নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ- ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ; কবি, লেখক, কলামিস্ট আর ব্লগিং তো করিই সব সময়।

বিদ্যুৎ

আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজয়ের মাসেও পরগাছার আস্পর্ধা কত......

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৩৫



মহান মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালের অনেক বছর পরে আমার জন্ম।তাই বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্বন্ধে কোন কিছু বলা বা লিখার নেই। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মৌলিক লেখা, চলচিচত্র, ডকুমেন্টারি যথেষ্ট পরিমাণে না থাকলেও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিকৃত লেখালেখি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এখন মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে যে পরের প্রজন্ম হয়ত উপলব্ধিই করতে পারবে না যে আসলে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল কিনা! অনেকে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বেশ কিছু লেখা লিখেছেন কিন্তু মুক্তিযুদ্ধকালীন তাদের ভূমিকা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তাই তাদের লেখা যে সঠিক ইতিহাস তুলে আনবে তা অনেকের মনে সন্দিহান। যাই হোক মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমার জানার অদম্য ইচ্ছা ছিল এবং আছে। কিন্তু বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলে যারা দাবি করে আসছে তাদের ভূমিকা আমাকে ভীষণ আশাহত করে। তারা মুখে যাই বলুক কাজে কর্মে রীতিমত ভয়ঙ্কর চিত্র প্রকাশ পায়, মনে হয় যেন মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবজ্জল ইতিহাস তাদের হাতেই ধ্বংস হতে যাচ্ছে। আর যাদের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি বলে বলা হচ্ছে আমরা তো কখনও তাদের কাছে ভাল কিছু আশাই করিনা। আমার মামা আমাদের এলাকায় পক্ষ বিপক্ষ শক্তি যাই বলি না কেন সবার কাছে এক মহান বীর মুক্তিযোদ্ধা বলে পরিচিত আমার বড় ফুফাত ভাই তাঁর সাথেই যুদ্ধ করে ছিলেন। এমন কোন লোক নেই যে তাঁদের বীর মুক্তিযোদ্ধা বলে চেনে না। স্কুলে পড়ার সময় দেখেছি বিশেষ বিশেষ দিনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁদের মধ্যমণি করে স্কুলের বিশেষ অনুষ্ঠান হত। তাঁরা তাঁদের বক্তব্যে সেই গৌরব গাঁথা দুঃসাহসিক ও অনেক করুণ ঘটনা বলতেন। তাঁদের জ্বালাময়ী বক্তব্য ও গৌরব গাঁথা দুঃসাহসিক ঘটনা আমাদেরকে উজ্জীবিত করত আবার করুণ ঘটনা গুলো আমাদেরকে কান্নায় জর্জরিত করত। এরকম আরও অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা আছেন দেশের আনাচে-কানাচে যাঁদের কথা আশেপাশে দলমত, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই জানে। তাঁদের জন্য কোন সার্টিফিকেট লাগে না। নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে পরিচিত ও তাঁর সুবিধা গ্রহণের জন্যে মুক্তিযুদ্ধের সনদ নেওয়ার জন্যে বহু মানুষ মরিয়া। একে তো সনদ প্রদান প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন আছে তাঁর পর ভুয়া সনদ প্রদান করে নিজের দল ভারী করার পাঁয়তারা চলছে। কি এত দরকার ভুয়া সনদ দিয়ে দলে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বাড়ান, দেশের মানুষ কি জানে না যে কোন দল নেতৃত্ব দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। আমার মনে হয় দেশের মানুষ বিষয়টি ভাল ভাবে গ্রহন করছে না। কোন বিচারেই প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর প্রদত্ত মুক্তিযুদ্ধ সনদ গ্রহন যোগ্য নয়। বাংলাদেশে অনেকই রাষ্ট্র প্রধান বা প্রধানমন্ত্রী হয়েছে যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের না বিপক্ষের তা প্রশ্নবিদ্ধ। তাই এই পদের সিল যুক্ত প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর করা মুক্তিযোদ্ধা সনদ গ্রহণযোগ্য হবে না। মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের পক্ষে গ্রহন যোগ্য ব্যাক্তি বা মুক্তিযুদ্ধের সেনা প্রধানের পক্ষে উপ-সেনা প্রধানের সিল স্বাক্ষর সর্ব সাধারণ গ্রহন যোগ্য হতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের মীমাংসিত ইস্যু নিয়ে যদি কেউ ঔদ্ধতপূর্ণ কথা ও আচরণ প্রকাশ করে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োগ করা হউক। দেশে কিছু আগাছার পাশাপাশি পরগাছাও জন্মেছে যারা অন্যের খেয়ে অন্যের ঘাড়ে বসে থেকে তারই ক্ষতি করতে চাই। কত বড় আস্পর্ধা হলে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদ এর সংখ্যা নিয়ে ধম্রজাল সৃষ্টি করার সাহস পায়। তিন মিলিয়ন না হলেও তিন লক্ষ এর অবশ্যই বেশি হবে। যারা এই প্রতিষ্ঠিত এবং সর্বজন স্বীকৃত মহান শহীদ এর সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং বঙ্গবন্ধুর বলা তথ্যটি মিথ্যা প্রমাণে ষড়যন্ত্র করে আর যাই হোক তার বা তাদের বাংলাদেশে থাকার কোন অধিকার নাই। অবশ্য ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকার এই সমস্ত পরগাছা বেড়ে ওঠা ও ওদের স্পর্ধা দেখানোর সুযোগ করে দিয়েছে। বেশ কিছু দিন হল অনেক সরকার দলীয় সংসদ ও কিছু নেতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি সাহেব কে রাজাকার বলে বকাবকি করছে। কিন্তু কে না জানে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকির বীরত্ব গাঁথা মুক্তিযুদ্ধের কথা। সে দলে নেই বলে যা ইচ্ছা তাই বলেই বকাবকি করতে হবে। যারা মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদান কে অস্বীকার করে তারা মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু কে অস্বীকার করে। আর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু কে অস্বীকার করা যুদ্ধাপরাধীর সামিল। নিঃসচয় জাতি এদেরকেউ একদিন বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করাবে। সরকার তথা আওয়ামীলীগ এর কোন বিচার করেনি বরঞ্চ এই সমস্ত কুলাঙ্গারদের উৎসাহ দিয়েছে। তাই আজ পরগাছা গুলো বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস কে কালিমা লিপ্ত করতে চাইছে।

তাই আসুন আমরা বিপ্লবী সচেতন জনগণ, কৃষক যেমন নিড়ানি দিয়ে জমির আগাছা উপড়ে ফেলে মাটিতে পুঁতে ফেলে ঠিক তেমনি করে সমাজে বা দেশে গজিয়ে ওঠা দেশি বিদেশী- আগাছা ও পরগাছা সমূলে উপড়ে ফেলি এবং চিরতরে ধ্বংস করে দিই।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪২

কাহাফ বলেছেন: সুন্দর যুক্তিময় লেখনীতে স হমত!
শহীদদের সঠিক তালিকা নামধাম সহ প্রকাশ করলেই তো ওদের মুখে চপেটাঘাত হয়ে যায়!!!

২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৫৩

কলাবাগান১ বলেছেন: "মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু কে অস্বীকার করা যুদ্ধাপরাধীর সামিল।"

৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২২

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: কলাবাগান১ বলেছেন: "মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু কে অস্বীকার করা যুদ্ধাপরাধীর সামিল।"

যুদ্ধাপরাধীর একটা যুতসই সংজ্ঞা নির্ধারণ করুন, যা উপরের উক্তিটি সমর্থন করে।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:২০

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
International Crimes (Tribunals) Act, 1973 (Act No. XIX of 1973). এই অ্যাক্ট এর অধীনেই বিচার হচ্ছে। এখানে হত্যা, সন্ত্রাস, লুট সহ আরও অনেক বিষয়ের সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত তথ্য সংস্কৃতি উদ্দেশ্যমূলক ভাবে বিকৃতি বা ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করে বা করার চেষ্টা করে তাহলে এই আইনের অধীনে বিচার করা যাবে।
যেমন ধরুন, কেহ মহান মুক্তিযুদ্ধ কে অস্বীকার করে এবং অপচেষ্টার মাধ্যমে প্রমাণ করতে চাই যে ভাই ভাইয়ে গণ্ডগোল হয়েছিল ১৯৭১। কোন মুক্তিযুদ্ধ হয়নি তবে তা উপরোক্ত অপরাধ হিসেবে গন্য করা যাবে।
ধন্যবাদ।

৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৮

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: আর যদি আমি বলি যে, "মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন ও পরিচালনায় বঙ্গবন্ধুর বিন্দুমাত্র ভূমিকা ছিলনা", অন্য কথায়, আমি যদি মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর কোনরকম সম্পৃক্ততাকে অস্বীকার করি, তবে কি তা যুদ্ধাপরাধের শামিল হবে?

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৪১

বিদ্যুৎ বলেছেন: জনাব মানা আর নামানা আপনার একান্ত ব্যাক্তিগত বিষয়। তবে এগুলো জানার ইচ্ছা থাকলে আপনাকে অনেক পড়তে হবে এবং গবেষণা করতে হবে। আপনাকে জাগতে হবে আর ঘুমে থাকলে চলবে না।
আমি লিখাটি লিখে ছিলাম সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান যখন মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদ এর সংখ্যাকে ৩ লক্ষ প্রমাণে অপচেষ্টা করছিল।
আমি একজন বাংলাদেশী হিসাবে শুধু তার প্রতিবাদ করেছি। সে বলার চেষ্টা করছিল সেখ মুজিব ভুল করে বলেছিল। বিশ্ব জানে যে ১৯৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদ হয়েছে। কেউ তো আর এক এক করে গণনা করেনি কিছু কম-বেশি হতে পারে। কিন্তু একেবারে মাত্র ৩ লক্ষ বলে অপপ্রচার কোন ভাবেই আমি মেনে নিতে পারি না। জেনে রাখুন ১৯৯১ সালে শুধু চট্টগ্রাম উপকূলে ঘূর্ণি ঝড়ে প্রায় ৩ লাখের মত মানুষ মারা গেছে। আর ৯ মাস নির্বিচারে পাকিস্তানী বাহিনী নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়েছ-----!
স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামীলীগ দল যে আদর্শে চলছে তা আমি কোন কালেই সমর্থন করিনি। তবে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধ পূর্ব আওয়ামীলীগের রাজনীতি সবার কাছে আদর্শিক ছিল। তবে আপনার মত আমি কাহারও ঘোর বিরোধী না । আমি ভাল কাজ সমর্থন করি এবং খারাপ কাজ প্রতিবাদ করি। সে যে আদর্শ বিশ্বাসী হোক না কেন।

প্রথমে আপনাকে প্রশ্ন করুণ , ১৯৭১ সালে কেন মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল?
সেটা আপনি জানলে বুঝতে পারবেন আপনি কেমন অপরাধী।

১৯৭০/৭১ নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী আওয়ামী লীগ ১৬০ টি আসনে জয়লাভ করে জাতীয় পরিষদে একক বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। পূর্ব পাকিস্তান পরিষদের ২৮৮ আসন জিতে ছিল ৩০০ আসন এর মধ্যে। আর সেই আওয়ামীলীগের নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।
যখন পাকিরা আমাদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে উল্টো নিরস্র জনগণের উপর হামলা চালিয়ে ছিল তখন এদেশের জনগন বসে থাকে নি পাল্টা আক্রমন করে দেশকে স্বাধীন করে। যার নেতৃত্ব আমাদের স্বাধীনতার স্বাদ দিয়েছে আর আপনি বলছেন মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর কোন সম্পৃক্ততা ছিলনা।
তাই কোন দল বা মতাদর্শের প্রতি অন্ধ সমর্থন বা বিরধিতা নয়। ভাল করে জানুন, পড়ুন, জ্ঞান অর্জন করুণ তার পর সঠিক বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নিন।
ধন্যবাদ

৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৭

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: জ্ঞান অর্জন করেছি বলেই তো আপনার তথ্যের সঙ্গে আমার জানা তথ্যের গরমিল হচ্ছে। আপনি বলেছেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এদেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। কোন ইতিহাসবিদ কি একথা স্বীকার করবে? করলে কোন প্রমাণ দেখাতে পারবে? তিনি কি নেতা হিসেবে গেরিলা যুদ্ধ বা অপারেশনের কোন দিক-নির্দেশনা দিয়েছিলেন?

যাই হোক, আমাকে একটি নির্ভরযোগ্য রেফারেন্স বা লিংক দিন, যেটা দেখে আমি বিশ্বাস করতে বাধ্য হব যে, বঙ্গবন্ধুই ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বা কোন না কোনভাবে মুক্তিযুদ্ধে তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ আছে। তাহলেই হবে আমি আর কোন তরকে যাচ্ছিনা।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৪

বিদ্যুৎ বলেছেন: আমি আপনাকে বার বার ধন্যবাদ দিয়ে এসেছি যে আপনি আমার লেখাটি পড়েছিলেন ভেবে। কিন্তু আসলে আপনি পড়েননি, আপনি কলাবাগান১ এর মন্তব্যটি কপি করে বার বার অযৌক্তিক প্রশ্ন করছেন। আমি লিখেছি যে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে খুব বেশি মৌলিক লেখা নেই আবার যারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কিছু বই লিখেছেন তাদের অনেকের মুক্তিযুদ্ধ কালীন ভূমিকা নিয়ে একটি পক্ষ প্রশ্ন তুলেছেন। যাদের আগে পরে ইতিহাসবিদ তকমা টা সমধিক পরিচিত। আর আপনি ইতিহাসবিদ খুজছেন! তাহলে আপনি যান মুন্তাসির মামুন, সাহারিয়ার কবির, সয়দ আনোয়ার হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, সামসুল হক সহ আরও অনেকে আছেন যারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লিখে ইতিহাসবিদ হিসেবে বেশি পরিচিত। আমি নিশ্চিত আপনি ইতিহাসবিদ খোজার খায়েশ আজন্ম মিটাতে পারবেন।
বর্তমানে দেশে অধিকাংশ রাজনিতিক সমর্থক দুটি পন্থীতে বিভক্ত
কিছু লোক ভারত পন্থী আবার কিছু লোক পাকিস্থান পন্থী। আর আপনাকে মনে হচ্ছে আপনি পাকি পন্থী। তবে আমি খুব সামান্য কিছু মানুষের মত এখনও বাংলাদেশ পন্থী -ই আছি। তাই সত্য কে সত্য আর মিথ্যা কে মিথ্যা বলে যাচ্ছি এবং আমৃত্যু বলে যাব ইনসাআল্লাহ। কোন নেতার মিথ্যা কথায় গাঁ ভাসাব না আপনার মত।

এবার আসি আপনার পরের প্রশ্ন গুলোতে --
প্রমাণ ছাড়া আমি কোন লেখা বা মন্তব্য করি না।
তার নেতৃতে কি হয়েছে তার প্রমাণ;

১। ৭ই মার্চের ভাষণ কি আপনি জানেন? সেখানে কি যার যা আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে বলেনি? ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে বলেনি? এগুলো কি মুক্তিযুদ্ধের দিকনির্দেশনা নই?

২। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কি বঙ্গবন্ধু কে গ্রেট লিডার বলে সম্মধন করেন নি?

৩। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার মূল আসামি কি বঙ্গবন্ধু ছিলেন না?

৪। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি এবং কাদেরিয়া বাহিনী কি বঙ্গবন্ধু কে প্রধান নেতা মেনে অস্ত্র জামা দেন নি?

এগুলো কারও মন গড়া লেখা ইতিহাস না এগুলো সব অকাট্য দলিল।
আশাকরি আর অহেতুক প্রশ্ন করে নিজের অস্তিত কে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না।
ধন্যবাদ।

৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: ৭ই মার্চের ভাষণ যদি মুক্তিযুদ্ধের দিকনির্দেশনাই হয়ে থাকবে, তো কোন যুক্তিতে উনি আবার ভুট্টো পাগলার সাথে আলোচনায় বসতে গেলেন?

আর তার নির্দেশ মেনে জনগণ যদি ঘরে ঘরে দুর্গই গড়ে তুলবে, তো ২৫শে মার্চ হানাদার বাহিনী 'অপ্রস্তুত' ঢাকাবাসীর উপর গণহত্যা কি করে চালালো? তাহলে বুঝা গেল, মানুষ তার নেতৃত্ব মেনে নেয়নি। মুক্তিযুদ্ধ তাহলে অন্য কারো নেতৃত্বে হয়েছে।

জিয়া তাকে গ্রেট লিডার বলে সম্বোধন করেছেন কি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেবার কারণে নাকি মুক্তিযুদ্ধ পূর্ববর্তী আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দেবার কারণে?

ওনার নেতৃত্ব মেনে অস্ত্র জমা দিয়েছে কখন? যখন উনি স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। আর রাষ্ট্রপতির নির্দেশ তো আইন, না মানলে তা অপরাধের আওতায় পড়ে। কিন্তু এতে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়াটা কিভাবে প্রমাণিত হয়?

৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:২৭

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আবারও লেখার জন্য। তবে শুধু প্রশ্ন নয় যদি আপনার যুক্তি বা মতামত সাথে তুলে ধরেন তবে ভাল হয়।
আপনার এই সামন্য লেখার মধ্যে স্ববিরোধী ও ভদ্রতা বিবর্জিত এবং নেতিবাচক মানসিকতার প্রকাশ করেছেন যা একজন ব্লগার বন্ধু হিসেবে কেহ আশা করে না। যেমন

স্ববিরোধী টা হলঃ আপনি প্রথমে বলেছেন যে, আপনি বুঝেছেন মানুষ তাঁর নেতৃত্ব মেনে নেয় নি আবার শেষে লিখেছেন যে উনি স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। তাহলে আপনে কিভাবে প্রমাণ করবেন যে যুদ্ধের আগে শেখ মুজিবুর রাহমান জনগণের নেতা ছিলেন তাঁকে ভোট দিয়েছিলেন আবার যুদ্ধকালীন নয় মাস তাঁকে নেতা মানেন নি, আবার দেশ স্বাধীন হলে নেতা হিসেবে তাঁকে দেশের রাষ্ট্রপতি বানালেন।

ভদ্রতা বিবর্জিত হলঃ মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কে শুধু জিয়া বলে সম্বোধন করলেন। আপনি এত কিছু লিখলেন আর একজন মহান নেতাকে সম্বোধন টাও ঠিক মত করলেন না।
নেতিবাচক মানসিকতার হলঃ আপনি ইতিমধ্যেই আপনার লিখায় প্রকাশ করেছেন আপনি বঙ্গবন্ধু বিদ্বেষী তাঁর কোন অবদান- ই আপনি মেনে নিতে পারছেন না। আর আজকে প্রকাশ হল আপনি মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিদ্বেষী ও বটে।

তাঁরা মহান নেতা তাঁদের নিজ নিজ নেতৃত্ব গুনে ও কর্মে। তাঁরা দেশ ও জাতিকে উজাড় করে দিয়েছে।
আসুন আমরা কি দিয়েছি দেশ এবং জাতিকে সেই হিসাব করি। আর শুরু করি ইতিবাচক পরিবর্তনের আর প্রথমে নিজেকে দিয়ে। আমি সেই চেষ্টাই করছি।
ধন্যবাদ।

৮| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৫

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: ৭ নম্বর কমেন্টটা যদি আমার উদ্দেশ্যে করে থাকেন, তবে বলিঃ

- খুব ভদ্রভাবে আমাকে এড্রেস করার জন্য ধন্যবাদ। কিছু কিছু চেতনাধারী আছে, যারা বঙ্গবন্ধু বা মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে (এবার ঠিক আছে তো?) যথাযথ আদব-লেহাজের সাথে না ডাকলে ঊড়াধুরা গালিগালাজ শুরু করে দেয়। আপনি সেরকম পশু সম্প্রদায়ভুক্ত নন - এটা জেনে।

- আমি মোটেও বঙ্গবন্ধু বা মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিদ্বেষী নই। তাদের মত মহান নেতা ১০০ বছরে একটাই জন্মায়। এদেশের স্বাধীনতা অর্জনে এবং একটি স্বাধীন দেশে আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠায় তাদের যে অবদান, তাকে অস্বীকার করলে তা চরম বেঈমানের মত কাজ হবে।

- আমি যে যুক্তি দিয়েছি, তার মাঝখানে অনেকগুলো যদি, তা হলে এরকম শব্দ প্রয়োগ করেছি। এতেই বুঝ যাচ্ছে, আমি সম্ভাবনার কথা বলেছি - নিশ্চয়তা দেইনি। আমার যুক্তি দিয়ে বুঝানো হয়েছে যে, ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ইন্ধন (শদটাকে নেতিবাচক হিসেবে নেবেন না) ছিল, কিন্তু উনি কোনভাবেই এই সংগ্রামে সম্পৃক্ত নন।

- দেশের জন্য আমি কি দিয়েছি, তার হিসাব আমার কাছে আছে, কিন্তু দিতে চাইছিনা। আমার অবদান খুবই অল্প, কিন্তু দেশের জন্য আমি যা সেক্রিফাইস করেছি, আমার জীবন এবং আমার পরিবারের কাছে তা অনেক!

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৪৮

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ সত্য কে মেনে নেওয়ার জন্য। আসলে লেখালেখি খুব কঠিন ব্যাপার, আমার কাছে অন্তত তাই মনে হয়। ভাষা শব্দ চয়ন এগুলো কিছু ব্যাপার আছে। তাই লেখালিখির বিষয়ে খুব একটা সাহস করি না বিশেষ প্রয়োজন না হলে। আপনি কিছু শব্দ লিখেছেন যা আমার কাছে আপত্তিকর মনে হয়েছে। যেমনঃ

আপনি মানুষ কে পশু সম্প্রদায় না বললেও পারতেন। আর সম্মানী লোকদের সম্মান না করা টাও কিন্তু চরম ব্যয়াদবী তা হউক সামনে অথবা আড়ালে।

আর আপনি এত স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে যদি, কিন্তু দিয়ে যুক্তি প্রদান করলেন তা কি গ্রহণযোগ্য? এটাও এক ধরনের অপরাধ বলে গণ্য ।

আপনি বলেছেন ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ইন্ধন-শব্দ টা নেতিবাচক হিসেবে না নেয়ার জন্য বলেছেন কিন্তু "ইন্ধন" শব্দ টি আমি কোথাও ইতিবাচক হিসেবে ব্যবহার খুঁজে পাইনি। আপনার এই কথাটাই পেয়ারে পাকি দালালরা বলে থাকে।

৯| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: পাকি দালালরা কোন শব্দ ব্যবহার করলেই যা সেটা তাদের বাবার সম্পত্তি হয়ে যাবে - এমন ধারণাতে আমি বিশ্বাসী নই। ইন্ধন শব্দের বাংলা অর্থ হল জ্বালানি। এদেশের ,মানুষকে তাদের অধিকার আদায়ে সংগঠিত করেছেন বঙ্গবন্ধু। ব্যাপারটা এরকম, কতগুলো জঞ্জাল এক জায়গায় জড়ো করা হয়েছে, সেগুলোকে জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। তো আগুল জ্বালাবার জন্য যে কাঠ-কেরোসিন দরকার, বঙ্গবন্ধু সেগুলোকে একত্রিত করেছেন। কিন্তু কাঠ সংগ্রহে বা তাতে আগুন ধরানোতে তার কোন ভূমিকা নেই।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৯

বিদ্যুৎ বলেছেন: আমি বেশ কয়টি আপনার অসংগতি পূর্ণ বিষয় উপস্থাপন করেছিলাম। আপনি সেগুলোকে ব্যতিরেকে মাত্র একটি বিষয় অবলোকন করেছেন। আপনার কি ধারনা আমি ইন্ধন শব্দের অর্থ জানি না। আপনাকে বলা হয় একটি আর আপনি বুঝেন অন্যটি। অনুগ্রহ করে ভালোভাবে পড়ুন তারপর উত্তর দিন। আমি বলেছি ইন্ধন শব্দটির ব্যাবহার নিয়ে এর অর্থ নিয়ে নয়।
আবার যা লিখেছেন তাও উল্টাপাল্টা । আপনি লিখেছেন,"আগুল জ্বালাবার জন্য যে কাঠ-কেরোসিন দরকার, বঙ্গবন্ধু সেগুলোকে একত্রিত করেছেন। কিন্তু কাঠ সংগ্রহে বা তাতে আগুন ধরানোতে তার কোন ভূমিকা নেই।"
এখানে একবার বললেন একত্রিত করেছেন আবার বললেন সংগ্রহে--- - তাঁর কোন ভূমিকা নেই। একত্রিত এবং সংগ্রহ কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
ধন্যবাদ

১০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫১

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: সংগ্রহ মানে গাছ কাটা, পরিবহণ করে চেরাই কলে আনা। আর একত্রিত মানে জড়ো করা। বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইন্ধন একত্র করে আগুন জ্বালবার জন্য প্রস্তুত করা।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:২৯

বিদ্যুৎ বলেছেন: আপনার যুক্তি উপস্থাপনের দক্ষতা, গভীরতা এবং ব্যাপ্তি আমাকে ব্যাপক ভাবে হতাশ করেছে। তাই এই বিষয়ে আর কোন প্রশ্ন বা কমেন্টস করতে চাই না।
বরাবরের মত আবারও আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.