নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ- ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ; কবি, লেখক, কলামিস্ট আর ব্লগিং তো করিই সব সময়।

বিদ্যুৎ

আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে কোন অবস্থায় মৃত্যু কামনা করা ইসলামে নিষিদ্ধ।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৪০



বিষয়টি নিয়ে কোন কিছু লিখতে চাইনি কিন্তু না লিখে পারলাম না। তবে সময় স্বল্পতার কারণে সামান্য কিছু সবার সাথে শেয়ার করতে চায়।
ইসলাম ধর্মের ৫টি স্তম্ভের নাম হল কালেমা, নামাজ, রোজা, যাকাত ও হাজ্জ। এই ৫টি মূল স্তম্ভের উপর বিশ্বাস স্থাপন সকল মুসলমানদের আবশ্যক। কালেমা, নামাজ ও রোজা ধনী গরীব সবার জন্য পালন করা বাধ্যতামূলক হলেও যাকাত ও হাজ্জ শুধু মাত্র ধনী বা আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী মুসলমানের জন্য আবশ্যক। বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জন গোষ্ঠীর দেশ কিন্তু দল মত নির্বিশেষে মুনাফিক মুসলমানের সংখ্যা বেশি হওয়ায় ইসলামী আইন বা শাসন ব্যবস্থা প্রচলন সম্ভব হয়নি। সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হল যে প্রায় সমস্ত মানুষ, দল ও সংগঠন যারা নিজেদের ইসলামের খাদেম বা ধারক বলে প্রচার করে থাকে মূলত তারাই কোন না কোন ভাবে ইসলামের ভূল ব্যাখা করে থাকে। যারা ইসলাম বুঝতে চায় তাদের কে বুঝাতে না পেরে নাস্তিক বলে অপপ্রচার করে থাকে যা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। এর মূল কারণ হল পর্যাপ্ত ইসলামী জ্ঞান না অর্জন করে বেশি জানে এই রকম আত্নপ্রচার করা। মোট কথা কুসংস্কার তাদের গ্রাস করেছে। বাংলাদেশের অনেক মানুষের ধারণা যে, যদি কেউ সৌদি আরবে মারা যায় সে সরাসরি জান্নাতে যাবে। আর হজ্জ করতে গিয়ে মারা গেলে তো কথায় নেই বিনা হিসেবে জান্নাত! আমাদের মধ্যে কিছু মানুষ এমন মানুষিক বিকারগ্রস্থ হয়েছে যে তা কল্পনাও করা যায় না। তাদের মন মানুসিকতা বড়ই নিষ্ঠুর আকার ধারণ করেছে। সাম্প্রতি মক্কায় আল হারাম মসজিদে ক্রেন দুর্ঘটনায় ১০৭ জন হাজ্জ যাত্রী প্রাণ হারান আর ২৩৮ জন মারাত্মক আহত হন। আহতদের মধ্যে অনেকের হাত নেই, পা নেই অর্থাৎ শরীরের কোন না কোন অংশ হারিয়েছেন তাঁরা। বড়ই হৃদয় বিদারক ব্যাপার। বিভিন্ন দেশ, দেশের প্রধান ব্যাক্তিবর্গ দুঃখ প্রকাশ করে বার্তা দিয়েছেন এমন কি সৌদি বাদশা আহতদের দেখতে গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং নিহতদের স্মরণে শোক প্রকাশ করে বলেছে দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে জনগণকে জানাবেন। আমাদের দেশে বেশির ভাগ হারামখোর মুসলমান দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যুতে খুশি, তাদের কথা নিহতরা ডাইরেক্ট জান্নাতে। এইরকম নিষ্ঠুরতা প্রকাশ করায় উপস্থিত গোটা পনের জনের সাথে আমার কিছুটা বাদানুবাদ হয় তারা বেশি খুশি এই নির্মম মৃত্যুর জন্য এই কথার আমি কিছুটা দ্বিমত ব্যাক্ত করায় তারা আমাকে নাস্তিক বানিয়ে দিল মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে। তাদের অনেকের কথা হাজ্জ করতে যাওয়ার আগে সব হজ্জ যাত্রীরা নাকি মৃত্যু কামনা করে যেন হজ্জ পালন অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু হয়। কিন্তু ইসলামে পরিষ্কার ভাবে নিষেধ করা হয়েছে মৃত্যু কামনা না করতে। কথার খাতিরে ধরেই নিলাম যারা সৌদি আরবে গিয়ে মারা যায় বিশেষ করে হজ্জ করতে গিয়ে মারা যায় তারা জান্নাতে যাবে, কিন্তু যারা গুরুতর আহত হয়ে চিরতরে পঙ্গু হয়ে রইল তাঁরা কথায় যাবে। মানুষের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা যে, সেখানে মারা গেলে জান্নাতে যাবে কিন্তু যারা জীবিত থাকবে তাঁরা কি জাহান্নামী হবে?
হ্যাঁ আমার অনেক ভূল আছে কিন্তু আমি তো একজন মুসলমান। ইসলামে সমস্ত বিষয় আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি কিন্তু তারা আমাকে যে জোর করে নাস্তিক অপবাদ দিল তার জন্য তাদেরকে হয়তো শাস্ত্রী পেতে হবে। আল্লাহ তুমি আমাদের সঠিক বুঝ দান কর।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৫

বাতাস০০০১ বলেছেন: ঠিক

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৭

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.