নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ- ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ; কবি, লেখক, কলামিস্ট আর ব্লগিং তো করিই সব সময়।

বিদ্যুৎ

আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নির্বাচন যেন খরচের মহা উৎসব।

২৪ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:২২


দেশে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা নেই তা আমরা সবাই জানি। রাজনীতিবিদরা যখন নির্বাচনের আগে সেবক হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় গিয়ে শোষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ সেই উপলব্ধি থেকে জার্মান বংশদ্ভুত আমেরিকান কবি ও লেখক চার্লস বুকওয়স্কি বলেছিলেন যে "গণতন্ত্র আর স্বৈরতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য হল গণতন্ত্রের জন্য আগে ভোট দিতে হয় তারপর শোষিত হতে হয় আর স্বৈরতন্ত্রের জন্য ভোট দিয়ে সময় নষ্ট করতে হয় না।" কিন্তু আমরা কোন সরকার ব্যবস্থার অধীনে পরিচালিত হচ্ছি? আমাদের জনগণকে ভোট দিয়ে সময় নষ্ট করতে হয়নি তবে শত শত কোটি টাকা গচ্চা দিতে হয়েছে গত ৫ই জানুয়ারী নির্বাচন নামে রঙ্গ নাটকের জন্য যা এদেশের জনগণের রক্ত ঘাম করা উপার্জিত অর্থ। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য মোট বাজেট ধরা হয়েছিল ৫০০ কোটি টাকা। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকার নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য পরিকল্পিত ভাবে মোট ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসনে নিজ দলের প্রার্থীদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করেছিল। নির্বাচন হয়েছিল মাত্র ১৪৭টি আসনে। তারপরও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা কাজে মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৯২ কোটি টাকা। অথচ অষ্টম ও নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাজেট ছিল যথাক্রমে ৭২ কোটি ৭১ লাখ টাকা এবং ৯২ কোটি ২৯ লাখ টাকা যা পরবর্তীতে বেড়ে ১৬৫ কোটি হয়েছিল। কিন্তু সরকারের উন্নয়নের কারিশমায় নির্বাচনী বাজেট হয়েছিল ৫০০ কোটি টাকা। কল্পনা করা যায় কোন অলৌকিক কারণে নির্বাচনী ব্যয় এক লাফে তিন গুন বেড়ে যায়। শেখ হাসিনা সরকার হয়ত বলতেই পারে যে সরকার পরিকল্পিত ভাবে অর্ধেকের বেশি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করায় সেই আসন গুলোতে যেহেতু নির্বাচন হয়নি তাই নির্বাচনী ব্যয় এক তৃতীয়াংশ কম হয়েছিল। এবার হয়ত শেখ হাসিনা সরকার বলতে পারেন সরকার অনেক উন্নয়ন করেছে তাই এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য আওয়ামীলীগ সরকার দরকার। আর এই জন্য সামনে আর কোন জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার দরকার নেই। অবশ্য ইতিমধ্যে সংসদে তথাকথিত সাংসদ একজন বলেছেন নির্বাচন করার দরকার নেই। এই ভাবে দেশ নাকি ভালই চলছে। তারা হয়ত যুক্তি দেখাবে নির্বাচন দিলে এবার ৫০০ কোটি থেকে বেড়ে ১হাজার কোটি খরচ হতে পারে। তবে মেয়াদ শেষ হলে আরও একটি ৫ই জানুয়ারি উপহার দেশবাসীকে দেওয়ার চেষ্টা করবে। কারণ বিশ্বকে দেখাবে সংবিধান রক্ষায় সরকার নির্বাচন করেছে অন্যদিকে নির্বাচনী ব্যয় নামে শত শত কোটি টাকা তছরুপ করতে পারবে। তাতে সরকার এক ঢিলে দুই পাখি মারবে। তবে সময়ই সব বলে দিবে। এসবই জনগণের টাকা থেকে খরচ করেছে সরকার। সব খরচের দায় ভার জনগণের ঘাড়ে চাপানো হয়েছে।
বাংলাদেশে ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে মাথাপিছু ঋন এর পরিমাণ ছিল ১৩,১৬০ টাকা। গত বছরের জুনে অর্থমন্ত্রী ২০১২-২০১৩ অর্থবছরের হিসাব দিয়ে সংসদে বলেছিলেন, বাংলাদেশের জনগণে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ১২ হাজার ৭০০ টাকা। এই হিসাবে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৪৬০ টাকা। বর্তমানে যে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ আরও বেড়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। সরকার ব্যবস্থা যায় হোক আর যেই দলই সরকার হোক এই ঋণ জনগণকেই পরিশোধ করতে হবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:৫০

তেল আবিব বলেছেন: ভাইয়ু!!!!!!!!!

বাহ!!!!!!!!

মুগ্ধ মুগ্ধ মুগ্ধ!!!!!!!!

কেন মুগ্ধ জানিনা!!!!!!!!

:(

২৫ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৫:৩৫

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.