নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুয়া মফিজ

ভুয়া মফিজের সাথে ভুয়ামি না করাই ভালো...

ভুয়া মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্নযাত্রা: ইটালী - ৮ (শেষপর্ব)

২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৮


এই সুন্দর ছবিটা আগের পর্বে দিতে ভূলে গিয়েছিলাম, তাই এটা দিয়েই এই শেষপর্ব শুরু করলাম। কলোসিয়ামের উপর থেকে নেয়া দ্য আর্চ অফ কন্সট্যনন্টাইন এর ছবি, পিছনে প্যালেন্টাইন হিল।

তো আগের সূত্র ধরে বলি, রোমান ফোরাম থেকে বের হয়ে এলাম ক্যাপিটোলাইন হিলে। এখানে একটা মিউজিয়াম আছে। হাতে বেশী সময় ছিল না, তাছাড়া পুরা ইটালীইতো একটা মিউজিয়াম; তাই আর ভিতরে ঢুকি নাই।


ক্যাপিটোলাইন হিলে ঘোড়ার পিঠে রোমান সম্রাট অগাস্টাস। এটি ১৭৫ খ্রীষ্টাব্দে স্থাপন করা হয়। তবে এটা একটা রেপ্লিকা, আসলটা পাশের মিউজিয়ামের ভিতরে সংরক্ষিত।


এই ছবিটা দেয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না। নেট থেকে নেয়া। হিলের মেঝের এই অপূর্ব জ্যামিতিক কারুকাজ আগের ছবিতে কিছুটা দেখা গেলেও ঠিক বোঝা যায় না, আর আমার পক্ষে পুরোটা এক ফ্রেমে আনা সম্ভবও না।


হিল থেকে নেমে আসার সিড়ি।

পাশেই আলতেয়ার দেল্লা প্যাট্রিয়া, যার বাংলা করলে দাড়ায় পিতৃভূমির বেদী। এটি ভিক্টর ইমানুয়েল-২ এর মনুমেন্ট হিসাবেও পরিচিত। ভিক্টর ইমানুয়েল-২ হচ্ছে একীভূত ইটালীর প্রথম রাজা (রাজত্বকাল ১৮৬১ - ১৮৭৮ খ্রীষ্টাব্দ)। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সকল অজানা সৈন্য যারা দেশের জন্য প্রান দিয়েছে তাদের সন্মান জানানোর উদ্দেশ্যে এখানে দু’টি সদা-প্রজ্জলন শিখা স্থাপন করা হয়, আমাদের শিখা অনির্বানের মতো।


আলতেয়ার দেল্লা প্যাট্রিয়া।


দিনেরবেলা, শিখা দু’টি ভালোভাবে দৃশ্যমান না। তাই একটা ক্লোজ ছবি দিলাম। দেবী রোমার মূর্তি যার নামে রোম নগরীর নাম।


নেট থেকে, শিখাসহ।


উপরে উঠার সিড়ি।


আলতেয়ার দেল্লা প্যাট্রিয়ার উপর থেকে নেয়া ভিউ।


উনি একদম উপরের রেলিং এর উপর বসেছিলেন। একদম গা-ঘেষা ছবি কিন্তু কোন বিকার নাই, শুধু ঘাড় ঘুরিয়ে আমাকে কয়েকবার দেখলেন। ফটোশ্যুটে অভ্যস্ত বোঝাই যায়। অনেকগুলো স্ন্যাপ নিয়েছিলাম, সবচেয়ে সুন্দরটা দিলাম।


আলতেয়ার দেল্লা প্যাট্রিয়ার পাশে, বিস্তারিততে গেলাম না।


কোন ভিআইপি যাবে, তাই হঠাৎ দেখি রাস্তা বন্ধ। রাস্তার মাঝখানে দাড়িয়ে তোলা। দুরে কলোসিয়াম।

সন্ধা হয়ে যাওয়াতে সেদিনের মতো শেষ করলাম। পরদিন ছিল রবিবার। সোমবার দুপুরে ফেরার ফ্লাইট। রাতে হোটেলে ফিরে শুনলাম, কাল রেড ওয়ার্নিং, ঝড়ো হাওয়া এবং প্রচুর বৃষ্টিপাতের পুর্বাভাস। খুব একটা গুরুত্ব দিলাম না। একেতো ঝড়-বাদলার দেশের মানুষ, তার উপর ইংল্যান্ডে দেখেছি গোড়ালী ডুবলে বলে ফ্লাড আর হেভি রেইন মানে দেশের হাল্কা মাপের বৃষ্টি!

পরদিন সকালে দেখি একেবারে বাংলাদেশ স্টাইলে ঝড়ো হাওয়াসহ মুুশলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। বুঝলাম দিনটা মাঠে মারা যাবে। যাহোক, দুপুর ২টার দিকে বৃষ্টি পুরা থামলেও আকাশের চেহারা সুবিধার লাগলো না। বেড়াতে এসে হোটেলে আর কতোক্ষন বসে থাকা যায়? আল্লাহর নাম নিয়ে আড়াইটার দিকে বের হলাম। কপাল ভালো ছিল, হোটেলে ফেরা পর্যন্ত আর বৃষ্টি হয়নি। উপরন্তু মাঝে একটু রোদও উঠেছিল!

সরাসরি চলে গেলাম ফন্টানা ডি ট্রেভি বা ট্রেভি ফাউন্টেইন দেখতে। এই ফোয়ারাতে পর্যটকরা প্রতিদিন আনুমানিক ৩,০০০ ইউরোর কয়েন ফেলে! কয়েন ফেলারও কায়দা-কানুন আছে। বাম কাধের উপর দিয়ে ডানহাতে কয়েন ছুড়তে হবে। আমি অবশ্য কোন কয়েন টয়েন ফেলি নাই। নীচের ছবি দু’টা এই বিখ্যাত ফোয়ারার।



হেটে রওয়ানা দিলাম কাসটেল সান্ট এন্জেলো বা ক্যাসল অফ দ্য হলি এন্জেল এর দিকে। যেতে যেতেই ম্যাপে দেখলাম প্যানথিয়ন পড়বে। তো ভাবলাম দেখেই যাই। প্যানথিয়ন একটা গ্রীক শব্দ যার মানে ’সব দেবতার মন্দির’। তবে বর্তমানে এটা একটা চার্চ। এটা ১২৬ খ্রীষ্টাব্দে তৈরী করা হয়। নীচের ৪টা ছবি প্যানথিয়নের।





কাসটেল সান্ট এন্জেলো । সম্রাট হাদ্রিয়ানের জামানায় ১৩৮ খ্রীষ্টাব্দ নাগাদ এটি তৈরী হয়। একসময় এটা রোমের সবচেয়ে উচু বিল্ডিং ছিল।


রোমের বুক চিড়ে বয়ে চলা তেভেরে নদীর ধারে এই ক্যাসেলে যাওয়ার জন্য নদীর উপর এই সেতুটি তৈরী করা হয়। সেতুটির দুইপাশে এন্জেল বা স্বর্গীয় দুতেরা দন্ডায়মান।



ইটালী ভ্রমন শেষ করলাম। ক্লান্ত-শ্রান্ত দেহে তেভেরে নদীর ধারে ঘন্টাখানেক বসে থাকলাম। হাওয়া খেতে খেতে কিছুক্ষন ''ক’দিনের আমাদের এই জীবন'' জাতীয় কিছু উচ্চ-মার্গীয় চিন্তা-ভাবনা করে হোটেলে ফিরলাম।

তেভেরে নদী।

পরদিন সোমবার যথাসময়ে লিওনার্দো দ্য ভিন্চি এয়ারপোর্টে চেক ইন করলাম। মনার্ক এয়ারলাইন্সের বিমানটি যখন ইংল্যান্ডের ল্যুটন এয়ারপোর্টের রানওয়ে স্পর্শ করলো, মনটা খারাপ হয়ে গেল। স্বপ্ন থেকে আবার বাস্তব জীবনে পদার্পন! আটটা দিন কিভাবে যে পার হয়ে গেল, টেরও পেলাম না।

সুখস্বপ্ন যে কেন এত দ্রুত শেষ হয়!!!


কৃতজ্ঞতা স্বীকার:
ইটালীর সর্বত্র বিশেষ করে রোমে প্রচুর দেশী হকার ভাইদের সাথে দেখা হয়েছে। যখনই কোন সহায়তা চেয়েছি, রোদে পোড়া, ঘর্মাক্ত চেহারায় হাসি ফুটিয়ে উনারা যে আন্তরিকতা দেখিয়েছেন, তার কোন তুলনা হয় না।
কোথাও বেড়ানো সহজ, কিন্তু তা লিখিত আকারে তুলে ধরা কত কঠিন তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। প্রিয় ব্লগার ভাই-বোনদের অনুপ্রেরণা না পেলে এটা আমার জন্যে নিঃসন্দেহে একটা অসম্ভব ব্যাপার ছিল। এত্তোবড় লেখা শেষ করতে পারবো, জীবনেও ভাবি নাই।
যারা উৎসাহ দিয়েছেন, সবাইকে আমার বিপ্লবী লাল সালাম!!

তথ্য কিছু গুগলের, কিছু ওখানকার পরিচিতিমূলক পুস্তিকা এবং বোর্ডের, ২টা ছবি নেট থেকে, বাকিগুলো আমার ক্যামেরা এবং ফোনের।

-সমাপ্ত-

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪০

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার ভ্রমন কাহিনী।





ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: শেষ পর্বটিও অনেক ভাল লাগল।তবে মনে হল বর্ননায় একটু ফাঁকি দিয়েছেন।
তবু কষ্ট করে যে আমাদের জন্য এত সুন্দর ভ্রমন শেয়ার করেছেন তার জন্যও আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বর্ননায় একটু ফাঁকি দিয়েছেন হা হা হা, ধরে ফেলেছেন!!! ফাঁকি দিয়ে পার পাওয়া গেল না!
ঠিকই ধরেছেন, একটু তাড়াহুড়া করেই শেষ করলাম। আসলে টায়ার্ড লাগছিল খুব, এতো তো লিখিনি কোনদিন!!
অনেক ধন্যবাদ আর ভালো থাকবেন।

৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪২

করুণাধারা বলেছেন: ভাল লেগেছে, যদিও সবগুলো পড়া হয়নি। এই পোস্টের শেষে সবগুলোর লিংক দিলে ভাল হত।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আলসেমি করে দেয়া হয়নি, আমার ব্লগবাড়িতে গেলেই তো সবগুলো পাবেন......যদি একটু কষ্ট করেন... :), আমন্ত্রন রইলো। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬

যাযাবর চখা বলেছেন: দারুন বর্ননা, ছবিগুলাও সুন্দর। শেষ হয়ে গেলো? পরবর্তী বেরানো কবে হবে?

২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আল্লাহ চাইলে আবার আগামী বছর যাবো। দেখি এবার কোথায় যাওয়া যায়। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি শেষ থেকে শুরু করলাম !!!

২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: :) .......শুরু করাটাই আসল। বাকীগুলো কেমন লাগলো জানাবেন.....প্লিজ। ভালো থাকুন সকল সময়। অসংখ্য ধন্যবাদ।

৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫২

মলাসইলমুইনা বলেছেন: "তেভেরে" নদী? এই নদীকেই কি আমরা টাইবার (ইংলিশ উচ্চারণ মনে হয় ?) নদী বলি? ইতালিয়ান উচ্চারণ "তেভেরে"? দূর থেকে কোলোসিয়ামের ফটোটাতে (ট্রেভি ফাইনটেনটেন-এর উপরের ছবি) শূন্য রাস্তার পাশের গাছগুলোকেতো আফ্রিকান বাওয়াব গাছ মনে হলো |ওই গাছ ইতালিতে দেখে আশ্চর্য হলাম | আর আপনার গম্ভীর পাখিকে দেখে ভালো লাগলো |আপনি গ্রেগরি পাক আর অড্রে হেপবার্নের বিখ্যাত "রোমান হলিডে" মুভিটা দেখেছেন ? আমার খুব প্রিয় এই মুভিটা দেখতে দেখতে আমি রোমের এই জায়গাগুলো ঘুরে বেড়িয়েছি অনেক | আপনার লেখাটা পরে বারবার তাই আমার মনে হয়েছে অরে এই জায়গাগুলো আমার খুব পরিচিত অথচ আমি রোমেই যাইনি কখনো ! পুরো সিরিজটা অসম্ভব ভালো লেগেছে | ধন্যবাদ নেবেন |

২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: একই নদী, "তেভেরে" ইটালীয়ান উচ্চারণ। ওগুলো স্টোন বা আমব্রেলা পাইন, মেডিটেরিয়ান অন্চলের গাছ। আফ্রিকান বাওবাব আলাদা গাছ। মুভিটা দেখেছি, গ্রেগরি পেক আমার খুব প্রিয় একজন অভিনেতা। ওর ২য় বিশ্বযুদ্ধের আর ওয়েষ্টার্ন ঘরানার মুভিগুলো আমার খুবই প্রিয়।
পুরো সিরিজটা কষ্ট করে দেখেছেন, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ইটালী ভ্রমন হলো আমারও আপনার সাথে সাথে। ইটালী যে কত সুন্দর এই পোস্ট দেখে কিছুটা আন্দাজ হলো।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এইচ আর এইচ - এর যে আমার লেখা ভালো লেগেছে, সেজন্যে সন্মানীত বোধ করছি। ইটালী খুব সুন্দর, সন্দেহ নাই। পুরাটাই যেন একটা মিউজিয়াম। আবার যাবো, সময় এবং সুযোগ হলে। ধন্যবাদ।

৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৯

জুন বলেছেন: ভুয়া মফিজ আপনার বর্ননা আর ছবিতে ফিরে গেলাম আমার চোখে দেখা রোমে যেখানে আমি একজন পর্যটক হিসেবে গিয়েছিলাম। তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে আগা পাস্তলা ইতালীকে দেখে এসেছিলাম যতটুকু দেখা যায়। ছিলাম রোমের প্রানকেন্দ্র ভিক্তরিও ইমানুয়েল স্টেশনের গা ঘেষা এক এপার্টমেন্টে । সেখান থেকে কলসিও ও ভিক্টোরিও ইমান্যুএল সবই হাটা ডিস্ট্যান্স।
ক্যাপটোলাইন হিলে আপনি রোম নগরীর প্রতিষ্ঠাতা রোম্যুলাস ও রেমাস নামে যমজ ভাইদের বিশ্বখ্যাত ভাস্কর্যটি দেখেন নি? পৌরানিক কাহিনী অনুযায়ী তাদের পিতামহ আপন ভাইয়ের দ্বারা উৎখাত হয়েছিল আর তাদের বিখ্যাত তিবের নদীতে নিক্ষেপ করলে এক স্ত্রী নেকড়ে তাদের উদ্ধার করে। তার দুধ খেয়েই তাদের জীবন রক্ষা হয়। এরপর আরো বিশদ কাহিনী আছে তা আর উল্লেখ করতে চাইনা।
আর ফন্তে ত্রিভেতে পয়সা ফেলে এসেছিলাম পেছন ফিরে কিন্ত কোন মিরাক্যাল ঘটেনি :(
সবই ভুয়া /:)
=p~
অনেক ভালোলাগা রইলো আপনার ভ্রমণ কাহিনীতে ।
ধন্যবাদ স্মৃতি বিজড়িত স্থানকে তুলে ধরার জন্য ।
+

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভাস্কর্যটি এখন মিউজিয়ামের ভিতরে, তাই দেখা হয়নি, তবে বাইরে অন্যান্য ভাস্কর্যের মধ্যে ওদেরকে দেখেছি। সাড়ে তিনদিনে আর কতো দেখা যায়, বুঝতেই পারছেন।
যাহোক, আমারটা শেষ হলো, এবার আপনারটা পড়বো। অসংখ্য ধন্যবাদ।

৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৩

কালীদাস বলেছেন: সিরিজ শেষ? :((

"ইটালির শিখা চিরন্তনী" জায়গাটা নিয়ে খানিকটা কনফিউজড আমি। জায়গাটা কেন জানি পরিচিত কোন ইটালিয়ানই খুব একটা পছন্দ করে না :( অভিশপ্ত ইতিহাসের অংশ বলে মনে করে।

আহ, ট্রেভি ফাউন্টেন!! খুবই সুন্দর একটা স্হাপনা, সারাদিনই ট্যুরিস্টের ভিড় সেজন্যই। চমৎকার লেগেছিল জায়গাটা।

আগের পর্বে রোমান ফোরামের কথাই বলেছিলাম।

রোম নিয়ে আপনার দুইটা উপলব্ধির সাথে আমি একমত। ১,পুরা ইটালির মত রোম নিজেও এক বিশাল মিউজিয়াম। ২, প্রতিটা পথ, পিয়াজ্জার রয়েছে গভীর ইতিহাস। একসপ্তাহ কেন, একমাসও যথেষ্ট না রোমের কেবল সেন্টারটা দেখে শেষ করা :| আমার নিজের একটা পার্সোনাল লিস্ট আছে কিছু শহরের, যেখানে অন্তত আরেকবার যাওয়া উচিত। সবার উপরে রোম :(

ভাল থাকবেন। পরের ট্রাভেলগের অপেক্ষায় রইলাম :)

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সবকিছুরই তো শেষ আছে...তাই না! :(
অভিশপ্ত ইতিহাসের অংশ বলে মনে করে নিজেদের লোকজনের মারা যাওয়াটা কেউই পছন্দ করে না, হয়তো সেজন্য, কি জানি!!!
ইটালীতে আবার যাওয়ার ইচ্ছা আছে। আপনার সাজেস্ট করা ফ্লোরেন্স হলো টপ অফ দ্য লিস্ট। অতৃপ্তি নিয়ে ফিরে এসেছি, আরও না ঘুরলে ঠিকমতো স্যাটিসফেকশান আসবে না। পুরোটা সিরিজ জুড়ে সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৭

কালীদাস বলেছেন: গুড ডিসিশন, ইনডিড :)

যেহেতু দক্ষিণ ইটালিতে বেশি ছিলেন এবার, নেক্সট বার উত্তর ইটালি ট্রাই করুন। ফ্লোরেন্স (মেডিভাল ইতিহাস, রেঁনেসার শুরু যেখানে), ভেনিস (ইউরোপের বরিশাল ;)) এবং অবশ্যই মিলান (সত্যিকারের কসমোপলিটন সিটি, রিচ ইতিহাসসহ)। ফ্লোরেন্স বোধহয় খানিকটা সেন্টারে পড়ে ইটালির। টাসকানি অঞ্চলের খাবারদাবারও অন্যরকম :P যদিও হালাল ইস্যুর জন্য বেশিরভাগই ট্রাই করতে পারিনি :(

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ফ্লোরেন্স যে একেবারে যাইনি, তা কিন্তু না..... :), ফ্লোরেন্স ট্রেনস্টেশানে ২ঘন্টা ছিলাম ;) !!!
চিকেন আমার খুব প্রিয়, কিন্তু এই হালাল ইস্যুর জন্য অনেক লোভনীয় আইটেম খেতে পারিনা :(( । আগামী বছর এপ্রিলে এক সপ্তাহের হলিডে বুকিং দিলাম। ভাবছি, টার্কি নাকি গ্রীস যাবো। এনি সাজেশান?
টাসকানি অঞ্চলের খাবারদাবারও অন্যরকম ঠিক বলেছেন। পিসাতে একটা wrap খেয়েছিলাম (ইটালীয়ান নাম মনে নাই)। দারুন মজা। রোম বা পম্পেই এ যা খেয়েছি, তেমন একটা মজা পাইনি।

১১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: মফিজভাই। চেক করে দেখেন আমার গল্পের প্রেডিকশন কতটা মিললো?

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি আমার এখানে জিজ্ঞেস করেছেন, তাই উত্তর এখানেই দিচ্ছি।

আমার আসলে তিনটা প্রেডিকশান ছিল। প্রেডিকশানগুলো লজিক্যাল কনসিক্যুয়েন্স বা রিজনিং এর উপর ভিত্তি করে। গল্পের ''নায়িকা'' র চরিত্র বিশ্লেষন করলেই উত্তর পাওয়া যায়।

১. শত প্রতিকুলতার মধ্যেও সে ওই বাড়িতে থেকে যাবে
ব্রোকেন ফ্যামিলির সন্তানরা জেদী হয়। এরা ভালোবাসা পেতে চায়, না পেলে আরো জেদী হয়। প্রথমে বাবাহারা ছোট্ট মেয়েটি মাকে ছাড়তে চায়নি, স্বাভাবিক। মাকে সে ভালোবাসতো, সেই মায়ের কাছ থেকে অবহেলা পেয়ে তার জেদ চাপার কথা। মায়ের নতুন শ্বাশুড়ীর ব্যবহার তার জেদকে আরো বাড়িয়েছে। কাজেই 'যারা অবহেলা করছে, তাদের চোখের সামনেই থাকবো' এমন একটা মনোভাব মেয়েটির মধ্যে এসে গিয়েছিল।

২. দোলনের সাথে সম্পর্কটা টিকবে না।
এটা আসলে বাস্তবতা। এ ধরনের সম্পর্ক টেকার জন্য স্থান-কাল-পাত্রের যে কম্বিনেশান দরকার, তা অনুপস্থিত ছিল।

৩. আরবাজকে নায়িকা বিয়ে করবে না।
জীবনের প্রথম ভালোবাসা সে পেয়েছিল দোলনের কাছ থেকে, সেটা অবহেলায় বড় হওয়া একটা মেয়ের পক্ষে এতো তাড়াতাড়ি ভুলে যাওয়া সম্ভব না, ইনফ্যাক্ট ভুলে যাওয়াই সম্ভব না। তাছাড়া, আরবাজের সাথে ওকে বিয়ে দিতে চাওয়ার পেছনে ওর ভালোর চিন্তার চেয়ে বড় কারন ছিল মাথা থেকে দোলনের ভুত তাড়ানো, আর নিজেদের মান-সন্মান দেখা। এটা ওর মতো স্বাধীনচেতা, জেদী মেয়ের পক্ষে মেনে নেয়া খুবই কঠিন। নায়িকার যে চরিত্র, তাতে দোলনের প্রতি ভালোবাসা পুষে রেখে আরবাজকে বিয়ে করা হতো একধরনের প্রতারণা। সেটা এই মেয়ে করবে না।

আরও আছে। পয়েন্ট বাই পয়েন্ট ডিটেইলসে গেলে অনেক লিখতে হবে। সংক্ষেপে লিখলাম। অামার বাংলা টাইপিং স্পীড জঘন্য। একসাথে এতো লিখতে পারি না। কষ্ট করে লিখলাম.... :)

১২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: বাহ!অনেকটাই মিলে গেলো। আপনি ভালোই প্রেডিক্ট করতে জানেন। সত্যিই অবাক হয়েছি তবে তিনটির মধ্যে ২টি মিলেছে একটি বাদে। দেখা যাক সেটা কি ..


(আরবাজের সাথে ওকে বিয়ে দিতে চাওয়ার পেছনে ওর ভালোর চিন্তার চেয়ে বড় কারন ছিল মাথা থেকে দোলনের ভুত তাড়ানো, আর নিজেদের মান-সন্মান দেখা। এটা ওর মতো স্বাধীনচেতা, জেদী মেয়ের পক্ষে মেনে নেয়া খুবই কঠিন। নায়িকার যে চরিত্র, তাতে দোলনের প্রতি ভালোবাসা পুষে রেখে আরবাজকে বিয়ে করা হতো একধরনের প্রতারণা। সেটা এই মেয়ে করবে না। )


খুবই ভালো অবজার্ভেশন।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেখা যাক সেটা কি .. সেটা বলবেন না? নাকি গল্প থেকেই জানতে হবে!

আরেকটা কথা, আরবাজ যদি লেগে থাকে, আর দোলনের সাথে যদি কোন যোগাযোগ না থাকে, তাহলে আরবাজের সাথে বিয়ে হওয়া সম্ভব। আসলে বলতে চাইছি, দীর্ঘমেয়াদে এটা সম্ভব। কারন 'আউট অফ সাইট, আউট অফ মাইন্ড' খুবই খাটি একটা প্রবচন!
যোগাযোগ না থাকলে যে কোন সম্পর্কই আস্তে আস্তে ফিকে হতে থাকে।

তবে আরবাজ লেগে থাকলে পাঠক হিসাবে আমার চাওয়া, ওর সাথেই নায়িকার বিয়ে হোক! মধুরেণ সমাপয়েৎ। সকলেই আমরা সেটাই চাই, নয় কি?

১৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ সকলের চাওয়াটা এমনই। এমনকি আমার রিয়েল লাইফের কলিগদেরও এমনই চাওয়া। মধুরেণ সমাপয়েৎ।

আরবাজ একজন সাকসেসফুল মানুষ। সাকসেসফুল মানুষেরা আনসাকসেস পছন্দ করে না। আরবাজ যদিও ভীষণ রকম মানবিক ও বোধ বুদ্ধিসম্পন্ন তবে বার বার রিফইুজ ব্যাপারটা একটা সময় তাকে জেদি করে তোলে। সে যাইহোক। গল্পটা প্রায় শেষের পথে। তাড়াতাড়ি সবটাই শেষ করার চেষ্টা করবো।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কোনটা মিললো না তাতো জানা হলো না। ওকে, আই উইল বি ওয়েটিং........... :((

১৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭

কালীদাস বলেছেন: দক্ষিণ ইটালির খাবার আরেক জিনিষ। খুবই ফেমাস, সারা দুনিয়াতেই।

টার্কি এবং গ্রীস লোন-ট্রাভেলারদের জন্য খুব একটা সুবিধার মনে হচ্ছে না রিসেন্ট নিউজ এবং ট্যুরিস্ট রিভিউগুলোতে। টার্কির আনসার্টেইন টেরোরিস্ট এটাক খানিকটা কমেছে ইদানিং কিন্তু ওদের বিহেভ সত্যিকার অর্থেই অদ্ভুত। গ্রীসে ছেচড়া ক্রাইম বেশি। প্রাগে গেছেন কখনও? প্রাগ ট্রাই করতে পারেন, তবে বাটপার এবং ট্রাম লাইনের ব্যাপারে সাবধান। চার্লস ব্রিজে হাঁটার অভিজ্ঞতা সারা জীবন মনে রাখার মতই।

আমার নিজের পছন্দ উত্তরের দেশগুলো। সামর্থ্যে কুলালে উত্তরে চলে যান, কপাল ভাল হলে নর্দার্ন লাইট দেখে আসতে পারবেন। এপ্রিলে খরচও কম পড়ার কথা। ঠান্ডা খুবই বেশি, এটাই সমস্যা।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: নর্দার্ন লাইট তো যুক্তরাজ্যের উত্তর থেকেই দেখা যায়! কষ্ট করে এতদুর যাবার দরকার কি... :(

যাইহোক, আপনার সাজেশান আর ইনফর্মেশান মাথায় রইলো। দেখি কোথায় যাওয়া যায়।

অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:১১

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: অসাধারণ যতসব ছবি!!

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩০

তারেক সিফাত বলেছেন: ইস্তাম্বুল নিয়ে লিখা ৬ পর্বের পর আরো একটি ইতিহাস সমৃদ্ধ ভ্রমণ সিরিজের ৮ টি পর্ব পড়ে ফেললাম। ভালো লেগেছে সিরিজটা। দারুণ। এরপর স্কটল্যান্ড নিয়ে লিখাটা পড়ে দেখবো।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.