নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ- ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ; কবি, লেখক, কলামিস্ট আর ব্লগিং তো করিই সব সময়।

বিদ্যুৎ

আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশঃ আমার কি সুন্দর স্বপ্ন দেখা মানা?

১৪ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:০৪


জার্মান পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন তাঁর নাম জানেন না এমন মানুষ পৃথিবীতে খুজে পাওয়া মুশকিল। তবে নামকরা বিজ্ঞানী হিসেবে বেশির ভাগ মানুষ তাঁকে চেনেন। কিন্তু মহা মানুষ তাঁরা ব্যাক্তি জীবনে যা করেন বা বলেন তা সবকিছুই যে চিরন্তন হয়ে থাকে। আলবার্ট আইনস্টাইন এর ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়। তাঁর কাজ যেমন মনুষ্য কল্যাণে অতুলনীয় কল্যাণ করে যাচ্ছে তেমনি কথাও। তিনি বলেছিলেন “জ্ঞানের চেয়ে কল্পনা বেশি গুরুত্বপূর্ণ” কথাটা এতটাই বাস্তব তা বলে বুঝানোর মত জ্ঞান এবং কল্পনা শক্তি কোনটাই আমার নাই। তবে এই কথাটা যার মনে খুব বেশি জায়গা জুড়ে আছে তাঁর কিছু ভাবনা সাবার সাথে শেয়ার করতে পারি। তিনি আর কেউ নন তিনি সজ্জন। সজ্জন নিত্যদিনের মত আজকেও সারাদিনের অমানবিক পরিশ্রম শেষে ক্লান্ত শরীর নিয়ে বাসের আসনে বসে জানালার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। চিন্তা করতে থাকে এমন শহর ঢাকা যেখানে কোটি কোটি মানুষ রাস্তায় যানজটে আটকা পরে ব্যাক্তিগত বা দেশের মহা মুল্যবান সময় মানে অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধন হচ্ছে তার কি কেউ দেখার নেই? এভাবেই মনের অজান্তেই মিশে যায় জীবন স্মৃতির গভীর থেকে আরও গভীরে ।
ছোট বেলায় বাবা মারা যাওয়ার পর অতি মানবেত জীবন যাপন করতে হয়েছে তাঁকে। বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তির কমতি ছিল না কিন্তু জমি তো আর বিনা চাষে ফসল ফলাবে না। কিন্তু কে করবে সেই চাষবাস, ভাইবোন সবাই খুব ছোট, মা’র পক্ষে শুধু জমিজমা বন্ধুক রাখা ছাড়া আর কিছু করার উপায় ছিল না। এভাবেই চলছিল সজ্জন দের সংসার। বসে খেলে যেখানে রাজার ভাণ্ডার শূন্য হয়ে যায় সেখানে এই সামান্য জমিজমা দিয়ে আর কয়দিন চলা যায়। তার মানে খুব পরিষ্কার যে, তাঁর জীবন বড়ই কষ্টের জীবন। শিক্ষা যেখানে বাণিজ্যিক পন্য সেখানে প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান অর্জন যে প্রায় অসম্ভব। তবুও পথ চলা থামেনি। মায়ের একটাই শিক্ষা ভাল মানুষ হতে হবে। এতিম মানুষ ছোটবেলা থেকেই পাড়া প্রতিবেশী সমবয়সী ছেলেমেয়ে থেকে শুরু করে বড় অনেকের বকাবকি তাঁকে সহ্য করতে হয়েছে এমনকি শারীরিক নির্যাতনও বাদ যেত না। তবে অনেক আবার বিপরীতও ছিল। বাড়িতে সজ্জন যখন মায়ের কাছে বিচার দিত মা অভিমানে উল্টা সজ্জনকেই মারত আর বলত তোর বাপ বেঁচে নেই তাই যেখানে গেলে সমস্যা হয় সেখানে যেতে মানা। এই ঘুনে ধরা সমাজের কথা এক সময়ের বালক সজ্জন না বুঝলেও তাঁর মা ঠিকই বুঝতেন তাই সমাজের কাছে বিচার না চেয়ে নিজের ছেলেকে শাসন করতেন।সজ্জন এর মা তাঁর ছেলেমেয়েদের ধনসম্পত্তি তেমন দিতে না পারলেও সৎ মানুষ হওয়ার গুণাবলী গুলো এমন ভাবে মগজে ঢুকিয়ে দিয়েছেন যে এই অনিয়ম, ঘুষ, দুর্নীতি আর অন্যায়,অপরাধ, মিথ্যা, প্রতারনা যে দেশে নিয়ম হয়েছে দাঁড়িয়েছে সেখানে যে সজ্জন এবং তাঁর পরিবার অযোগ্য আর বেমানান। তবে সজ্জন তথাকথিত জ্ঞান অর্জন না করতে পারলেও মহা বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন এর “জ্ঞানের চেয়ে কল্পনা বেশি গুরুত্বপূর্ণ” এই কথাটি মনে রেখেছেন। সজ্জন খুব ইতিবাচক মনের মানুষ। শত নেতিবাচকের মাঝেও সে ইতিবাচক। দেশের তথা সমাজে রন্ধ্রে-রন্ধ্রে সমস্ত নেতিবাচক যে ভাবে ক্যান্সারের মত ছড়িয়ে পড়েছে তা তাঁকে ভীষণ পীড়া দেয়। বরঞ্চ তাঁর আশেপাশে লোকজন এই ইতিবাচক কল্পনার জন্য সবাই তাঁকে পাগল ভাবতে শুরু করেছে। কিন্তু সজ্জন এর কল্পনার জগত আরও বিস্তৃত হতে লাগল। সে এখন শুধু নিজের দেশ, এমন কি শুধু এই পৃথিবীকে তাঁর কল্পনার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেনি। এর বাইরেও কোন ভিনগ্রহ আছে কিনা সেখানেও। আমাদের মত কোন মনুষ্য সমাজের অস্তিত্ব আছে বা বিশেষ কিছু যা এই পৃথিবীর বাইরের জগত।কিন্তু কল্পনা করার জন্যও তো সুস্থ সবল মস্তিষ্ক দরকার। পুষ্টিহীন জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে জম্ম নেওয়া এবং বেড়ে উঠা তাই সজ্জনের অবস্থাও অন্য সবার চাইতে বিশেষ আলাদা নয়। ভাবতে ভাবতে সজ্জন একটি ভিনগ্রহের সন্ধান পায় যার নাম সত্যাগ্রহ। সেখানে সব কিছু সত্য, তাঁদের কাজ কর্ম, কথাবার্তা, আচরণ, ব্যবহার, সমস্ত কিছুই সত্য। সেখানেও রাজনীতি আছে, প্রশাসন আছে, আছে জনগণও। সেই সত্যাগ্রহেও নির্বাচন হয়, নেতা হয় আবার নেতা বয়স্ক হলে রাজনীতি থেকে অবসরও নেই। তবে অবসর নিয়ে তাঁরা আবার দেশের ও জনগণের জন্য ভাল হয় এমন কাজে তাঁরা স্বেচ্ছা মেধা, অভিজ্ঞতা ও শ্রম খরচ করে থাকে। এই সত্যাগ্রহের মানুষ এতটাই সৎ যে তাঁরা যা তাঁদের প্রভুর কাছে প্রার্থনা করেন তাই তাঁদের প্রভু মঞ্জুর করেন।একবার সত্যাগ্রহের প্রধান নেতা অবসরে যাবেন, সেদেশের জনগণ কিন্তু ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচন করেন। এবার তাঁরা সিদ্ধান্ত নিলেন যে, নির্বাচনের আগে তাঁরা তাঁদের নেতাদের মধ্যে একটা বিতর্ক প্রতিযোগিতা করবেন। যা সিদ্ধান্ত তাই কাজ। প্রতিযোগিতার বিষয়টি হল এমন যে তাঁদের প্রাথমিক মনোনীত সব প্রার্থীকে বিশেষ অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্যে এই পৃথিবীতে পাঠানো হবে, তাঁরা ফিরে গিয়ে যে বা যারা যত অবিশ্বাস্য আর অবাস্তব তথ্য বা গল্প শোনাতে পারবে সে বা তাঁদের মধ্য থেকে ভোটের মাধ্যমে পরবর্তী নেতা নির্বাচিত হবেন।সত্যাগ্রহের মানুষ এতটাই সৎ ও যোগ্য যে সবাই সবাইকে বিশ্বাস করে। এই প্রতিযোগিতা শুধু অভিজ্ঞতা অর্জন আর সাথে আনন্দ। তবে এই প্রতিযোগিতার বিষয়টি তাঁরা তাঁদের প্রভুর কাছ থেকে প্রার্থনা করে মঞ্জুর করিয়ে নিয়েছেন। কারণ এই মনুষ্য পৃথিবীতে আসতে পূর্বে অনুমতি ছিল না। তো সুবিধা মত প্রার্থীদের সবাইকে এই পৃথিবীতে পাঠানো হল। একেক জন একেক দেশে গেল। তাঁরা তো এই পৃথিবীতে এসে মানুষের কাজ কর্ম দেখে অবাক। তবে তাঁরা শুনতে পেয়েছে যে এই পৃথিবীর মানুষও নাকি পৃথিবীর বাইরে অন্য কোন মনুষ্য সদৃশ জীব ও পৃথিবীর অস্তিত খুঁজছে। তাঁরা একেক জন একেক দেশে গেলেন তাঁদের অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য। তাঁদের কাছে এই নতুন পৃথিবী বেশ সুন্দর লাগল, এই ভুবনের মানুষের কাজ কর্ম যেমন মুগ্ধ করেছে তেমনি বিস্মিতও করেছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাঁরা সবাই আবার তাঁদের দেশে ফিরে গেলেন। যথারীতি প্রতিযোগিতা শুরু হল। একে একে সবাই বলতে লাগলেন। প্রথমে যিনি বলবেন তিনি গিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যে। ব্রিটিশ এক সময় প্রায় সারা বিশ্ব শাসন করেছে, তাঁরা বিভিন্ন দেশে থেকে সম্পদ লুট করে এনে তাঁরা এখন অনেক ধনী রাষ্ট্র।সেখানে নির্বাচন হয়, নেতা হয়, গণতন্ত্রের চর্চা হয়, অপরাধীর শাস্তি হয়, তারা আর যাই করুক নিজের দেশ ও জনগণের ভালটা ঠিকই বুঝেন। এরপর আমেরিকা ফেরত।সেই আমেরিকা ফেরত বললেন যে, সেখানেও নির্বাচন হয়, নেতা হয়, গণতন্ত্রের চর্চা হয়, অপরাধীর শাস্তি হয়। আমেরিকা এমন একটি দেশ যা দেখে সে রীতিমত বিস্মিত,অবাক এবং মর্মাহত।তাঁরা বিভিন্ন দেশে গোলযোগ বাঁধিয়ে দেয় এবং আবার সেখানে গিয়ে মাতব্বরি করে প্রয়োজনে যুদ্ধ করে আর গোপনে তেল গ্যাস চুরি করে আমেরিকাতে নিয়ে যায়।তারা আর যাই করুক নিজের দেশ ও জনগণের ভালটা ঠিকই বুঝেন। এভাবে একে একে রাশিয়ার ক্রিমিয়া আগ্রাসন, চীনের গণতন্ত্র নির্বাসন, পাকিস্তানের জুঙ্গিবাদ, ভারতের হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন সহ সব দেশের ভাল-মন্দ উপস্থাপন করা হল।তবে তারা সবাই নিজের দেশ ও জনগণের ভালটা ঠিকই বুঝেন। বাংলাদেশ ছাড়া সব দেশের কথা সবাইকে শোনালে, সবাই শুনে হতবাক এওকি সম্ভব!
সবাই যখন অবাক শুধু বাংলাদেশ ফেরত ব্যাক্তি অবাকও হলেন না হতবাকও হলেন না। সত্যাগ্রহের প্রধান নেতা ওই বাংলাদেশ ফেরত ব্যাক্তিকে জিজ্ঞেস করলেন যে, এই সব অনাকাঙ্খিত অভিজ্ঞতার কথা শুনে সবাই যেখানে দুঃখে অভিমানে কাতর আর তুমি সেখানে খুব স্বাভাবিক দেখতে। তার কি কারণ আমাদের জানাও?
এবার বাংলাদেশ ফেরত ব্যাক্তি বলতে লাগলেন যে, আপনারা যা শুনে অবাক,বিস্মিত ও হতবাক হয়েছেন যদি আমি বাংলাদেশে না যেতাম হয়ত আমিও এগুলো শুনে আপনাদের মত হতবাক হতাম। কিন্তু বাংলাদেশ ঘুরে আসার কারনে আমি তা হতে পারছি না। এতক্ষণ আপনারা যা শুনলেন তা আমার কাছে খুব স্বাভাবিক ব্যাপার মনে হয়েছে কারণ সব রাজনীতিবিদ বা নেতারা যা করেছে হতে পারে অনেক খারাপ কাজ কিন্তু তাদের লক্ষ্য এক। সব দেশের নেতারা ক্ষমতায়ও থাকতে চায় আবার দেশের অস্তিত্ব বা সার্বভৌমত্বও টিকিয়ে রাখতে চায়, কারণ তাঁরা জানে দেশের অস্তিত্ব বা সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখতে না পারলে যে তারাও ক্ষমতাসীন হতে পারবে না। কিন্তু পৃথিবীতে বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যে দেশের মানুষ ‘নিজের পা কুড়াল মেরে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করে। কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না। কথায় ও কাজে মিল নাই। শুধু মিথ্যা, মিথ্যা আর মিথ্যা কথা’।
সত্যাগ্রহের প্রধান তাঁকে বললেন যে, যদি কিছু উদাহরণ দিয়ে বলতে তাহলে সবাই বুঝতে পারত।
তিনি বললেন আমাকে যখন বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিল তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে সফর করছিলেন। আমি তো প্রথমে হতভম্ব হয়েছিলাম যে ভূল করে ভারতে এসেছি কিনা। সেখানে রাজনীতিক থেকে মিডিয়া সবখানে ভারত আর মোদী কে নিয়ে আলোচনা।শুধু তাই নয় এরকম হওয়ার আরও অনেক বিষয় ছিল, যেমন একান্ত ব্যাক্তিগত বৈঠক গুলো কেমন ছিল দেশের মানুষ না জানলেও আমি জেনেছি সব কারণ আমি তো ভিন গ্রহের মানুষ ছিলাম। তবে একটি প্রকাশ্য ঘটনা বললে হয়ত একান্ত ব্যাক্তিগত বৈঠক গুলো কেমন ছিল তা কিছুটা অনুমান করতে পারবে সবাই।ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন এক সম্মেলন কেন্দ্রে হিন্দিতে ভাষণ দিচ্ছিলেন সবাই উপভোগ করছিলেন দারুণ ভাবে কোন বাংলা অনুবাদকের অনুপাঠ ছাড়ায়। আমি কোনকিছু বুঝে উঠতে না পেরে সত্যাগ্রহে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অধীনে মহাশূন্যে স্থাপিত অস্থায়ী কেন্দ্রে যোগাযোগ করলাম যে, আমাকে যে মানচিত্র এবং পথ নির্দেশ দিয়ে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে সেটা বাংলাদেশ নয় অন্য কোন দেশ।সত্যাগ্রহে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে এও জানান হল যে, পৃথিবীতে একমাত্র জাতি যারা ভাষার জন্য যুদ্ধ করেছে কিন্তু তাদের কথাবার্তায় বাংলার চাইতে হিন্দি,ইংরেজি এমন কি উর্দু’র প্রাধান্য বেশি। যারা নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে ত্রিশ লক্ষ শহীদের আত্নদান ও দুই লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশ মানচিত্র করেছে অথচ সেখানে ভারত পন্থী আর পাকি পন্থী আধিপত্য থাকলেও বাংলাদেশ পন্থী লোকের খুব অভাব। আমার ধারণা এটা বাংলাদেশ হতে পারে না! সত্যাগ্রহে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অধীনে মহাশূন্যে স্থাপিত অস্থায়ী কেন্দ্রে থেকে আমাকে বলা হল যে তাঁরা নিশ্চিত যে এটা বাংলাদেশ তবে কিছু সময় চাইল তাঁরা শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার জন্য। এই সময়টা আমি দেশটি ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। কি সুন্দর অপরূপ, মন মুগ্ধকর দেশ, গ্রামের সাধারণ মানুষ গুলোর অবস্থা দেখলে কিছুটা মন খারাপ হয় কিন্তু আমি তো মানুষের মনের সব কিছু বুঝতে পারি। এই সাধারণ মানুষের মন একেবারে সাদা। নেই কোন কালি-কলংক, হিংসা, অহংকার, শত না পাওয়ার মাঝেও তাঁরা খুব খুশি। তাঁদের মন সবসময় ভাল কিছুর পক্ষে কিন্তু চারপাশে পরিবেশ তাঁদের প্রতিকূলে। দেখতে দেখতে শহরে চলে আসি। এবার আমাকে বলা হল এটাই বাংলাদেশ তুমি তোমার কাজ চালিয়ে যাও আমরা বঙ্গদেশের আরও গভীর ইতিহাস জানার চেষ্টা করছি। পরে প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে সব জানান হবে। তুমি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চলে আসবে।
বাংলাদেশের বেশির ভাগ রাজনীতিবিদরা ক্ষমতার জন্য জনগণের দুয়ারে না গিয়ে দাদা বাবুদের গোলামী করতে বেশি তৎপর কারণ দাদারাই যে বঙ্গদেশে ক্ষমতার উলটপালট করে থাকে! তাই সবাই মোদীকে নিয়ে ব্যস্ত। মোদীর সাথে দেখা করার জন্য পর্দার আড়ালে কি না ঘটেছে। সরকার পক্ষ ব্যস্ত বিরোধী পক্ষের সাথে যেন নরেন্দ্র মোদীর দেখা না হয় আর বিরোধী পক্ষ তৎপর যে কোন ভাবেই সাক্ষাৎ চাই। সাধারণ মানুষ তো আর ভিতরের খবর জানেন না। আমি লোক চক্ষুর আড়াল থেকে যা দেখলাম তা খুব ভয়ংকর ব্যাপার। সরকার পক্ষ বললেন যে দাদা আপনি যা চান আপনাকে তাই দেব কিন্তু আমাকে রক্ষা করুন। আর বিরোধী পক্ষ বললেন দাদা ওরা যা দিতে চাই আমরা তার চেয়ে ঢেঁড় বেশি দেব কিন্তু ক্ষমতা আমার চাই। মোদী এখন কি করবেন এই নিয়ে যখন চিন্তিত ঠিক তখন সরকার পক্ষ প্রকাশ্যে ঘোষণা দিলেন যে , যারা ভারত বিরোধী তাঁরা বাংলাদেশে থাকতে পারবে না। ভারত বিরোধী হলে না হয় ভারতে থাকতে পারবে না কিন্তু বাংলাদেশে থাকতে পারবে না কি জন্য। বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলা যেন ভারতের বিপক্ষে হয়ে যায়! ঠিক তখনই আরেক দালাল বলে উঠলেন না এখন থেকে বাংলাদেশ ভারত হয়ে যাচ্ছে। এই কথা শুনে মোদী মনে মনে খুশি। মেঘ না চাইতেই জল। আহ কি মজা!
এর পরে একদিন শুনতে পায় সংসদে বাজেট পেশ হচ্ছে। হায় আল্লাহ একি বাজেট! শুধু টাকার অংকের পরিমাণ বলছে আর দাঁত কেলিয়ে হাসছে, আর সবাই টেবিল চাপড়িয়ে ধ্বনি দিচ্ছে। এত টাকা সবাই খুশি কিন্তু এই টাকা কথায় থেকে আসবে, কিভাবে খরচ হবে তার কোন ব্যাখ্যা নেই। শুধু বলা হচ্ছে এটা করব ওটা করব কিন্তু কিভাবে? এটা কেউ বলছে না। কেন এক বছরের প্রকল্প ছয় থেকে সাত বছর গড়িয়েছে, নির্ধারিত টাকার চাইতে বহুগুন বেশি টাকা খরচ হয় কিন্ত প্রকল্পর কাজ শেষ হয় না। সে এক আজিব কারবার।
এই কথা শুনে সবার মন খারাপ, এই রকম কোন নেতা হতে পারে, যারা নিজের ক্ষমতা রক্ষা বা ক্ষমতা পাওয়ার জন্য দেশ বিকিকিনি করার ফন্দি-ফিকির করে! ওরা কি জানেনা যে দেশ না থাকলে ওরাও নেতা হতে পারবে না?
না শুধু রাজনীতিক ব্যাক্তি কেন জনগণের একটা বড় অংশ ধর্ম বিশ্বাসী কিন্তু তাঁরাও তো এই অনিয়ম, ঘুষ, দুর্নীতি আর অন্যায়,অপরাধ, মিথ্যা, প্রতারনা যে দেশে নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানে স্রোতের অনুকূলে গা ভাসিয়েছে তবে প্রতিকুলেও অনেকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। যে দেশে ঘুষের বিনিময়ে মসজিদে ইমাম-মোয়াজ্জিম, মন্দির, গির্জায় পুরোহিত ও পাদ্রি নিয়োগ হয় তাঁরা কিনা আবার ধর্ম বিশ্বাসী। ঘুষ-দুর্নীতি আর অনিয়ম এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এখন অনেকে ঘুষ না দিতে পারলে বরং অস্থির হয়ে যায়, হায় হুতাশ করে!
তবে সত্যাগ্রহের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে তাঁদের তথ্য মন্ত্রণালয় বঙ্গদেশের ইতিহাস ব্যাখ্যা করেন যে, বর্তমান বাংলাদেশে মীর জাফরের বংশধর বেশি থাকায় তারা ক্ষমতার লোভে নিজ দেশকে অন্যের হাতে তুলে দিতে দ্বিধা করে না। ইতিহাস বলে মীর জাফরও বাংলার নবাব হতে পারে নাই। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না। তবে কিছু ভাল মানুষ আছে আরও অনেক তরুণ যুক্ত হচ্ছে ন্যায়ের ধারায় তাই পরিবর্তন বাধ্য।
পরিশেষে সত্যগ্রহের নেতা উপস্থিত সকলের সমীপে একটি প্রস্তাব করলেন যে, পৃথিবীতে যতগুলো দেশ এবং রাজনীতিক আছে সবাই অনেক অমানবিক কাজ করলেও প্রতিটি দেশের লোক তাদের দেশের প্রতি প্রেম ভালবাসা দেখিয়েছে কিন্তু একমাত্র বাংলাদেশ যেখানে মানুষ কার্যত দেশকে ভালবাসে না শুধু মুখে বলে
“ আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি”।
তাঁদের প্রতি এই সত্যগ্রহের পক্ষ থেকে কি করা যায়। একেক জন একেক কথা বলতে থাকলেন। কিন্তু সজ্জনের কল্পনা যখন মোড় নিচ্ছে যে, যেহেতু সত্যাগ্রহের মানুষ যা দোয়া করে চাই হয়। তাই যদি তাঁরা এমন দোয়া করতেন যে মুহূর্তেই দেশটা বদলে যেত ঠিক সেই মুহূর্তেই বিকট শব্দ করে একটি গুলি এসে সজ্জনের মাথা ভেত করে তাঁর মস্তক ছিন্নভিন্ন করে দেয় এবং একটি সুন্দর স্বপ্নের মৃত্যু হয়। এমন অনেক সুন্দর স্বপ্নের মৃত্যু আরও অগণিত সজ্জনের জন্ম দেয়। অনেক নেতা এবং কিছু সংবাদ কর্মী হয়ত প্রচার মাধ্যমে তাদের জন্ম পরিচয় জনগনের কাছে পরিষ্কার করার জন্য বলতে থাকবে সজ্জন একজন খেটে খাওয়া মানুষ, দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি না।বরং সে ভাগ্যবান এই জন্য যে একজন সাংসদ এর ছেলের গুলিতে নিহত হয়েছে, তাও আবার গুলি চালানোর জন্য যথেষ্ট মদ গিলতে হয়েছে শক্তি সঞ্চারণের জন্য।
মানুষ যে আকাশে উড়তে পারে এই ধারণা প্রথম বিখ্যাত মুসলিম মনীষী আব্বাস ইবনে ফারনাস দিয়েছিলেন পরে রাইটস সহদর করে দেখিয়েছেন। সজ্জন হয়ত দোয়ার জন্য ভিনগ্রহের আগন্তক কে বলতে পারেনি কিন্তু সে যা সত্যাগ্রহ নামে সুন্দর জগতের কল্পনা করেছে আমরা তাঁর কল্পনা হয়ত রাইটস ভাইদের মত বাস্তব করতে পারি। আসুন আমরা সৎ ভাবে চেষ্টা করি।



মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৫ ভোর ৬:৪৯

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
সুন্দর ছবি।
দেখে ভালো লাগল।

১৪ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ। তবে লেখাটা কেমন জানালে আরও ভাল হত।

২| ১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:৩৪

এস. এম. মাহমুদুল হাসান বলেছেন: সায়েন্স ফিকশানের অন্তরালে চমৎকার দর্শন...

১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:১২

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.