নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ- ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ; কবি, লেখক, কলামিস্ট আর ব্লগিং তো করিই সব সময়।

বিদ্যুৎ

আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিএনপি\'র ৩৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সফল হউক। স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক -০৪

৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৩৫


স্বনির্ভর দেশ গড়তে একদলীয় বাকশাল মুক্ত ও বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা কল্পে ১৯৭৮ সালে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মোট দশ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। এবারও ১৯ দফা কর্মসূচির মত বিপুল ভোটে দেশের জনগণ আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতীয় ঐক্যের প্রতীক জেনারেল জিয়াকে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করে। এক কোটিও বেশি ভোটের ব্যবধানে তাঁর নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট প্রার্থী জেনারেল জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টের শরিক দল গুলো নিয়ে ১৯৭৮ সালে ১লা সেপ্টেম্বর এই দিনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়। জিয়াউর রহমান ছিলেন উদার গণতান্ত্রিক এক অবিসংবাদিত নেতা। তিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অন্য সম্ভাব্য সব কিছুই করেছেন। কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন শক্তিশালী গণতন্ত্রই পারে দেশের টেকসই উন্নয়ন। সেই লক্ষ্যে ১৯৭৮ সালে ৩০ নভেম্বর এক ঘোষণায় প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ১৯৮৯ সালের ২৭শে জানুয়ারী তারিখের কথা উল্লেখ করেন। নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি ও শর্ত পূরণের জন্য দুই দফায় পিছিয়ে ১৮ই ফেব্রুয়ারী জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এবারও জনগণ জিয়াউর রহমানকে নিরঙ্কুশ সমর্থন ব্যক্ত করে তাঁর দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’কে ৩০০ আসনের মধ্যে ২০৭টি আসন উপহার দেয়। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সব সময় জয় লাভ করে। স্বনির্ভর বাংলাদেশের গড়ার জন্য শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন। জনগণকে সুসংগঠিত ও কাজে অনুপ্রাণিত করতে জেনারেল জিয়া গ্রাম-গঞ্জ সফর করে নিজ হাতে কাজ করে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে তলাবিহীন হিসেবে পরিচিত দেশকে একটি অপার সম্ভাবনাময় দেশে পরিণত করেন। খাদ্য উৎপাদনে দিগুণ সফলতা অর্জন করে বাংলাদেশ। দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ১৯৮১ সালে ৩০শে মে বিপথগামী কিছু সংখ্যক সেনা সদস্যের হাতে শাহাদাৎ বরণ করেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়া। অস্তমিত হল বাংলার রবি। ক্ষণজন্মা এই নেতার মৃত্যু পুরো জাতিকে স্তব্ধ করে দেয়। জাতি যখন শোকে বিহ্বল সেই সুযোগে ২৪শে মার্চ ১৯৮২ সালে রাতের অন্ধকারে জেনারেল এরশাদ বঙ্গভবনে ঢুকে বন্দুকের নলের মুখে রাষ্ট্র ক্ষমতা কেড়ে নেই। রচিত হতে থাকে জাতীয় জীবনে এক বিভীষিকাময় কালো অধ্যায়। জাতি স্বৈরাচার এরশাদের জাঁতাকলে প্রায় নিষ্পেষিত। শুরু হল দেশনেত্রী, আপোষহীন নেত্রী, দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন। দীর্ঘ আন্দোলন,সংগ্রাম, ত্যাগ- তিতিক্ষার ও জীবনের বিনিময়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃতে জনগণ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে। আওয়ামীলীগসহ অনেক রাজনৈতিক দল, এমনকি কিছু বিএনপি’র বিশ্বাসঘাতক নেতা স্বৈরাচার এরশাদের সাথে হাত মিলিয়ে পাতানো নির্বাচনে অংশ নিয়ে ছিল। কঠোর আন্দোলন সংগ্রামে জাতীয়তাবাদী শক্তি হারিয়েছে জেহাদ, ডাঃ মিলন সহ অনেক অকুতোভয় সৈনিকদের। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আপোষহীন নেত্রী হিসেবে আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে জনগণের সাথে থেকে গণতন্ত্র মুক্ত করেন। তারই পুরস্কার হিসেবে দীর্ঘ ৯ বছর স্বৈরশাসনের পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সরকার গঠন করে। ইতিহাস সৃষ্টি করে প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী এবং বিশ্বে প্রথম মুসলিম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সরকার গঠন করেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.