নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ
দুনিয়ার সব মানুষই অবিশ্বাসী একে অপরের কাছে। যারা যে মতবাদ বিশ্বাস করে তাঁরা ভাবে বাকী সবাই অবিশ্বাসী। কি ধর্ম, কি আদর্শ, এমন কি কর্তৃত্ববাদের ক্ষেত্রেও একই রকম। ভাববাদী, আদর্শবাদী, কর্মবাদী এই সুন্দর বিষয়গুলোর আমরা ধার ধারীনা। আমরা এখন নারীবাদী আর পুরুষবাদী নিয়ে চরম বিভাজনে আমরা বিভক্ত। আমরা মানুষবাদী হতে পারিনি। আমরা যে মানুষ এই কথাটি একেবারে ভুলেগেছি। আমরা নারী আর পুরুষ বাদে বিভাজিত হয়ে এক নগ্ন খেলায় মেতে আছি। আমাদের রাষ্ট্র, সমাজ নারীদের উৎসাহিত করেছে তাঁদের অধিকারের দাবীতে। খুবই ভাল কথা। কিন্তু নারীরা যখন অধিকারের জন্য ঘরের বাহির হয় তাঁদের নিরাপত্তা কি সুনিশ্চিত করেছে আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজ? বেশি ইতিবাচক তাই ধরে নিলাম যে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেছে আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজ। তাহলে আজ কেন নারীদের ভাবতে হয় রাস্তায় বের হলে সাথে কেউ কনডম, কেউ পিপার স্প্রে, কেউ বা আবার দা-ছুরি নিয়ে বের হবে? আমাদের সমাজে এখন অনেক পুরুষ যেমন ভুলে গেছে তাঁরা যে একটা মেয়ের বাবা হতে পারেন, ভাই হতে পারেন। আবার অনেক নারীও ভুলে গেছেন যে তাঁরা একটি ছেলের মা হতে পারেন অথবা বোন। শুধু তাই নয় আমরা ভূলেই গেছি যে নারী পুরুষের সমন্বয়েই আজকের এই সুন্দর ভুবন। অতি উৎসাহী কিছু নারী নেত্রী যেমন ঢালাও ভাবে পুরুষ বিদ্বেষী তেমনি কিছু পুরুষও বেপরোয়া। মৌলোবী-মুন্সিরা ধর্মের কথা বলছেন নারীদের পর্দা করতে হবে, ঘরে বন্দি থাকতে হবে। মানি পর্দা করা ভাল কিন্তু পর্দা না করলে তাকে ধর্ষণ কেন করতে হবে? এমনও শোনা যায় মৌলোবী-মুন্সিরা বলে বেপর্দা মহিলা দেখে যদি তোমার কামুক বাবা! খেপে না উঠে তাহলে নাকি ডাক্তার দেখাতে হবে। আচ্ছা না হয় মেনে নিলাম এই কথা, কিন্তু কামুক বাবা! খেপে উঠবে আর নির্লজ্জ হয়ে ব্যহায়াপনায় লিপ্ত হতে হবে তা কোথায় পেলেন মৌলোবী-মুন্সিরা? কামুক বাবা! খেপে উঠে জলে ডুবে যাক তাতে কোন সমস্যা নাই, না ধর্মের না ব্যাক্তি চরিত্রের। সমস্যা হল; কামুক বাবা! খেপে উঠবে আর তখনই পর নারীদের উপর নির্লজ্জ ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে আর বেপর্দা নারী বলে তোমার কাছে হালাল হয়ে যাবে। আর এমন তো নয় যে পর্দা করে এমন নারী ধর্ষিত হয়নি। প্রতিটি মানুষের মধ্যে দুটি প্রবৃত্তি আছে একটি কুপ্রবৃত্তি আর অন্যটি সুপ্রবৃত্তি। এই কুপ্রবৃত্তির বিরুদ্ধে লড়াই করা হল জিহাদে আকবর মানে বড় জিহাদ।
নারীদের প্রতি পুরুষের অনুরূপ ভাবে পুরুষদের প্রতি নারীদের আকর্ষণ থাকবে এটাই স্বাভাবিক ও সুন্দর। এটা না থাকলে তো নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কাহারও সম্মান, মর্যাদা এমন কি মূল্যায়ন কিছুই থাকবে না। বিশেষ করে পশ্চিমা দেশ গুলোতে নারী পুরুষের সমান অধিকার আছে ঠিকই কিন্তু মান, মর্যাদা ও মূল্যায়ন কি আছে একে অপরের কাছে? তাঁরা একে অপরের কাছে নারী পুরুষ হিসেবে যথেষ্ট মূল্যায়িত না হওয়ার কারণে একসময় হতাশাগ্রস্থ হয়ে পরে আর তা থেকে তাঁরা বিকল্প হিসেবে সমলিঙ্গের আলিঙ্গের পথ বেছে নেই। এভাবেই হয়ত নারী পুরুষের স্বাভাবিক সম্পর্ক এক সময় হারিয়ে যাবে। যা হবে খুবই অস্বাভাবিক একটি ব্যাপার।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৯
বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৭
পিচ্চি হুজুর বলেছেন: আমাদের সমাজে এখন অনেক পুরুষ যেমন ভুলে গেছে তাঁরা যে একটা মেয়ের বাবা হতে পারেন, ভাই হতে পারেন - এইটা ভূলাইয়া দেয়া হইছে। যেই ছেলে শীলা কা জাওয়ানি আর সানী লিওনের আইটেম সং দেখে বড় হয় তার কাছে মেয়ে মানেই ভোগ্য পণ্য।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৪
বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য। আশাকরি সকল পিতামাতা তাঁদের নিজ নিজ সন্তানদের অশ্লীল সংস্কৃতির থাবা থেকে বিরত রাখবেন এবং সুস্থ সংস্কৃতির জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করবেন।
৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৪
আহা রুবন বলেছেন: আপনার লেখাটি খুব ভাল লাগল। এক পেশে নয়, যৌক্তিকভাবেই কথাগুলো বলেছেন। কিছুদিন আগে কথা হচ্ছিল ছোট কাকার সঙ্গে, তিনি হাই স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক। তো বললাম 'আপনারা বৌ-কে ভিলেন বানান আর এন জি ও, নারীবাদীরারা ভিলেন বানায় শাশুড়িদের। আসলে তো বাস্তব অবস্থা দুটোর মাঝামাঝি।' তাঁর জবাব ছিল 'ওটা ওয়াজ জমানোর কৌশল।'
আমরা শুধু জমানোর ধান্দায় থাকি, বাহবা চাই। সত্যিটা বের করার চেষ্টা করি না।
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৩
বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত জানানোর জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৭
শুকনো কাঠ বলেছেন: ভাল ছিল লিখাটা............!