নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ- ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ; কবি, লেখক, কলামিস্ট আর ব্লগিং তো করিই সব সময়।

বিদ্যুৎ

আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোন জেদাজেদি নয়, আবগারি শুল্কের প্রত্যাহার চাই।

১৩ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫


বিশ্ব ব্যাংকের এক জরিপে প্রকাশ করা হয়েছে যে বাংলাদেশে প্রায় ৭ কোটি ৪০ লাখ মানুষের অর্থ লেনদেনের কোন ব্যাংক হিসাব নেই। তাহলে ভাবুন তো তাঁরা কিভাবে টাকা লেনদেন বা জমা রাখেন? তাঁরা টাকা জমা রাখেন লেপ,কাঁথা,বালিশ, বাঁশের চোঙ অথবা বাক্সে। ভারসাম্যহীন বাজেট দিয়েছেন মাননীয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। বাজেটে বাস্তবায়নে জন্য একেবারে অযোগ্য। শুধু বড় অংকের বাজেট দিলেই দেশ উন্নয়ন মুখী তা কেউ বলতে পারবে না। বাজেট বাস্তবায়নে সক্ষমতা থাকতে হবে। বড় অংকের ঘারতি বাজেট দিয়ে গর্ব করার কিছু নেই। যদি কেউ জানে যে, বাজেটের ঘারতি পুরনের জন্য কেউ ব্যাংকে এক লক্ষ টাকা রাখার সাথে সাথে ৮০০ টাকা সরকার নিয়ে নেবে তাহলে কে চাইবে সে ব্যাংকে টাকা জমা রাখবে। যদিও আগে থেকেই গোপনে ব্যাংক জমার উপর আবগারি শুল্ক কাটা হত। তবে এবের একটু বেশি বেশি চাই অর্থমন্ত্রী কারণ তার রেকর্ড পরিমাণ বাজেটে যে রেকর্ড পরিমাণ ঘারতি। বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যারা নিম্ন,নিম্নমধ্য আয়ের মানুষ তাঁরা কোন ভাবেই ব্যাংকে টাকা জমা রাখতে উৎসাহিত হবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে এক লক্ষ থেকে দশ লক্ষ আছে এমন হিসাবের সংখ্যা রয়েছে ৭৩লক্ষ ১৬হাজার ৮৬৯ টি। তার মধ্যে শুধু ১-২ লক্ষ টাকার আছে এমন হিসাবের সংখ্যা ৩৩লাখ ৬২হাজার ৯১৪টি। যাদের বেশি অর্থ আছে তাঁদের কথা বাদ দিলাম কিন্তু যারা ১-২ লক্ষ টাকার বা ১-১০লাখ টাকার হিসাবধারী তাঁরা কি আদৌ ব্যাংক হিসাবে টাকা জমা রাখবে? নাকি সেই ঘরে লেপ,কাঁথা,বালিশ, বাঁশের চোঙ, বিছানার নিচে অথবা বাক্সে রাখবে? এই ভাবে সরকারি ছত্রছায়ায় ব্যাংক লুট,জমা অর্থের উপর অতিরিক্ত আবগারি শুল্ক, ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে ঝুকির মুখে ঠেলে দেওয়া মানুষকে পুরোপুরি ব্যাংকিং বিমুখ করবে। প্রবাসীরা বৈধ পথে দেশে টাকা পাঠাতে নিরুৎসাহিত হবে। এমনিতেই গত অর্থ বছরে রেমিটেন্স প্রবাহ কমে গেছে। ফলশ্রুতিতে দেশে তারল্য সংকট দেখা দিবে এবং ব্যাংকিং খাত ধ্বংস হয়ে যাবে এক সময়।
বাংলাদেশ ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিক এর তথ্য মতে, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ১,৪৬৬ ডলার। যদি এই ৭ কোটি ৪০ লাখ মানুষের অর্থ লেনদেন ব্যাংকিং ব্যবস্থায় হত তাহলে ৭ কোটি ৪০ লাখ গুণন ১,৪৬৬ ডলার সমান প্রায় ১০৯ বিলিয়ন ডলার মানুষের ঘরে লেপ,কাঁথা,বালিশ, বাঁশের চোঙ, বিছানার নিচে অথবা বাক্সে অলস পরে থাকত না। যদি সরকার ব্যাংকিং ব্যবস্থা সহজ এবং সুকঠিন নিরাপত্তা বিধান করত তাহলে সরকারের হাতে গড়ে বার্ষিক অতিরিক্ত প্রায় ১০৯ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ জমা থাকত।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


এক ব্লগার বলেছিলেন, এটাই যদি মুহিতের " জীবনের বড় বাজেট" হয়ে থাকে, উনার জীবনটা পুরোপুরিই অপ্রয়োজনীয় ছিল!

১৪ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৫:২৯

বিদ্যুৎ বলেছেন: আমার মনে হয় এসবই আবেগি কথা। যাইহোক আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:০২

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: কর দেয়া তো অনাকাংখিত নয়, কিন্তু মানুষ কেন কর দেবে যদি করের টাকা দুর্নীতির পেটে চলে যায়!

১৪ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৫:৩৫

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। সমস্যা তো দুর্নীতি। কর তো মানুষ দিবেই নির্দিষ্ট পরিমাণ আয়ের উপর। কিন্তু আবগারি শুল্ক হল কর দেওয়ার পর মানুষ নিরাপত্তার জন্য ব্যাংকে জমা রাখলে আবার কেটে নেবে। খুবই অন্যায়। এতে মানুষ ব্যাংকিং বিমুখ হবে তাতে রাষ্ট্রের ক্ষতি হবে। অবশ্য এই অতিরিক্ত আদায়ের কারণ হল নিজেদের আখের গোছানো। দেশ গোল্লায় যাক তাতের মিঃ মালের কোন কিছু আসে যায় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.