নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ- ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ; কবি, লেখক, কলামিস্ট আর ব্লগিং তো করিই সব সময়।

বিদ্যুৎ

আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিটা দিবস-ই যেন বাবা দিবস হয়।

২১ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:১০




আমাদের সবার ছোটবেলায় বাবাকে নিয়ে কত রকমের মধুর অভিজ্ঞতা আছে তা আমারা কোন দিনই হয়ত ভুলতে পারব না। বিশেষ করে যারা আমারা গ্রামে জম্ম ও বেড়ে উঠেছি তাঁদের বাবাদের নিয়ে আরও বেশি স্মৃতি মনে পড়ে। তবে আমার বাবাকে নিয়ে আমার খুব বেশি স্মৃতি নেই কারণ খুব ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছি। তারপরও যে সামান্য স্মৃতি আছে তা কোন দিনও ভুলতে পারব না। আজ বাবা দিবসে তাই বাবাকে নিয়ে দু কলম লিখছি। আমার বাবা স্থানীয় মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন, ভোর বেলা ঘুম থেকে ডেকে তুলে আমাদের ভাইবোন সবাইকে প্রথমে মক্তবে পাঠাতেন। সকালবেলা মা বারবার ডাকতেন ঘুম থেকে উঠে অজু করে মক্তবে যেতে। মা ডাকলে এদিক ওদিক নড়েচড়ে আবার ঘুম ঠিক তখনই বাবার ডাক। আমারা ভাইবোন সবাই বাবার ভয়ে তাড়াতাড়ি করে বিছানা থেকে উঠে প্রেসাব-পায়খানা শেষ করে, কয়লা দিয়ে দাঁত মেজে তারপর অজু করে মক্তবে। বাবা আমাকে মেরেছে বলে আমার মনে পড়ে না তারপরও মা’র শত ডাকাডাকির পরও যখন উঠতাম না অথচ বাবার এক ডাকেই সব হয়ে যেত। আসলে বাবা নামটি যেমন শাসন ঠিক তেমনি স্নেহ আর মমতা। আমি ছিলাম সবার ছোট আমাদের ভাইবোনদের মধ্যে তাই মা-বাবা দুজনেই আমাকে মনে হয় একটু বেশি ভালবাসতেন। ছোটবেলায় বাবা আমাকে জুম্মার নামাজে নিয়ে যেতেন। নামাজের মধ্যে কত নড়াচড়া ও কথা বলতাম কিন্তু বাবা কিছুই বলতেন না, কিন্তু অন্য অনেকে বাচ্চাদের নামাজে নিয়ে আসাকে ভালভাবে নিতেন না। কিন্তু বড় হওয়ার পড়ে জানতে পারি যে, আমাদের প্রিয় নবী মোহাম্মদ (সঃ) তাঁর স্নেহের নাতি ছোট হাসান হোসেন কে নামাজে নিয়ে যেতেন। হাসান হোসেন নবীজী মোহাম্মদ (সঃ)এর ঘাড়ের উপর বসে থাকতেন নামাজরত অবস্থায়। যতখন না হাসান হোসেন তাঁর উপর থেকে না নামতেন আমাদের প্রিয় নবী মোহাম্মদ (সঃ)সেই অবস্থায় থাকতেন। শিক্ষক হলেও আমার বাবা একজন খুবই সাধারণ মানুষ ছিলেন তাই তো তিনি আমাকে কাঁধে করে প্রায়ই হাটে নিয়ে যেতেন। আজ থেকে ত্রিশ পয়ত্রিশ বছর আগে আমাদের গ্রাম্য মেলা এবং হাট বাজারে বানর খেলা, সাপের খেলা, লাঠি খেলা হত। একবার বাবা আমাকে মেলাতে নিয়ে গিয়েছিলেন। মেলাতে অনেক ভিড় ছিল মানুষের, বাবা আমাকে পুরো মেলা কাঁধে তুলে ঘুরে দেখিয়েছেন। কত রঙ বেরঙের খেলনা,টমটম গাড়ি, সন্দেশ,ঝুরি,গুড়ের জিলাপি কিনে দিয়েছিলেন আজ খুব মনে পড়ছে। শুধু বাবা দিবসে নয় আমি আমার বাবাকে সব সময় মনে করি বিশেষ করে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে, সাফল্যে। মহান আল্লাহ্‌র কাছে অনুযোগ, কেন অনেক আগেই বাবাকে বিদায় বলতে হল? কেন আমি এতিম হলাম?
জানি বাবা আমার সকল সফলতা অর্জন শুধুই তোমার দোয়ার কারণে। হয়ত তুমি অন্য সব বাবাদের মত তোমার ছেলেমেয়েদের সাথে থাকতে পারনা কিন্তু অদৃশ্য বন্ধনে তুমি আমাদের মাঝে চির অম্লান থাকবে। অনেকের বাবা বেঁচে আছে কিন্তু তাঁদের কাঙ্ক্ষিত পিতৃত্ব অর্জন সম্ভব হয়নি। বাবা তুমি নেই কিন্তু তোমার নেক দোয়ায় তোমার ছেলেমেয়েরা আজ সমাজে ভাল মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তুমি গর্বিত বাবা। বিশ্বাস, তুমি যেখানে আছো খুব ভাল আছো।পবিত্র রমজান মাসে এই বাবা দিবসে মহান আল্লাহ্‌র নিকট প্রার্থনা করি যেন, বাবা তুমি সহ পৃথিবীর সকল বাবাদেরকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করেন। আমীন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫

অভ্র হাসান আবির বলেছেন: বাবা,সন্তানের এ ভালোবাসা স্মৃতির পাতায় অম্লান হয়ে বেঁচে থাকুক চিরকাল।

২| ২১ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৬

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আবির ভাই। আপনার আমার সবার বাবার জন্য মগফেরাত কামনা করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.