নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুয়া মফিজ

ভুয়া মফিজের সাথে ভুয়ামি না করাই ভালো...

ভুয়া মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাসির উপর ওষুধ নাই - ৩ (শেষ পর্ব)

২২ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬




এই ছোট্ট সিরিজটার প্রথম পর্ব ছিল হাসির শারীরিক উপকারিতার উপর। ২য় পর্ব মানসিক আর এই শেষ এই পর্বে হাসির সামাজিক উপকারিতা নিয়ে কিছু কথা।

’হাসতে মানা, রামগরুরের ছানা’ হয়ে অর্থাৎ গোমরা মুখে আপনি কারো বন্ধুত্ব পাবেন না। যে কোনও দেশের, যে কোনও ভাষার মানুষকে কাছে টানা যায় হাসি দিয়ে। হাসি নিজেই একটা ভাষা যেটা সার্বজনীন, তাই ভাষাবিদ না হলেও বন্ধু জোটাতে অসুবিধা নাই যদি না আপনি গোমরামুখী হন। পারস্পরিক সহযোগিতা আর সহমর্মিতা প্রকাশের ভাষা হলো হাসি। আজকালকার বিশ্বে অফিসিয়াল এনভায়রনমেন্টে টিম-ওয়র্ক একটা বহুল চর্চিত বিষয়। এটি কর্মীদের মধ্যে যেমন কনফ্লিক্ট এবং স্ট্রেস তৈরী করে তেমনি হাসির মাধ্যমে এটিকে নিয়ন্ত্রন করাও সহজসাধ্য হয়। বিখ্যাত ইংলিশ কমেডিয়ান জন ক্লীজ বলেছেন, 'হাসি কিভাবে মানুষকে একসূত্রে গাথে তা দেখে আামি বিস্মিত হই। একটা হাসি-খুশী, রসিক মানুষের সাথে কোন রকমের সামাজিক ভেদাভেদ বা দূরত্ব বজায় রাখা সত্যিই দুঃসাধ্য ব্যাপার। হাসি গনতন্ত্রের একটা বড় নিয়ামক শক্তি।'

হাসি রোমান্সের জন্যও ফলদায়ক। একটা জরীপে দেখা গিয়েছে সেন্স অফ হিউমারসম্পন্ন পুরুষদেরকে মেয়েরা বেশী পছন্দ করে। অন্যদিকে পুরুষও চায় যে তার সঙ্গী হাসি-খুশি থাকুক এবং তার রসিকতায় হাসুক। কাজেই প্রেম-ভালোবাসাতেও হাসির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

তত্ব আর তথ্যের কচকচানি অনেক হলো। এবার বরাবরের মতোই গুটিকয়েক জোকস।

একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক তার অধীনস্থদের কৌতুক শোনাচ্ছেন। সবার হাসতে হাসতে পেট ধরে বসে পরার অবস্থা। একজন শুধু না হেসে চুপচাপ বসে আছে। পরে সবাই তাকে ধরলো,
ঃ তোমার তো অনেক সাহস! বসের কৌতুকে হাসো না!!
ঃ আর নকল হাসি হেসে কি হবে, কাল আমি অন্য চাকুরীতে যোগ দিচ্ছি!


এক মেয়ের কাছে একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে কল এলো,
মেয়েঃ হ্যালো.. .. ..
ছেলেঃ তোমার কি কোনো বয়ফ্রেন্ড আছে?
মেয়েঃ হ্যা আছে, কিন্তু আপনি কে?
ছেলেঃ আমি তোর ভাই। দাড়া বাড়ি আসি, আজ তোর খবর আছে!!

কিছুক্ষণ পর মেয়েটির কাছে আবার আরেকটা অপরিচিত নাম্বার থেকে কল এলো,
মেয়েঃ হ্যালো.. .. ..
ছেলেঃ তোমার কি কোনো বয়ফ্রেন্ড আছে?
মেয়েঃ জ্বী না, নেই। হওয়ার কোন সম্ভাবনাও নেই!!
ছেলেঃ তাহলে আমি কে?
মেয়েঃ স্যরি স্যরি জান, আমি মনে করেছিলাম আমার ভাই!
ছেলেঃ আমি তোর ভাই-ই। আজ তোর একদিন কি আমার একদিন!!!!


এন্জিনীয়ারিং কলেজের সব অধ্যাপকরা একটি সেমিনারে এটেন্ড করতে যাচ্ছেন, প্লেনে বসে আছেন সবাই। এমন সময় ঘোষণা এলো - প্রিয় প্রফেসরবৃন্দ, আপনারা যে প্লেনে বসে আছেন সেটার ডিজাইন থেকে শুরু করে সবকিছু করেছে আপনাদের ছাত্ররা।
ঘোষণা শুনে সকল প্রফেসর হুরমুড় করে দৌড়ে প্লেন থেকে বের হয়ে এলেন। দেখা গেল প্রিন্সিপাল সাহেব তখনও বসে রয়েছেন। একজন এসে বললেন, নেমে পড়েন! এটা ক্র্যাশ করার সমূহ সম্ভাবনা!!
প্রিন্সিপাল সাহেব বললেন, আমি আমার ছাত্রদের হাড়ে হাড়ে চিনি। ঘোষণা যদি সত্যি হয় তাহলে এই প্লেনের স্টার্ট নেয়ারই কথা না।


এক ভদ্রলোক তার বন্ধুর বাসায় এসেছেন। বন্ধু বাসায় নাই তবে একটু পর চলে আসবে তাই সময় কাটানোর জন্য বন্ধুর ছয় বছরের ছেলের সঙ্গে গল্প করছেন।
বন্ধুঃ বাবু, তুমি কি পড়?
বাবুঃ হাফপ্যান্ট পড়ি
বন্ধুঃ না, মানে কোথায় পড়?
বাবুঃ কোথায় আবার.. .. ..(জামা একটু তুলে ধরে) এই যে এখানে, নাভির একটু নীচে!!


শিক্ষকঃ মশা-মাছি অনেক রোগ ছড়ায়, তাই এদের বংশ বৃদ্ধি রোধ করতে হবে।
ছাত্রঃ হা হা হা হা হি হি হ হি
শিক্ষকঃ এ্যাই, হাসির কি হলো?
ছাত্রঃ স্যার, এতো ছোট বেলুন বানাবে কেমনে?


গৃহশিক্ষক তার নতুন ছাত্র আবুলকে পড়ানো শুরু করলেন। প্রথমদিন ভাবলেন একটু যাচাই করে দেখা যাক ছাত্রের কি অবস্থা।
শিক্ষকঃ আচ্ছা, বলতো Grammer কাকে বলে?
আবুলঃ যারা গ্রামে থাকে তাদেরকে গ্রামার বলে স্যার। যারা বাংলাদেশের গ্রামে থাকে তাদেরকে বাংলা গ্রামার আর যারা ইংল্যান্ড / আমেরিকার গ্রামে থাকে তাদেরকে ইংলিশ গ্রামার বলে।
শিক্ষকঃ has been raining cats and dogs. এই বাক্যকে বাংলায় অনুবাদ করো।
আবুলঃ কুকুর বিড়াল দৌড়াচ্ছে, কারন এখনই বৃষ্টি পড়া শুরু হবে।
শিক্ষকঃ সে গেলো তো গেলো, এমনি ভাবেই গেলো, আর ফিরিয়া আসিল না, এটা ইংলিশে লিখো।
আবুল লিখলোঃ She went to went emnibhabei went, are did not come.
শিক্ষকঃ দারুন! এবার একটা সহজ বাক্যকে ইংলিশে বলো। ’মেয়েটি নীচে দাড়িয়ে আছে’
আবুলঃ The girl is understanding.
শিক্ষকঃ ফোর্ড কি?
আবুলঃ গাড়ী, স্যার।
শিক্ষকঃ তাহলে অক্সফোর্ড কি?
আবুলঃ একটু ভেবে.. .. .. .. গরুর গাড়ী, স্যার।
শিক্ষকঃ তাজমহল কে তৈরী করেছিল?
আবুলঃ মিস্ত্রিরা, স্যার।
শিক্ষকঃ বাংগালী জাতির প্রধান বৈশিষ্ট্য কি?
আবুলঃ এরা একাই একশ কিন্তু একশ কখনও এক হতে পারে না। এক কথায় বলতে গেলে, জাতে মাতাল কিন্তু তালে ঠিক।
শিক্ষকঃ চোর সম্পর্কে তোমার মুল্যায়ন কি?
আবুলঃ বলা হয়ে থাকে, ’চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে’। তাই বুদ্ধি বাড়ানোর সহজ উপায় হচ্ছে চোরকে পালানোর সুযোগ দেয়া।
শিক্ষকঃ object সহ একটা ইংলিশ বাক্য বলো।
আবুলঃ Sir you are very honest man.
শিক্ষকঃ এখানে object কোনটা?
আবুলঃ পরীক্ষায় বেশী বেশী নম্বর পাওয়া।

শিক্ষক সেদিনের মতো বিদায় নিলো। বিদায় নিলো তো নিলো, এমনি ভাবেই নিলো, আর ফিরিয়া আসিল না!!!


সবশেষে একজন মফিজের ভিডিও দেখেন
view this link
ছবিসহ পুরোটাই ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত এবং সংকলিত।

১ম পর্বের লিংক view this link
২য় পর্বের লিংক view this link

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৪৪

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: =p~ =p~ =p~

২২ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৩৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: :P :P

২| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৫২

সঞ্জীব ব্যানার্জী বলেছেন: :D ছবিটা বেশ! বাকিগুলোও ভাল। :D :D :D :D

২২ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৩৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৫৫

মাআইপা বলেছেন: হেসে নিলাম, এখন ভিডিওটা দেখি

২২ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৪০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভিডিওটা কেমন লাগলো?
ভালো থাকবেন।

৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:২৬

*** হিমুরাইজ *** বলেছেন: অস্থির জোকস!

২২ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ। আগের পর্ব দু'টা দেখতে পারেন।

৫| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: তারা মশামাছি বলে কি খেলাধুলার অধিকার নাই???
মানুষের বাচ্চারা কতো রঙের বেলুন নিয়ে খেলে।আর মশামাছির বাচ্চারা। :((
তাহাদের বেলুন সাপ্লাই করে প্রাণীসেবায় এগিয়ে আসুন। :P
চমৎকার লাগলো।
বিশেষ করে প্লেন এর টা।

২২ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এতো ছোট বেলুন কিভাবে বানানো যায় তার গবেষণা চলছে। দেখি কতোটা প্রাণীসেবা করতে পারি ;)

৬| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৩০

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: মফিজ ভাই? জোকস গুলা অসাধারন।

কিন্তু কী আর করুম, শেষ পর্ব! কথাটা শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল:(:(
ব্লগের কঠিন সব কবিতা পড়তে ভালো লাগে না। সামনে আরো কিছু জোকস দিয়েন।

২৩ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:২৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অাপনার অাগ্রহের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
পছন্দমত জোকস পেতে অনেক অনেক জোকস পড়তে হয়। টায়ার্ড হয়ে যাই। তবু চেষ্টা করবো। ভালো থাকবেন।

৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১:০০

সুমন কর বলেছেন: মজা পেলাম...

২৩ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:২৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে যৎসামান্য মজা দিতে পেরে আমি যারপরনাই আনন্দিত!!!

৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫৫

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ভাইজান?

আপনার আপডেট পোস্ট কই!! তাড়াতাড়ি লিখেন??

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কাজের চাপে চ্যাপটা অবস্থায় আছি রে ভাই। নেহায়েত থাকতে পারি না, তাই আসি। আপনাদের লেখা, মন্তব্য পড়ি! কবে নতুন লেখা দিতে পারবো জানিনা। তবে আপনার আগ্রহে অনুপ্রাণিত হইলাম।

তবে, আপডেট পোস্ট বুঝলাম না, কিসের আপডেট?

৯| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০৬

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ও!! আপনি ভালো থাকুন, তাহলেই হবে।

দু-চার লাইন কবিতা তো লিখতে পারেন। আপনারা না থাকলে ভাল লাগে না।

আপডেট পোস্ট মানে নতুন লেখা!:)

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: লিখা তো দুরের কথা, কবিতা আমি ঠিকমতো বুঝিই না!
একটা নতুন লেখা দিলাম।

১০| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:১০

আখেনাটেন বলেছেন: =p~ :P =p~ =p~ কৌতুক আমি সবসময় ভালা পাই।


আরো বেশি সংখ্যাক দিতে পারতেন।

একটি শুনুন: শীতকালে নদীর ধারে অলস ভঙিতে শুয়ে আছে এক লোক। সে আসলে একজন মৎসশিকারি। একটি মাছ ধরে বড়শি গুটিয়ে সকালের রোদে আরাম করছে। এই সময় নদীর ধার দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল এক বিরাট ব্যবসায়ী। তিনি এই শিকারির শুয়ে থাকার দৃশ্য দেখে থমকে দাঁড়ালেন।
-তুমি নিশ্চয় মাছ শিকারী?
-হুঁ।
-বড়শি দিয়ে মাছ ধর?
-হুঁ।
-কিন্তু মাত্র একটা মাছ ধরে বসে আছ কেন? আরো মাছ ধরছ না কেন?
-লাভ কী বেশি মাছ ধরে? অলস উত্তর।
-বাহ..বেশি মাছ ধরলে বেশি টাকা পাবে সেই টাকায় একটা বড় জাল কিনবে।
-বড় জাল কিনে লাভ কী?
-বাহ..।তারপর বড় জালে অারো বেশি বেশি মাছ ধরবে। তারপর একটা বড় মাছ ধরার নৌকা কিনবে।
-মাছ ধরার নৌকা কিনে কী লাভ?
-বাহ..।মাছ ধরার নৌকা কিনে সমুদ্রে গিয়ে আরো অনেক বেশি মাছ ধরবে.।তারপর মাছ ধরার ইঞ্জিন ট্রলার কিনবে..আরো অনেক বেশি টাকা হবে তোমার..।
-আরো অনেক বেশি টাকা হলে লাভ কী?
-তখন তোমাকে নিজে কিছু করতে হবে না। বেতন দিয়ে লোক রাখবে তারাই তোমার সব কাজ করবে আর তুমি দিব্যি ঘুমাবে।
-সেই ঘুমই তো ঘুমাচ্ছিলাম... আপনি এসে বিরক্ত করা শুরু করলেন।

২৯ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:২১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: =p~ =p~ =p~ =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.