নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ- ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ; কবি, লেখক, কলামিস্ট আর ব্লগিং তো করিই সব সময়।

বিদ্যুৎ

আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুধু কাদের সিদ্দিকি নয়, বাঙ্গালী জাতিকে-ই- কুত্তার বাচ্চা বল!!!!

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৫৯



অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ।ছবি সংগ্রহ ইন্টারনেট।





গত কিছু দিন আগে একটি জরিপ প্রকাশ করেছিল অক্সফাম, অক্সফাম হল বেসরকারি সেবা ও গবেষণা সংস্থা, যেটি ইংল্যান্ডে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি যে রিপোর্টটি প্রকাশ করেছিল তা পুরোপুরি সর্বজন গ্রহণযোগ্য। কারণ জরিপটি ছিল বাস্তব ও শতভাগ গবেষণাধর্মী। যা কোন রাজনৈতিক প্রভাব দ্বারা প্রভাবিত নয়।সেখানে প্রতীয়মান হয়েছে যে, পৃথিবীর মোট সম্পদের প্রায় অর্ধেকের মত সম্পদ আছে মাত্র এক ভাগ মানুষের হাতে যা আগামী বছর তা ছাড়িয়ে যেতে পারে। কিন্তু আশার আলো হল সেরা ধনী ব্যাক্তিরা যেমনঃ বিল গেটস, ওয়ারেন বাফেট দের মত অনেকে তাদের সম্পদের প্রায় শতভাগ বা অনেকে অর্ধেক অংশ আর্ত মনবতার জন্য ব্যয় করছেন যা নিঃসন্দেহ ভাল। যদিও আজও বিশ্বের প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগ মানুষ ক্ষুধা নিয়ে ঘুমাতে যাই। কিন্তু এই ধনী মানুষ গুলো কোন রাজনৈতিক ভাবে অবৈধ সুবিধা ভোগ করে বা মানুষের অর্থ আত্নসাত করে ধনী হননি। এমন কি তারা সব সময় রাজনীতি থেকে দূরে থেকেছেন। মজার বিষয় হল এরা অনেকে প্রচুর সম্পদের মালিক হলেও বিশ্ব বা নিজ নিজ দেশে তারা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ক্ষমতাশালী নয়।কিন্তু আমাদের এই দেশে কি অবস্থা কল্পনা করা যায়! সব কিছু উল্টা পথে চলছে কেউ একে অন্যকে সম্মান দেখাচ্ছে না। ব্যাক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সবখানে অনৈতিকতা চর্চা হচ্ছে। বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় যে ধরনের অনৈতিকতা চর্চা হচ্ছে তা নতুন প্রজম্মের কাছে এক চরম বাজে দিক নির্দেশনা দিচ্ছে। আমি আশাবাদী মানুষ কিন্তু মাঝে মাঝে নিজেকে বেশ নিরাশ মনে হয়। মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি করার তো কোন প্রশ্নই আসে না, কিন্তু আমার পরিবার আত্মীয় পরিজন অনেক কে তো চরম মুল্য দিতে হয়েছে। ছোট বেলায় স্কুলে জাতীয় অনুষ্ঠান গুলোতে এলাকার সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধান অতিথি করা হত। তাঁরা তাঁদের সম্মুখ যুদ্ধের বিভিন্ন সফলতার কথা বলতেন। বলতেন তাঁদের অনেক বীর সহযোদ্ধাদের আত্নদানের কথা। বলতে ভুলে যাননি এদেশীয় রাজাকারদের কথা। মাঝে মাঝে তাঁদের দুঃসাহস ও কৌশলী গেরিলা যুদ্ধের বক্তৃতা শুনে রক্তে আগুন ধরে যেত মনে হত এই যেন যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লাম। আফসোস হত আহ কেন যুদ্ধের আগে জন্ম হয়নি। আবার দুঃখে মনটা কেঁদে উঠত যখন তাঁরা বলতেন দেশ স্বাধীন কিন্তু যারা দেশ স্বাধীন হওয়ার বিরোধী শুধু তাই নয়, স্বাধীনতার বিরোধিতা তো করেছে ই তার সাথে তারা মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের লোকজনদের পাকিদের হাতে তুলে দিত এবং নির্মম ভাবে হত্যা করত , মা-বোনদের ইজ্জত হরণ করত, তাঁদের সম্পদ লুট করত। দেশ স্বাধীন হল কিন্তু কিভাবে যেন সেই স্বাধীনতা বিরোধীরা ক্ষমতার কেন্দ্রে আবর্তিত হতে লাগলো। এগুল শুনে মনে বড় কষ্ট পেতার এবং ভাবতাম কোন না কোন দিন স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি নিশ্চয় ক্ষমতায় যাবে এবং এর বিচার নিশ্চয় হবে। কিন্তু বিধিবাম তার পরের ইতিহাস বড়ই নিষ্ঠুর, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় গেল ঠিকিই কিন্তু ক্ষমতার লোভ তাদের পেয়ে বসল, যেভাবেই হোক ক্ষমতায় থাকতে হবে তাই তারা ভিতরে ভিতরে তারা কিছু স্বাধীনতা বিরোধীরা যারা ইতিমধ্যেই আর্থিক ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় তাদের ভিত শক্ত করেছে তাদের সাথে আঁতাত এমনকি আত্মীয়তার সম্পর্ক করতে লাগল। পরের নির্বাচনে তারা জনগণ থেকে পুরোপুরি বিছিন্ন হয়ে পড়লেন। তত দিনে তারা অনেক কিছু হারিয়েছে আর স্বাধীনতা বিরোধীরা আরও বেশি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় পুরনবাসন হতে লাগল। এখন কি উপায়, অনেক ভেবে চিন্তে জনগণকে আশার বানী শোনালেন, তাদের ভুল হয়েছে এবার ক্ষমতায় গেলে স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার করা হবে। জনগণ তাদের সেই সুযোগ দিলেন কিন্তু নাহ শুধু নাটকের মহড়া হয় কিন্তু মঞ্চায়ন হচ্ছে না। জনগণ এবার রাজপথে সরকার বেশ বেকায়দায় শুরু হল নাটকের মঞ্চস্থ কিন্ত নাহ! পিয়াদার মঞ্চে প্রবেশ ঘুণ্টি বাজিয়ে বলল, মহারাজা আসছে...! অর্থাৎ পুচ্ছকে রাজাকারের ফাঁসি হলেও রাজাকারদের রাজা মহারাজারা মঞ্চে আসার নাম নেই। সেই যে পিয়াদা এসে ঘুণ্টি বাজাল তাতেই শেষ। সারা জীবন মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে শুনে এসেছি, সব বাঘা বাঘা রাজাকারদের নাম, গোলাম আযম, নিজামি, ইঞ্জিঃ মোসারফ, সালাউদ্দিন কাদের সহ আরও অনেকর নাম। কিন্তু তাদের সবার বিচার মনে হয় না স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে দাবীকৃত ক্ষমতাসীন দল করবে। আর যাই হোক তাদের কাজে কর্মে তেমন দেখা যাচ্ছেনা শুধুই মুখে লালা ঝরাছেন অঝরে। এখন এমন হয়েছে যে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ দল ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতা নেত্রীরা রাজাকারদের সাথে পরম আত্মীয়তার সম্পর্ক স্থাপন করেছে যা ব্যাক্তি স্বার্থ হাসিলের দেশে আর কোন দিন ই প্রকৃত রাজাকারদের বিচার হবে না। যত দিন না পর্যন্ত এই স্বার্থান্বেষী নেতৃত্বের অবসান হবে। উল্টা পথে দেশ চলছে তার নমুনা হল, যারা দেশ স্বাধীন করেছে নিজের জীবন বাজি রেখে তাঁদের প্রতি চরম অবমূল্যায়ন। এখন স্কুলে জাতীয় দিবসে জীবন্ত ইতিহাসের সাক্ষী, দেশের রত্ন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অতিথি করা হয় না তাঁদের কথা বাচ্চাদের শোনান হয় না। অতিথি করা হয় ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মী ও জ্ঞানপাপী লোকদের যারা মুক্তিযুদ্ধ কি জানে না জানলেও তাদের বক্ত্যবের বিষয় হয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতি মিথ্যা, ঘৃণা ও অসম্মানজনক বক্তব্য। যা কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জ্ঞান তো দিচ্ছেই না বরঞ্চ বিরোধী মতের প্রতি অশ্রদ্ধাশীল করে তুলছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্ব এখন মানুষের কাছে ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে। প্রশ্ন দাড় করিয়ে দিচ্ছে মানুষের মনে, আসলে কি মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল! দেশে শহীদ ও জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অসম্মান জনকআচরণ তাই প্রমাণ করে নই কি? বার বার বলছি যে দেশ উল্টা দিকে চলছে এই কারণে যে, এখন মুক্তিযোদ্ধারা হচ্ছেন রাজাকার, আর রাজাকাররা যাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা বনে, ওই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট নিয়ে। যেদিন টাংগাইলে আওয়ামীলীগের এক সাংসদ বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি কে রাজাকার বলে বক্তব্য দিয়েছিল। সেই দিন বলেছিলাম এই চরম মিথ্যাচারের উপযুক্ত বিচার না হলে এর একদিন ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়বে সারাদেশে। বিচার তো হয় নাই উল্টা অনেক আওয়ামীলীগের নেতা সমর্থন করে বক্তব্য দিয়েছে। ফলে কি হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাহেব এই অভাগা জাতির জন্য মরেও শান্তি পাননি, পেয়েছেন এক নাম্বার রাজাকারের খেতাব। জানিনা এই অভিযোগে তাঁকে না আবার কবে কবর থেকে তুলে বিচার করে ফাঁসি দেয়! অনেক তথাকথিত বুদ্ধিজীবী বলেছেন, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি যদি জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে রাজাকারের অপবাদ শুনতে হয় সেখানে বঙ্গবন্ধু ছিলেন কারাগারে বন্ধী তিনি তো সশরীরে যুদ্ধের ময়দানে ছিলেন না, তাহলে যে আমার শঙ্কা টা নিকট অতীতে মানুষ দেখবে না তার ই বা ভিত্তি কি? জেনে হোক না জেনে হোক, বা অতি গোলামীর কারণেই হোক অনেক কে তো হাত উঁচিয়ে সমর্থন করেছে এর সংখ্যা যে বাড়বে না তার কি গ্যারান্টি? কারণ দেশ তো উল্টা পথে! গত সরকারের আমলে যখন বঙ্গবন্ধু কন্যা রাস্তায় থেকে দিলিপ বড়ুয়াকে তুলে এনে মুন্ত্রি বানিয়ে জাতির জনক এর আত্মার সাথে বিদ্রুপ করল। ছোট্ট একটি লেখায় লিখে ছিলাম তার কুত্তা তত্ব নিয়ে। সে বলেছিল ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়নি হয়েছিল দুই কুত্তার কামড়া কামড়ি। এই দুই কুত্তা হল আইয়ুব-ইয়াহিয়া এক কুত্তা আর শেখ মুজিব আরেক কুত্তা। এই কথা কে না জানে যা দিলিপ বড়ুয়া বলেছিল। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকির একটি কলাম পড়লাম, অনেকটা আক্ষেপের সাথে বলেছেন যে, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেও নুন্যতম সম্মান না দেখিয়ে নেত্রীর নির্দেশে তাঁর শান্তির পক্ষে অনশন কর্মসূচীর জন্য ব্যবহৃত তাবু সহ সব কিছু পুলিশ ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। তাঁর বিশ্বাস বঙ্গবন্ধু কন্যার হুকুম ব্যাতিরেখে পুলিশ এই কাজ করতে পারে না। এই কথাটা নিয়েই আলোচনা হচ্ছিল আমার অতি নিকটেই কয়েক জন মানুষের মধ্যে, এক পর্যায়ে এক জন বলে ফেললেন, আরে কাদের সিদ্দিকি একটা কুত্তার বাচ্চা শা... নুন খেয়ে নুন হারামি করে ইত্যাদি.....পুলিশ ঠিকই করেছে। তারা আমার পরিচিত কেউ নন কিন্ত তারা বাংলালি। আমি অনিচ্ছা স্বত্বেও আমি ওই ভাইকে বললাম আপনি ঠিক বলেছে, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি আসলে ...... বাচ্চা। সে খুব খুশি হয়ে আমাকে কথা বলার সুযোগ দিল। হয়ত ভেবে ছিল সে তার একজন সমর্থক পেয়েছে তাই। পড়ে তাকে বুঝিয়ে বললাম কীভাবে জনাব বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি একজন ......বাচ্চা। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কে পিতা বলেই ডাকেন এবং সম্মধন করেন। তাঁর লেখাতেও পিতা বলেই লিখে থাকেন। যেদিন থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ওই দিলিপ বড়ুয়াকে মুন্ত্রি বানিয়ে তাকে রাজনৈতিক ভাবে পুরনবাসন করেছেন সেই দিন থেকে যারা বঙ্গবন্ধু কে পিতা বলে থাকেন তারা আসলেই কুত্তার বাচ্চা! কারণ দিলিপ বড়ুয়া কে সেই সমায়ে রেকর্ড সংখ্যক মানুষের ভোটে নির্বাচিত মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনৈতিক ভাবে পুরনবাসন করে কুত্তা তত্বের প্রতি নিজের সমর্থন ব্যক্ত করে বাংগালি জাতি ও জাতির পিতার প্রতি অসম্মান করেছেন। এই সমস্ত কারণে আমার মনে হয় জাতির জনক সম্মান রক্ষা আইন করে তাঁর সম্মান রক্ষা করতে চাইলেও তা আজও সম্ভব হয়ে উঠেনি। আওয়ামীলীগ সরকার পতন হলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ছবি সব জায়গা থেকে পতন হয়ে যাই। বলেন ভাই কে চাই বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকির মত শেখ মুজিব কে পিতা বলে নিজেরে কুত্তার বাচ্চা বলে মেনে নিতে? আবার অনেকে বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বানিয়ে নাকি বাজাতে চেয়েছিলেন। অবশ্য পরে নাকে খত দিয়ে তাঁর গড়া দলেই নাম লিখিয়েছেন। কিন্তু দিলিপ বাবু তো নাকে খত দেননি। তবে বাঙ্গালী জাতি এবং বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকির ক্ষেত্রে এই কুত্তা তত্ব প্রযোজ্য হলেও বোধকরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জন নেত্রী শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না, আর তাই হয়ত তিনি এই কাজ করেছিলেন। আমার এক পরম সম্মানীয় শিক্ষক বলেছিলেন, বোকার মত ভাব ধরে থাকবি আর কৌশলে জ্ঞানীর বা বুদ্ধিমানের মত কাজ করবি যারা চালাক তারা ভাববে তুই বোকা এতে তোর কাজ করাটা সুবিধা হবে । আমার মনে হয় জনগণকে তথাকথিত চালাক রাজনিতিকরা বোকা মনে করে যাচ্ছেতাই করে যাচ্ছে। আসলে জনগণ বোকা নয় বোকার ভাব ধরে আছে হয়ত! যখন জনগণ কাজ শেষ করবেন দেখতে পারবেন তথাকথিত রাজনিতিকদের কোন ছিটেফোঁটাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। শুরুতে অক্সফামের একটি রিপোর্টের কথা বলেছিলাম এই কারণে যে, ঐ রিপোর্টের চাইতেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি চরম ভয়াবহ কারণ আমাদের দেশে রাজনৈতিক ক্ষমতা আর অর্থনৈতিক ক্ষমতা দুটোই খুব সানান্য কিছু মানুষের হাতে বন্ধী। যা চরম ভয়ংকর এবং এই অবস্থা কোন কালেও স্থায়িত্ব পায়নি পাবেও না। এই বৈষম্য ধ্বংস হইতে বাধ্য। যখন জনগণ জাগবে অবশ্যই পুঁজিবাদী কেন্দ্রিক ক্ষমতার শৃঙ্খল ভাংতে বাধ্য। যখন মানুষ পুরোপুরি জানতে পারবে যে, বড় দল গুলোর নেতা নেত্রীরা একে অপরের নিকট আত্মীয়, ব্যাবসায়িক অংশীদার, এদের মৌলিক উদ্দেশ্য আদর্শহীন, ক্ষমতালিপ্সু, মুখে আদর্শের কথা বলে জনগণকে বিভাজিত করে রাজপথে সাধারণ মানুষকে পাঁঠার বলি করা হচ্ছে। তখন আর ভণ্ডদের রক্ষা হবে না। যেমনটা হয়নি ইংরেজদের, পাকিদের ঠিক তেমনই এদেরও হবে না।

জয় হোক মেহানতি মানুষের।



মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৩৮

রাফা বলেছেন: হুমম....সব কিছুই বুঝলাম-এখন বলুন একদার মুক্তিযোদ্ধা কি আজিবনের মুক্তিযোদ্ধা?
একজন মুক্তিযোদ্ধা কি কখনই চারজন সেক্টর কমান্ডারের হত্যাকারি হোতে পারে !অথচ এই বাংলায় তাই হয়েছে।টাকার জন্য যদি রাজাকারের পত্রিকায় কলাম লিখে তাকে কি আমি আর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সন্মান দেখাতে পারি।একদা এই কাদের সিদ্দিকির বক্তব্য শুনে রক্ত গরম হয়ে যেতো ।কিন্তু এখন প্রচন্ড ঘৃণা হয় যখন বলে জামাত শিবিরকেও রাষ্ট্র ক্ষমতার অংশিদার করা যায়।আর ব্যাক্তিগত দূর্ণিতির কথা নাই বললাম।

রাজনীতি এখন আর সঠিক মানুষের হাতে নেই।তারই প্রতিফলন দেখছেন আজকে।তবে পরিবর্তন আসবে এবং খুব তারাতারিই আসবে।অন্ধকার যত ঘন হবে আলো তত নিকটবর্তি।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:০৭

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য। আমি কিন্তু শুধু বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকির কথা বলে সার্বিক অবস্থার বর্ণনা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এটা একটা নমুনা চিত্র মাত্র। প্রত্যেক মানুষেরই দোষ গুন আছে। তবে প্রতিটি ভাল কাজের জন্য ভাল বলা উচিৎ আমাদের। খারাপ কাজ দিয়ে ভাল কাজের অবমূল্যায়ন করা কি উচিৎ? সে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা তাই বলে তাঁর খারাপ কাজের জন্য তো আর তাঁকে রাজাকার বলেতে পারি না। আমি বলতে চাইছি এর ই প্রতিফলন হিসেবে বঙ্গবন্ধু কে রাজাকার বলার সাহস পায় এখন। তাই আসুন আমরা ভাল কে ভাল আর খারাপ কে খারাপ বলি। তবে আপনের কথার সাথে আমি একমত, যে রাজনীতি এখন সঠিক মানুষের হাতে নেই। তবে সঠিক মানুষ না থাকলে যা হয়!

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:৫১

রাফা বলেছেন: আমি কিন্তু কোন নাম বলি নাই ।কেউ যদি রাজাকারের মত কাজ করে তাকে কি বলা উচিত বলে মনে করেন?আপনার গতকালের ভালো কাজ দিয়ে কি আজকের খারাপ কাজকেও আমার সমর্থন করতে হবে !আমিও কিন্তু ২জনের নাম উল্লেখ না করেেই বল্লাম।এটাই হোচ্ছে বাস্তবতা।

আর সবাইকে সব কিছুতেই রাজাকার বলার পক্ষে আমি নই।তবে রাজাকারদের যারা সমর্থন করে তাদেরকে আরও বেশি ঘৃণা করি।

ধন্যবাদ।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। সেই জন্য তো বলেছি বারবার দেশ উল্টা পথে যাচ্ছে। আপনি বলেছেন রাজাকারদের যারা সমর্থন করে তাদেরকে বেশি ঘৃণা করেন, ভাল। কিন্তু যারা রাজাকারদের ক্ষমতার ভাগ দিয়ে বা আত্মীয়তার অংশীদার করে রাজাকারদের পূর্ণবাসন করিতেছে আপনি তাদের কে কি ঘৃণা করেন? আমার তো মনে হয় সমর্থনকারীদের চেয়ে তো পূর্ণবাসনকারীরা বেশি খারাপ। আপনার কি মনে হয়?
ধন্যবাদ।

৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:১২

হেস্পারাস প্রবল বলেছেন: কে মুক্তিযোদ্ধা কে রাজাকার চেনা সত্যি বড় দুষ্কর! আজ যারা মুক্তিযোদ্ধার পক্ষের দল বলে দাবি করছে তাদের মধ্যেও হালি খানিক চিহ্নিত রাজাকার রয়েছে। অথচ তাদের বিচার হচ্ছে না কারণ তারা এখন মুক্তিযোদ্ধার স্বপক্ষের(কথিত) দলের পা চাটা.....! কিছুদিন আগেও চারজন সচিব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট নিয়ে ধরা খেল অথচ তাদের আইনের আওতায় আনা হয়নি! কারণ আপনার অজানা নয় যে ওরা কথিত মুক্তিযোদ্ধার স্বপক্ষের দলের বিশেষ অনুগত। এদেরই দ্বারা শুধু কাদের সিদ্দিকী না অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা যতটা অপদস্থ ও অপমানিত হচ্ছে তা অন্যকোন দল দ্বারা হচ্ছে না। কথায় আছে, খালি কলস বাজে বেশি। আসলেও সত্য কারণ প্রতিশ্রুতি দেয়া সত্ত্বেও যুদ্ধ অপরাধীর বিচার নিষ্পন্ন না করে এদিক দিয়েও একদলীয় সরকার প্রশ্নবিদ্ধ। আমরা যেমন জামায়াতের রাজকারের হাতে ও গাড়িতে জাতীয় পতাকা দেখতে চাই না তেমনই বর্তমান সরকারের সময়েও চিহ্নিত রাজাকারের হাতে ও গাড়িতে জাতির মননের প্রতীক জাতীয় পতাকা টানানো দেখতে চাই না। সুন্দর ও স্বপ্নময়ী বাংলাদেশ দেখতে চাই কিন্তু জানি না পথ এখনও কতদূরে.........!

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:৩৮

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। হতাশ হওয়ার যাবে না ভাই। রাত যত গভীর হয়, প্রভাত তত নিকটে আসে। তবে রাত আসলে গভীর কিনা সেটাই আন্ধাজ করা কঠিন। আমাদের বিবেক বোধ ভোঁতা হয়ে যাচ্ছে অনুভূতি ক্ষয়ে যাচ্ছে। তা না হলে এত এত নির্মম মুত্য, অপমান, লাঞ্ছনা, বঞ্ছনা কোন কিছুই আমাদের জাগ্রত করতে পারছে না।

৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:০৪

রেজওয়ান26 বলেছেন: "আমার মনে হয় জনগণকে তথাকথিত চালাক রাজনিতিকরা বোকা মনে করে যাচ্ছেতাই করে যাচ্ছে। আসলে জনগণ বোকা নয় বোকার ভাব ধরে আছে হয়ত! যখন জনগণ কাজ শেষ করবেন দেখতে পারবেন তথাকথিত রাজনিতিকদের কোন ছিটেফোঁটাও খুঁজে পাওয়া যাবে না।"- সুন্দর লিখেছেন ভাই। তবে আপনার লেখা চাটুকার (যারা ইচ্ছাকৃতভাবে সাধারন মানুষের বিপক্ষে কথা বলে) শ্রেনীর মানুষের পছন্দ হবে না।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আমি অতি সাধারণ আমার লেখা সাধারণ মানুষের জন্যই। তবে চাটুকারিতা কিছু মানুষের রক্তে মিশে আছে তাদের রক্ত দূষিত । হতে পারে আমার এই সামান্য লেখা তাদের জন্য হুঁশিয়ারি বার্তা। আর তা হলে খুব ভালই হয়।
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.