নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুয়া মফিজ

ভুয়া মফিজের সাথে ভুয়ামি না করাই ভালো...

ভুয়া মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইস্তান্বুলের অলি-গলিতে কয়েকটা দিন - চতুর্থ পর্ব

০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১


ইস্তান্বুলের অলি-গলিতে কয়েকটা দিন - তৃতীয় পর্ব

ইস্তান্বুলের দর্শনীয় স্থানগুলো দেখার কম্বাইন্ড টিকেট করাই ছিল, কিন্তু ব্যাসিলিকা সিস্টার্ন দেখতে গিয়ে শুনলাম সেটা এখানে কার্যকর হবে না। এটা দেখার জন্য আলাদা টিকেট করতে হবে! মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল! এখানে আসার আগেই এক সিরিয়ান শরনার্থীকে কিছু লীরা দিয়েছি। পকেটে যা আছে তার চেয়ে টিকেটের দাম বেশী। কি আর করবো, আবার বেশকিছু হেটে গিয়ে পাউন্ড ভাঙ্গিয়ে আনলাম। খসে গেল ১৫ টা মুল্যবান মিনিট! টিকেট কাটতে কাটতে আপন মনেই রাগে গজরাচ্ছিলাম। কাউন্টারের সুন্দরী তরুণী বললো, 'তুমি কি কিছু বলছো?' আমি বললাম, 'হ্যা, বলছিলাম যে তোমাদের দেশটা খুব সুন্দর।' ওর বিরক্ত মুখটা খুশী খুশী হয়ে উঠলো দেখে বললাম,'তুমিও খুব সুন্দর'। এবারে সবগুলো দাত বের করে ফেললো। টিকেট নিয়ে হাত নেড়ে ভিতরে ঢুকে পরলাম।

বাইরের প্রখর ঝলমলে আলো থেকে ভিতরের অন্ধকারে ঢুকে প্রথমে চোখে কিছুই দেখছিলাম না। একটু পরেই অবশ্য চোখ সয়ে এলো। ভিতরটা এক অন্য জগত। মাটির উপরের পরিবেশ থেকে একেবারেই ভিন্নতর। এখানেও প্রচুর মানুষ, কিন্তু কোন কোলাহল নাই। শীতল এবং শান্ত একটা পরিবেশ বিরাজ করছে। পরিবেশ মানুষকে মুহুর্তের মধ্যে কিভাবেই না বদলে দেয়, আশ্চর্য!

এবার ব্যাসিলিকা সিস্টার্নের ইতিহাসটা আপনাদেরকে একটু সংক্ষেপে বলি। ’সিস্টার্ন’ মানে হচ্ছে জলাধার। নগরবাসীর পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ৫৩২ খৃষ্টাব্দে রোমান সম্রাট জাস্টিনিয়ানাস - ১ এটি তৈরী করান। এটা জনগনের কাছে 'ইয়েরেবাতান সিস্টার্ন' নামে পরিচিত ছিল। ইস্তান্বুলের সবগুলো সিস্টার্নের মধ্যে এটি ছিল বৃহত্তম। প্রায় ৮০,০০০ কিউবিক মিটার (১,০০,০০০ টন) পানি ধারন-ক্ষমতাসম্পন্ন এই বিশাল সিস্টার্নে ৯ মিটার উচ্চতাসম্পন্ন ৩৩৬ টা মার্বেল পাথরের কলাম রয়েছে। প্রায় ২০ কি.মি দুরে ব্ল্যাক সি (কৃষ্ণ সাগর) এর কাছে অবস্থিত আরেকটি জলাধার থেকে খাল এবং টানেলের মাধ্যমে এখানে পানির উপস্থিতি নিশ্চিত করা হতো। প্রায় দেড় হাজার বছর আগে প্রকৌশল বিদ্যার কি অনুপম প্রয়োগ, চর্মচক্ষু দিয়ে না দেখলে মাটির নীচের এই বিশাল কর্মযজ্ঞ অনুধাবন করা মুশকিল!


ঘুরে ঘুরে দেখছি, কিন্তু মাথার মধ্যে ঘুরছিল একটা প্রশ্ন। সিস্টার্ন তো বুঝলাম, কিন্তু 'ব্যাসিলিকা' কেন? ব্যাসিলিকা তো খৃষ্টান ধর্মে উপাসনালয়গুলোর একটা রুপ (এ বিষয়ে বিস্তারিত আমার ইটালীর পর্বে লিখেছি)। শেষমেষ এক গাইডের ধারা বর্ণনা আড়িপেতে শুনে এর উত্তর পেলাম। সেটা হলো, এই স্থাপনার উপরে একটা ব্যাসিলিকা ছিল একসময়। তাছাড়া এর কলামগুলো বিভিন্ন ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপনা থেকে সংগ্রহ করে আনা হয় যার একটা বড় অংশই ছিল বিভিন্ন ব্যাসিলিকার। তাই লোকজন এটাকে ব্যাসিলিকা সিস্টার্ন নামেও জানতো, বর্তমানে এই নামটাই বেশী প্রচলিত।

এখন আর সিস্টার্ন ভর্তি পানি থাকে না, তবে একেবারেই যে নেই তা কিন্তু নয়। বর্তমান পানির লেভেল হাটু পানির চেয়েও কম। অন্ধকারে একটু খেয়াল করে তাকালে পানিতে মাছের খেলা দেখা যায়। একসময় এখানে নৌকা দিয়ে ঘুরতে হতো। ১৯৮৫ সালে পর্যটকদের সুবিধার্থে পুরোটা সিস্টার্ন জুড়েই বিভিন্ন অংশে ফুটপাথের মতো কাঠের পাটাতন বিছানো হয়।

সিস্টার্নে সময় সময় সিনেমার শ্যুটিং, কনসার্ট ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের কালচারাল ইভেন্ট হয়। যেমন, বিখ্যাত জেমস বন্ড মুভি, ’ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ’ এর কিছু গুরুত্বপূর্ন শ্যুটিং এখানে হয়েছিল।

এই সিস্টার্নটি পুনরুদ্ধারের কাহিনীটা কিন্তু বেশ চমকপ্রদ। বাইজেন্টাইন সম্রাটরা গ্র্যান্ড প্যালেস ছাড়ার পর এটি বন্ধ করে দেয়া হয়। লোকজন, এমনকি নগর কর্তৃপক্ষও আস্তে আস্তে এটার কথা ভুলে যায়। ১৫৪৫ সালে পেট্রাস গিলিয়াস নামের এক গবেষক বাইজেন্টাইন আমল নিয়ে একটি গবেষণা করছিলেন। এ সময় কিছু স্থানীয় বাসিন্দা জানায় যে, তারা তাদের বেজমেন্টের মেঝের নীচে এক অন্ধকার জায়গা থেকে বালতি দিয়ে পানি তোলে, এমনকি সেখান থেকে মাঝে-মধ্যে মাছও ধরে। তো গিলিয়াস ভাই কৌতুহলী হয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে অবশেষে এই সিস্টার্ন পুনরাবিষ্কার করেন।

৩৩৬ টা কলামের মধ্যে কয়েকটা কলাম খুবই বিখ্যাত কিছু মিথের কারনে।

ময়ুর-চোখ কলামঃ ইতিহাসবিদদের ভাষ্যমতে, প্রায় ৭,০০০ ক্রীতদাসের অক্লান্ত পরিশ্রমে এটি তৈরী হয়, অনেকে মারাও যায়। এই কলামটা বেয়ে সবসময় পানি পড়তে থাকে। বলা হয়ে থাকে, মৃত ক্রীতদাসদের আত্মত্যাগ স্মরণ করে এটি সবসময় কাদতে থাকে।


মেডুসা’র মাথা কলামঃ এ সম্পর্কে দুইটা গ্রীক মিথ প্রচলিত আছে। প্রথমটা হলো, মেডুসারা তিন বোন। এরা মাটির নীচের জগতের নারী-দৈত্য বিশেষ, যাদের কাজ হচ্ছে কোন বিশেষ স্থাপনাকে নিরাপত্তা দেয়া। তাই এদের ছবি বা মূর্তি স্থাপনার মধ্যে রেখে দেয়া হতো। ছবির এই স্নেক-হেড মেডুসা সেই তিনজনের অন্যতম।
দ্বিতীয়টা হচ্ছে, মেডুসা একটা অসম্ভব রুপবতী মেয়ে যে কিনা ভালোবাসতো দেবতা জিউসের ছেলে পারসিয়াসকে। এদিকে, এথেনাও (জিউসের মেয়ে) পারসিয়াসকে ভালোবাসতো। এই ত্রিভূজ প্রেমের চক্করের কারনে এথেনা ক্ষেপে গিয়ে শাস্তিস্বরুপ মেডুসার চুলগুলোকে সাপে রুপান্তর করে দেয়। ঘটনা যাই হোক, ব্যাসিলিকা সিস্টার্ন দেখতে গেলে ট্যুরিষ্টদের আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে এই মেডুসা-হেড কলাম দু’টো।



অন্ধকারের কারনে পুরো কলামের ছবিটা আমার ভালো আসেনি, তাই নেট থেকে একটা দিয়ে দিলাম,


এই শিরোস্ত্রানের ঘটনা কি জানিনা। আশেপাশে কিছু লেখাও নাই। সবাই দেখি চিৎ-কাৎ হয়ে বিভিন্ন ঢঙ্গে ছবি তুলছে, তাই আমিও একটা তুললাম,


বেসিক্যালী সিস্টার্ন হলো একটা বৃহদাকার পানির ট্যাংকি! সেক্ষেত্রে এর মেঝেতেও কেন নকশা করতে হবে? একটা কথা আছে না, 'নাই কাজ, তো খই ভাজ।' আসলেই নকশার কোন শেষ নাই (দু-অর্থেই!!),


সব ঘুরে ঘুরে দেখে যখন মনে হলো পয়সা উসুল হয়েছে, তখন মাটির নীচের অন্ধকার থেকে উপরের আলোর জগতে উঠে এলাম। আমার পরবর্তী গন্তব্য হলো গুলহানে পার্ক। পার্কটি ইস্তান্বুল নগরীর সবচেয়ে বড় এবং একইসঙ্গে ইতিহাস-খ্যাতও বটে।

হেটে গেলে মিনিট পনেরোর মতো সময় লাগে। সময় এবং শ্রম বাচানোর জন্য উঠে পড়লাম ট্রামে। ইস্তান্বুলের ট্রাম কিন্তু সেই মান্ধাতার আমলের ট্রাম না, অত্যন্ত আধুনিক আর নান্দনিক। ৫ মিনিটের মধ্যে জায়গামতো পৌছে গেলাম।

পার্কের কয়েকটা ছবি দিলাম,






আতাতুর্কের এই ভাস্কর্যটি পার্কের শোভা বাড়িয়েছে,


ওসমান হামদী বে, একজন মশহুর তুর্কী চিত্রকর। 'কচ্ছপ প্রশিক্ষক' (The Tortoise Trainer) নামে তেলরঙ্গের একটি বিখ্যাত ছবি আকেন ১৯০৬ সালে। ২০০৪ সালে ছবিটি ৩.৫ মিলিয়ন ডলারে বিক্রয় হয়। ছবিটির একটা কপি নেট থেকে দিলাম।


এই ছবিটার একটা বাস্তব প্রতিচ্ছবি উপস্থাপন করা হয়েছে গুলহানে পার্কে। আমার ক্যামেরায় তোলা ছবিটা দেখুন। ছবিতে কচ্ছপগুলো অবশ্য পরিস্কার দেখা যায় না, ফুলগাছের বেডের কারনে! তবে কাছ থেকে দেখলে তাদের দেখা পাওয়া যায়।


পার্ক থেকে বের হয়ে হাটতে হাটতে চলে এলাম এমিনন্যুর স্পাইস বাজারে, কিছুক্ষন ঘোরাঘুরি করলাম। কিছু টার্কিশ ডেলাইট কিনলাম, তারপর ক্লান্ত শরীরে ফিরে চললাম হোটেলের দিকে।


ছবিঃ তিনটা নেট থেকে, বাকিসব আমার ক্যামেরা ও ফোন থেকে।
তথ্যঃ বিবিধ।

ইস্তান্বুলের অলি-গলিতে কয়েকটা দিন - পন্চম পর্ব

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: অনেক কিছু জানা ও দেখা হলো।
সব মিলিয়ে চমৎকার।

আমার নতুন গল্প।
"""ট্রিপল ফিল্টার টেস্ট""""
লিংক
http://www.somewhereinblog.net/mobile/blog/rkrokon143/30243044
এক বার ঘুরে আসার বিনীত অনুরোধ রইল।
আপনাদের অনুপ্রেরনাই আমাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে ।

০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অবশ্যই দেখবো। ইন ফ্যাক্ট, এখনই যাচ্ছি। :)

২| ০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১

নাজিম সৌরভ বলেছেন: ছবিগুলো স্পষ্ট ও চিত্তাকর্ষক । আরো পোস্টের আশায় রইলাম ।

০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৩| ০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬

জুন বলেছেন: ভুয়া মফিজ বেশ প্রানবন্ত ভাষায় লিখেছেন একটি নতুন জায়গা নিয়ে । ব্যাসিলিকা সিস্টার্ন সম্পর্কে জানলাম । প্রাচীন কালে পানি সরবরাহের জন্য কি সুন্দর ব্যবস্থা ছিল তা আমি দেখেছি রোমে , থাইল্যান্ডের লপবুরিতে আরো অনেক অনেক জায়গায়। হায়রে ইস্তাম্বুল আমার কি যাওয়া হবে :(
মেডুসাকে দেখলে মানুষ পাথর হয়ে যেত তাই তো ঢালের রিফ্লেকশনে তার মাথা কেটেছিল পার্সিউস। আপনি যে তাকে দেখে পাথর হয়ে যাননি তার জন্য ধন্যবাদ নাহলে এই পানির আধার সম্পর্কে কি করে জানতাম :-*
অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো ইতিহাস আশ্রিত পোস্টটিতে ।
+

০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হায়রে ইস্তাম্বুল আমার কি যাওয়া হবে এতো আফসোস করবেন না আপা। এমন কোন জায়গা না। তবে আমি বিশ্বাস করি, কেউ যদি আন্তরিকভাবে কিছু চায়, তাহলে কোন না কোন ভাবে তা পায়। :)
কাজেই আপনি খুব বেশী চাইলে অবশ্যই যাবেন।

মেডুসার এই ক্ষমতা ছিল মরার আগে, এখন আর নাই। এখন তো ও নিজেই পাথর! কাজেই ভয়ের কিছুই নাই। ;)

৪| ০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:১৩

মিথী_মারজান বলেছেন: সিস্টার্নের পুনরুদ্ধারের গল্প, কয়েকটা মিথ,ওসমান হামদী বে'র বিখ্যাত চিত্রকলাসহ সুন্দর কিছু ছবি- সবই ভালো লাগলো।

০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:১৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ, কষ্ট করে পড়া এবং দেখার জন্যে!

অনেক অনেক ভালো থাকুন।

৫| ০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বরাবরের মতই এবারের পর্বেও অনেক ভাল লাগা রইল ভাইয়া।+++

০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সবগুলো পর্বই পড়ছেন, মতামত দিয়ে উৎসাহ দিচ্ছেন। তাই লিখতেও উৎসাহ পাই।
আপনাদের ভালোলাগাই আমার অনুপ্রেরণা।

৬| ০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহা! ! সুন্দর বর্ননা । মনে হল যেন নিজেই ঘুরে বেড়াচ্ছি ইস্তাম্বুলে। সঙ্গে অনেক কিছু জানা হল। ++++

অনেক অনেক শুভেচ্ছা প্রিয় মফিজ ভাইকে।

০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি আমার সাথে ঘুরেন, আমিও কিন্তু আপনার সাথে ঘুরছি।
আপনার পোষ্ট দেখলাম। ভালো লাগা জানালাম, আবারও!!

৭| ০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪৬

আবু তালেব শেখ বলেছেন: মাঝের দুই পর্ব মিস করেছি অনুপস্থিতি র কারনে। এখন পড়বো।
ধন্যবাদ

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:১২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আশাকরি পড়েছেন সবগুলো পর্ব?
কেমন লাগলো জানাবেন। ধন্যবাদ।

৮| ০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: চমৎকার ভ্রমণ কাহিনী।
ছবি ও ধারা বর্ণনা দারুণ।
খুব ভাল লাগল ভাই, ধন্যবাদ।।

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:২৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। অনেক অনেক ভালো থাকুন।

৯| ০৬ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০

নিয়াজ সুমন বলেছেন: অনেক অনেক ভলোলাগ আর ভালোবাসা , পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় … শুভ কামনা।

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:২৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। বাকী পর্বগুলোতেও সাথে থাকবেন, আশাকরি।

১০| ০৬ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: ধন্যবাদ ।
সব দেখে আর পড়ে খারাপ লাগলো ।
:(
নিজের চোখে এসব কবে দেখতে পাবো ?

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:৫৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: খারাপ লাগার কিছু নাই, আস্তে আস্তে দেখবেন।
ইচ্ছা থাকলেই উপায় হবে। হতাশ হবেন না।
ওকে? ভালো থাকবেন। :)

১১| ০৬ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: বাহ, চমৎকার পোষ্ট।
সুন্দর ছবি।

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পোষ্ট ভালো লেগেছে? আমি আনন্দিত।

১২| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:৫৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এ পর্ব অনেক বেশি তথ্যবহুল !!!
চমৎকার ভাবে লিখেছেন!!! ছবি গুলো ও সুন্দর!!

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ২:০২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: চেষ্টা করি, যেন সবার ভালো লাগে। :)
আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৩| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১২

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: মফি ভাই!
উম্মমমমমমমমমাহ্..:P

দারুন পোস্ট!
লাইক দিলাম।;)

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মন্তব্য এবং লাইকানো দু'টার জন্যই অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২১

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ব্যাসিলিকা সিস্টার্নের কাহিনী পড়ে তো পুরাই থ বনে গেলিম!!!B:-)

আচ্ছা?
টাঙ্কিগুলো কি এখন খালি পড়ে থাকে??:(

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: টাঙ্কিগুলো না, পুরাটাই একটা টাঙ্কি।
এখন তো আর পানি রাখে না, বেশীরভাগ সময় মানুষেই ভর্তি থাকে! ;)

১৫| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২৮

জুন বলেছেন: ওসমান হামদী বে র টার্টল ট্রেনার ছবিটি দেখে যে বিস্মিত হয়েছিলাম তা প্রথম মন্তব্যে লিখতে ভুলেই গিয়েছিলাম । ভুয়া সাহেব আবার মেডুসা দেখে পাথর না বনে যায় সেই চিন্তায় :(
তাই আবার আসলাম সেই চিত্রকর ও আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে :)

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এখনও যেহেতু পাথর হই নাই, আর হওয়ার চান্সও নাই।
চিত্রকরকে আপনার ধন্যবাদ পৌছে দিলাম। :)
আবার আসলেন, তাই আবারও ধন্যবাদ।

১৬| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬

শামচুল হক বলেছেন: ছবি বর্ননা ভালো লাগল। ধন্যবাদ

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

১৭| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯

যাযাবর চখা বলেছেন: অর্ধেক পড়লাম, জরুরী কাজ পড়ে পইরা গেল।
পুরাটা পইরা পরে মন্তব্য করমু নে।

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওকে, অপেক্ষায় থাকলাম।

১৮| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এবরেরটাও ভাল লাগলো মফিজ ভাই।

+++

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৪৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ :)

১৯| ০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০১

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: বরাবরের নমত দারুণ লাগল

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

২০| ০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬

তারেক ফাহিম বলেছেন: অনেক পরিস্কার ছবি।

সুন্দর ভ্রমন ব্লগ।

০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:২২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

২১| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পরিষ্কার ছবি, ইতিহাস বর্ণনা, অভিজ্ঞতার বয়ান সবকিছুই পারফেক্টলি করেছেন বিধায় এটাকে উন্নতমানের ভ্রমণ পোষ্ট বলতে দ্বিধা নেই। মনে হচ্ছে নিজেই যেন ঘুরে এলাম! আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ট্রিপটির জন্যে। :)

০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৩৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকু :), ভালো থাকবেন।

২২| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:২৭

আখেনাটেন বলেছেন: এই সিস্টার্নটি কাদায় প্রায় ভরে ছিল। ১৯৮৫ সালের দিকে মনে হয় হাজার হাজার টন কাদা সরিয়ে এটিকে আজকের রূপে অানা হয়।

চমৎকার ভ্রমণ পোস্ট। ভালো লাগল এই ঐতিহাসিক শহরের রত্নগুলো আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। গ্রান্ড বাজারে যান নি।

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই সিস্টার্নটি কাদায় প্রায় ভরে ছিল। ১৯৮৫ সালের দিকে মনে হয় হাজার হাজার টন কাদা সরিয়ে এটিকে আজকের রূপে অানা হয়। সঠিক বলেছেন, তবে এতো ডিটেইলসে তো লেখা যায় না।
গ্রান্ড বাজারে গিয়েছি। আসলে পোষ্টগুলো দিচ্ছি বেড়ানোর সিক্যুয়েন্সের উপর ভিত্তি করে, তাই গ্রান্ড বাজার এখনো আসে নাই। :)

আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে আপনি ইস্তান্বুল অলরেডী ঘুরে এসেছেন! সত্যি নাকি?

২৩| ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:৪৩

যাযাবর চখা বলেছেন: খুবই ভালো লাগলো। ছবি বর্ননা সবই দারুন। প্রিয়তে নিলাম।

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: উৎসাহ দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২৪| ১০ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০০

টারজান০০০০৭ বলেছেন: "The world is not enough" মুভিতে বোধহয় এই স্থাপনা আছে ! এখন মনে পড়িতেছে ! বানাইছে কি রোমানরা নাকি মুসলমানরা ?

১০ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: "The world is not enough" এর কথা বলিতে পারি না। তবে কারা বানাইছে কি রোমানরা নাকি মুসলমানরা, এর উত্তর পোষ্টেই আছে, ঠিকমাতো পড়িয়া দেখেন নাই!! :)

বানাইছে রোমানরা।

২৫| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:০৬

শামচুল হক বলেছেন: কানাডার জঙ্গলে এক রাত দ্বিতীয় পর্ব দেয়া আছে সময় পেলে পড়ার জন্য অনুরোধ রইল।

১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৮:০২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: জানানোর জন্য ধন্যবাদ, অপেক্ষায় ছিলাম। :)

২৬| ২০ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

করুণাধারা বলেছেন: ব‍্যাসিলিকা সিস্টার্ণ মাথার মধ্যে এমনভাবে চেপে বসেছে যে, এই পর্বে কোনও মন্তব্য করা হয়নি দেড় হাজার বছর আগে এরা কিভাবে এতদূর কারিগরি জ্ঞান অর্জন, খুবই অবাক হলাম। আপনি ছবিসহ বিস্তারিত লিখেছেন অনেক ধন্যবাদ, পার্কের ছবিগুলোও খুবই চমৎকার। আপনি বেশ ভালো ছবি তোলেন!!!

২০ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ব‍্যাসিলিকা সিস্টার্ণ আসলেই একটা চমকপ্রদ স্থাপনা। এর বিশালত্ব, নির্মানশৈলী, প্রযুক্তির ব্যবহার সবই অসাধারন।
আমি খুবই সাধারন ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলি। আর বেশীরভাগ তুলি আমার মোবাইল দিয়ে। সাদামাটা ছবি, আমার ধারনায়। তবুও আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত। :)

২৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৩

চাঙ্কু বলেছেন: সরি, আগের মন্তব্যটা ভুল পোষ্টে মন্তব্য করে ফেলছি।

তবে আপনার ইস্তাম্বুল সিরিজটা পড়ে অনেক কিছু জানতে পারছি ।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অসুবিধা নাই, রাজীব নূরকে বলেছেন বুঝতে পারছি। ওটা মুছে দিলাম।
আর ইস্তাম্বুল সিরিজটা পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

২৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আতার্তুকের ভাস্কর্যটা ভালো লাগলো।

কলাম বা থাম এর ব্যাপারটা উলটা কেন মানে মুখের অংশটা মেঝের দিকে, এজন্য বললাম। নাকি এটাই স্বাভাবিক আমার উলটা লাগতেছে?

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটা উল্টা করেই বানানো। কেন? সেটা একটা রহস্য। প্রচলিত ধারনা হচ্ছে, মেডুসাকে উল্টা অবস্থায় দেখলে যে দেখবে, তার পাথরে রুপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা নাই। :)
অনেকদিন পর আপনাকে দেখলাম, কেমন আছেন?

২৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:০০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো আছি। আজকে আপনার কিছু পোস্ট পড়বো। সময় নিয়ে বসলাম। কয়টা বাজে সময় এখন আপনার এখানে ?

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:০৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আজকে আপনার কিছু পোস্ট পড়বো আমার বড়ই সৌভাগ্য। বাকী দিনটা মনে হচ্ছে ভালোই যাবে! :)

আমার এখানে এখন দুপুর ১২ টা বাজে।

৩০| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পড়ছি কিছু কিছু। অন্যদের পোস্টেও চোখ বুলাইলাম। অফিস থেকে বের হবার সময় হলো। আবার কথা হবে ।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওকে। মনে কইরা বাকীগুলাও পইড়েন, পিলিস!!

৩১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:২১

কালীদাস বলেছেন: এরকম ইন্টারেস্টিং একটা জায়গা আলাদা টিকেট ডিজার্ভ করতেই পারে ;)
মেডুসার কলামটা চিন্তা উদ্রেককারী। টার্কিশ ইতিহাস খুব ভাল জানিনা, মেডুসা এখানে এই ইস্তানবুলের সিস্টার্ণে কি করে সেটা জানতে হবে।
পার্কের ছবিগুলো সুন্দর। ট্রাম লাইনের ছবি তুললে একটা শেয়ার করবেন প্লিজ, ইস্তানবুলের ট্রাম দেখতে মুঞ্চায় B-)
টার্কিশ এয়ারলাইনের একটা জিনিষ প্রশংসনীয়। প্লেন ছাড়ার আগে সাধারণত টার্কিশ ডিলাইট দেয় প্যাসেন্জারদের। আপনি বিএ ইউজ করায় মিস করেছেন B-))

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এরকম ইন্টারেস্টিং একটা জায়গা আলাদা টিকেট ডিজার্ভ করতেই পারে তা পারে, তবে পকেট থেকে টাকা বের করতে কার ভালো লাগে!! :((

মেডুসার কলামের উপস্থিতির দু'টা সম্ভাব্য কারন। একটা পোস্টের শুরুতেই বলেছি যে, নতুন করে কলাম না বানিয়ে পুরানো, প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত বিভিন্ন ব্যাসিলিকা থেকে প্রচুর কলাম নিয়ে আসা হয়। তার সাথে রেন্ডমলী ওটাও চলে এসেছিল। আরেকটা হতে পারে, ব্যাসিলিকার নিরাপত্তার জন্য ওটা বিশেষভাবেই আনানো হয়েছিল।

টার্কিশ এয়ারলাইনে লাগেজ সংক্রান্ত কিছু সমস্যার কথা শোনার পর ওটা এভয়েড করি। তাই চড়া হয়নি।

ইস্তান্বুলের ট্রামের একটা ছবি দিলাম,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.