নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেউ নই, আমি আমার নই, আমি তোমার নই, আমি তুমিও নই

বেচারা

Walid

বেচারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুখে মধু, অন্তরে বিষ

১৮ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:০৮

আমার লাইফ পার্টনারের বাড়ি বিক্রমপুর। কাগজে কলমে বা সরেজমিনে না থাকলেও বিক্রমপুর নামের একটা স্থানের কথা পৌরানিক কাহিনীতে বরাবরই ছিল।

সম্ভবত বিগত কিছু বছরের নব্য জাগ্রত জনতা ও তাদের ততোধিক জাগ্রত দেবতা তথা সরকারের হাতে পড়ে ’বিক্রম’পুর বনে গেছে ’মুন্সী’গঞ্জ।

ঠিক যেমন ’জয়দেব’পুর বনে গেছে ’গাজি’পুর, ময়মন’সিং’ বনে গিয়েছে মোমেন’শাহী’। ’ব্রাহ্মন’বাড়িয়া হয়ে যায় বি.বাড়িয়া। অনেকটা বোম্বাইয়ের মুম্বাই রূপের মতো। তাতে অবশ্য বোম্বাইয়া চানাচুর ঝাল হয়ে যায় নাই। বোম্বাইয়া লিচুর মিষ্টতাও কমে নাই।
যাহোক। শীব ভানতে ধানের গীত গেয়ে কী লাভ?

বিক্রমপুরের মেয়ে হিসেবে সে একটা শব্দ প্রায়ই বলে-’মুখলালচি’। হ্যা, শব্দটা সম্ভবত এমনই। বিক্রমপুর ওরফে মুন্সীগঞ্জের মানুষেরা ভাল বলতে পারবেন। আমি আমার দাদার দেশ বরিশালের ভাষা তাকে শেখাই। সে আমাকে বিক্রমপুরী বোল শেখায়।
মুখলালচি শব্দটির কোনো আভিধানিক অর্থ নেই। থাকবে কী করে?

এটাতো অভিধানেই নেই। বাংলায় অনেক কথ্য বিষয় আছে, যা অভিধানে পাবেন না। অবশ্য ভাষার জন্ম ও বিকাশ তো প্রধানত অভিধানে না, মানুষের মুখেই।

মুখলালচির মুখাভিধানিক অর্থ হল-লোক দেখানো বা দায়সারা।

আপনি কাউকে সত্যিকারে ভালোবাসেন না,
সত্যিকারের আন্তরিকভাবে তার জন্য কিছু করতে চান না,
সত্যি সত্যি মন হতে টান অনুভব করে স্বেচ্ছায় কাউকে কিছু দিতে চান না বা বলতে চান না-অথচ বলতে হচ্ছে বা দিতে হচ্ছে-

তখন আপনার মুখের বচন, মুখের ধরন ও মনের আকরন যে রূপ ধারন করে, যেই শঠতার আশ্রয়টা নেয়-তার নাম মুখলালচি।
সোজা করে বললে বলতে হবে অভিনয় বা ভান।

আপনার সাথে ঘটে কিনা জানি না। আপনি ভাল মানুষ, মহৎ হৃদয়। হয়তো আপনি তাদের মুখোমুখি হন না। হলেও আপনার অতি উন্নত চিত্ত তা আপনাকে অনুভব করতেও দেয় না।

আমার মতো দূষিত চিন্তার লোকের সাথে প্রচুর ঘটে ও ঘটে চলে। দেখি, শুনি, বুঝি, কিন্তু, চুপ করে শুধু ভাবি। মুখলালচির কুশিলবরা চারপাশে ঘোরে, কাছে আসে, দূরে যায়;

কখনো রঙ মেখে আসে, কখনো সফেদ রূপে আসে; কখনো অন্ধকারে, কখনো আঁধারে, কখনো আলেয়ার মতো চারপাশে ঘোরে; কখনো সুহৃদ বেশে, কখনো কুহৃদ। বেশিরভাগ সময় চিনি, কখনো কখনো দেরীতে চিনি।

কখনো চিনে নিজেকে গুটিয়ে নিই, কখনো দেরী করে ফেলি। কিন্তু, মুখলালচি হতে চিরমুক্তি ঘটে না। তাদের নিয়েই নিয়ত বসবাস। ভান করা ভালমানুষি শুনে কৃতজ্ঞতার অভিনয় করি। চা পান খাই, বিড়ি সাধি। আর মনে মনে হাসি। নিজেকে নিয়ে, চারপাশকে নিয়ে।
যাহোক, আমার সাথে যেটা ঘটে-সেটা আর বেশি বললে সমাজচ্যুত হতে হবে। অবশ্য আমি বহু আগে হতেই সমাজচ্যুত। সমাজ আমাকে পাতে নেয় না বহু কারনে। সে কর্পোরেট সমাজই হোক আর মানুষের সমাজ। ব্রাত্য রাইসুর মতো অখাদ্য রাইসু এই শ্রীমান।
লোকের কাছ হতে শোনা অভিজ্ঞতাই বরং বলি।

১. এ্যাইইইইঁইঁ, বাসায় এসো কিন্তু।

[ এটা সবচেয়ে কমোন মুখরক্ষার একটি। খেয়াল করে দেখবেন, বাসার ঠিকানা, এমনকি, ফোন নম্বরও দেয়া হবে না। বাসায় কবে যাবেন, কোন উপলক্ষ্যে যাবেন, আগে হতে বলে যাবেন নাকি সারপ্রাইজ ভিজিট-তার বয়ান নেই। কিন্তু, ‘বাসায় এসো’ চলতে থাকবে বছরের পর বছর। এমনও হয়েছে, যখন ‘বাসায় এসো করা হয়েছিল, তখন বাসা ছিল মিরপুর। আর এখন সাড়ে সাত বছর পরেও ‘বাসায় এসো চলছে, কিন্তু, মাঝে যে বাসা মিরপুর হতে মোকসেদপুর শিফট করেছে-সেটাও বলেনি। আপনি হয়তো ধরে বসে আছেন, শিগগীরই একবার যাবেন, বেটা এত করে যেহেতু বলছে।]

২. আপনি আসায় কী যে খুশি হয়েছি। [ ডাহা মিথ্যা কথা। মেহমান আসায় আজকাল খুশি হয়-এমন মানুষ বিরল। বিশেষত প্রোগ্রাম সেট না করে আসা মেহমানকে ঘরে যায়গা দেয়-নিকট অতীতে শুনিনি। কেউ যদি করে থাকেন-পায়ের চরণামৃত পাঠিয়ে দিয়েন। প্রাতঃকালে নিদ্রাবসানে খালি পেটে পান করে আপনাকে ভিডিও ইনবক্স করে দেব।

দুই জা, ননদ-জা কিংবা ‘পাশের বাসার ভাবী’দের মধ্যে এ জাতীয় মুখলালচি বেশি চলে। আমি নিজে দেখেছি, ‘পাশের বাসার ভাবী’কূলের মধ্যে নিজেদের বাপের বাড়িতে ভ্রমন বিনিময়ের আলাপও হয়, সব ফাইনাল হয়, কিন্তু বাস্তবে দু’জনের প্রত্যেকেই জানে, ওটা ভান মাত্র। বাপের বাড়ি তো দূর কি বাত, নিজের ঘরে নিতেও আপত্তি। ব্যাচ ভিত্তিক গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে, অফিসের কলিগদের মধ্যে, প্রতিবেশীদের সাথে, পেশাজীবিদের গ্রুপ ও এসেসিয়েশনগুলোর গেট টুগেদারে মুখলালচির অহরহ প্রয়োগ লক্ষ্য করবেন।]
৩. ভাই, একদিন আমাদের এদিকে চলে আসেন, আড্ডা দেয়া যাবে।

বস, আমি ভুরুঙ্গামারি আছি, আমাদের এদিকে আসলে ঘুরে যাবেন কিন্তু। চা খিলাবো।
আমি হনুলুলু আছি, আসলে অবশ্যই দেখা করবেন।

খুব দেখতে ইচ্ছে করে বাস্তবের আপনাকে। (সত্যিটা হল, দেখা তো দূর, তিনি আপনার একটা দারুন লেখা শেয়ার করার মতো কষ্টটাও করবেন না। কালেভদ্রে দেশে এলে আপনাাে জানানোরও চাপ নেই।)

জ্বি দাদা, আসব আসব, আপনাদের ওদিকে গেলে নক করব।

তবে সবচেয়ে খোলাখুলি মুখলালচি হয় পুরোনো কলিগদের মধ্যে।এমনিতে দেখাসাক্ষাৎ না হলেও কদাচিত হয়ে পড়লেই দু’জনই এত আন্তরিকভাবে ব্যগ্রভাবে কথা হবে, দু’জনের একজন আরেকজনের নম্বর নিয়ে মিসড কল দেবেন, কল লিস্ট হতে নম্বর সেভ করা হবে-দু’জনেই এমন প্রতিশ্রুত হন, যেন পুরোনো প্রেম ফিরে এলো বলে। তার পর যে যার পথে। প্রদত্ত নম্বর কল লিস্ট হতে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। সেভ আর হয় না। কল করা তো বহুদূর।

[ এগুলো হল ভার্চুয়াল স্ট্যান্টবাজি-যা আমি প্রচুর করি। মনে মনে হল, আরেহ ধুর, দ্যাশে কি কাজ কাম নাই? ]

৪. আপনি স্টাটাস দিলেন-”আগামী তিন বছর মিরপুর লাভ রোডে থাকব। কেউ চা চু খাওয়ালে বলিও।” [ তিন বছর ইষাণ কোণে মেঘ ঘনালো না, তার গুঢ় গুঢ় ডাকও শোনা গেল না। গুনে গুনে ৩ বছর ১ দিন পরে লাভ রোডের বদনপুস্তকদোস্ত রিপ্লাই দেবেন-”ইশ, আর একটা দিন আগে যদি দেখতাম। বিরাট মিস। পরের বার হবে ভাই।”

৫. আপি, ইদের দিন কিন্তু অবশ্যই আসবেন। আর কোথাও না গেলেও আমাদের বাসায় আসতে হবে। কী বললেন, করোনা? ধূর, ওসব আজকাল কেউ মানে? আমি কিছুই শুনব না। আসতে হবে। কথা ফাইনাল থাকল।”

[ইদের আগের রাতে আপনি তার স্টাটাস আপডেট নোটি... পেলেন-”Checked in to Gulistan Public Toilet" মানে ককশোবাজার বা গাতারগুল।

আপনাকে কিন্তু সে বলে নাই, ”আইস্যান না।”

আপনি ফোন করে জিজ্ঞেস করবেন-কী রে ভাই, তুমি না আমারে আইবার কইলা?-এহেম এহেম, আপনি এত নির্লজ্জ এখনো হন নাই।
আবার, যদি লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে ফোন করেনও, তাহলে শুনবেন-” আপুনি, হঠাৎ ওর বন্ধুরা প্ল্যান করল, তাই হুট করেই। আপি, আমি ফেসবুকে আপডেট দিয়েছি তো।”

৬. ভাই সমস্যায় পড়লে লজ্জা করবেন না। একটা ডাক দিয়েন। টাকা পয়সা কোনো সমস্যা না। [ডাক দিতে গিয়ে ডাক মারবেন। হয় ফোন সুইচড অফ, না হয় মেসেঞ্জারে ব্লক।

আপনি যদি রক্ত চেয়ে পোস্ট দেন আর রক্তের গ্রুপ বলে না দেন-তাহলে রিপ্লাই জিরো।

আর যদি গ্রুপ বলে দেন-তাহলে যেই গ্রুপই দরকার হোক, রিপ্লাই আসবে-ইশ, আমার গ্রুপ তো এটা না। ইশ, আজ ঢাকায় থাকলে দিতে পারতাম।

ইয়ে, আমিও রক্ত দিই না। এ যাবত যাদের দিতে গিয়েছি তাদের প্রত্যেকের দানবিক মহত্ম দেখে মুগ্ধ হয়ে।

একজনকে রক্ত দিলাম। তিনি ঘন্টা পাঁচেক পরে পরোক্ষ ফোনে অবগত করলেন, আপনার রক্তটা কাজে লাগেনি। ফেলে দিতে হল।
আরেকজনকে রাত ১১ টায় ডোনার পাঠানো হল। তিনি রক্ত নেবার আগে ৭ টা ফোন করেছেন। রক্ত দেবার পরে রাত একটার দিকে ডোনারকে একটা রিক্সাভাড়া বা স্কুটারের ব্যবস্থাও করেননি, আমাকেও ফোনে কিছু আর জানাননি। ডোনার নিজ দায়ীত্বে কোনোমতে ঘরে ফিরেছে সেই রাতে আর আমি দূরে হতে পুরো রাস্তা তার সাথে কমিউনিকেট করে গেছি। সে ঘরে পৌছানোর পরে ঘুমোতে গেলাম গভীর রাতে। আর সেই দিনের পরে বিগত ৫.৫ বছরে আমাকে একবারও আর অন্য কোনো কাজেও ফোন দেননি সেই গ্রহিতা। তাই দিই না। শয়তান পুলা আমি। ]

৭.
মজার কিছু বলি। কিছু মুখলালচি হয় মুখে মুখে আর চোখে চোখে।

আপনার কিছু সুহৃদ থাকতে পারে, বন্ধুও। আপনার সাথে যখনই দেখা হবে, বন্ধু বন্ধু বন্ধু বন্ধু বন্ধু বন্ধু করতে করতে করতে আপনাকে বন্দুক বানিয়ে দেবে-একদম জিগরী দোস্ত, আমি তোকে খিলাবো গোস্ত। আপু আপু আপু আপুউউউউউ করতে করতে দম ফুরিয়ে দেবে। আপু, আপুনি, আপ্পি, ভেইয়াআআআ শুনে মনে হবে, আহ, জীবন কী সুন্দর। কী নিদারুন বন্ধুত্ব।

এই পুরোটা অভিনয়। এই বেটারাই আপনার আড়ালে আপনার সমালোচনা করবে। বদনাম ছড়াবে। আর, আপনার প্রয়োজনে পাশে থাকার বিষয়টা যদি আপনি ভুলেও প্রত্যাশা করেন, সেই দায় কেবলই আপনার। কারন, ওটা সে কখনো দায়েই রাখেনি।

আপনি যদি সত্যি সত্যিই সত্যিকার কোনো দরকারে তাকে স্মরন করেন, তাহলে সে তাৎক্ষণিক সেন্ট লুসিয়া কিংবা এন্ড্রোমিডায় মিলিয়ে যাবে। আর আপনি গাইতে থাকবেন,

”ঘুড়ি তুমি কার আকাশে ওড়ো,
তার আকাশ কি আমার চেয়ে বড়ো।”

৯.
বিপরীত মুখলালচিও আছে।

তার মধ্যে সবচেয়ে পপুলারটা হল, কোনো বাসায় বেড়াতে যাবেন। হাতে করে এক প্যাকেট মিস্টি নিয়ে গেলেন। গৃহবাসিনীরা তিনবার হতে সাতবার বলবে, “ছিহ ভাই, শুধু মানুষ দু’জনই না বেড়াতে আসবেন। প্রতিবার এলেই কি হাতে করে কিছু আনতে হবেই? এসবের কী দরকার ছিল?”

বাস্তবতা হল, সত্য হল, খালি হাতে যান, আপনার চায়ের কাপে মাছি থাকবে আর ফেরার পরে আপনার প্রোফাইলে থুতু।
বিশ্বাস না হলে, যে কোনো বাঙালের সাথে প্রাকটিস বা মহড়া দিয়ে দেখুন।

চামে চিকনে জানাই, আগামী কিছু দিন পরে আমার ধরাগমন দিবস। আপনি আমাকে জন্মদিবসে এক কার্টন বরিশালের আমড়া গিফট দিলেন। আমি কিছুতেই সহজভাবে বলতে পারব না,

”ধন্যবাদ ভাই।”
বরং বলতে থাকব, বলতেই থাকব,

”ছি ছি ভাই, এসব কেন? দোয়াই আসল। এটা আমি কিছুতেই নিতে পারব না।”

ফ্যাক্ট হল, মনে মনে কিন্তু খুশিতে মরে যাচ্ছি।

ওদিকে আবার, আপনি বলবেন,

”না না না না, এ আর এমন কী? এটুকু করে আমার কী যে ভাল লাগছে।”

মনে মনে বলছেন,
”শালাহ, এর পেছনে ৮০০ টাকা চলে গেল। না দিলে আবার ফেসবুকে স্টাটাস দিয়ে পঁচাবা। শালাহ।”

কিন্তু, মুখে তো সেটা বলবার জো নেই। মুখে থাকবে মধু।

৮.
একটা মোস্ট কমোন বলি।

ইন জেনারেল, আপনি ফেসবুকে যেসব বিপ্লবী স্টাটাস দেন আর পাবলিক যখন সেটাতে রেসপন্ড করে-সাথে আছি, চালিয়ে যান, আমাদের সমর্থন আছে, আমরা আছি লাখো ভাই-এইগুলোকে চোখ বুজে মুখলালচি ক্যাটেগরী ধরে নেবেন। ১০০% গ্যারান্টি। এরা কেউ আপনার সাথে নেই।

এগুলো সব হালকাগুলো বললাম। এর বাইরে সিরিয়াসগুলো বললে, সমাজ আমার হুকো নাপিত বন্ধ করে দেবে। আমার বাসার সামনে ময়লার গাড়ি ময়লা ফেলে যাবে।

সাহস করে নিজের একটা অভিজ্ঞতা বলেই ফেলি।

ছিয়ানব্বই সাথে ’মেটটিক’ পাশ করার পরে স্কুলের সহপাঠিরা (তখন অবশ্য বন্ধু বলতাম) ছড়িয়ে ছিটিয়ে হারিয়ে গেলাম।

বহু বছর পরে অন্তত বছর পনের পরে আবার একদিন সবাই কী করে কী করে যেন একত্র হলাম। ব্যপক উচ্ছাস, বিশাল উদ্যম, তুমুল উদ্দীপনা তৈরী হল। এরপর আজীবন ঐক্যবদ্ধ থাকার ও যুথবদ্ধ থাকার শপথ হল।

টপাটপ একটা ফেসবুক গ্রুপও বনে গেল। প্রথম কিছুদিন এতদিনের বিচ্ছেদের জন্য বিপুল হাহাকার দেখানো হল আর ভবিষ্যতের নানা পরিকল্পনার ফানুস উড়ল। আবেগে গদগদ।

অতঃপর, সেই গ্রুপও গেছে, সেই আবেগও। একদিন আমরা আবার বুঝলাম, ওই আবেগের হররাটা ছিল একটা Hoax যেটাকে গেঁয়া বাংলায় মুখলালচি বলা চলে।

অবশ্য মাঝে সাঝে সেই আবেগটা বিজলীর মতো চমকায়, তবে আর বর্ষে না। তবে কালেভদ্রে দেখা সাক্ষাত ঘটে যায়। তখন একটা নিখূঁত অভিনয় চলে শৈশব বন্ধুত্বের।

আর বলব না। ঠাডা পড়তে পারে। তার চাইতে আপনাদের অভিজ্ঞতাগুলো শুনি।

আর এই লেখা পড়ে যদি আমার হুকো নাপিত বন্ধ হয়, তাহলে উগান্ডা চলে যাওয়া ছাড়া গতি থাকবে না। কিন্তু, যদি উল্টাটা হয়, মানে, আন্তরিক ও বন্ধুবৎসল সুহৃদদের করুণার বান ডাকে, তাহলে বলব,

“চাই নে আমি চেয়ে পাওয়া, তোমার গড়া মালা,
সে মালা পেয়ে বাড়বে না সুখ, বাড়বে দিগুন জ্বালা।”

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:২৬

আখেনাটেন বলেছেন: বাহ, মুখলালচি'র ইতিহাস ও বাস্তব ঘটনাবলীর আখ্যান পড়লুম।

'যা, দুর্দান্ত লিখেছেন। খাসা লেখা, মাইরি'-- আচ্ছা, এটাও কী 'মুখলালচি'র ক্যাটেগরিতে পড়বে? ;)

২১ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪০

বেচারা বলেছেন: তুতেন খামেন বলতে পরবেন।

২| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৩৮

রায়হান চৌঃ বলেছেন: সত্যি গুলো মিথ্যার আড়ালে রাখতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা, আর তাই তো এখন আর প্রানখোলা হাঁসি দেখাযায় না, সবকিছুই এখন কেমন যেন নেকামি মনে হয়।

২১ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪১

বেচারা বলেছেন: প্রযুক্তি ও আধুনিক জীবন এর অনেকটা দায় নিতে বাধ্য।

৩| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: মুন্সিগঞ্জ থেকে বিক্রমপুর বলতেই আমার বেশি লাগে।
আমার বাড়ি বিক্রমপুর।

২১ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪১

বেচারা বলেছেন: বিক্রমপুর হতে এটা মুন্সীগঞ্জ কবে হল?

৪| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৫১

শায়মা বলেছেন: বাপরে! মুখলালচি মানে তো লালচে মুখের লজ্জাবতী মানুষ হবার কথা ছিলো।

তা না আপু আপু ভেইয়া ভেইয়া মুখে এক মনে আরেক মানুষরাই মুখ লালচি!!!!!!!!!! ( ভাগ্যিস ভাইয়া বেচারা আমার খানাপিনা পোস্ট গুলো দেখেনি) :)

২১ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪২

বেচারা বলেছেন: দেখব খন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.