নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ- ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ; কবি, লেখক, কলামিস্ট আর ব্লগিং তো করিই সব সময়।

বিদ্যুৎ

আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বঙ্গ দর্শনের অভিজ্ঞতা-৪

২৮ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৭:৫৫



পশ্চিমা এক ভদ্রলোক এসেছিলেন বাংলাদেশে বিরাট অঙ্কের বিনিয়োগ করার চিন্তা মাথায় নিয়ে। বিদেশীরা এদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী শুধু যে সস্তা শ্রম তা নয়। এখানে মালের! স্পিরিট মানি ব্যাবসায়িদের জন্য আরেকটি আগ্রহের বিষয়। এই যেমন আপনি কাস্টম ডিউটি ২০ লাখ টাকা পরিশোধ করে দীর্ঘ দিন অপেক্ষা করছেন কিন্তু আপনার পণ্যের ছাড়পত্র দিচ্ছে না। কিন্তু আপনি ২০ লাখ টাকা খরচ না করে অসৎ কোন কাস্টম অফিসারকে ১০ লাখ টাকা দিবেন, তাতে কাস্টম ডিউটি ক্লিয়ার ছাড়পত্র তো পাবেনই পণ্য আপনারটা সবার আগে খালাস। তা যায় হোক ভদ্রলোক রাতে গেছেন বন্ধুদের সাথে ঢাকার অভিজাত কোন হোটেলের পানশালায় যেখানে নাইট ক্লাবও আছে সাথে বাইজী তো আছেই। যাইহোক শেষ রাত পর্যন্ত শরবত গিলে আর বাইজীর মনরঞ্জনে সময় খুব ভাল কেটেছে। কিন্তু রুমে ফিরে দেখে তার পকেট সব ফাঁকা! না খরচ করে পকেট ফাঁকা হয়নি, পকেট কেটে ফাঁকা করা হয়েছে। পকেটের মধ্যে যে ওয়ালেট ছিল তাতে কিছু টাকা ছিল বটে তবে দরকারি কিছু কাগজ এবং কয়েকটি ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ছিল। তাই পরের দিন থানায় মামলা করা হয়েছিল। মামলা পর্যন্তই শেষ দীর্ঘ অর্ধ যুগেও কোন সুরাহা হয়নি। তবে ওরা নাছোড় বান্দা নিজ দেশের এম্বাসির মাধ্যমে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করত কিন্তু আজও কিছুই উদ্ধার হয়নি। অপরাধ সংগঠিত হলে ওরা তেমনটা অবাক হয়না কিন্তু যখন দেখে অপরাধের কোন সঠিক তদন্ত এবং সঠিক বিচার হয়না তখন তারা হতবাক হয়। দেশের খ্যাতিমান এক শিল্পপতি তাকে এনেছিলেন এদেশে বিনিয়োগ করাতে কিন্তু এই বাজে অভিজ্ঞতা আর রাস্তার যানজটের কারণে নাকি তিনি এদেশে বিনিয়োগ আর করেন নাই। সুত্র বলে ঘটনা নাকি সত্যই ছিল।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৩৫

ঋতো আহমেদ বলেছেন: দুঃখজনক ও লজ্জাস্কর :(

২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬

বিদ্যুৎ বলেছেন: হ্যাঁ আপনি ঠিক বলেছেন তবে এখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। শুধু সরকার এবং প্রশাসনের উপর ভরসা করলে চলবে না। এগুলো খুবই তুচ্ছ বিষয় কিন্তু এর প্রভাব সুদূর প্রসারী। তাই আসুন আমরা সচেতন হই এবং আমাদের আশেপাশে কাছের মানুষদের সচেতন করি। আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ২৮ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


সবাই বিনিয়োগ করতে আপনার কাছে আসে?

৩| ২৮ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: তারপরও অনেকেই আসেন বিনিয়োগ করতে আসেন। এবং তারা মোটা টাকা ইনকাম করে নেন।

২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:১৯

বিদ্যুৎ বলেছেন: অনেকে আসে তবে আরও বেশি আসলে নিশ্চয় ভাল বৈই মন্দ হবে না। ধন্যবাদ রাজীব নুর আপনাকে।

৪| ২৮ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩১

সোহানী বলেছেন: খুব কমন একটি চিত্র....

২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:১৯

বিদ্যুৎ বলেছেন: হ্যাঁ আপনি ঠিক বলেছেন তবে এখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। শুধু সরকার এবং প্রশাসনের উপর ভরসা করলে চলবে না। এগুলো খুবই তুচ্ছ বিষয় কিন্তু এর প্রভাব সুদূর প্রসারী। তাই আসুন আমরা সচেতন হই এবং আমাদের আশেপাশে কাছের মানুষদের সচেতন করি। আপনাকে ধন্যবাদ।

৫| ২৮ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:১৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই যে আলীবাবা ব্রান্ডিং হচ্ছে বাংলাদেশের কেউ কি চিন্তিত!!!

আমাদের জাতী গত উন্নয়ন কি কেবলই রাজনৈতিক চাপায়!!!
উন্নত দেশ কি কেবলই পরিসংখ্যানের শুভংকরের ফাঁকির চাপা!

হিন্দি ছবির কল্যানে দেখি- পাঞ্জাবী মানেই বাল্লে বাল্লে! হাসিখূশি, সদালাপী, বন্ধু বৎসল, জবান দিলে জান দেয়
এই যে ব্রান্ডিং! আমাদের বাংগালী বললে কোন চিত্র ভাসে???

আমাদের দ্রুত ভাবতে হবে! বাজে ব্রানডিং এস্টাবলিশ হবার আগেই

২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮

বিদ্যুৎ বলেছেন: হ্যাঁ আপনি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আলোকপাত করেছেন। ব্রান্ডিং নিয়ে আসলে যাদের ভাববার কথা তারা ঘুমে থাকে। ব্রান্ডিং এর কাজটি আসলে সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এখানে আইন কানুন, বিদেশিদের কাছে প্রমোশন প্রমোট এটা সাধারণ জনগণের সরাসরি কাজ নয়। জনগণ এক্ষেত্রে একটি ব্রান্ডিং উপাদান মাত্র। আমাদের একজন সেইরকম নেতা দরকার। ধন্যবাদ আপনাকে মুল্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৬| ২৮ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০১

করুণাধারা বলেছেন: নানা দেশের মানুষের বঙ্গদর্শনের অভিজ্ঞতা নিয়ে ধারাবাহিকভাবে পোস্ট দিচ্ছেন, পোস্ট ভালো হচ্ছে কিন্তু পড়তে পড়তে লজ্জা পাচ্ছি। এ তো আমাদের জাতীয় লজ্জা আমাদের- অসততা!

সাদা গাড়ি, ভোর বেলা, এলাকা- সবই পুলিশ জানে। তারপরেও পুলিশ কেন জার্মান মহিলার ছিনতাইকৃত জিনিস উদ্ধার করতে পারলো না? এটা খুব কঠিন কাজ ছিল না। আমি ভেবেছিলাম এই কাজটা করে পুলিশ কিছুটা সম্মান পুনরুদ্ধার করতে পারবে ....না পারলো না.....

২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯

বিদ্যুৎ বলেছেন: হ্যাঁ আপনি ঠিক বলেছেন তবে এখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। শুধু সরকার এবং প্রশাসনের উপর ভরসা করলে চলবে না। এগুলো খুবই তুচ্ছ বিষয় কিন্তু এর প্রভাব সুদূর প্রসারী। তাই আসুন আমরা সচেতন হই এবং আমাদের আশেপাশে কাছের মানুষদের সচেতন করি। আপনাকে ধন্যবাদ।

৭| ২৮ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০৪

সিগন্যাস বলেছেন: এই নাহলে বঙ্গদর্শন :) :) :)
চালিয়ে যান সিরিজটা

২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে তবে এটা শেষ করেছি কারণ কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা নিয়ে ব্যস্ত আছি। পরে সময়ে সময় কিছু লিখব। আশাকরি সাথেই থাকবেন। ভাল থাকুন।

৮| ২৮ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১২

গরল বলেছেন: সেই ছোট বেলা থেকে বাংলাদেশের দূর্ণামের কথা শুনতে শুনতে কান পচে গেছে, এখন বিরক্ত লাগে। ভাল কিছু জিনিষও তুলে ধরেন বিদেশীদের কাছে। ইন্ডিয়ায়তো এর চেয়েও অনেক খারাপ কিছু হয়, মহিলাদের জন্য তো ইন্ডিয়া রিতীমত সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দেশের তালিকায় এক নম্বরে স্থান পেয়েছে। তাই বলে কি ইন্ডিয়াতে বিদেশীদের যাওয়া কমে গেছে? আমরা শুধু খারাপটাই বলেতে জানি, পাশাপাশি ভালটা কখনই বলি না। এই প্যাচাল দয়া করে বন্ধ করেন, এগুলো সবাই জানে, পারলে ভালো কিছু খুজেন বের করতে পারেন কিনা দেখেন।

২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০

বিদ্যুৎ বলেছেন: প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। অতিসম্প্রতি আমাদের দেশে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা নিয়ে প্রশাসন মূলধারা গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত সমালোচিত হয়েছে তাই কিছু বিষয় আমরা নিজেরা সচেতন হওয়ার জন্য লিখেছি। আমি এখানে যা লিখি তা বাঙ্গালীদের জন্য লিখি। সেখানে ভাল মন্দ সবই থাকে। আপনি যদি মনে করেন এটা বিদেশিদের জন্য লিখেছি তা ঠিক নয়। আমি ওয়ার্ড প্রেস এ শুধু পজিটিভ বাংলাদেশ নামে ইংলিশ ভাষায় বাংলাদেশের ইতিবাচক প্রচারণা করে যাচ্ছি। আমার আগের লিখাগুলো পড়লে সেখানেও ইতিবাচক দিক খুঁজে পাবেন। এটা শুধুই আমাদের সচেতন হওয়ার জন্য ব্লগার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করা যেন আমরা সবাই এই ছোট ছোট কিন্তু মারাত্মক নেতিবাচক কাজ থেকে বিরত থাকতে সচেতন হই এবং অপরকে সচেতন করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.