিং চার্জ ধার্য হত। পরে প্রিপেইড মোবাইল ফোন সার্ভিসের মাধ্যমে সেখান থেকে ল্যান্ড লাইনে ফোন করা এবং ইনকামিং ব্যাবস্থা ব্লক রাখে যার অনুমতিও দেয় বিটিআরসি! এই রকম সার্ভিস পৃথিবীর আর কোন দেশে ঐ সময়ে ছিল তা আমার জানা নাই। পোষ্টপেইড গুলিতে ছিল ৩০০ টাকার উপর লাইন রেন্ট। কাজেই বেশীর ভাগই নো ইউজ নো বিল পদ্ধতিতেই প্রিপেইড নেয়। মোবাইল কোম্পানী গুলি যোগসাজশ করে সরকারী ল্যান্ডলাইনকে ব্লক করে রাখে।

পৃথিবীর অনেক দেশেই বিশেষ করে উন্নত বিশ্বে বিগত ১০-১৫ বছরের বেশী সময় ধরে মোবাইলের কল/টেক্সট চার্জ যেমন কমছে তেমনি একটা মাসিক নির্দিষ্ট অংকের অর্থে এগুলা আনলিমিটেড হইছে। তবে ইন্টারনেটের ডেটা সূনির্দিষ্ট এবং সেটা নিজ দেশের সব মোবাইল ও সিংহভাগ ল্যান্ড লাইনে ফোন করা যাবে। কিছু বিনোদোন, অন্যান্য কোম্পানী যারা মানুষের ফোনের মাধ্যমে অর্থ নেয় কেবল তাদের ল্যান্ডলাইন গুলিই ব্যাতিক্রম। তাই সেই সকল দেশের মোবাইল ফোন গ্রাহকদের কত মিনিট কথা বলল ও কতগুলো টেক্সট করল সেই নিয়ে দূঃশ্চিন্তা করতে হয় না। শুধু তাই না বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী অফিস, ডাক্তারখানা ও হাসপাতাল, সেবা ও পণ্য সরবারাহকারী কোম্পানী ও চেইন শপ হতে অহরহ ফোন কল ও টেক্সট আদান প্রদান হয়। এতে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই আর ডাকবিভাগের চিঠি চলাচল হয় না। স্পষ্টতই সময় ও অর্থ দুটোই বেচে যায়।

এখন বাংলাদেশের এই ছয়টা মোবাইল ফোন কোম্পানী গুলি নির্দিষ্ট মাসিক অর্থে আনলিমিটেড মিনিট/টেক্সট সেবা দিবে কি না তা নিয়ে কখনও কাউকে জাতীয় পর্যায়ে বিশেষজ্ঞ, সচেতন ব্যাক্তিবর্গদের কিছু বলতে শুনিনি। উপরন্ত সরকার প্রায়ই নিয়ম করে দেয় যে প্রতিদিন ৩০০-৫০০ টাকার বেশী মোবাইল ফোনের ক্রেডিট/ফ্লেক্সিলোড করা যাবে না। পৃথিবীর আর কোন দেশে এভাবে মোবাইল ফোনে কথা বলার জন্য অর্থর পরিমাণ নির্দিষ্ট করে বলে আমার জানা নেই। প্রায়ই বলে যে ল্যান্ডলাইন, মোবাইল ফোনে যেন অতিরিক্ত কথা ও সময় অপচয় না হয় তাই নাকি ক্রেডিট সীমিত ও চার্জ বেশী রাখা হয়। এই বুদ্ধিই যদি চলত তাইলে আর Viber, Whatsapp, Imo, Facebook Messenger গুলো ২৪ ঘন্টা ব্যাপী ফ্রিতে ম্যাসেজ, অডিও, ভিডিও কথা বলতে দিত না। মাঝে মাঝে মনে হয় বাংলাদেশে এই সমস্ত সেকেলে কথা এই ডিজিটাল বিপ্লবের যূগে কিভাবে কিছু মানুষের মাথায় উদয় হয়? এরাই আবার বিভিন্ন পাব্লিক প্লেসে ও বাসে ফ্রিতে ওয়াইফাই ইন্টারনেটের ব্যাবস্থা করছে। তাইলে এই ধরণের কথা কি স্ববিরোধীতা নয়?

বৃটেনে আছি ৮ বছরের উপর। এখানে বর্তমানে Vodafone কোম্পানী মাত্র ১০ পাউন্ডে প্রতিমাসে আনলিমিটেড কল/টেক্সট ও ৬ গিগাবাইটস ডেটা সার্ভিস দিচ্ছে। এটা ১২ মাসের সিম অনলি কনট্রাক্ট। মানে বাংলাদেশী ১১০০ টাকা মাত্র;

https://www.moneysavingexpert.com/phones/cheap-sim-only-contracts/

Vodafone সহ এখানে অন্য সব মোবাইল কোম্পানীদের বাংলাদেশের যেকোন কোম্পানীদের তুলনায় কয়েক বিলিয়ন পাউন্ড বেশী ব্যায় করে বৃটেনে এত বছর ধরে ব্যাবসা করতে হচ্ছে। এখন মাসে ১০ পাউন্ড করাতে কি Vodafoneর কোন ক্ষতি হবে? নাকি অন্যান্য মোবাইল কোম্পানী গুলোকেও রেট কমাতে বাধ্য করবে? কিন্তু কারোরই আর্থিক লস হবে না। এখানে ডেটা সীমিত হলেও অনেকের বাসাতেই নিজস্ব ইন্টারনেট ও ওয়াইফাই আছে। কাজেই বাসার বাইরে রাস্তায় কিছু জরুরী কাজ মাসে ৪ থেকে ৬ জিবির মধ্যে সম্ভব। অনেক সময় কারোরই মাসে এই ৬ জিবির কোটার মধ্যে ২জিবিও ব্যাবহার করা হয় না। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় জরুরী প্রয়োজনে মাসিক কোটা শেষ হয়ে গেলে তখন মোবাইল কোম্পানী গুলিকে অনুরোধ করলে তারা ১-২ জিবি ডেটা ফ্রিতেই দিয়ে দেয়। এতে গ্রাহকদের সন্তুষ্টি সহ সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোন কোম্পানীর ভাল ভাবমূর্তি তৈরি হয়। বৃটেন ধনী ও উন্নত দেশ। তারপরেও বাংলাদেশের তুলনায় তাদের কি ল্যান্ড লাইন ও মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট অনেক সস্তা। এখানে ল্যান্ড লাইনে মাত্র ৫ পাউন্ডে প্রতি মাসে ইউরোপের সিংহভাগ দেশের ল্যান্ড লাইনে আনলিমিটেড ফোন কল করা যায়। সেই সাথে ইইউ ভূক্ত দেশ গুলিতে মোবাইল ফোন নিয়ে গেলে কোন রোমিং চার্জ নাই সেটা পোষ্ট/প্রিপেইড মোবাইল ফোন গুলির জন্য প্রযোজ্য। ধরুণ আমি বৃটেন থেকে ফ্রান্স, জার্মানীতে আমার মোবাইল ফোন নিয়ে গেলাম তখন সেখানে এর ব্যাবহারের জন্য আমাকে অতিরিক্ত অর্থ জমা দিতে হবে না;

EU mobile roaming charges scrapped

https://www.bbc.co.uk/news/business-40281013

এই সব বিষয় দেখে যখন বাংলাদেশের কথা ভাবি তখন দুঃখ পাওয়া ছাড়া আর কি করার থাকে? আমাদের দেশে চাকরী, ব্যাবসা বাণিজ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের গুরুত্ব অপরিসীম তা বলাই বাহুল্য। যদি উন্নত বিশ্বের মত আমাদের দেশেও এমন ব্যাপক পরিসরের অন্তত কল/টেক্সট রেট সহজলভ্য করা হয় তাতে জনগণই বেশী উপকৃত হবে। সেই সাথে বাংলাদেশে ব্যাবসারত মোবাইল ফোন কোম্পানী গুলিকেও আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে না। বরং নিঃসন্দেহে আরো বেশী গ্রাহক মোবাইল ফোন ব্যাবহার করবে! এখন দেখার বিষয় ভবিষ্যতে বাংলাদেশে এভাবে সহজ মোবাইল ফোনের চার্জ হয় কিনা!

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:০৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ভাই, বুদ্ধি করে প্যাকেজ নিলে (যেটা অনেকেই পারে না) বাংলাদেশে অনেক কমেই মোবাইল কল/ডাটা ব্যবহার করা যায়...

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:৫১

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ভাই হয়ত কিছু লোকের সামর্থ্য আছে। প্যাকেজ নেওয়া মানেই গ্রাহকদের মোটামুটি ভাল অংকের টাকা দিতে হয় মাস প্রতি!

ধন্যবাদ।

২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:২৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এদেশের ফোন কম্পানি গুলা ডাকাত।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:৫২

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: সোহেল ভাই, সেটা বলতেই হয় তারা একটা সিন্ডিকেট!

ধন্যবাদ।

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪২

ক্স বলেছেন: ফোন কোম্পানির একতরফা দোষ দেয়া ঠিক হবেনা। এদেশে বিটিআরসি নামের একটা প্রতিষ্ঠান আছে যারা সরকারের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য ফোন কোম্পানিগুলোর হাত পা বেঁধে রেখেছে। এই প্রতিষ্ঠানটির কারণেই ফোন কোম্পানিগুলোকে টিকে থাকতে খুব স্ট্রাগল করতে হচ্ছে। একমাত্র গ্রামীণ ফোন ছাড়া বাকী সবাই সীমাহীন বাধা বিপত্তির মধ্যে দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এদের অত্যাচারে সিটিসেল বন্ধ হয়ে গেছে - এয়ারটেল রবির সাথে একীভূত হয়ে কোনমতে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। বাংলালিংক ও লাভের মুখ দেখতে হিমশিম খাচ্ছে। বিটিআরসি গ্রাহকদের স্বার্থ দেখার চেয়ে সরকারের স্বার্থ দেখতেই বেশি মনোযোগি - তাই ফোন কোম্পানিগুলো গ্রাহকদেরকে সন্তুষ্ট করতে চাইলেও পেরে উঠছেনা এদের দৌরাত্বে।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:৫৫

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: আপনে অনেকটাই ঠিকই বলছেন। গ্রামীণ ফোন এখানে মনোপলি করে একটা সিন্ডিকেট করছে। রবি ও বাংলালিংক এরাও বিদেশী কোম্পানী হয়েও প্রকাশ্যে কিছু বলে না। সেই সাথে সরকারও চুপ।

ধন্যবাদ।

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের ফোন কোম্পানি ডাকাত । সরকার চুপ। মনে হয় সরকারকে ''কিছু'' দেয়।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:৫৬

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: সম্পূর্ণ সহমত!

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.