নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ- ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ; কবি, লেখক, কলামিস্ট আর ব্লগিং তো করিই সব সময়।

বিদ্যুৎ

আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তথাকথিত আওয়ামীলীগ সরকারের গণমাধ্যম ও স্বাধীন মত প্রকাশের উপর কঠোর নিয়ন্ত্রন বিদেশি বন্ধুদের কাছে প্রকাশ পাচ্ছে।

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ ভোর ৬:৩৮


বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মের পর থেকেই কেন এবং কিসের জন্য বার বার আওয়ামীলীগ গণমাধ্যম ও স্বাধীন মত প্রকাশের উপর অবৈধ ভাবে নিয়ন্ত্রন করতে চাই। আওয়ামীলীগের কি এমন সমস্যা আছে যা গণমাধ্যম ও স্বাধীন মত প্রকাশের অন্তরায়???? গত কিছু দিন আগে তথাকথিত আওয়ামীলীগ সরকার বিদেশে বাংলাদেশী সংবাদকর্মী ও লেখকদের উপর নজরদারীর জন্য বিদেশে অবস্থিত মিশনগুলোতে চিঠি পাঠিয়েছিল। তার ফলশ্রুতিতে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে হালনাগাত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশে স্বাধীন মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে প্রধানত দুদিক থেকে বাধা আছে। একটি ক্ষমতাসীনদের তরফ থেকে, অন্যটির উৎস ধর্মীয় উগ্রবাদীরা। উগ্রবাদীদের কাছ থেকে কোনো ব্যক্তি নির্যাতনের বা মৃত্যুর ভয়ে থাকলে হয়তো তাঁর সুরক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু সরকারের বিরাগভাজন হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো সুরক্ষা পান না।
শুক্রবার বাংলাদেশ প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (হোম অফিস) প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্যে এ কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশের কোনো নাগরিক প্রাণনাশের ভয়ে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চাইলে সেই আবেদন কীভাবে বিবেচনা করা হবে, তার নির্দেশনা হিসেবে এমন হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে দেশটি। ‘কান্ট্রি পলিসি অ্যান্ড ইনফরমেশন নোট: জার্নালিস্ট, পাবলিশার্স অ্যান্ড ইন্টারনেট ব্লগার্স’ শীর্ষক নির্দেশনায় বাংলাদেশে গণমাধ্যম ও ইন্টারনেটে ভিন্নমত প্রকাশের ঝুঁকিগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে। শুধু মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ঝুঁকি নিয়ে এটিই প্রথম কোনো নির্দেশিকা, যেখানে সাংবাদিক, সম্পাদক, ব্লগারদের আশ্রয় আবেদন বিবেচনার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠনের বরাত দিয়ে বাংলাদেশে স্বাধীন মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে আইনি বাধা, আইনের অপব্যাখ্যা করে হয়রানি, গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে হুমকি ও সাংবাদিকদের নিপীড়নের অস্তিত্বের কথা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে ৩২ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সংবিধানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়টি আছে। কিন্তু অস্পষ্ট শব্দচয়নে তৈরি বিভিন্ন আইনের ধারা ব্যবহার করে সরকার হুমকি, হয়রানি ও গ্রেপ্তারের সুযোগ নেয়। নজরদারিতে রাখে। মানহানি ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনে। কিংবা বাধ্য করে সম্পাদক, প্রকাশক ও সাংবাদিকেরা যাতে নিজ থেকেই সরকারের সমালোচনার পথ এড়িয়ে চলেন (সেল্ফ সেন্সরশিপ)। এতে বলা হয়, রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের বেসরকারি সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেলগুলো নিয়ন্ত্রণ করে। সরকারি বিজ্ঞাপন বণ্টন করে সরকার গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের অনুষ্ঠানে কোনো কোনো সংবাদপত্রের কর্মীদের প্রবেশাধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রসঙ্গ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, মতপ্রকাশের কারণে ২০১৩ সাল থেকে অন্তত ৯ জন ধর্মীয় উগ্রবাদীদের হাতে নিহত হয়েছেন। আপাতদৃষ্টিতে এই নির্দেশিকা যুক্তরাজ্যে আশ্রয় আবেদনে ইচ্ছুক নিরাপত্তাহীন বাংলাদেশি লেখক ও গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য ইতিবাচক মনে হতে পারে।কিন্তু বাংলাদেশের গণমাধ্যম, সরকার ও দেশের ভাবমূর্তির জন্য এ চিত্র মোটেই শুভ নয়।
তবে সরকারের বিদেশি বন্ধু সংখ্যা ধীরে ধীরে সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। সরকার এখন বাধ্য দেশের মানুষের ভোটের অধিকারের সাথে সাথে কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে দিতে। ভোটের এবং কথা বলার অধিকার জনগণ ফিরিয়ে পেলে তথাকথিত আওয়ামীলীগ সরকারের অবস্থা কি হবে তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তা জানেন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:০৭

আহা রুবন বলেছেন: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় অহরহ ফালতু কিছু মামলা হয় বটে, কিন্তু বিদেশে বাংলাদেশ সম্পর্কে যে মত প্রকাশের স্বাধীনতা স্তব্ধ হয়েছে বলে রটনা রয়েছে, তার সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই।

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:২৩

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি নিজেই স্বীকার করেছেন ৫৭ ধারায় অহরহ মামলা হয়। সেন্সরশিপের কথা বাদ দিলাম কিন্তু ৫৭ ধারা বিষয়টি যে স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য অন্তরায় তাতে কোন সন্দেহ নেই। আমি ৩২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি মোটামুটি পড়ে তার কিছু সার সংক্ষেপ লিখেছি। প্রতিবেদনটি দেখলে আপনিও বিশ্বাস করবেন যে বাস্তবের সঙ্গে পুরো মিল আছে কারণ প্রতিবেদনটি তৈরি হয়েছে প্রতিটি রেফারেন্স সহাকারে।

২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:১৫

সাপলুডু বলেছেন: যদিও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, তবুও সব পাবলিক যদি স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে থাকে তাহলে আমাদের দেশীয় রাজনীতিকেরা কোনো পথ দেখবেন না চোখে-মুখে! এরপর আমাদের কালচার অনুযায়ী সারা দেশে শুরু হবে বিশৃঙ্খলা, হানাহানি, খন্ডযুদ্ধ!! গণমাধ্যমগুলোরও একটা দোষ আছে, এঁরা সবসময় স্বচ্ছ নয়। বিশেষ করে তিলকে এরা যেভাবে তাল বানাতে পারে সেটা কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভয়ানক। তারপরও স্বাধীনতা খুবই জরুরি তা না হলেও স্বচ্ছতা আসে না। বিষয়টি তুলে ধরার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো।

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৪০

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনার জন্যেও শুভকামনা থাকল। ভাল ও নিরাপদে থাকবেন সব সময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.