নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ- ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ; কবি, লেখক, কলামিস্ট আর ব্লগিং তো করিই সব সময়।

বিদ্যুৎ

আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিটি দিবস- ই যেন মা দিবস হয়।

১০ ই মে, ২০১৫ ভোর ৪:২৫

সংগৃহীত

আমার বিশ্বাস যদি কোন মানুষকে বলা হয় যে তোমার জীবনের কোন অংশে আবার ফিরে যেতে চাও প্রত্যেকেই তাঁর শৈশবে ফিরে যেতে চাইবে। আমিও তাই চাই কারণ অন্য সবার মত হয়ত আমার জীবনটা মধুর বা সুখস্মৃতি না হলেও আমার অবশ্যই মনে রাখার মত। শৈশবে বাবাকে হারিয়েছি তাই মা ই আমার বাবা মা-ই আমার মা। পরিবারে সবচেয়ে কনিষ্ঠ হওয়ায় আমার প্রতি ভাইবোন সবারই একটি সহানুভূতি কাজ করত। তাই আমার কোন আবদার-ই অপূর্ণ রাখেনি, স্বাদ এবং সাধ্যের মধ্যে তাদের চেষ্টা ছিল আপ্রাণ। ওহ! আমি কিন্তু আমার মাকে মা বলেই ডাকি, আমি বিশ্বের এক নম্বর বাসযোগ্য নগরীতে থাকলেও মা কে আম্মা বা মাম্মি বলার মত অত্যাধুনিক সংস্কৃতি আমাকে স্পর্শ করতে পারেনি। তার অনেক গুলো কারণ থাকতে পারে যেমন ধরুন অজপারা গায়ের ছেলে বলে আমাদের সংস্কৃতিতে মা কে আম্মা না বলা অথবা আধুনিকতার অভাব বলেই হয়ত। তবে মা কে মা বলেই আমার অন্তরে শান্তি পাই। তবে সাধারণত বাড়ীর ঝি বা কাজের ছেলেরা আমার মাকে আম্মা বা খালাম্মা বলে ডাকে। পরে অবশ্য বাড়ীর বউয়েরাও আমার মাকে আম্মা বলে ডাকে। আর সবার মত আমিও আমার মা এর স্নেহের ছেলে হয়ত বা একটু বেশীই স্নেহের হব কারণ সবার ছোট তাও পিতা হারানো এতিম । তাই মায়ের প্রতি দুর্বলতা আমারও একটু বেশি। মা কে নিয়ে লেখা আনিসুল হকের বইটিই তাঁর লেখার এবং তাঁর রীতিমত ভক্ত বানিয়েছে আমাকে আর তিনি হলেন আমার প্রিয় লেখকদের একজন। তাই তাঁর লেখা গল্প বিশেষ করে প্রত্রিকার লেখা বা ফেসবুকের স্ট্যাটাস গুলো পড়ে থাকি। গত বছর অর্থাৎ ২০১৪ সালের মা দিবসে তাঁর ফেসবুকে তাঁর মার একটি ছবি সংযুক্ত করে ছবিটির উপরে লিখেছেন আম্মা। আর সবার মত আমিও তাঁর মা সহ সকল মা দের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্ট্যাটাস দিলাম ও কমেন্ট করলাম। আর মনে মনে ভাবলাম যে ব্যক্তি মাকে নিয়ে এত সুন্দর লেখা লিখতে পারেন, যে তাঁর বইয়ের নাম দিলেন মা, আবার মা দিবসে সে মাকে আম্মা বলে সম্বোধন করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় তিনি কিভাবে মা নিয়ে এত সুন্দর লিখতে পারেন! তাই তাঁর স্ট্যাটাস এ একটি কমেন্ট করলাম যে বাড়ীর ঝি ও কাজের ছেলেরা আম্মা বলে ডাকে। আমি আমার মাকে মা বলেই ডাকি, তাই আপনার মা-র প্রতিও শ্রদ্ধা ও শুভ কামনা রইল। কিন্তু আমি স্বাভাবিক কারণেই তাঁর মা-র প্রতি শ্রদ্ধা ও শুভ কামনা জানিয়েছি আম্মার প্রতি নয়, কারণ একে তো বিশ্ব মা দিবস তার উপর আমি আসলে মা বলে ডাকতে অভ্যস্ত। কিন্তু মনে কষ্ট হচ্ছে শ্রদ্ধেয় আনিসুল হক সাহেবের আম্মার কাছে কি আমার শ্রদ্ধা ও শুভ কামনা আদৌ পৌঁছাবে! আমি তো তাঁর মাকে শ্রদ্ধা ও শুভ কামনা জানিয়েছি। শ্রদ্ধেয় আনিসুল হক সাহেব দয়া করে ভাববেন না যেন আমি বিষয়টি নিয়ে বড্ড বাড়াবাড়ি করছি। তবে আমি কিন্তু একটু বাড়াবাড়িই করছি কারণ আপনি আমার প্রিয় লেখক তাই একটু বাড়াবাড়ি হলেও হতে পারে। আর আপনাকে উপলক্ষ করে কিছু লিখছি বলেই তো কয়েকটি শব্দ লিখতে পারছি না হলে তো ঐ দু-এক লাইন কমেন্টের মধ্যই সীমাবদ্ধ থাকতে হত। তবে কষ্ট পেলে আমাকে ক্ষমা করবেন। আর দোয়া করবেন যেন ভবিষ্যতে যেন লেখা লেখির স্পর্ধা না দেখায়। অনেক দিন হল মাকে কাছে থেকে দেখা হয়নি কথা হয় ফোনে প্রায়ই কিন্তু মার বুকে মাথা রেখে সেই শান্তির নিঃশ্বাস নেওয়া হয়নি বহু দিন হল। সারাক্ষণ কাজে ব্যস্ত থাকি বলে মাকে নিয়ে লেখার মত সময় হয়নি। কাজ থেকে একটানা তিন দিন ছুটি পেয়েছি তাই দেশ, পরিবার পরিজন বিশেষ করে মায়ের কথা খুব বেশি মনে পড়ছে। মাকে ফোন করলে একটাই কথা কবে আমি দেশে আসছি, অনেক দিন হল দেশে যায়নি তাই মায়ের অভিমানী কথা মাকে মনে হয় ভুলেই গেছিস! বিদেশে থাকলে ইচ্ছা করলেই তো আর দেশে আসতে পারে না কেউ, আমারও সেই একই অবস্থা। তবে চেষ্টা করছি খুব তারাতারি এই অপেক্ষার অবসান করতে পারব ইনশাল্লাহ। জানেন একবার মনে মনে পরিকল্পনা করলাম যখন দেশে যাব কাউকে বলব না, আমার মাকে সারপ্রাইজ দেব কিন্তু তা আর হয়ত হবে না যদি মা আমাকে আকস্মিক দেখে কোন দুর্ঘটনা ঘটে ফেলে! কারন তার যে উচ্চ রক্ত চাপ, ডায়াবেটিকস, হার্টের সমস্যা সহ অনেক সমস্যা আছে। মাকে কখনও বলা হয়নি মা আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালবাসি, আসলে বলতেই বা হবে কেন মা ছেলের সম্পর্ক তো শুধু ভালোবাসার সম্পর্ক। মা আমাকে যে অন্য সব ভাইবোনদের চেয়ে বেশি ভালবাসে তার অনেক উদাহরণ আছে, যেমন ছোটবেলায় বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় অন্য কোন ভাইবোনকে কোন টাকা না দিলেও আমাকে টাকা দিত কিছু কিনে খাওয়ার জন্য, নিজে ভাল কিছু না খেয়ে লুকিয়ে আমাকে দিত যেন অন্যরা না দেখে, ঈদে অন্যদের নতুন জামা কাপড় আর্থিক অভাবের কারণে দিতে না পারলেও আমার নতুন জামা-কাপড় জুতা ইত্যাদি কিনে দিতেন, এরকম অনেক কিছু। কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও একটি ঘটনা খুব বেশি মনে পড়ছে। আমরা তিন ভাই এক বোন তার মধ্যে আমি এবং আমার এক ভাই পিঠা-পিটি কিন্তু আমার ঐ ভাই ছিল শারীরিক ভাবে আমার চেয়ে অধিকতর শক্তিশালী। একদিন ও আমাকে খুব মেরেছিল আমি কাঁদতে কাঁদতে মায়ের কাছে বিচার দিলাম। আমাদের সমস্ত সংসার আমার মাকে একাই সামলাতে হত।যে কোন কারণেই হয়ত মায়ের মেজাজ গরম ছিল সে কিনা উল্টা আমাকেই আরও মারলেন। আমি কাঁদতে কাঁদতে বাহির বাড়ি গিয়ে খড়ের পালার বা টিলার পাশে কখন যে ঘুমিয়ে পরে ছিলাম তা বলতে পারব না, এদিকে তখন ছিল সন্ধ্যা বেলা মা আমাকে অনেক খোঁজার পর যখন আমাকে পেল আমার স্পষ্ট মনে পরে সে রাতে মা আমাকে জড়িয়ে অনেক কেঁদেছিল সারারাত মা একটুও ঘুমায়ই নি। সেই থেকে আজ অব্দি মা আমাকে আর কোন দিনও মারেনি। মায়ের এই ভালোবাসার স্মৃতি আমি কোন দিনও ভুলতে পারব না। আল্লাহ যেন আমার মা সহ সকল মাকে এপারে এবং পরপারে শান্তিতে রাখেন, আর আমি যেন মায়ের সেবা করে নিজেক ধন্য করতে পারি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মে, ২০১৫ ভোর ৪:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালো

১০ ই মে, ২০১৫ ভোর ৫:০৩

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.