নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ- ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ; কবি, লেখক, কলামিস্ট আর ব্লগিং তো করিই সব সময়।

বিদ্যুৎ

আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্রহণযোগ্য একটি স্থায়ী নির্বাচন ব্যবস্থা পারে দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে।

৩০ শে জুলাই, ২০১৭ ভোর ৬:৩৬


আমরা সাধারণ জনগণ খুব অসম্মান বোধ করি যখন দেখি আওয়ামীলীগ সরকার নিজেদের ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে থাকার জন্য ভারত সরকারের পদ লেহ্যন করে। মাঝে মাঝে মনে হয় আমরা ভারতের শুধু অঙ্গ রাজ্যই নয় যেন তাঁদের গোলামী রাজ্য। ভারতের রাজ্য সরকারের যে অধিকার ও সামর্থ্য আছে কেন্দ্র সরকারকে চ্যালেন্স করার আমরা একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হয়েও তা করতে পারিনা কারণ এই সরকারের ক্ষমতা ভারত নির্ভর হওয়ায়। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। এই সত্য যেন আমাদের নেতারা ভুলে গেছে। আমিও অনেকের মত ভাবি আমাদের এই কষ্টার্জিত স্বাধীনতা কোন দিন হারাবেনা। কিন্তু ক্রমাগত ভারতের পদ লেহ্যন যে আমাদের শঙ্কিত করেছে দিনকে দিন। একসময় বাংলার স্বাধীন নবাব সারা বাংলা শাসন করত। তাঁরা কি কখনো ভেবে ছিল তাঁদের এই দুর্দিন আসবে? সেই হাজার হাজার মাইল দূর থেকে ইংরেজরা বাংলায় এসে দখল করে নিয়েছিল। সাথে সহযোগী হিসাবে পেয়েছিল মীরজাফর কে। আর ভারত হল বাংলাদেশের নাকের ডগায়। সুবিধামত সময়ে যে তাঁরা সিকিম দখলের মত বাংলাদেশ দখল করবে না তার কি নিশ্চয়তা আছে? ভারতের নেতৃবৃন্দ সবসময় অখণ্ড ভারত গড়ার স্বপ্নে বিভোর। নিরাপত্তার স্বার্থে চীন ও পাকিস্তানকে মোকাবেলা করার জন্য ভারত চাই এর প্রতিবেশী দেশগুলোকে নানাভাবে বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে তাদেরকে প্রচণ্ড দুর্বল করে নিজেদের সুবিধা আদায় করতে। শুধু সিকিমের স্বাধীনতা হারানোর ইতিহাস পড়লে যে কেউ বিশ্বাস করতে বাধ্য হবে যে বাংলাদেশও একদিন তার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হারাতে পারে। ১৭৫৭ সালে বাংলার স্বাধীনতা লুণ্ঠন করতে ইংরেজরা যেমন মীরজাফর কে পেয়েছিল তেমনি ১৯৭৫ সালে সিকিম দখল করতে ভারত পেয়েছিল মীরজাফররুপী কাজী লেন্ডুপ দরজিকে। সেই সময়ের ভারত নেতৃবৃন্দ শুধু লর্ড ক্লাইভের ভূমিকা পালন করেছিল। ১৯৭৩ সালে সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেস ভোটের কারচুপির অভিযোগ এনে সারাদেশ ব্যাপী তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে। যে আন্দোলন সরাসরি রাজতন্ত্র পতনের আন্দোলনে রুপ নেয়। এরও আগে ১৯৬৫ সালে গয়াল বিক্ষোভ দমনের জন্য রাজা চোগিয়াল পন্ডেল থন্ডুপ ভারত সরকারের সাহায্য চাই। সেই থেকেই শুরু। চরম আধিপাত্যবাদী ভারত সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। চোগিয়াল পন্ডেল আর লেন্দুপ দরজির দা কুমড়া সম্পর্ক ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কাজে লাগিয়ে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের মানচিত্র খুব সহজেই পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে ফেলে। সেদিন এই নীল নকশার মাধ্যমে কবর রচিত হয় প্রায় চার’শ বছরের রাজতন্ত্র আর একটি স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্রের। একমাত্র চীন ছাড়া প্রায় জাতিসংঘের সবগুলো রাষ্ট্রই সিকিমকে আধিপত্যবাদী ভারতের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাওয়াকে সমর্থন করেছিল কারণ হিসেবে তাঁরা উল্লেখ করেছিল যে অন্ততপক্ষে সেখানে তাঁরা গণতন্ত্র দেখতে পাচ্ছেন। আমাদের দেশ পৃথিবীর মানচিত্রে ভৌগলিক অবস্থান ও বিশ্ব নিয়ন্ত্রণের এক গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে অবস্থিত। সেটা ভারতের জন্য যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা বলার কোন অপেক্ষাই রাখেনা। প্রতি পাঁচ বছর পর পর আমাদের দেশে সরকার পরিবর্তনের নির্বাচন আসে। সাথে নিয়ে আসে রাজ্যের যত শঙ্কা। পাঁচ বছর মেয়াদের যে কোন সরকারের অধীনে দেশ যতটুকু এগিয়ে যায় শুধু এক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশ যেন তার পাঁচ গুন পিছিয়ে যায়। কারণ আজ স্বাধীনতার প্রায় পাঁচ দশক পরেও আমরা একটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারি নাই। আমাদের দেশে আওয়ামীলীগ এবং বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী দল (বি এন পি) বা এই দুই দল ঘরানায় জোট মূলত দেশ শাসন করছে। ক্ষমতায় যাওয়া আর ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখার জন্য এই দুই দলের মধ্যে সম্পর্ক ঐ সিকিমের রাজনৈতিক চোগিয়াল পন্ডেল আর লেন্দুপ দরজির মত সাপে নেউলে সম্পর্ক। মূলত দুই দলই ভারতের আনুকূল্য পেতে চায় কিন্তু আওয়ামীলীগ এ ক্ষেত্রে মরিয়া। তাঁদের ভূমিকা অনেকটা প্রকাশ্যে এরকম দেশ ভারত নিয়ে নিক কিন্তু আমরা ক্ষমতায় থাকতে চাই চাই! বাংলাদেশের সব জনগণের মত আমিও ভীষণ আশাবাদী ১৯৭১ সালের মত প্রয়োজনে আবারও প্রাণ দিতে প্রস্তত দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রাক্ষায়। কিন্তু দুরচিন্তা হল যদি আওয়ামীলীগ তাঁদের ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে কাজী লেন্ডুপ দরজির ভুমিকায় অবতীর্ণ হয় তাহলে তো আমরা সাধারণ জনগণ শুধু প্রাণ দিতে পারব কিন্তু স্বাধীনতা কি রক্ষা করতে পারব? তাই টেকসই গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায় বিচার ও স্থায়ী নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা পারে এই দুরাবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করতে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্বাধীনভাবে ইচ্ছেমত ভোট দিতে পারাটা জনগণের হক। আর এটার জন্য একটা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য জনগণ তাদের আস্থা নির্বাচন কমিশন এর কাছে আমানত হিসেবে রাখে। এই হক আর আমানতের খেয়ানত হলে জাতির জীবনে দুর্ভোগ আর অনাচার নেমে আসে।

৩১ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৯

বিদ্যুৎ বলেছেন: হ্যাঁ আপনি ঠিক বলেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬

মুন্না৩৮ বলেছেন: হিরকরাজার দেশে আর যতকিছুই হোক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়

৩১ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১

বিদ্যুৎ বলেছেন: আমরা কেউ বলতে পারব না তবে সময়ে সব কিছু জানা যাবে। যাইহোক আমরা আশা করতেই পারি ভাল কিছুর জন্য। আপনাকে ধন্যবাদ।

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৩

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ওটা আর যাই হোক এখন আর সম্ভব নয়। সেই দুঃস্বপ্ন অন্তত পক্ষে হাসিনা গদি আকড়ে থাকলে সম্ভব নয়।

৩১ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৭

বিদ্যুৎ বলেছেন: হয়ত আপনি ঠিকই বলেছেন। এক সময় শেখ মুজিবর রহমান ছাড়া, বাকশাল ছাড়া, স্বৈরতন্ত্র ছাড়া এদেশ কল্পনাও করা যেত না কিন্তু ঠিকই কেউ না কেউ ত্রাতা হয়ে এসেছে এবং লাইন চুত্য দেশকে আবার লাইনে তুলেছে। অতএব আমরা সুন্দর দিনের আশা করতেই পারি। ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫৩

মোঃ শরিফুজ্জামান সুজন বলেছেন: আজ ঢাকা যেমন পানির নিচে তলিয়ে গেছে হাসিনা ঠিক তেমনি তলিয়ে যাবে ___ ইনশাআল্লাহ্

৩১ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২০

বিদ্যুৎ বলেছেন: কোন কিছুই স্থায়ী নয় এমন কি কঠিন দুঃসময়ও। ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.