নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুয়া মফিজ

ভুয়া মফিজের সাথে ভুয়ামি না করাই ভালো...

ভুয়া মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইর্ষার বিচিত্র রুপ

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭



ইর্ষা, মানুষের একটা সহজাত প্রবৃত্তি। বিজ্ঞজনেরা বলেন, সহনশীল মাত্রায় ইর্ষা থাকা নাকি ভালো। তাতে নাকি আত্মউন্নয়নের রাস্তা খুজে পাওয়া সহজতর হয়। তবে 'সহনশীল' শব্দটা এখন বাস্তবে পাওয়া অত্যন্ত দুস্কর, এটা বই-পুস্তকেই পাওয়া যায়। শুনেছি মহামানবগন নাকি ইর্ষামুক্ত ছিলেন তবে আমাদের মতো আম-আদমীদের মাঝে ইর্ষাহীন মানুষ খুজে পাওয়া বোধকরি সম্ভব না। এই ইর্ষাও আবার স্থান-কাল-পাত্রভেদে বিচিত্র রুপ ধারন করতে পারে। মানুষ সাধারনতঃ ইর্ষান্বিত হয় অন্য আরেকটি মানুষের প্রতি। কিন্ত ঐযে বললাম না, স্থান-কাল-পাত্র! মাঝে মধ্যে এর ব্যত্যয়ও ঘটে। আমার জীবনের এই রকমেরই তিনটা ব্যত্যয় আজ আপনাদের বলবো।


ঘটনা এক (দেশে):

ঢাকায় আমাদের বাসার সামনে একটা বেশ বড় খালি জায়গা ছিল। মালিক বিদেশে থাকতো, তাই জায়গাটা দখলে রাখা বা দেখাশুনা করার জন্য একটা পরিবারকে টিনশেড বাসা করে দিয়ে সেখানে থাকতে দিয়েছিল।

তখন আমি মাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি। বাসা থেকে বের হলেই দেখতাম, একটা বেশ বড়সড় বাহারী রংওয়ালা মোরগ, আর চারটা নাদুস-নুদুস মুরগী চরে বেড়াচ্ছে। কেন জানি, মোরগটার অহংকারী চলাফেরা, মুরগীদের উপর খবরদারী আর ভাবসাব আমার মোটেও ভালো লাগতো না। তা, মোরগ তার মুরগীদের নিয়ে থাকতো, আমি আমার কাজ-কামে ব্যস্ত থাকতাম; কোনদিন আমাদের মধ্যে কোন কনফ্লিক্ট হয়নি।

একদিন সকালে কোন একটা ব্যাপারে আমার প্রেমিকার সাথে তুমুল ঝগড়া হলো। সে আমাকে তার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল, আজ থেকে তোমার সাথে সবরকমের মুখ দেখাদেখি, যোগাযোগ বন্ধ। টোটাল ব্রেক আপ। আর কোনদিন আমাকে ফোন করবা না। বলে কট করে আমার মুখের উপর ফোন কেটে দিল! কথা বলার সুযোগ না দিয়ে হঠাৎ লাইন কেটে দেয়া একটা চরম অপমানজনক ব্যাপার। কাজেই রাগে-দুঃখে-অপমানে আমার তখন দিশেহারা অবস্থা। কঠিন সিদ্ধান্ত নিলাম, আজ থেকে পড়ালেখা সব বন্ধ। নেশাই হবে আমার জীবনের একমাত্র প্রেম! আয়নায় নিজেকে দেখলাম। একজন ব্যর্থ প্রেমিক এবং ভবিষ্যত নেশাখোরের সবরকমের বৈশিষ্ট্যই দেখি আমার মধ্যে বিদ্যমান! কঠিন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য বাসা থেকে বের হয়ে এলাম। বের হয়েই মোরগটার সাথে দেখা। রাগে আমার পিত্তিসুদ্ধো জ্বলে গেল! আমি একজন সামলাতে পারি না, আর এই হারামজাদা চার চারটাকে নিয়ে ঘুরছে!!

পড়ে থাকা একটা ছোট গাছের ডাল তুলে নিয়ে কড়া দাবড়ানি দিলাম। বিকট স্বরে কক কক করতে করতে বীরপুঙ্গব তার প্রেমিকাদের নিয়ে হাওয়া।

এরপর থেকে ওটাকে দাবড়ানি দেয়া আমার মোটামুটি কর্তব্য হয়ে দাড়ালো। ইর্ষা ছাড়াও আরেকটা ব্যাপার আমার মধ্যে কাজ করতো। মুরগীগুলোর সামনে ওর ইজ্জতের ফালুদা বানানো। অর্থাৎ মুরগীগুলো দেখতো, ওদেরকে ফেলে রেখেই ওদের দেখাশুনা করনেওয়ালা কিভাবে ঝেড়ে দৌড় দিচ্ছে। ওটার দৌড় দেখে একটা অনাবিল আনন্দ উপভোগ করতাম। পরবর্তীতে ব্যাপারটা এমন হয়ে গেল যে, আমাকে বাসা থেকে বের হতে দেখলেই মোরগটা ঘাড় উচু করে কক...ককক করতো অর্থাৎ মুরগীদেরকে বলতো, ওই তোরা দৌড়ের জন্য তৈরী হ, বদমাইশ লোকটা বাইর হইছে!!!

ঘটনা দুই (দেশে):

ঢাকায় আমাদের বাসার পাশে একটা দোতলা বাড়ী ছিল একসময়। সেই বাড়ীর বারান্দায় প্রায়ই বিকালে এক সুন্দরীকে দাড়িয়ে থাকতে দেখতাম। তার চেহারা-ছবি ছিল অনেকটা বলিউডের নায়িকা কাজলের মতো। সুন্দরীর কোলে সবসময় একটা কুত্তা থাকতো। লম্বা লম্বা পশমে নাক-মুখ-চোখ সব ঢাকা। ইয়র্কশায়ার টেরিয়ার জাতের সম্ভবতঃ। ওদের ওই জুটিকে দেখলেই দীর্ঘশ্বাস ফেলতাম, ইচ্ছা করতো... ... থাক, ইচ্ছা বলে আর পেরেশানী বাড়াতে চাই না। মিথ্যা বলবো না, কুকুরটার সৌভাগ্যে খুবই ইর্ষা বোধ করতাম সে সময়।

তবে শোনা কথা, পশু-পাখীর ইন্দ্রিয় নাকি খুবই তীক্ষ হয়। পশমে ঢাকা চোখ দিয়ে কিভাবে আমাকে দেখতো, আল্লাহ জানে। কিন্তু সেই ছোট্টখাট্টো সারমেয়টা আমাকে দেখলেই খেউ খেউ করে খেকিয়ে উঠতো। সম্ভবতঃ বদ কুকুরটা ওর তীক্ষ ইন্দ্রিয়শক্তি দিয়ে বুঝতে পারতো এই দু’পেয়ে জীবটা তার সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্ধী হতে আগ্রহী!!

ঘটনা তিন (ইংল্যান্ডে):

বছর তিনেক আগে আমি অন্য একটা বাসায় ছিলাম। সেখানে আমার মূল দরজার পাশে একটা কোনা মতোন ছিল যেখানে সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত রোদ থাকতো। এই জায়গাতে রোদের সময়টাতে আমার প্রতিবেশীর একটা বেড়াল শুয়ে থাকতো। সাদা রংএর নাদুস নুদুস একটা পশমী বেড়াল। এ দেশের বেড়ালগুলো মোটামুটি একেকটা নবাব বা তাদেরই বংশধর! খায়, দায় আর শুয়ে থাকে। মানুষজনকে এরা খুব একটা পাত্তা দেয় না। মাঝে মধ্যে হাটলেও এমনভাবে হাটে যে ইচ্ছা করে লাঠি দিয়ে পাছায় একটা বাড়ি দেই! তবে মনের সুপ্ত বাসনা মনেই থাকে। কারন, সম্ভবতঃ এদের কাছে জরুরী সেবার ৯৯৯ নাম্বারটা থাকে যাতে করে যে কোনও ফিজিক্যাল এবিউজের ঘটনা ঘটলে দ্রুত পুলিশকে জানাতে পারে!!

সাপ্তাহিক বা অন্যান্য ছুটির দিনগুলোতে আমি সকালে চায়ের কাপ নিয়ে বের হতাম, একটু আয়েশ করে চা-সিগারেট একসঙ্গে খাওয়ার জন্য। সে অনেক কষ্ট করে একচোখ খুলে আমাকে দেখে আবার চোখ বুজে ফেলতো। মাঝে মাঝে ফোস করে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলতো, সম্ভবতঃ চিন্তা করতো; এই মানুষগুলো কত্তো দুঃখী, সবসময় কেমন দৌড়ের উপর থাকে।

যাইহোক, এক শনিবারের সকালে আরামের ঘুম দিচ্ছি, আমার বস ফোন দিল। দু’দিন পর একটা জরুরী প্রেজেন্টেশান আছে, তাই পুরো টিম নিয়ে সে আজই দু’ঘন্টার জন্য বসতে চায়। আমার খুব অসুবিধা না হলে যেন চলে আসি। অনুরোধের মতো শোনালেও যারা চাকুরী করেন, তারা জানেন, এটা আসলে আদেশ আর হুমকির একটা সংমিশ্রণ! মেজাজ চুড়ান্ত খারাপ করেই উঠলাম বিছানা থেকে। চায়ের কাপ হাতে বাইরে এসে বেড়ালটাকে দেখে মেজাজটা আমার সপ্তমে উঠলো। আমার শনিবারেও শান্তি নাই, আর এই ব্যাটা সারা বছরই এভাবে শুয়ে থাকে! আস্তে আস্তে কাছে গিয়ে এদিক ওদিক দেখে নিলাম। তারপর একটু ঝুকি নিয়েই একটা মাঝারী আকৃতির লাথি ঝেড়ে দিলাম ওটার উপর। ব্যাটা তড়াক করে লাফিয়ে উঠে ডানে-বায়ে না দেখেই একটা দৌড় দিল। কিছুদুর গিয়ে ঘুরে দেখলো, কে এই অপকর্মকারী। আমি দাত বের করা একটা হাসি উপহার দিলাম ওকে।

এরপর থেকেই আমরা অলিখিত শত্রু হয়ে গেলাম। আমার দরজা খোলার শব্দ পেলেই সে ঘাড় কাৎ করে দেখতো, কে বের হচ্ছে। আমাকে দেখলেই তৎক্ষনাৎ উঠে চলে যেতো।


আমার ঘটনা তো বললাম, আপনাদের কারো এমন ধরনের কিংবা আরও বিচিত্রতর ঘটনা নাই? থাকলে শেয়ার করেন। জাতি জানুক, ইর্ষা কতো প্রকারের ও কি কি! ইর্ষার বিচিত্রতা সম্পর্কে আমরা অধিকতর অবগত হই!

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: হু ইর্ষা তো আছেই মনে।ঘটনা বলতে গেলে একটু মনে করে বলতে হবে।
প্রথম আর শেষেরটা পড়ে বেশ মজা পেলাম।
প্রেমিকার সাথে রাগ করে মোরগের উপর ইর্ষা,এমন একটা শিরোনামে সংবাদ বের করলে দারুন ভিউ হবে ;)

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইর্ষা তো থাকবেই, আমরা কেউই তো মহামানব না।
ঘটনা মনে করেন, আমরা শুনি!! :)
ভালো থাকুন, ইর্ষামুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।

২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ছোটবেলায় পাখিদের উপর খুব ইর্ষা হত।মনে হত পাখিরা কত সুখী।সারাদিন মনের সুখে কত জায়গাতে ঘুরে বেড়াই।সব চেয়ে বড় কথা তারা আকাশে উড়তে পারে।তাদের স্কুলে যাওয়া লাগে না আর সন্ধ্যার পরে বই নিয়ে বসতে হয়না।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:০২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এইটা ভালো বলেছেন। পাখিদের উপর অামারও খুব রাগ হতো। কতোবার স্বপ্নে দেখেছি, আমার দুইটা ডানা আছে, পাখিদের মতো উড়ে বেড়াচ্ছি। ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮

বাকপ্রবাস বলেছেন: খুব ভাল লাগল লেখাটা। ইর্ষাটা জীবের উপর প্রকাশ। দারুণ সাহিত্য হতে পারে এসব ঘটনা নিয়ে। অণগল্প এর জন্য দারুণ প্লট।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সবসময় ইর্ষার টার্গেট তো মানুষ থাকে না, মাঝে মধ্যে অন্যান্য সৃস্টির দিকেও ধাবিত হয়।
অণুগল্প এর জন্য দারুণ প্লট লিখে ফেলুন না! অপেক্ষায় থাকলাম। :)

৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২

নীলপরি বলেছেন: দারুণ লিখেছেন । খুব দারুণ বিশ্লেষণ । নিজেরা ফ্রাস্ট্রেশন থেকে রিলিফ পাওয়ার জন্য আমরা এমন কারোকে টার্গেট করি যাদেরকে নিজেদের থেকে দুর্বল ভাবি , বা যারা আমাদের উপর দুর্বল ।

শুভকামনা

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: নিজেরা ফ্রাস্ট্রেশন থেকে রিলিফ পাওয়ার জন্য আমরা এমন কারোকে টার্গেট করি যাদেরকে নিজেদের থেকে দুর্বল ভাবি অত্যন্ত খাটি কথা বলেছেন। আসলে রাগ, দুঃখ ঝাড়ার জন্য কিছু একটা উপায় তো দরকার। সবসময় মানুষের উপর ঝাড়া যায় না, বাউন্স ব্যাক করার চান্স থাকে........কাজেই সেফ হচ্ছে মানুষ বাদে অন্য কিছু টার্গেট করা।
চমৎকার মন্তব্যে ধন্যবাদ।

৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৮

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: হাহাহা ! খুবই মজা পেলাম ভুয়া ভাইয়া । মোরগেরটা বেশী মজার =p~

আমার বিশেষ কবির মোবাইলটা কে আমার খুব ঈর্ষা হয় :P কারন তার মোবাইলটা সারাক্ষণ তার সাথে থাকে যেটা আমি পারিনা :(

আর

মাঝে মাঝে আমাকে শুক্রবারেও অফিস করতে হয় :( শুক্রবারের দিন আরামের ঘুম ভেঙ্গে সকাল সকাল যখন অফিস যাই তখন আমার বাবা কে খুব ঈর্ষা হয় :P কারন বাবা আরামে বাসায় থাকে আর আমাকে অফিসে যেতে হয় :((

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মোবাইলকে ইর্ষা করা......ভালো ভালো! ;)
বন্ধের দিনে অফিস করাটা আসলেই খুব যন্ত্রনার ব্যাপার। তখন মনে হয়, এই দুনিয়াতে কেন আইলাম...কেউ আমারে মাইরালা! :(

৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০৮

লাবণ্য ২ বলেছেন: দারুন উপভোগ্য লেখা।মজা পেলাম।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:০৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঘটনাগুলো মনে পড়লে এখন হাসি পায়, তাই ভাবলাম অাপনাদের সাথেও শেয়ার করি। মজা ভাগাভাগিতেও তো আনন্দ আছে, কি বলেন!
ভালো থাকুন।

৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:১৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



তিনটি ঘটনাই ঈর্ষা করার মতো B-)!! আসলে জেলাসি কিংবা ঈর্ষা যাই বলুন না কেন এটা প্রাণী জগতে বিদ্যমান। তবে মানুষের মধ্যে এ প্রবণতা অনেক বেশি।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৩১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: তিনটি ঘটনাই ঈর্ষা করার মতো সেজন্যেই তো আমার ইর্ষা জাগ্রত হয়েছিল। ;)
আমরা, মানুষেরাই বেশী বেশী করি, অন্যান্যদেরটা সম্ভবতঃ আমাদের মতো ডেস্ট্রাকটিভ না। অন্ততঃ আমার তাই ধারনা। আপনার কি মনে হয়??

যাই হোক, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:১৩

রাকু হাসান বলেছেন:

:) হাহাহহা,আপনি বসের জন্য রাগলেন । তারপর বিড়ালের উপর ঝাড়লেন ;) =p~
মজার পোস্ট খুব :)

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: একেই বলে উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে!!
আমাদের জীবনটা তো এমনিতেই তেজপাতা হয়ে থাকে, তাই একটু মজা দেয়ার চেষ্টা করলাম আরকি!
ধন্যবাদ আর ভালো থাকবেন।

৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৬

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: খুব ঈর্ষা হয় তখন যখন আমার কোনো বান্ধবীকে দেখি তার বিএফের সাথে ঘুরতে, যখন বান্ধবীরা তাদের রিলেশনের গল্প করে তখন এবং যখন দেখি কোনো অল্প বয়সী মেয়ের বিবাহ হচ্ছে। :((

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:০২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাকীগুলো না হয় বুঝলাম কিন্তু কোনো অল্প বয়সী মেয়ের বিবাহ হচ্ছে দেখে আপনার ইর্ষা কেন হবে তাতো বুঝলাম না। :(
আপনারও কি অল্প বয়সে বিবাহ করার ইচ্ছা! লক্ষন তো দেখি সুবিধার না!!!

১০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: ঘটনা গুলো আমাকে ভাবাচ্ছে।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভাবার সময় গালে হাত দিতে ভুলেন নাই তো!!! ;)

১১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৪১

আরোগ্য বলেছেন: ১. এই ঈর্ষা তো আমারও আছে। মানুষ ডজন ডজন প্রেম করে আমি একটাও করলাম না।
২. এই ঈর্ষাটা তো স্বাভাবিক।
৩, এই ঘটনায় আমার আপত্তি আছে ভাই। আমার একটা কাজিনও আমাদের বিড়ালটার সাথে ঈর্ষা করে, বলে নবাবী বিলাই।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:১১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনারগুলো জানলাম।
তবে ইর্ষা টির্ষা বাদ দিয়ে এবার একটা প্রেম করেই ফেলুন।

আপনার ভবিষ্যত প্রেমের সাফল্য কামনা করছি। :)

১২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৫৪

করুণাধারা বলেছেন: এটা আপনার অন্য রকম লেখা, ভালো লাগলো।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিভিন্ন রকমের স্বাদ দেয়ার চেষ্টা করছি। টক-মিষ্টি-ঝাল!
আপনার ভালো লাগাতে আমি আনন্দিত।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আপনার নতুন লেখা কবে পাচ্ছি?

১৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৫৪

আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা হা হাহ হা হা হা হা হা। =p~ সেই পড়া শুরু করে এখন পর্যন্ত হেসেই যাচ্ছি। =p~


দুর্দান্ত। দুর্দান্ত। দুর্দান্ত।


করুণাধারপা'র মতোই বলতে হয় এটা আপনার সব লেখার চাইতে ভিন্নতর ও অবশ্যই ক্লাসিক। টুপি খোলা অভিবাদন রইল এত চমৎকার একটি বাস্তব অভিজ্ঞতার লেখাতে।

আর ঈর্ষার কথা বলছেন, এখন আমার ঈর্ষা করছে আপনার এই লেখাকে। এত ভালো ল্যাখেন ক্যামনে, সামনে পাইলে মোরগ দৌড় আপনাকে দিয়েই শুরু করতাম। X((

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ পাম তেলের জন্য। যদিও এ তেল শরীরের জন্য নাকি খুব একটা স্বাস্থ্যকর নয়। :P আপনার কথা আপনাকে ফিরিয়ে দিলাম। =p~

তবে, একটু লজ্জা লাগলেও প্রশংসা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ;)
চমৎকার মন্তব্যের জন্য বেশী ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাই না।
ভালো থাকেন আর আমাদেরকে নতুন নতুন গল্প উপহার দেন।

১৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:৪৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহাহাহা ভুয়া ভাই !!!
কি সব যে ভাবেন আর এত সুন্দর করে লিখেন !! দারুণ দারুণ ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কিভাবে কিভাবে যেন লিখি, নিজেও বুঝতে পারি না। =p~
চমৎকার মন্তব্যে দারুনভাবে অনুপ্রাণীত।
অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৯

জুন বলেছেন: ভুয়া মফিজ, আপনার এমন মজার লেখাটি আমার চোখ এড়ালো কেমন করে ভেবেই পাচ্ছিনা ।
এই লেখাটির জন্যই এই মুহুর্তে আপনাকে তীব্র ঈর্ষা করছি :||
আমি এমন করে লিখতে পারি না ক্যান :((

শেষে একটা কথা না বলে পারলাম না ভুয়া, সেটা হলো তিনটি ঘটনাতেই আপনার ঈর্ষার পাত্র হলো কিনা নিরীহ মোরগ, কুকুর আর বিড়াল :(

+

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অনেক দেরীতে উত্তর দেয়ার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত আপা।
অনেকদিন অনুপস্থিত ছিলাম ব্লগে।

আপনে আমার লেখার ইর্ষা করেন, আমিও আপনার লেখার ইর্ষা করি। কাটাকাটি। :)

১৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৭

কালীদাস বলেছেন: ঈর্ষা নিয়ে জীবনে অনেক ঘটনা আছে, গণমজলিসে শেয়ার করলাম না ;) তয় পয়লা ঘটনাটা পৈড়া টাসকি খাইলাম। এত কিছু থাকতে নিরীহ মোরগার উপ্রে ঝাল!! কি বিচার :-&

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সেই সময় অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ওই মোরগাকে নিরীহ মনে হয় নাই। ব্যাটাকে ভিলেন মনে হতো। =p~

ঈর্ষা নিয়ে জীবনে অনেক ঘটনা আছে, গণমজলিসে শেয়ার করলাম না কিছু করেন! জাতীর জানার অধিকার আছে, বন্চিত করা ঠিক না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.