নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেউ নই, আমি আমার নই, আমি তোমার নই, আমি তুমিও নই

বেচারা

Walid

বেচারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি:

০২ রা জুন, ২০২২ বিকাল ৫:০৬

গত বেশ কিছু বছর হল, সেটা বড় জোর বছর আস্টেক বা বছর দশেক হবে-একটা ট্রেন্ড চালু হয়েছে।

প্রথিতযশা ও সর্বজনস্বীকৃত ব্যক্তিত্ব ও যুগস্রষ্টাদের প্যান্ট খুলে নেয়ার ট্রেন্ড। শিল্প সমালোচনার নামে, বাকস্বাধীনতার নামে পূবের সূর্যকে পশ্চিমে উঠিয়ে ল্যাং মারার ট্রেন্ড। যাকে যেভাবে মনে চায়, নাঙ্গা তলোয়ার দিয়ে রক্তাক্ত করে সেটাকেই শিল্প সমালোচনার নাম দেবার ট্রেন্ড। প্রথা ভাঙার নাম দিয়ে ন্যায্য-অন্যায্য নির্বিচারে সমাজের সবরকম প্রথা ও ঐতিহ্যকে বুড়ো আঙুল দেখাবার ট্রেন্ড।
এই ট্রেন্ড শুরুতে বেশ ঘামাচি চুলকোনোর মতো আরামদায়ক লাগে। বেশ একটা বিপ্লব বিপ্লব গন্ধ। কিন্তু, একটা সময়ে বিপ্লব বেশি গেজে যায়। আর যাই হোক, গাঁজায় দম দিয়ে, বাপের পয়সায় দেশোদ্ধারের স্বপ্নদোষে ভুগে আর সারারাত মিয়া জুলেখার রসে মেতে থেকে সকালে কীবোর্ডে ঝড় তুলে বিপ্লব হয় না। যেটা হয়, তার নাম অরাজকতা।
সস্তা ও সহজলভ্য মোবাইল ইন্টারনেট, মুড়িমুড়কির মতো স্মার্ট ফোন আর ফেসবুক/লাইকী/টিকটিকির হাত ধরে ঘণতন্ত্র, ব্যক্তিস্বাধীনতা, বাঘ-স্বাধীনতা আর সামাজিক বিপ্লবের মহান দৈববাণী সম্বলিত পশ্চিমা সংস্কৃতি আসার পরে এগুলোর কম্বিনেশনে আজকাল একটা চ্যাং(ড়া) ফেসবুকীয় প্রজন্ম (যাদেরকে আদর করে মিলেনিয়াল প্রজন্ম বলে) তথা অতি আইনেশটাইন জেনারেশন দৃষ্ট হয় চারপাশে, হরহামেশা।
এই জেনারেশনে গন্ডায় গন্ডায় আইনেশটাইন, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, এলন মাস্ক, আল্লামা রুমী, পদে পদে ড. শহীদুল্লাহ, লেনিন, মাও জে দং, লিংকন, জর্জ ওয়াশিংটন, মোজার্ট, জয়নুল আবেদীন পয়দা হয়ে বসে আছে। সত্যি বলতে কি, এই জেনারেশন, মানে যাদের আমি বলি, ফেসবুকীয় তৌহিদি জাগ্রত জনতা ওরফে চ্যাং(ড়া) প্রজন্ম, তারা কখনো কখনো আইনেশটাইনের থেকেও বড় বিজ্ঞানী অথবা রবীন্দ্রনাথ/শেকসপিয়ারের থেকেও বড় সাহিত্যিক বনে যায়। শেরেবাংলা বা সোহরাওয়ার্দী তাদের দেশ প্রেমের কাছে নেহাতই শিশু। আর এরা বঙ্গবন্ধুর চেয়েও যেন বড় নেতা, বড় রাষ্ট্রচিন্তাবীদ। ডারউইন তো এদের কাছে ঘেঁটুপূত্রতুল্য।
এই জেনারেশেন রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি নিয়ে রিভিউ লেখে। পারলে নিজেরাও রবীন্দ্রসংগীত লিখত। গীতাঞ্জলি যে ডাহা নকল আর ফালতু-তা নিয়ে জ্ঞানগর্ভ পর্যালোচনা দেয়, যদিও তারা ওই কাব্যের এক লাইনও পড়েনি। এরা বিজ্ঞ মতামত দেয়, গীতাঞ্জলি নয়, নজরুলের বিদ্রোহী কবিতার নোবেল পাওয়া উচিত ছিল। রবীন্দ্রনাথের লম্বা দাড়ি আর জোব্বা নিয়ে রসিকতা করা ছাড়াও, তিনি যে আজীবন সব হাবিজাবি গান লিখে ও সুর করে গেছেন-এটাই এদের পর্যবেক্ষণ। রবীন্দ্রনাথ ঠিক কী ছিলেন-সেটা বোধকরি তার সময়ের প্রজন্মও ঠিক বুঝে উঠতে পারেনি। সেই যুগেও, এই যুগেও, বাঙালীর কাছে তিনি নেহাতই একজন ’হিন্দু কবি’। এদের বিচারে নজরুল মুসলিম কবি। বঙ্কিম এদের বিচারে নেহাতই ধর্মত্যাগী মাতাল। (এই লেখাটা পড়ে দেখুন: রবি ঠাকুর না জন্মালে Click This Link.)
একদিন এক জায়গায় দেখলাম, এদেরই স্যাঙ্গাত এক বিজ্ঞ শিল্পবোদ্ধা প্রয়াত আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়েও দশপাতা সমালোচনা দিয়েছেন। না, তার গান, গিটার বাদন বা অন্য কোনো গুন নিয়ে না। তিনি নেহাতই ফালতু মানুষ, তিনি স্বার্থপর, তিনি একচোখা, ভাবিস্ট, তিনি নিজের ছেলেকে ছাড়া আর কাউকে গিটার শিখিয়ে যান নাই-ব্লা ব্লা ব্লা। তার গানের তুলনামূলক বিশ্লেষণ, সেগুলোর শিল্পগুন নিয়ে এক লাইন ও না। কারন, ওগুলো নিয়ে কথা বলতে হলে ঘটে জ্ঞান থাকা লাগে। সেটা নেই আর সেটা রপ্ত করার ইচ্ছাও নেই। তাহসান আর মিথিলার বিয়ে ভাঙা ঠিক হয়েছে কিনা, মিথিলা তাহসানের জন্য ঠিক ছিল কিনা-তা নিয়ে বিশাল সুশীল জনমত দেয় এই জেনারেটর, থুরি, জেনারেশন। কিন্তু, তাহসান যে চমৎকার গান করেন, তিনি যে একজন চমৎকার চিন্তাবীদও বটেন, তা নিয়ে আগ্রহ কম বিজ্ঞ টিউবলাইটদের।
একদল আবার ড. জাফর ইকবাল যে আগাগোড়া একজন ভীরু, কাপুরুষ, সুবিধাবাদী, আম্লীগের দালাল, সুযোগ সন্ধানী, তেলবাজ-তা নিয়ে ব্যপক সরব। যদিও এই TRUE REBELদের দৌড় মাকে ভয় দেখিয়ে বাপের পকেট কাটার মধ্যেই সীমিত। এই প্রচারনাটা খুব বেশি দিনের না। তো, এই গ্রুপটা এর সাথে জুড়ে দেয়, আরেহ, ওনার সব সায়েন্স ফিকশন তো হুবহু অমুক বই, তমুক বইয়ের নকল। যদিও তারা ওনার বই আর ওই কথিত বইয়ের একটাও পড়েনি। যেন ড. ইকবাল লেখক নন, তিনি চে গুয়েভারার ভায়রা। যেন ড. ইকবাল বিজ্ঞানের শিক্ষক নন, তিনি একজন ফেসবুক বিপ্লবী হতে বাধ্য। এদের দাবী অনুযায়ী ড. জাফরকে শুধু শিক্ষক ও লেখক হলে হবে না। তাকে বিপ্লবী হতে হবে। তাদের সাথে গলা মিলিয়ে “SORKERER PUSSY চাই” বলতে হবে। তা না হলে তিনি চটি লেখক। আবার তাদের মনমতো করলেই তিনি টলস্তয়। পাড়ার সেলুনের নাপিতও তাই ফেসবুকে তার সায়েন্স ফিকশন রচনার রিভিউ দেয়, তিনি কেন মুক্তিযুদ্ধে এশটেনগান হাতে যুদ্ধ করেন নাই-সেই গণজিজ্ঞাসা ছুড়ে দেয় ফেসবুকীয় জাগ্রত বিবেক।
বই ও ইতিহাস না পড়া, বাপের হোটেলে খাওয়া আর বফ.গফের পয়সায় মাস্তি করা এই গ্রুপটা সেই গ্রুপ, যারা মনে করে, দুনিয়ার আদি হতে আজ তক যত মনিষী ও মহান মানুষ এসে গেছেন, যা কিছু মহান আবিষ্কার পৃথিবীতে হয়েছে, পৃথিবীর গর্ব করার মতো যত যত বিপ্লব ও বিবর্তন-এগুলো সব রাবিশ। এঁরা থাকলে এর চেয়েও বেশি কিছু হত। এরা ফরাসী বিপ্লবের সমালোচনা করে, কনফুসিয়াস বা মাও জে দং কে এরা খুল্লামকুচি করে ফেলে। এদের বৈপ্লবিক সমাজতন্ত্রের নয়া মতবাদের কাছে তীব্র মার খান লেনিন। পাবলো পিকাসো আর দ্য ভিঞ্চি এদের ভয়ে ফেসবুকে ব্রাত্য। মোনালিসার চোখ যে ট্যারা-সেটাও আবিষ্কার করতে পেরেছে এই চ্যাংড়া বোদ্ধা জেনারেশন।
এই গ্রুপটাই কবি, আঁকিয়ে, নাট্যকার, সুরকার, সাহিত্যিক, নির্মাতা ও দার্শনিক রবীন্দ্রনাথকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধী জানিয়ে তাকে বাংলাদেশের জাতশত্রু বানায়। যদিও এটা একটা প্রপাগান্ডা, তবুও বলতে হয়, কবি তো কবিই। তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের পান্ডা হবার দায় কখন পড়ল? তিনি বঙ্গভঙ্গ চান নাই-সেই দার্শনিক বিদগ্ধ প্রবন্ধ ফেসবুকে ঘোরে। তা বিশ্বকবি ও সংগীতগুরু রবীর কেন দেশপ্রেমিক ও স্বজাত্যবোধে ভরপুর থাকার দায় পড়ল বুঝি না। কবির কাজ কবিতা লেখা। সঙ্গীতজ্ঞের কাজ গান ও সুরকে নিয়ে। সেটা দিয়েই তাকে বিচার করতে হবে। তিনি তো কোনোদিন স্বদেশী আন্দোলনের নেতা হিসেবে নিজেকে দাবী করেন নাই। কেউ কেউ বের করেছে, তিনি অত্যাচারী জমিদার ছিলেন। আরেকদল ত্যানাকাঁথা খুঁজে, ঘেঁটে বের করে, তিনি লম্পট ছিলেন। (যদিও চ্যাংড়ার দল তার একটা বই কখনো ঘাঁটবে না। চ্যাংড়া প্রজন্মের একমাত্র স্বীকৃত বাইবেল, এনসাইক্লোপিডিয়া ও এ্যালম্যানাক হল ফেসবুক নীতিগদ্য আর জৈনক অভিজ্ঞ কালেকটর। ও হ্যা, নিজের বাপের নাম জানতে চাইলেও এরা গুগলু করে বের করে দেয়।)
তো?
রবী যদি লম্পটই হন, তার কবিসত্বার কী ব্যঘাতটা হল? এর জন্য কি তার সোনার বাংলা জাতীয় সঙ্গীত হতে বাঁধা আছে? লম্পট হাসন রাজার গান কি আমরা শুনি না? লম্বট তথা বেশ্যা তথা বাঈজী চন্দ্রমূখীর (মাধুরী) ফর্সা ও মেদহীন কোমরের নাচ কি আমাদের প্রলুব্ধ করে না? কীটস মদ খেতেন কিনা-সেটা কি তার চিরসবুজ কবিতার বিচারের আলোচনায় আসে?
জাতীয় সঙ্গীত বদল করা উচিত-এই লাইনে যেসব ধান্দাবাজ ও রাজাকাররা কথা বলে, তারা আবার যুক্তি দেয়, সোনার বাংলা গানটির মূল সূর তো রবীদার না। তো? তাতে এই গানটির জাতীয় সঙ্গীত হতে বাঁধাটা কোথায় তৈরী হল?
এই সবজান্তা জেনারেশনের কাছে রবীন্দ্রনাথের চেয়ে বড় সঙ্গীতজ্ঞ হল রোদ্দুর রয়। শ্রাবনী সেন বা কনিকা বন্দোপাধ্যায়ের চেয়ে দিকপাল রবীন্দ্র সঙ্গীত গাতক হলেন জৈনক ’গামছা গেলাশ’। লালন শাহ এর চেয়ে অনেক বড় মাপের লালন বোদ্ধা হলেন এই চ্যাং(ড়া) ফেসবুক বোদ্ধা জেনারেশন। পন্ডিত শিবকুমার শর্মার সান্তুর বাদনের মধ্যে এরা স্বরলিপি বিভ্রাট খুঁজে পায়, হরিপ্রসাদ চৌরাশিয়ার বাঁশি বাদনের মধ্যে এরা চাইলেই খূঁত খুঁজে পায়, ডেভিট কপারফিল্ড যে পাড়ার ঝালমুড়ি বিক্রেতার চেয়েও রদ্দি অথবা জোবেরা রহমান লীনু ফালতু একজন এ্যথলেট-এমন বিজ্ঞ মতামত আমরা এই চ্যাং(রা) জেনারেশন হতে অহরহ শ্রুত হই। চানক্য’র দর্শন পড়বার চেয়ে এদের কাছে চেপু দা’র ফিলোসফি বেশি আমোদের। এঁদের স্টাটাস পড়ে আমরা চক্ষু কর্ণের সুখ নিই।
এই চ্যাংড়ারা এসব ইতরামোর আবার একটা লজিকও ট্যাগ করে দেয়। “দেখেন না, পশ্চিমে এখন হাজার বছর পরে পুরোনো ইতিহাস নতুন করে লিখছে, লর্ড ক্লাইভের মূর্তি ভেঙে দিচ্ছে, ইতিহাস ওলটপালট হচ্ছে, পুরোনো নাইটদের চরিত্র উন্মোচন হচ্ছে, ইতিহাসের নায়করা ভিলেন বনে যাচ্ছে, বাবরি মসজিদের নিচে রাম মন্দীর আবিষ্কার হচ্ছে।”
সেদিন একটি গ্রুপে পড়ছিলাম জীবনানন্দ’র দাম্পত্যের ব্যবচ্ছেদ নিয়ে। তার সংসার ও দাম্পত্য নিয়ে লেখক ও পাঠকের ব্যপক রগঢ় শেষে তিনি যে একজন যা তা কবি-সেই ইকুয়েশন।
জীবনানন্দ একজন কবি। যুগশ্রেষ্ঠ কবি। তার কবিতা পড়ি আর তব্দা খাই। কীটস তার চেয়ে বেশি দুঃখবোধের কবি ছিলেন কিনা, হোমার তার তুলনায় কতটা এগোনো-সেটা নিয়ে যখন ভাববার কথা, তখন, তিনি অন্য কাউকে ভালোবাসতেন কিনা, সংসারে সুখী ছিলেন কিনা, বউকে তৃপ্ত রাখতে পেরেছিলেন কিনা, বাচ্চাদের জন্য ফ্ল্যাট কিনে রেখে যেতে পেরেছেন কিনা, এলাকার মসজিদ কমিটির সভাপতি হলেন কিনা, তার বউ তাকে ঠ্যাঙাতো কিনা-সেই খবরে আমাদের কাজটা কী?
তার ’আবার আসিব ফিরে’ আর ’বনলতা সেন’র’ মর্মোদ্ধার করতে করতেই তো সময় পাবার কথা না। তাহলে তার পুরুষ ও পিতা হিসেবে সফলতা ও ব্যর্থতার ব্যবচ্ছেদ করায় পাঠকের এত ব্যগ্রতা কেন? তার পরিচয় আমাদের কাছে একজন কবি। তাহলে তার ’পুরুষ’ পরিচয়ের হালহকিকত কেন পাঠকের আগ্রহের বস্তু হবে? নাকি, ছোটবেলায় আমাাদের বাংলা বইয়ে কবিতা ও প্রবন্ধের শুরুতে একটা ছোট লেখক পরিচীতি থাকত। ফেসবুকেও আজকাল সেই লেখক পরিচীতির নামে তাদের বেডরুমের আবহ বর্ণনার যুগ এলো? নতুন রূপে?
এই অতি ইঁচড়ে পাকা জেনারেশনের কাছে রাগ সঙ্গীত হল ঘ্যান ঘ্যান; রবীন্দ্র সঙ্গীত হল ঘুম পাড়ানি গান; প্রমথ চৌধুরীকে তারা চিনবারও দরকার মনে করে না; হুমায়ুন আহমেদকে তারা গোণায়ই ধরে না; তাদের কাছে বৈধ সঙ্গীত হল রোদ্দুর রয় কিংবা জিরো মলমের ম্যাৎকার। এই চ্যাং(ড়া)দের কাছে স্বীকৃত একমাত্র বিনোদন হল টিকটক ও ইনস্টা; বিশুদ্ধতম সেতার বাদক তানসেনকেও পারলে কবর হতে তুলে তার রিভিউ দেয়; মোজার্টকে এরা চেনে না বলে রক্ষা। না হলে তিনিও গেছিলেন। রবিশংকর বা আনুশকা যে কী সব যা তা সেতার বাজান-আমরা এই চ্যাং(ড়া) জেনারেশন না এলে জানতেই পারতাম না। ভ্যান গগ যে আদতে রংই চিনতেন না-এই পরম সত্যটা এই চ্যাং(ড়া) সবজান্তা জেনারেশন না থাকলে আর জুকার মামা ফেসবুক প্রসব না করলে জানাই হত না।
মজার বিষয় হল, এই চ্যাং(ড়া) জেনারেশন নিজ নিজ অঙ্গনে জিরো শর্ট হলেও, ধাড়ি ছেলে-মেয়ে হয়ে বাপ-মা’র পয়সায় নিজের জাইঙ্গা কেনার মানুষ হয়ে আবার তাদের সামান্যতম শাসনকেও নিজেদের ব্যক্তিস্বাধীনতার পরিপন্থী হিসেবে মনে করলেও, ফেসবুকে আবার এরা যাকে তাকে জ্ঞান দেয়, যার-তার পোস্ট দেবার অধিকার নিয়ে প্রশ্ন করে, কার কী লেখা উচিত ও উচিত না-সেই সবক অবলিলায় দেয়।
দেখেশুনে ইজ্জত খোয়ানোর ভয়ে পারলে রবীন্দ্রনাথ তার সাধের দাড়িটা কামিয়ে ফেলেন; আর ওদিকে রবীদার ভক্তরা জাগ্রত জনতার হামলা হতে বাঁচতে তার সাথে সংশ্রব অস্বীকার করার জন্য সিনেমা বানান,
মাইরি বলছি, ”রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি।”

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০২২ বিকাল ৫:১৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: " রেহেনা মারিয়াম নুর কোন ছবিকে নকল করা হয়েছে বলে আপনার ধারণা স্যার? "

০৩ রা জুন, ২০২২ বিকাল ৩:১০

বেচারা বলেছেন: তা তো জানি না স্যার। মারিয়াম বেগমকে এখনো দর্শন করিনি যে। আমি সিনেমার পোকাও নই।

২| ০২ রা জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪১

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

বাংলাদেশে এ নামে রেস্টুরেন্ট খোলা দরকার।

০৩ রা জুন, ২০২২ বিকাল ৩:১০

বেচারা বলেছেন: দেখবেন, শীগগীরই কেউ একজন খুলে বসে আছে।

৩| ০২ রা জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে এই সব আশ্চর্য সামলোচনা এবং মিথ্যা প্রপাগান্ডা একসময় এই ব্লগেও ছড়ানো হতো। এগুলো ঠিক এই জেনারেশনের কাজ নয়, জংগী মতাদর্শীদের কাজ ।

০৩ রা জুন, ২০২২ বিকাল ৩:১১

বেচারা বলেছেন: ওই সব তথাকথিত জোংগীরাও এখন বোলোগ দিয়া ইন্টারনেট চালায়।

৪| ০২ রা জুন, ২০২২ রাত ৮:০৬

নিমো বলেছেন: পোস্টটা বড্ড বেশি রাফ এবং টাফ হয়ে গেছে। ব্লগে এখন তেল ফ্যাক্টরির লিকড পাইপ লাইনের তেলে ভেজা চুপচুপে পোস্টের খুব রম রমা।

০৩ রা জুন, ২০২২ বিকাল ৩:১২

বেচারা বলেছেন: দেখি, সেই তেলে নিজেকে কিছুটা তুলতুলে বা তেলতেলে করে তোলা যায় কিনা।

৫| ০২ রা জুন, ২০২২ রাত ৯:৪৯

জ্যাকেল বলেছেন: আরেকটু গোছানো ব্লগ জনতার দাবি ছিল। যাক, আপনি জেনারেশনের ওপর ভাল রকমের রিভিউ দিয়েছেন এবং দুঃখজনক হইলেও সইত্য যে ইহারা ঠিক এই পথেই গেছে। হয়ত আপনি একটু বাড়িয়ে বলছেন তবে পরিস্থিতি অনুধাবন করবার মতই পোস্ট।
ধন্যবাদ।

০৩ রা জুন, ২০২২ বিকাল ৩:১২

বেচারা বলেছেন: নিশ্চিতভাবেই বাড়িয়ে বলেছি। জেনারেশন এত খারাপ নয়। গোছাতে ক্লান্তি লাগছিল।

৬| ০৩ রা জুন, ২০২২ রাত ১২:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: বাঙ্গালীদের ১০০ পুরুষের ভাগ্য যে রবীন্দ্রনাথ বাংলায় জন্মেছেন। লেখালেখি করেছেন।

০৩ রা জুন, ২০২২ বিকাল ৩:১৩

বেচারা বলেছেন: এটা তো দশ কথার হক কথা।

৭| ০৩ রা জুন, ২০২২ সকাল ১১:১০

শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ
চরম বিষাদের সাথে এমন দারুন মার মার কাট কাট একটা পোষ্টে লাইক না দিয়ে পারলাম না!

ভয় পাওয়ার কিস্যু নেই। মিলেনিয়াম প্রজন্মের এই খেলা একদিন থেমে যাবে(ওরা যখন বুঝতে শিখবে- তবে ততদিনে অনেক সর্বনাস শ করে ফেলবে)। সময় তার নিজের গতিতে চলবে...

০৩ রা জুন, ২০২২ বিকাল ৩:১৪

বেচারা বলেছেন: ঠেকে শেখার এই প্রবণতার পরিণতি খুব খারাপ।

৮| ০৩ রা জুন, ২০২২ দুপুর ১২:০২

রানার ব্লগ বলেছেন: প্রমথ চৌধুরীর নাম আমি এই প্রথম দেখলাম যে ব্লগে কেউ নিলো!! আমি ব্যাথিত হই বর্তমান প্রজন্ম বই পড়ে না তারা এমন কি ট্যাবেও ই বুক পড়ে না। তারা সাহিত্যকে অপ্রয়োজনীয় মনে করে। রাজীন নুরের সাথে আমিও একমত একজন রবীন্দ্রনাথ একজন নজরুল একজন শরতচন্দ্র একজন বংকিম একজন জীবনানন্দ পেয়েছে এই দেশ। বর্তমানে লেখক খুজে পাওয়াই দুষ্কর পাঠক তো নাই।

০৩ রা জুন, ২০২২ বিকাল ৩:১৪

বেচারা বলেছেন: এই প্রজন্ম টিকটকায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.