নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ- ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ; কবি, লেখক, কলামিস্ট আর ব্লগিং তো করিই সব সময়।

বিদ্যুৎ

আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

If you don't do Politics, Politics will do you

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৪:১০



দেশের আইন কানুন সব কিছু জনগণের বিপক্ষে । সংবিধান জনগণের সার্বভৌমত্ব ও অধিকার কোন ভাবেই নিশ্চিত করতে পারছে না। এই কাটা ছেড়া অসম্পূর্ণ সংবিধান কোন ভাবেই জনগণের উপকারে আসছে না। নতুন ভাবে দেশের ও জনগণের জন্য পরিপূর্ণ সংবিধান প্রণয়নয় এখন সময়ের দাবী। সংবিধান জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষা করতে পারেনি। আবার ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকেলও জনগণ তাঁদের ভোট যথাযথ যোগ্য ব্যাক্তিকে দিতে পারে না। যেমন একদল কোন সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, অবৈধ ভাবে উপার্জিত অঢেল অর্থের মালিক ও অসৎ ব্যাক্তিকে নমিনেশন দিলে অন্য দলগুলো তার সাথে পেড়ে ওঠার জন্য ঠিক তেমনি আরেক জন সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, অবৈধ ভাবে উপার্জিত অঢেল অর্থের মালিক ও অসৎ ব্যাক্তিকে নমিনেশন দেয়। আবার সৎ লোক যেন নির্বাচনে না আসতে পারে সেই পথও রুদ্র করে রাখে। ফলে জনগণ সংবিধানিক ভাবে অসৎ ব্যাক্তিকেই ভোট দিতে বাধ্য। আবার যদি জনগণ সৎ লোক না পেয়ে ভোট প্রদানে বিরত থাকে তাহলে বিনা ভোটেই সংবিধান প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে। গত কেয়ারটেকার সরকারের সময় ব্যালট পেপারে "না" ভোট প্রতীক রেখেছিল যদি কোন প্রার্থীই যোগ্য না হয় তাহলে জনগণ "না" ভোট দিয়ে অসৎ প্রার্থীদের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করবে। কিন্তু আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় গিয়ে প্রথম সংসদ অধিবেশনে আইন টি রহিত করেছে। আবার যদি কেহ প্রার্থী হতে চাই জাতীয় নির্বাচনে তাহলে দেশের যে কোন স্থানে নির্বাচন করতে পারবে সংবিধান তাঁকে সেই অধিকার দিয়েছে কিন্তু জনগণ/ ভোটার দেশের যে কোন স্থানে তাঁর ভোট প্রদান করতে পারবে না নিজের এলাকা ছাড়া । সংবিধান জনগণের সেই অধিকার হরণ করেছে। সারা বিশ্ব যখন সামনে এগিয়ে যাচ্ছে তখন আমরা বারবার পিছনে ফিরে যাচ্ছি। আমরা চল্লিশ বছর পরে আবার ৭২'র সংবিধানে ফিরে গেছি শুধু রাজনৈতিক হীন উদ্দেশে। যে সংবিধান জনগণের অধিকার সংরক্ষণ করে না, যে সংবিধান সুশাসন ও গণতন্ত্র নিশ্চিত করে না, যে সংবিধান দলের প্রধান আর রাষ্ট্র প্রধান আলাদা করতে পারে না সেটি আসলে কিসের সংবিধান? তবে ভুলে গেলে চলবে না যে এই সংবিধান আমাদের দেশের রাজনীতিকরাই প্রণয়নয় করেছে তাদের নিজেদের সুবিধার জন্য। কাটা ছেড়া সংবিধান দিয়ে তো আর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে না। পশ্চিমা বিশ্বে কমবেশি সব দেশেই প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্র আছে তারপরেও জার্মান বংশদ্ভুদ আমেরিকান কবি ও লেখক চার্লস বুকওয়স্কি বলেছেন যে, "গণতন্ত্র আর স্বৈরতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য হল গণতন্ত্রের জন্য আগে ভোট দিতে হয় তারপর শোষিত হতে হয় আর স্বৈরতন্ত্রের জন্য ভোট দিয়ে সময় নষ্ট করতে হয় না"। অপেক্ষাকৃত প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্রের প্রতি তিনি এমন ধরনা ব্যাক্ত করেছিলেন তাহলে কল্পনা করা যাই আমরা কোন গণতন্ত্রের মধ্যে বাস করছি। ব্রিটেনে আগামী ৭ মে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনী আমেজে দেশ মুখরিত সেখানে বিভিন্ন মাধ্যমে এই কথাগুলো খুব বেশি শোনা যাচ্ছে ...If you don't do Politics, Politics will do you,your vote is most valuable..... তাই ব্রিটিশ-বাংলাদেশীরাও বসে নেই তাঁরাও ব্রিটেনে মূলধারার রাজনীতি করছে। এবার ১১জন ব্রিটিশ-বাংলাদেশী জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাঁদের মধ্য অধিকাংশ বিজয়ী হওয়ার সম্ভবনা আছে। বিজয়ী হলে অনেকে মন্ত্রী হওয়ার প্রবল সম্ভবনা আছে। রাজনীতি আপনি না করলেও রাজনীতি আপনাকে করবে। তাই আসুন দেশ ও জনগণের ভাল হয় এমন কাজের জন্য আমরা রাজনীতি করি।

জয় হোক মেহানতি মানুষের।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮

জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: যে সংবিধান জনগণের অধিকার সংরক্ষণ করে না, যে সংবিধান সুশাসন ও গণতন্ত্র নিশ্চিত করে না, যে সংবিধান দলের প্রধান আর রাষ্ট্র প্রধান আলাদা করতে পারে না সেটি আসলে কিসের সংবিধান?
এটি আসলে লুটতরাজ এর সংবিধান উপমহাদেশে ব্রিটিসরা যেমন করে গেছে, ধরো, মারো খাও।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:০৩

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য। ব্রিটিশরা ধরো, মার খাও নীতিতে চলেছিল কারণ এই উপমহাদেশ ব্রিটিশদের দেশ ছিল না ছিল উপনিবেশ। তারা জানত একদিন তাদের এখান থেকে উৎখাত হতে হবে তাই তারা ধর, মার করে সব লুট করে ইউনাইটেড কিংডম এ জমা করেছে। তারা কিন্তু তাদের দেশে ধরো মার করে না। বাংলাদেশে যা হচ্ছে তা চরম অন্যায়, এটা তো আমাদেরই দেশ তাই না, তাবে একদিন এর অবসান হবে।

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্যুৎ ,




দোষটা সংবিধানের নয় কিম্বা সংবিধান রচয়িতাদের । দোষটা আমার আপনার , দোষটা বুঝনেওয়ালাদের , দোষটা প্রয়োগকারী সংসদ সদস্যদের যাদের আমরা নির্বাচিত করি ভোট দিয়ে। কারন আপনিই বলেছেন - সংবিধান জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষা করতে পারেনি।
সংবিধান শুধু জনগণের ভোটের অধিকারই রক্ষা করে এমনটাই আপনি বুঝেছেন একমাত্র । জনগণের মৌলিক অধিকার বেমালুম মাথাতেই আসেনি আপনার । সে কারনেই If you don't do Politics, Politics will do you হতেই হবে ।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৫০

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জি এস আপনাকে তবে আমি দুঃখিত যে আপনার মত একজন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্লগার কিভাবে না পড়ে অথবা না বুঝে এমন মন্তব্য করলেন। প্রথম লাইনেই আমি লিখেছি জনগণের সার্বভৌমত্ব ও অধিকার শব্দ দুটি। যার মধ্যে শুধু মৌলিক অধিকার নয় জনগণের অধিকার কেউ হস্তক্ষেপ না করতে পারে সেই জন্য সার্বভৌমত্ব শব্দটি উল্লেখ করেছি। এখানে অধিকার দ্বারা সকল অধিকারকেই বুঝানো হয়েছে। শুধু মৌলিক অধিকার উল্লেখ করলে সাধারণ অধিকারের কথা বাদ পরে যেত তাই আমি খুব সচেতন ভাবেই শুধু অধিকার শব্দটি উল্লেখ করেছি। আর আপনার নিশ্চয় বুঝা উচিৎ ছিল যে সার্বভৌমত্ব দ্বারা জনগণের অধিকার সংরক্ষণ বুঝানো হয়েছে। যেহেতু লেখাটি শুধু মাত্র রাজনীতি প্রক্রিয়ার একটি অংশ ভোট প্রসঙ্গে আলোকপাত করা হয়েছে তাই অন্য অধিকার গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়নি।

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:০০

সুমন কর বলেছেন: আমেরিকান কবি ও লেখক চার্লস বুকওয়স্কি বলেছেন যে, "গণতন্ত্র আর স্বৈরতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য হল গণতন্ত্রের জন্য আগে ভোট দিতে হয় তারপর শোষিত হতে হয় আর স্বৈরতন্ত্রের জন্য ভোট দিয়ে সময় নষ্ট করতে হয় না"।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:০৪

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৫১

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জি এস আপনাকে তবে আমি দুঃখিত যে আপনার মত একজন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্লগার কিভাবে না পড়ে অথবা না বুঝে এমন মন্তব্য করলেন। প্রথম লাইনেই আমি লিখেছি জনগণের সার্বভৌমত্ব ও অধিকার শব্দ দুটি। যার মধ্যে শুধু মৌলিক অধিকার নয় জনগণের অধিকার কেউ হস্তক্ষেপ না করতে পারে সেই জন্য সার্বভৌমত্ব শব্দটি উল্লেখ করেছি। এখানে অধিকার দ্বারা সকল অধিকারকেই বুঝানো হয়েছে। শুধু মৌলিক অধিকার উল্লেখ করলে সাধারণ অধিকারের কথা বাদ পরে যেত তাই আমি খুব সচেতন ভাবেই শুধু অধিকার শব্দটি উল্লেখ করেছি। আর আপনার নিশ্চয় বুঝা উচিৎ ছিল যে সার্বভৌমত্ব দ্বারা জনগণের অধিকার সংরক্ষণ বুঝানো হয়েছে। যেহেতু লেখাটি শুধু মাত্র রাজনীতি প্রক্রিয়ার একটি অংশ ভোট প্রসঙ্গে আলোকপাত করা হয়েছে তাই অন্য অধিকার গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়নি।

৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:১১

এনামুল রেজা বলেছেন: গণতন্ত্র আমাদের দেশে প্রতিষ্ঠিত হবার সুযোগ নেই। সুতরাং জনগণের উপকারি সংবিধান রচনা হওয়াটাও দুষ্কর। :(

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৫:০৭

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ এনামুল রেজা। "Nothing is permanent in this wicked world - not even our troubles." Charlie Chaplin
হয়ত দুষ্কর তবে সম্ভব।

৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্যুৎ ,


আপনাকে বুঝতে আমার কি খুব একটা ভুল হয়েছে ? লিখেছেন -
অসম্পূর্ণ সংবিধান কোন ভাবেই জনগণের উপকারে আসছে না। নতুন ভাবে দেশের ও জনগণের জন্য পরিপূর্ণ সংবিধান প্রণয়নয় এখন সময়ের দাবী। সংবিধান জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষা করতে পারেনি।
এই অংশে এবং লেখার সবটা জুড়ে আপনার মূল বক্তব্যটিই এভাব নিয়ে প্রকাশিত - “ ভোটাধিকার “ । সবকিছু ছাপিয়ে ভোটের বয়ান আর সংবিধান পাল্টানোর কথাই উঠে এসেছে । কি করে বুঝবো আপনি জনগণের সার্বভৌমত্ব নিয়ে উৎকন্ঠিত ? ভোট যে আপনার বা আপনাদের “অবসেশান” এখানে আগাগোড়া সেটাই প্রকট । সার্বভৌমত্ব ভোটের কাছে তুচ্ছ হয়ে গেছে । ভোটই মুখ্য আর কিছু নয় । আর এটা নিয়েই আমি লিখেছি । হয়তো আপনার দৃষ্টিতে এটা ভুল ।
সংবিধান পাল্টাবেন কেন ? আপনার উচিত ছিলো “রাজনীতি ব্যবসায়ী”দের চরিত্র পাল্টানোর কথা বলা । সংবিধান আপনাকে ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার দিয়েছে । অসৎ লোককে নির্বাচিত করার কথা কি সংবিধান বলেছে কোথাও ? অথচ আপনার লেখায় আপনি তেমনটাই বলতে চেয়েছেন - এই কাটা ছেড়া অসম্পূর্ণ সংবিধান কোন ভাবেই জনগণের উপকারে আসছে না। নতুন ভাবে দেশের ও জনগণের জন্য পরিপূর্ণ সংবিধান প্রণয়নয় এখন সময়ের দাবী। সংবিধান জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষা করতে পারেনি।
এই বাক্যগুলি দিয়েই আপনার লেখার শুরু । আপনি “সার্বভৌমত্ব” শব্দটি একবারই মাত্র উচ্চারন করেছেন । তাহলে কি করে আমি আপনার বক্তব্য বুঝবো ? আপনার বক্তব্যে এটাই পরিষ্কার যে, ভোটের অধিকার রক্ষিত হয়নি বলেই সংবিধান পাল্টানো উচিত । আপনি নিজের অজান্তে বা অজ্ঞানে কতবড় একটি কথা বলে ফেলেছেন সংবিধান পাল্টানোর কথা বলো তা কি বুঝতে পারছেন ?
এবার আপনিই বলুন, আমি কি খুব বড় একটা ভুল করে ফেলেছি আপনার এই লেখাটি আপনার মতো করে বুঝতে না পেরে ?
আমি তো প্রথমে এটাই লিখেছি –
“দোষটা সংবিধানের নয় কিম্বা সংবিধান রচয়িতাদের । দোষটা আমার আপনার , দোষটা বুঝনেওয়ালাদের , দোষটা প্রয়োগকারী সংসদ সদস্যদের যাদের আমরা নির্বাচিত করি ভোট দিয়ে। কারন আপনিই বলেছেন - সংবিধান জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষা করতে পারেনি।“
আপনার সংবিধান বদলানোর একটিই অর্থ হয় – যা মোটেও আপনার পক্ষে যাবে না । আপনি কি বুঝে বা না বুঝে এই কথা বলেছেন তা আপনিই জানেন । তবে বুঝে বলুন আর না বুঝেই বলুন ; শুধু ভোটের জন্যে সংবিধান পাল্টাতে হয়না । আসলে যা বলতে চেয়েছেন তা হয়তো এখানে পাবেন -
ভোট : ইফ দ্য কান্ট্রি ইজ দ্য আনসার, হোয়াট ইজ দ্য কোয়েশ্চেন ?
১৬ ই অক্টোবর, ২০১২
http://www.somewhereinblog.net/blog/GSA1953happy/29695606

পরিশেষে , আর আমি কারো লেখা খুটিয়ে না পড়ে এক লাইনও মন্তব্য করিনে । অভিজ্ঞ কিনা জানিনে তবে মানুষের কথা বুঝতে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করছি নিয়ত ।
শুভেচ্ছান্তে ।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৪:৪৭

বিদ্যুৎ বলেছেন: আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আমি সার্বভৌমত্ব শব্দটি একবার উল্লেখ করায় আপনি বুঝতে পারেন নাই বলে আমি দুঃখিত। তাহলে আমার ধারনা সত্য যে আপনি না বুঝে মন্তব্য করেছিলেন। তবে আপনি না বুঝতে পারলেও সম্পাদকমণ্ডলী সহ অনেকেই বুঝতে পেরেছেন। তাই সম্পাদকমণ্ডলী আমার এই লেখাটি নির্বাচিত পোস্ট হিসেবে প্রকাশ করেছে। ধন্যবাদ সম্পাদকমণ্ডলী সমীপে।
সংবিধান প্রতিস্থাপনের কথা শুনে আপনি অবাক হয়েছে কিন্তু বিশ্বে বহু দেশে বহু বার সংবিধান প্রতিস্থাপন করা হয়েছে যা আপনার জানার বাইরে। যদি জানতে চান তবে The Endurance of National Constitutions বইটি পড়তে পারেন। বইটি লিখেছেন যৌথভাবে Thomas Ginsburg; Professor of Law at the University of Chicago Law School, Zachary Elkins; Assistant Professor in Department of Political Science at the University of Illinois and James Melton; PhD candidate of Department of Political Science at the University of Illinois. বইটিতে বহু দেশের সংবিধানের স্থাপন-প্রতিস্থাপন, সংশোধন এবং স্থগিত নিয়ে বিশদ বর্ণনা উল্লেখ আছে। সংবিধান নিয়ে জরিপের কিছু পরিসংখ্যান ও বিশ্লেষণ দেওয়া আছে। ১৭৮৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ২৭ বার আমেরিকাতে সংবিধান পরিবর্তন হয়েছে। এক জরীপে প্রকাশ আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকা অঞ্চলে গড়ে যথাক্রমে ১০.২ বছর ও ১২.৪ বছরে সংবিধান স্থাপন-প্রতিস্থাপন, সংশোধন এবং স্থগিত হয়। সুইডেন একমাত্র দেশ যেখানে ১৬৫ বছর সংবিধান অপরিবর্তিত ছিল।
বাংলাদেশ সংবিধানে অনুচ্ছেদ ৬৫(২) এ বলা আছে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে সংসদ গঠিত হবে।
কিন্তু এবার কি তাই হয়েছে? ১৫৩ টি আসন বিনা ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছে তারপরেও নৈতিকভাবে না হলেও আইনগত ভাবে বৈধ। কারণ
অনুচ্ছেদ ১১৮(৪) নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করেছে।
আর কমিশনের আর পি ও’ তে বলা আছে একের অধিক বৈধ প্রার্থী না থাকেল বিনা ভোটে বৈধ একজনকেই নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। তাহলে সংবিধানের অসংগতি কি প্রকাশ পেল, একদিকে বলা হল প্রত্যক্ষ ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে হবে আবার অন্যদিকে কমিশন স্বাধীন তাই বিনা ভোটে জনপ্রতিনিধি হল। এরকম বহু অসংগতি আছে। তাই পরিপূর্ণ সংবিধান প্রণয়ন সমায়ের দাবী।

৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৪:৫২

বিদ্যুৎ বলেছেন: আহমেদ জি এস আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আমি সার্বভৌমত্ব শব্দটি একবার উল্লেখ করায় আপনি বুঝতে পারেন নাই বলে আমি দুঃখিত। তাহলে আমার ধারনা সত্য যে আপনি না বুঝে মন্তব্য করেছিলেন। তবে আপনি না বুঝতে পারলেও সম্পাদকমণ্ডলী সহ অনেকেই বুঝতে পেরেছেন। তাই সম্পাদকমণ্ডলী আমার এই লেখাটি নির্বাচিত পোস্ট হিসেবে প্রকাশ করেছে। ধন্যবাদ সম্পাদকমণ্ডলী সমীপে।
সংবিধান প্রতিস্থাপনের কথা শুনে আপনি অবাক হয়েছে কিন্তু বিশ্বে বহু দেশে বহু বার সংবিধান প্রতিস্থাপন করা হয়েছে যা আপনার জানার বাইরে। যদি জানতে চান তবে The Endurance of National Constitutions বইটি পড়তে পারেন। বইটি লিখেছেন যৌথভাবে Thomas Ginsburg; Professor of Law at the University of Chicago Law School, Zachary Elkins; Assistant Professor in Department of Political Science at the University of Illinois and James Melton; PhD candidate of Department of Political Science at the University of Illinois. বইটিতে বহু দেশের সংবিধানের স্থাপন-প্রতিস্থাপন, সংশোধন এবং স্থগিত নিয়ে বিশদ বর্ণনা উল্লেখ আছে। সংবিধান নিয়ে জরিপের কিছু পরিসংখ্যান ও বিশ্লেষণ দেওয়া আছে। ১৭৮৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ২৭ বার আমেরিকাতে সংবিধান পরিবর্তন হয়েছে। এক জরীপে প্রকাশ আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকা অঞ্চলে গড়ে যথাক্রমে ১০.২ বছর ও ১২.৪ বছরে সংবিধান স্থাপন-প্রতিস্থাপন, সংশোধন এবং স্থগিত হয়। সুইডেন একমাত্র দেশ যেখানে ১৬৫ বছর সংবিধান অপরিবর্তিত ছিল।
বাংলাদেশ সংবিধানে অনুচ্ছেদ ৬৫(২) এ বলা আছে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে সংসদ গঠিত হবে।
কিন্তু এবার কি তাই হয়েছে? ১৫৩ টি আসন বিনা ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছে তারপরেও নৈতিকভাবে না হলেও আইনগত ভাবে বৈধ। কারণ
অনুচ্ছেদ ১১৮(৪) নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করেছে।
আর কমিশনের আর পি ও’ তে বলা আছে একের অধিক বৈধ প্রার্থী না থাকেল বিনা ভোটে বৈধ একজনকেই নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। তাহলে সংবিধানের অসংগতি কি প্রকাশ পেল, একদিকে বলা হল প্রত্যক্ষ ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে হবে আবার অন্যদিকে কমিশন স্বাধীন তাই বিনা ভোটে জনপ্রতিনিধি হল। এরকম বহু অসংগতি আছে। তাই পরিপূর্ণ সংবিধান প্রণয়ন সমায়ের দাবী

৮| ১১ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:৩৬

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: আপনার লেখার অর্থ মাঝে মাঝে বুঝতে বেশ কষ্ট হয়। তবে, আপুনী আমাকে একটা কথার জবাব দিবেন? আসলে আমরা কি স্বাধীন? এই জন্য কি এত আত্মত্যাগ? এর শেষ কোথায়? সকলে ভাল থাকুন।।।।।।।।।।।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৯

বিদ্যুৎ বলেছেন: আমি খুব সরল ভাষায় লেখার চেষ্টা করি কারণ আমার লেখা যদি কেউ না বুঝে তা আমার জন্য ব্যর্থতা । তাই সব সময় সহজ ভাবে লেখার চেষ্টা করি। আপনার প্রশ্নের জবাব একেক জনের জন্য একেক রকম হবে। তবে আমার জবাব হলঃ আমারা অনেকটা অর্থহীন স্বাধীন! অর্থাৎ আমারা যে স্বাধীনতা চেয়েছিলাম সেই স্বাধীনতা আমরা পাইনি। ধন্যবাদ।

৯| ১১ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:৩৮

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: আর যাই বলুল, আপনার কাটুন টা কিন্তু আমার কাছে বেশ ভালই লাগছে। এবং যর্থাই অর্থ বহন করছে। আপনাকে ধন্যবাদ।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫০

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.