নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেউ নই, আমি আমার নই, আমি তোমার নই, আমি তুমিও নই

বেচারা

Walid

বেচারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বন্যায় দেশ ভেসেছে, সাথে ভেসে গেছে আমাদের লজ্জা স্থান

১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৭

১.আল্লাহ তায়ালার বিধান হল, যখন দান করবে সেটা এমনভাবে করবে যেন ডানহাত দান করলে বামহাতও টের না পায়। ত্রাণ দিয়ে যারা ব্যাপকভাবে ছবি তুলে আপলোড করছেন, তারা মানছেন কি এই বিধান? কেউ কেউ বলবেন, ছবি দিই অন্যদের অনুপ্রাণিত করবার জন্য। ওয়েল, অনুপ্রেরনার পোজ আর শো অফের পোজ এক রকম হবার কথা না।
।।
২.কোনো সন্দেহ নেই বাংলাদেশ তার জন্ম হতে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় বন্যা ফেস করছে। কোনো রকম যুক্তি ও খবর ছাড়াই বলা যায় বানভাসি মানুষ ও গবাদি পশুর উপর দিয়ে ঠিক কতটা মর্মান্তিক ও নারকীয় অভিশাপ বয়ে যাচ্ছে। এমন একটা আবেগরুদ্ধ মানবীয় বিপর্যয়ের মধ্যে যখন দেশ, তখনো যারা অবলীলায় তাদের ওয়ালে নানান সেলিব্রেশন, নানা কেনাকাটা, চেকইন, রেস্টোর‌্যান্ট ভিজিট, ট্রিট ও এনজয়মেন্টের বাহারি পোষ্ট দেবার লোভ সামলাতে পারছেন না, তারা শুধু একবার তিন সেকেন্ড দু’চোখ বুঁজে সেই বাচ্চা মেয়েটাকে একবার ভাবুন যে পানিতে ভেসে ভেসে একটা খাবারের প্যাকেট নিয়ে যাচ্ছে।
।।
৩.ছোট ছোট প্রচুর দলে নানাপ্রকারে বন্যা এলাকায় না গিয়ে বড় বড় গ্রূপে সবার ক্ষুদ্র এফোর্ট একত্র করে গেলে অপচয়, অবচয়, ওভারহেড, পরিচলনে যে অর্থ বারবার লাগত সেটা বাঁচানো সম্ভব। আর একই বন্যার্তদের বারবার না দিয়ে সবাইকে অল্প অল্প করে হেল্প করা যেত।
।।
৪.যারাই যা কিছু দিয়ে বন্যার্তদের সাহায্যের চেষ্টা করছি তাদের সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা। তবে দয়া করে একটা সত্যি মাথায় রাখবেন, আমরা মোটেই সেইসব বন্যার্তদের দয়া বা করুণা করছি-এই মেন্টালিটি নিয়ে তাদের কাছে যাবেন না, বন্যা ফান্ডে দান করাকে দয়া-দাক্ষিন্য ভাববেন না। এটা আমাদের জন্য ফরজ। আর ঢাকায় বসে যারা দেশকে ডুবে যেতে দেখছি, তারা মনে মনে একটা সত্যকে ধারন করি। ১৯৭১ সালে যখন শহরে আক্রমন শুরু হয়, তখন আমাদের পূর্বসুরীদের গ্রামের মানুষেরা আশ্রয় দিয়ে, বুকে জায়গা করে দিয়েছিলেন। তাদের সেই ভালবাসার ঋন আজ আমরা শহরবাসীরা শুধছি মাত্র। কোনো বাড়তি দয়া নয়, যাস্ট ঋনশোধের দায়বদ্ধতা হতে বন্যার্তদের কাছে যাব। তাদের জন্য কাজ করব। তাহলে সার্বিক উপস্থাপনাটাতে বিনয় ও নম্রতা আসবে। বেশকিছু স্থানে দেখলাম, ত্রাণ দেবার গ্রূপগুলো সেলিব্রেশনে বেরিয়েছে মনে হল।
।।
৫.সবশেষ, টিভি ও রেডিওগুলো দেশে ঠিক আর কতটা অমানবিক পরিস্থিতি দেখা দিলে তাদের চটকদার নাটক, নোংরা প্রেমের গপ্প, বাহারি ঈদ শপিংয়ের বিজ্ঞাপন, ছাড় ও ডিসকাউন্টের ঝকমারি, রগরগে সিনেমার প্রদর্শন, আবেদনময়ী নায়িকাদের নিয়ে ন্যাকামীর অনুষ্ঠানগুলো অন্তত কিছু দিনের জন্য অফ রাখতে পারবেন? জানতে ইচ্ছে করে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এটাকে হাইড এন্ড সিক করে রাখছে তো উপর মহল..

ছাত্র ইউনিয়ন ত্রান তুলতে গেলে ছাত্রলীগ আক্রমন করে!!! কি বোঝেন???
বন্যায়ও তারা নোংরা রাজণীতি করছে!

শেইম!

মিডিয়ার উচিত বাঁধাকেও তুলে ধরে জনতার পাশে দাড়ানো তবেই তাদের ভূমিকা হবে শ্রদ্ধার্হ!

২০ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৩১

বেচারা বলেছেন: এই দেশ কিছুতেই কোনোকালেই একটা প্লাটফরমে দাড়াতে পারল না। আফসোস।

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০৭

কানিজ রিনা বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপন করেছেন। সততায় মানবতা
এগিয়ে যাবে বানভাসি মানুষের জন্য।
এই কামনা,ধন্যবাদ।

২০ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৩১

বেচারা বলেছেন: ধন্যবাদ। এখন ত্রান কার্যক্রমটা সুন্দর হলেই ভাল হয়।

৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:০৮

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: এদেশে বন্যা নৈমিত্তিক বিষয়। নদীর পারে বাধ নির্মাণে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারে সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্চা যায়, কিন্তু বাধ প্রয়োজনে কোন কাজে আসেনা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য সরকারের আলাদা একটা মন্ত্রণালয় আছে, যে সরকার পালতে আমরা বছরে আড়াই লাখ টাকার উপরে কামাই করা বাকি টাকার উপর ১০-৩০% পর্যন্ত ট্যাক্স দেই। সে টাকার হিসাব কে দেবে?

২০ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৪৮

বেচারা বলেছেন: সবচেয়ে মজার বিষয় হল, বন্যা ঠেকাতে বাঁধ দেয়া হয় অথচ সেই বন্যা এলেই বাঁধ ভেঙে যায়। তো ওগুলো বানায় কেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.