নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ- ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ; কবি, লেখক, কলামিস্ট আর ব্লগিং তো করিই সব সময়।

বিদ্যুৎ

আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাসিনার গণতন্ত্র বিকল রাষ্ট্রযন্ত্র

০৬ ই মে, ২০১৫ ভোর ৫:৩১


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংরক্ষিত এলাকা।কিন্তু এর অর্থ আসলে কি তাঁরা বুঝেন যারা এই প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ হিসেবে দায়িত্বে আছেন। তাঁরা নিঃসন্দেহে অনেক জ্ঞানী ও বিচক্ষণ। তাঁদের ব্যাপারে সমালোচনামূলক কথা বলা অনেকের মত আমিও পছন্দ করি না। কিন্তু বিষয় বা পরিস্থিতি যদি আমাদের ভাবিয়ে তোলে তাহলে তো কিছু বলতেই হবে। জানি কোন কাজ হবে না, কারণ আমরা অতি সাধারণ জনগণ আমাদের কথার কোন দাম নেই, আমাদের প্রশ্নের কোন উত্তর নেই। এক সময় এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অক্সফোর্ড খ্যাত বলা হত। জ্ঞান, বিদ্যা, গবেষণা, আন্দোলন, সংগ্রাম সব কিছুতেই ইতিবাচক এবং সুনাম চোখে পড়ার মত ছিল, এখনও চোখে পড়ার মত অনেক কিছু হয় তবে দুর্ভাগ্য যে তার সবই নেতিবাচক। শুনে খুবই অবাক লাগে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকমণ্ডলী মহদয়গনের পদন্নতির ক্ষেত্রে তাঁদের গবেষণা ও প্রকাশনামূলক সৃজনশীল কাজের চাইতে প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাকে আমলে নেওয়া হয়। রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এই অশুভ চর্চা হচ্ছে। তারপরও প্রশাসনিক দক্ষতা কি তাঁরা দেখাতে পারছেন? মোটেই না। অতি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঢাকা মেয়র নির্বাচনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজ কেন্দ্র ইন্সটিটিউটে জাল ভোটের মহা উৎসব হয়েছে। সেখানে তো আর মূর্খ লোকজন ভোট দেন না, সবাই তো জ্ঞানী ও গুণী জন। বুঝলাম প্রধান নির্বাচন কমিশন রকিব সারাদিন আমাদের পরিবেশ রক্ষাকারী সবুজ বনায়ন খর জদ্দা দিয়ে চিবিয়ে খাওয়া আর মুখের দুই গালিচা দিয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে পরা রঙ্গিন লালা মুচতে ব্যস্ত। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কি তার সুনাম রক্ষা করার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিতে পারে নাই? নাকি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও প্রধান নির্বাচন কমিশন রকিবের মত সাংবিধানিক পদ বা ক্ষমতাকে পুলিশ কমিশনার এর পদতলে কুর্ণিশ করলেন? এতো গেল খুব সামান্য ব্যাপার যেখানে মানুষের ভোটারাধিকার-ই নাই সেখানে জাল ভোট কিছুটা হলেও হয়ত ভাল! কারণ কেউ কেউ হয়ত বলতে পারবেন যে শতভাগ ভোট কাস্ট হয়েছে।
শুরুতেই উল্লেখ্য করেছি যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংরক্ষিত এলাকা তা কেমন সংরক্ষিত কিছু নমুনা চোখ বুলিয়ে নেই। চাঞ্চল্যকর অভিজিৎ হত্যা কাণ্ড ও শিক্ষক হুমায়ূন আজাদ এর উপর আক্রমণ এই সংরক্ষিত এলাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটেছে। শুধু তাই নয় দিনে দুপুরে নারীকে উলঙ্গ করে ব্যাহায়াপনা করা হল এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণেই। এ যেন নুচ্ছা,গুন্ডা, বদমাইশদের অভয়রন্য এখন এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। জন সম্মুখে এমন কি পুলিশের নাকের ডগায় নির্মম ভাবে মানুষ কুপিয়ে বহাল তবিয়তে নিরাপদ স্থানে চলে যাই অথচ পুলিশ ও উপস্থিত লোকজন কিছু করতে পারলেন না। কেন লোকজন বাধা দিতে আসবে দেশে সামাজিক নিরাপত্তা ও সঠিক আইনের প্রয়োগ যে পুরাপুরি অনুপুস্থিত। তারপরেও লিটন নন্দিদের মত কিছু সাহসী মানুষ আছেন যারা প্রতিবাদ করে। অনেক মন্ত্রীমহদয় বলেছেন সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ও দুষ্কৃতিকারীদের পুলিশে সোপর্দ করতে। লিটন নন্দি সেই কাজটিই করেছিলেন কিন্তু কি হল পুলিশ দুষ্কৃতিকারীদের ছেড়ে দিলেন কারন তাদের রাজনৈতিক পরিচয় যে মন্ত্রীদের আবরণে আবৃত। কল্পনা করা যায় সংরক্ষিত এলাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দিনে দুপুরে মানুষ হত্যা, নারীকে উলঙ্গ করে অসভ্যপনা করা। কল্পনা না করা গেলেও সত্য এটাই বাস্তবতা । কারণ নুচ্ছা,গুন্ডা, বদমাইশদের জন্যই তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংরক্ষিত! কবি জীবনানন্দ দাশ এর মাতা কুসুমকুমারী দাশ আজ থেকে বহু বছর আগে লিখে গেছেন,
“আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে”
আসলে আমাদের সমাজে বহু আগে থেকেই মানুষ তার কাজের চাইতে কথা বেশি বলতেন। তার প্রমাণ কুসুমকুমারী দাশ এর “আদর্শ ছেলে” কবিতাটি। তবে কথা বেশি হলেও কাজ হয়ত কিছুটা হত। কিন্তু এখন তো শুধু কথায় হয় কাজ তো আর হয় না।জানি না কুসুমকুমারী দাশ বেঁচে থাকলে এখন কবিতাটি কিভাবে লিখতেন। পুলিশ প্রশাসনে কিছু সদস্য বা কর্তা ব্যাক্তিদের দেখা যায় মিডিয়ার ক্যামারার সামনে গলাবাজি করতে আর চেহারা দেখাতে। গলাবাজি করে বলা হয়েছিল যে, ২১শে বইমেলা উপলক্ষে চার-পাঁচ স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যাবস্থা করা হয়েছে কিন্তু আমরা কি দেখতে পেলাম পুলিশের নাগালের মধ্যে অভিজিৎ হত্যাকাণ্ড ঘটলো। ঠিক তেমনি ভাবে পহেলা বৈশাখেও চার-পাঁচ স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তার মধ্যে নারীকে উলঙ্গ করে আরেক কলংকজনক অধ্যয় রচনা করল।
৭ই ডিসেম্বর ২০১৪ দৈনিক প্রথম আলো প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ্য করা হয়েছে যে, প্রকল্পের ৬১ কোটি টাকা পানিতে আর পানিতে যাওয়া প্রকল্পটি হল “দূর থেকে সম্ভাব্য অপরাধ ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজধানী ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ ৫৯টি সংযোগ ও প্রবেশমুখে ১৫৫টি ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বসানো হয়েছিল”। যা লাগানোর কিছু দিন পর থেকেই সবগুলো ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বন্ধ আছে। তাহলে ৬১ কোটি টাকা ব্যয় করার মানে কি? এটা কি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বাপের টাকা না জনগণের টাকা?
সরকারের কি কোন মাথা ব্যাথা নেই শুধু ক্ষমতার লোভে দেশটা অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হবে? কে ক্ষমতায় থাকলো আর কে না থাকলো সেটা নিয়ে রাজনীতিবিদদের মাথা ব্যাথা হতে পারে কিন্তু সাধারণ জনগণের মাথা ব্যাথা হল সামাজিক নিরাপত্তা ও ন্যায় বিচার নিয়ে।তাই ক্ষমতায় থাকতে চাইলে সামাজিক নিরাপত্তা ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হবে, না হলে জনগণ আইন হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে। শুধু অন্যকে দোষ দিয়ে পার পাওয়া যাবে না। নৈতিক ভাবে দুর্বল সরকার দেশে ও জনগণের জন্য মোটেই কল্যাণকর নয়। তাই জাতি অকল্যাণ বেশি দিন সহ্য করবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনেক কটুচালে বিরোধী শক্তি কোণঠাসা হলেও আজকের তাঁর কথায় মনে হয়েছে যে তিনি নিজেই ফাঁদে পড়েছেন। তিনি বলেছেন যে ডঃ ইউনুছ নাকি বিশ্ব ব্যাংক কে পদ্মা সেতুতে অর্থ ছাড় করতে নিষেধ করায় বিশ্ব ব্যাংক টাকা বন্ধ করেছে। হায়রে নড়বড়ে সরকার এক ইউনুছের কাছে পুরো সরকার পরাজিত। ধিক! ধিক! হাসিনা সরকারকে। আপনি নিজে ইউনুছের কাছে পরাজিত হলে এটা আপনার ব্যাপার কিন্তু যদি বলেন যে সরকার ইউনুছের কাছে পরাজিত তাহলে এখনই দায়িত্ব নিয়ে পদত্যাগ করুন। জনগণ এই রকম ফালতু সরকার দেখতে চাই না যে সরকার এর প্রশাসন বিশৃঙ্খল,সরকার,রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা মারাত্মক ভাবে বিপর্যস্ত।
জয় হোক মেহানতি মানুষের।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:৩০

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়লাম, এক নি:শ্বাসে!

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০১

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ১৩ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫

এস. এম. মাহমুদুল হাসান বলেছেন: আমিও পড়েছি এক নিঃশ্বাসে... ভেতরে বিপ্লব জেগে উঠছিল, উঠছিল নব জাগরণের গান...

১৪ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:৫৯

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাই। আমিও আপনার কবিতা পড়ে নব জাগরণ খুঁজে পায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.